পোস্টগুলি

2024 থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

বেঁচে আছি তো ! ( মোঃ রহমত আলী )

ছবি
বেঁচে আছি তো ! ============= মোঃ রহমত আলী ============= বেঁচে আছি মরা মরা , যেমন মাটি ছাড়া গাছ খাড়া , তেমন পানি বিনা প্রান্তিক তপ্ত খরা। বেঁচে আছি এইতো , আধো ধুপ আলো মাখা ছায়াতে , বেদনার লাল নীল আরো মায়াতে। বেঁচে আছি বেশতো , শত দুঃখের মাঝেও , মিছে সুখের মিছে আশায় আশায় তো। বেঁচে আছি যাইহোক, কথা ছিল যা.. ওয়াদা ও কী তা ? ভাঙা আয়নায় মুখ দেখে কাদা মাখা কায়া। বেঁচে আছি তাইতো , বেঁচে বেঁচে শেষে মৃত্যুর জন্যই তো , ধর্ম, কর্ম, গোত্র যাইহোক বেঁচে আছি তো ! ৩১.১২.২০২৪

আহাজারি ( মোঃ রহমত আলী )

ছবি
আহাজারি ============= মোঃ রহমত আলী ============= যেমন বদল হয় রোজ তারিখ , তেমনি বদল হয় তারিফ , তোষামোদের তেলেসমাতি তদবিরে যদিও তরজমা কবুল। মোনাজাত শেষে আবারও চলে বেশ খানিকটা লম্বা দোয়া ; তখনও পূর্ণিমা পূর্ণ বিকশিত হয়নি ! মাথা-ঘুরে বেহুশ নসিহত-কারী , রাজার খায়েশ মোটেও কমেনি , যেন আজও মেটেনি ; সব বাকি ! হয়নি পূরণ পুরোপুরি চৌ চাহিদা। ফকিরের ফরিয়াদ, আর পাগলের আহাজারি হাওয়ায় একাকার জগত জুড়ে ; প্রতি এক এক দীর্ঘ নিঃশ্বাসে ।। ২৬.১২.২০২৪

অঙ্গীকার ( মোঃ রহমত আলী )

ছবি
অঙ্গীকার ============== মোঃ রহমত আলী ============== ব্যর্থতাকে জয় করে , অপমানটা পুঁজি করে , পৌঁছে যাবো হয়তো একদিন… ভালোবাসার কাছাকাছি , নিরাশার পাশাপাশি , তবুও যদি লক্ষ্য-টা রয় অটুট । হতাশা-তে ও আশাবাদ , কলমে খোলা প্রতিবাদ , হ্যাঁ পথে নামলেই মঞ্জুর মঞ্জিল । অবহেলা-তে ও দৃঢ়প্রতিজ্ঞ, করুণার ধার ধারি না , আজ হাসে যে.. কাল দেখা হবে ! হেরে যাওয়া ভালো , তাই বলে হার মানা নয় ; প্রচেষ্টায় প্রাপ্তি হারজিত ভাগ্য ! উপহাস ও রোজকার , হিম্মতের জন্য দরকার , জ্ঞানীর জ্ঞানে আলোকিত অন্ধকার । শিক্ষিত নাকি দীক্ষিত , ধৈর্য্য একমাত্র পরীক্ষিত , হবে সৎ অঙ্গীকার আগামীর জন্য… ২১.১২.২০২৪

আমার দেশ ( মোঃ রহমত আলী )

ছবি
আমার দেশ ============= মোঃ রহমত আলী ============= নদী ভরা জল ,মাঠে ভরা ফসল , গাছে-গাছে হরেক কাঁচাপাকা ফল। ডাকে পাখি সুরে-সুরে , প্রজাপতি উড়ে , দলে-দলে , তালে-তালে , আহা নেচে-নেচে। ফুলে ফুলে মধু , সুরভিতে মৌমাছি কাবু , বাউলের সুরে-সুরে, হাল ধরে তুলে মাঝি পাল। ঢেউয়ের তালে-তালে আহা দেহমনটাও দোলে , জেলেদের জালে মাছ ধরা দেয় ঝাঁকে-ঝাঁকে। যায় দিন যায় মাস সুখে দুঃখে বারো মাস , এই মাটি এই দেশ এইখানেতেই শুরু শেষ। ভালোবাসি ‘মা’ মাটি , ভালোবাসা খাঁটি , দেশপ্রেম দিলে-জানে , দেশ আমার মনেপ্রাণে। ২০.১২.২০২৪

এ অপেক্ষা চলবে ( মোঃ রহমত আলী )

ছবি
এ অপেক্ষা চলবে ============== মোঃ রহমত আলী ============== তুমি তো ভুলেগেছো আমায় , আমি তো ভুলিনি আজও তোমায়। প্রেমের ফাগুনে আগুন দিয়ে , কাঁদছো কেন ওগো মিছে মায়ায়। যে পথ দিয়ে তুমি গেলে গো চলে , সে পথেই আছি আমি আজও চেয়ে। তুমি আসবে বলে এলেনা প্রিয় ! অপেক্ষার প্রহর রাত শত , প্রতীক্ষায় কত মেঘলা দিন হলো গত , পুবের সূর্য পশ্চিমে, পশ্চিম থেকে চন্দ্র পূর্বে , রংধনু উত্তর থেকে দক্ষিণে উঠে গেল চলে ! তবু তুমি এলেনা আমার উঠোনে ছায়াতে ; এ অপেক্ষা চলবে জনমভর তোমার মায়াতে। ১৯.১২.২০২৪

পরমার্থ ( মোঃ রহমত আলী )

ছবি
পরমার্থ ============= মোঃ রহমত আলী ============= জানি তবুও মানি-না , মানি তবু সত্য জানি-না , ধরি তবুও ধরতে পারি-না , মিথ্যা জেনেও সত্য বলি-না , খুঁজে ফিরি অমূল্য রত্ন ! পেয়ে গেলে করি-না মোটেও যত্ন। হ্যাঁ শুধু আমি ; কিন্তু তুমি-না ! চাই কিন্তু আগলে রাখতে পারি-না , সততার তত্ত্ব ছাড়া পরমার্থ পাওয়া হয়-না। বাঁধি কিন্তু বাঁধা যায়-না , অক্ষর জুড়ে জুড়ে শব্দের শব্দার্থ , বিক্রি হয় বাজারে যা ; মূল্য কী মর্ম। দেখতে চেয়ে, দিদার পেয়ে, দর্শন তবু পাই-না ! তবে কি এ জনম হায়্ জন্মান্ধ ; তাই-না ? আজও অন্তর্দৃষ্টি শূন্য দেখেও দেখা হয়-না। জানি-না, তাই মানি-না, বললে তো হবে-না , খুঁজে দেখো আকাশে বাতাসে সৃষ্টিতত্ত্ব , আমি সৎ হলেই , তুমিও হবে সত্য শ্রেষ্ঠ । ১৯.১২.২০২৪

যাদু মিয়া ( মোঃ রহমত আলী )

ছবি
যাদু মিয়া ============== মোঃ রহমত আলী ============== নাম বলে.. কথা ! কাম যথা তথা , মুখে হুক্কা হুয়া , হাতে যত ক্রিয়া , নামে.. যাদু মিয়া ! সাধু সাধু হিয়া , ঘুষ খেয়ে লাল , চালে কূটচাল , চোখে নাই লাজ ! বাবু বাবু সাজ , বড্ড ধান্দাবাজ , কাজে ফাঁকিবাজ , ভাবে নিজে কি -যে ! জ্বলে নিজে নিজে , তবে কি ! সে দামি ? নামে.. শুধু নামি ।। ১২.১২.২০২৪

শেষ অবধি চলবে ( মোঃ রহমত আলী )

ছবি
শেষ অবধি চলবে ============== মোঃ রহমত আলী ============== আর শেষ হবার নাম নেই একবার শুরু হলেই সারা চলবে শেষ অবধি.. আয়না ভেঙে বায়না ধরা হেসে খেলে দীঘির জলে ডুবে-ডুবে ভেসে ওঠা.. পূর্ণ চাঁদের জোছনা মাখা প্রেম প্রেম লীলা দোল.. যেন চোখের আঙিনায় বন্দী গোধূলির কাননে নীলকমল.. আরে বাহ্ কেবল তো শুরু চলবে শেষ অবধি.. ভালবাসাবাসির সাহিত্য যাহা রাত জাগা পাখি হয়ে বিহান-বেলা গুল হয়ে যায় আহা আরও বেশ.. মাঝেমধ্যে বিনি-সুতোয় লাগা টান.. মায়া মাখা সিক্ত সুখো ছোঁয়ায় কোনো কমতি নেই তো.. প্রেমের বসতি জুড়ে অভিমানের চলছে চলবে.. সেই আদি হতে বহু যতনে মনের মতন আর শেষ হবার নয়.. শেষ অবধি ১১.১২.২০২৪

শিরোনাম ( মোঃ রহমত আলী )

ছবি
শিরোনাম ============== মোঃ রহমত আলী ============== কলা গাছে চাষার গলা , আলুর ক্ষেতে মুলা , সরিষা ফুলে হুতুম বসা ! ওঝার মন্ত্রে চোখেমুখে ধুলা। সাঁতারু ডুবে মরে জলে , ডুবুরি জলে নামে ছলে , মাঝির দোষে নাও ডুবে ! তাইনা দেখে বেদেনীর গা জ্বলে। হাতির মুখে গাধার নাম , আহা বেশ শিরোনাম , মাছির সুরে-সুরে মশা গায় গান ! বাহ্ রে বাহ্ বাবু-মশাইয়ের গুণগান। অন্ধ সেজে রাস্তা পার , পায়ের তলে পিঁপড়া সাবাড় , সাবাস আধুনিক বর্বর যাত্রী ! রইবেনা সমান এই দিনরাত্রি। পয়সা পেলে পুতুল নাচে , ইঁদুর হাসে চোরাই মালে , ফাগুন বিদায় এই সালে ! বাকি হিসাব পরকালে ।। ০৬.১২.২০২৪

ভাগ্য যার সাথে তার ( মোঃ রহমত আলী )

ছবি
ভাগ্য যার সাথে তার =============== মোঃ রহমত আলী =============== অন্ন খুঁজে ফেরে হন্যে হয়ে, ফুটপাত থেকে ডাস্টবিনে, লোকের ভিড়ে নজর গেড়ে চেয়ে আছে শুকনো মুখে। কারো ঘর ভরা খাবার, খেতে পারেনা কারণবশত আর। নিরুপায় সে দেখে দেখে, রোগে শোকে চিন্তায় কাতর। আরো কতক জনে খেতে পায়-না, আহা খুঁজে মরে আহার, অসহায় সেও ভুখা, দানা কই তার ? ভাগ্য যার সাথে-সাথে তার ! ০৪.১২.২০২৪

সাধু সাবধান ( মোঃ রহমত আলী )

ছবি
সাধু সাবধান ============== মোঃ রহমত আলী ============== নিশ্বাস যেদিন থেমে যাবে , বিশ্বাস সেদিন হয়ে যাবে। থাকবে না তখন উপায় কোনো , চোখ খোলো সবে সময়ে এখনো। যারা চলে গেছে আগে , আমিও যাবো তাঁদের পিছে। আসা যাওয়ার এ অবধারিত নিয়মে , সময় ফুরিয়ে গেলেও ইচ্ছে না ফুরায়। আগমনের ছিল আগাম বার্তা , যাবার সময় নির্দিষ্ট তবে অজানা। যেতে হবে চিরতরে সবারই জানা , তাই সময় থাকতে হও সাধু সাবধান। ০১.১২.২০২৪

অন্তর্দৃষ্টি ( মোঃ রহমত আলী )

ছবি
অন্তর্দৃষ্টি ============== মোঃ রহমত আলী ============== ও তুই আপন খুঁজে পাবি নারে, এই ভবে ! আপন তোর কে”বা এ সংসারে। ও তোর পরান যতই কাঁদুক না’রে, অশ্রু কেউ মুছাবে-না বারে-বারে। ও মন আমার, তোর বন্ধু কে”রে ! এ জগৎ মায়ায় মিছে ডুবে থাকিস নারে। ও মন তুই যার জন্য ভাবিস, আরো কাঁদিস, আদৌ কি সে তোর আপন, বলতে পারিস ? ওরে মন পাগল মন, অবুঝ আমার মন, ও তুই আপন চিনতে পারবিনা আর এই ভবেতে। ও তুই অন্তর্দৃষ্টি খুলে দেখরে-দেখ আকাশ, নিঃস্বার্থ কে”বা পাবি, খুঁজিস-না আর আবার। ও তোর চোখের আয়নায় আছে যে-জন, মনের মণিকোঠায় ওকি থাকে সে-জন ? ও তুই আপন হইলি কার, ভবের খেলাঘরে ! বুকের ভেতর বাঁধলি কারে মিছে মায়ার ঘোরে। ও মন চিনতে কি পারিস তারে ? যাকে তোর অনেক চেনা চেনা লাগে ! ওরে মন এই জগৎ মায়ায় কে"বা তোর, সকালবেলা যে”বা আপন সন্ধ্যাবেলা পর। ও মন তুই আর কাঁদিস না, আর ভাবিস না, এটাই ধরন, এটাই যে এই জগতের নিয়ম। ও তুই সত্য হলে আপন সত্তা তালাশ কর, মিছে মায়া ত্যাগ করে পারলে সত্য আত্মা ধর। ৩০.১১.২০২৪

বৈকি ! (মোঃ রহমত আলী )

ছবি
বৈকি ! ============== মোঃ রহমত আলী ============== কিছু ভেঙে গেলো , তবে কোনো শব্দ হলো-না ! হৃদয় ছিল আমার তাই , ছিলনা কোনো বানানো খেলনা ! কী যেন ভেসে উঠলো , যদিও যমুনায় ঢেউ ছিল-না ! তবুও উত্তাল জোয়ারে , এই অন্তর মোহনায় করুণ কামনা ! কেউ কারো অপেক্ষায় , তাই প্রতীক্ষার প্রহর কাটেনা হায়্ ! সময় চলে যায় প্রশ্ন রেখে , সময় ঘুরে আসে উত্তর দিতে ! কিছু বেদনা ঢেকে রাখতে হয় , হৃদয় অতলে অতি যতনে ! কিছু চোখে , কিছু মুখে , আর যা আছে থাক অন্তরে-অন্তরে ! ২৭.১১.২০২৪

বিশ্ব-পণ্ডিত ( মোঃ রহমত আলী )

ছবি
বিশ্ব-পণ্ডিত ============== মোঃ রহমত আলী ============== বিশ্ব যখন অন্ধ হয়ে, অন্ধ খুঁজে ফেরে, অন্ধ তখন বিশ্বের দিকে তাকিয়ে বলে, দেখোনা তোমরা কোথায় আগুন লেগেছে ! আর কারা আগুন লাগিয়েছে, তাঁরা কারা যাঁরা আগুন লাগাচ্ছে। তাহলে তোমাদের নজরে এগুলো কী ? বোধহয় শুধুই মজাদার লীলা ! আসলে লক্ষ্য কোটি আর্তনাদ দেখেও তোমরা মিথ্যা সান্ত্বনা জুড়ে ছুড়ে দাও ! হয়তো মজা করে ধ্বংসাত্মক তামাশা দেখতে। বিশ্ব যখন আলোকিত রজনীর তালাশে ব্যস্ত, তখনও কতক দেশের আমজনতা অভাবগ্রস্ত মারাত্মক দুর্বিষহ জীবনযাত্রায় জর্জরিত। তবু যতই চোখে আঙুল দাও, দেখেনা বিশ্বগুরু, অথচ তারাই আজ বিশ্ব মহারাজ, মহাপণ্ডিত ! ২৬.১১.২০২৪

যুবক দাদু ( মোঃ রহমত আলী )

ছবি
যুবক দাদু ============== মোঃ রহমত আলী ============== দাদুর নাই দাঁত , গিলে খায় ভাত , সকাল তার সাঁঝ , বিকালে দেখে একাই চাঁদ। দাদুর কপালে ভাঁজ , চোখে ভীষণ লাজ , হাসিমুখের সাজ , কথা না , বড় তার কাজ। মনটা যুবক হায়্ , বয়স আশি প্রায় , দাদু একাই একশ , খেয়েছে নির্ভেজাল শস্য। ২৪.১১.২০২৪

অদল-বদল ( মোঃ রহমত আলী )

ছবি
অদল-বদল ============== মোঃ রহমত আলী ============== রাজা বদল হলেও , রাজ্য বদলালো-না। রাজ গোপন রইলেও , রাজকার্য গোপন রইলো-না। সরষে ফুল ফুটলেও , সরিষা ফলন হইলো-না। চোরা নামাজ পড়লেও , পাক্কা নামাজী হলো-না। শিক্ষিত পোশাকে রইলেও , দীক্ষিত ব্যবহার দিলো-না। সাধুর সঙ্গ ধরলেও , সাধু হইতে মন পারলে-না। অদল-বদল  চললেও , নিজে বদল হইলাম-না। রাজা দোষী হইলেও , প্রজাও দোষী কম-না। ২৩.১১.২০২৪

আদার ব্যাপারী ( মোঃ রহমত আলী )

ছবি
আদার ব্যাপারী ============= মোঃ রহমত আলী ============= আদার ব্যাপারী গাধার সংবাদ শুনে, আনমনা হয়ে জাহাজের খবর নিতে, পাহাড়ের চূড়ায় উঠে দাঁড়িয়ে আছে। কাঙাল দৃষ্টিতে নজর ঘুরিয়ে দেখে, ডুবন্ত জাহাজের মহা লীলা সংহার। এদিকে জল-তরঙ্গে আগুন জ্বলছে, ওদিকে ভাটার টানে দিশেহারা ব্যাপারী। ফেঁসে গেছে “বা” ফেঁসে আছে বৈকি, নির্দয় চোরাবালির লালসার অতলে। আদার ব্যাপারী মরীচিকা”র সন্ধানে, মেঠো পথ থেকে পাথরের রাস্তা পেরিয়ে ধরাশায়ী মৌসুমী মেঘের কিনারে। আচমকা জোয়ারে জল উঠে হায়্ ! মরা নদীর ঘাট অবধি অবধারিত সীমানায়। কার হলো ক্ষতি আর কে”বা হলো লাভবান, হিসাবের আগেই হয়তো বসন্তকালের অবসান। আদার ব্যাপারী রহস্যময় এক উদ্ধার অভিযানের অভিনয়ের অভিযাত্রী মাত্র। আলামত পর্যাপ্ত সত্ত্বেও স্বীকারোক্তিতে কসম ওঠে, জানিনা আমি জাহাজের সন্ধান ! ফেরিওয়ালা মুচকি হেসে বলে, জাহাজ তো ডুবেনি আজও, তবে মালামাল উধাও, আর রটে গেছে কানে-কানে, নিখোঁজ জাহাজ সহ আদার ব্যাপারী ।। ২১.১১.২০২৪

বিশ্বাসের বিশ্বাসঘাতক ! ( মোঃ রহমত আলী )

ছবি
বিশ্বাসের বিশ্বাসঘাতক ! =================== মোঃ রহমত আলী =================== আমার আপন যে-জন ছিল রক্তের, সেই বড়ো বিশ্বাসের বিশ্বাসঘাতক। একই গাছের ফল হয়েও লাভ কী ? যবে রক্তের গুণাগুণের গুণে বিফল, যে নিজেই নিজের কর্মগুণে ঘাতক ! বিচরণ তাহার দুর্ধর্ষ অসৎ সঙ্গীর সঙ্গে, অন্ধ সে দিবালোকে-ও মিথ্যার মোহে। যে আপনা চেনেনা, সে কারোর আপন আর হয় বা কেমনে, যার নেই নাড়ির টান, নেইকো মূল্য যার কাছে কোনো রক্তের মান। নিজের সর্বনাশ নিজেই করে হায়রে বেওকুফ, না চেনে “মা” , না ‘ভাইবোন’ , না “বাবা” , চেনে শুধু কু”সঙ্গের সঙ্গী আরো আছে যা। সে আবার আপন হয় কি করে ? যদিও কলিজা হয়েও দিলে দাগ এঁটে দেয় ! ১৮.১১.২০২৪

ঘুমন্ত আত্মা ( মোঃ রহমত আলী )

ছবি
ঘুমন্ত আত্মা ============== মোঃ রহমত আলী ============== বোবার মুখ খুলে গেছে আজি, এতদিন কণ্ঠে ছিল চাপা মিথ্যার জয় গানের জয় জয় সুর। বয়রা এখন দেখি শুনছে কানে, এতদিন তো শোনেনি মজলুমের আর্তনাদ আজি শুনেছে তাঁরা শতবছরের চিৎকার। অন্ধের চোখে যখন সূর্যের জ্যোতি পড়েছে, তখনই চোখে দেখেছে সে.. লাল লাভা ! যা রাজপথে ঝরে পড়া তাজা রক্ত, অতঃপর শুকিয়ে যেতে না যেতেই হয়তো প্রাণ-সঞ্চালন হতেও পারে, মৃত বিবেকবানদের আবেগের শিরা-উপশিরা হতে ঘুমন্ত আত্মা পর্যন্ত ।। ১৫.১১.২০২৪

তবুও তাতে কি ! ( মোঃ রহমত আলী )

ছবি
তবুও তাতে কি ! ============== মোঃ রহমত আলী ============== তুমি স্বপ্ন ভেঙ্গে দিলে তাতে কি ! ঘুমে ছিলাম জেগে তো গেলাম। তুমি ওয়াদা খেলাফ করলে তাতে কি ! বিশ্বাসী ছিলাম তাই তো দীর্ঘশ্বাস নিলাম। তুমি যেতে চাও যদি, তবে যাও, তাতে কি ! আমি পথ চেয়ে থাকি আরো প্রতীক্ষায় রাজি। তুমি যদিও যত্নে হৃদয় ভেঙে দাও তাতে কি ! আমি পুষিয়ে নেবো তাও ভালোবেসে হায়্। তুমি ভুলে যদি যাও আমায় যাও, তাতে কি ! আমি জেগে আছি জেগে রবো স্মৃতির স্মরণে। তুমি ছলে ছলে মালা ছিঁড়ে গেলে তাতে কি ! আমি নব ফুলে মালা গেঁথে বাঁচি প্রীতির বরণে। তুমি প্রিয় প্রিয়তম প্রিয় হে আমার ! তবু হায়্ আমি যে কেউ নই তোমার। তাতে কি ! ১১.১১.২০২৪

মর্মকথা ( মোঃ রহমত আলী )

ছবি
মর্মকথা ============== মোঃ রহমত আলী ============== দিনে দিনে কবি হচ্ছে বুড়ো আর কবিতা হচ্ছে জোয়ান দিনে দিনে যাচ্ছে মরে নদী আর ফিরে পাচ্ছে চর প্রাণ দিনে দিনে বৃক্ষ বড্ড ক্লান্ত আর পথিক সে ছায়ায় শান্ত দিনে দিনে বয়স বেড়ে সংকীর্ণ আর হায়াত কমে হচ্ছে পূর্ণ দিনে দিনে শেষের পথে শূন্য আবার শুরু থেকে শুরুর জন্য দিনে দিনে কবিতার নব যৌবন তাইতো ফিরে পায় কবি মনোবল দিনে দিনে মিথ্যার মুখে মধু অর্পণ আর সত্য একা আঁধারে ঢাকা দর্পণ দিনে দিনে বিলীন সমাজের সৎ দর্শন তাই সামাজিক অবক্ষয় হচ্ছে প্রদর্শন দিনে দিনে অসৎ আর অসত্য একাকার তাই নীতি-নির্ধারণ আজ খুব দরকার দিনে দিনে কবিতায় আঁকা মর্মকথার ছবি যদিও কবি আজ মেঘে ঢাকা রবি ১০.১১.২০২৪

মহা কারবার ( মোঃ রহমত আলী )

ছবি
মহা কারবার ============= মোঃ রহমত আলী ============= যুক্তি বন্দী তর্ক আজাদ ইজ্জত নিলাম শিষ্য গুরু আজ মহা কারবার সত্য ঢাকা অসত্য প্রচার  মিথ্যার বিস্তার মিথ্যাচারে পুরস্কার বেহিসাব বেহিসাব চুক্তির আসরে ভক্তির সুরে সুরে মুক্তির গানে শ্রোতা বেসামাল হাজির বেশুমার ০৬.১১.২০২৪

আমার আমি নেই ( মোঃ রহমত আলী )

ছবি
আমার আমি নেই ============== মোঃ রহমত আলী ============== বন্ধু আর বন্ধু নেই শত্রু আর শত্রু নেই আজ চাওয়া পাওয়া নেই আর মান-অভিমান নেই কোনো আশা-ভরসা নেই আজি সময় ফুরিয়েছে তাই আর আমার সময় নেই আমি আর আমি নেই পরিচয় এখন লাশ-টাই দেহে আর আত্মা নেই তাই আর কোনো আত্মীয় নেই সুখ-দুঃখের আর অনুভূতি নেই লাশের সাথে কারো বন্ধুত্ব নেই সঙ্গের সঙ্গী আর কেউ নেই আমার আমার বলে কিছুই নেই যাবার বেলায় শুধুই কর্ম-টাই চলে গেলে দশের মাঝে আমি নেই বেঁচে থাকলে আমি আমি সেই মরে গেলেই তো আমার কেউ নেই শত্রু আর শত্রু নেই বন্ধু আর বন্ধু নেই ০৫.১১.২০২৪

একটু হলেও চলবে ( মোঃ রহমত আলী )

ছবি
একটু হলেও চলবে ================ মোঃ রহমত আলী ================ একটু প্রেম দাও হোক ছলনা ভরা, তাও চলবে ! একটু দেখা দাও হোক স্বপ্নে, এক ঝলক তাও চলবে ! স্মৃতিময় প্রীতির চিরস্মরণিকা হয়ে রইবে। একটি ফুল দাও সুরভী মাখা, হোক কাঁটা ভরা, তাও চলবে ! একটি কথা দাও মিছে মিছে যদিও হয়, তাও বেশ চলবে ! মন থেকে মনের গভীরে লুকিয়ে রাখবো। একটু জল দাও হোক ছলে ছলে বিষে ভরা, তাও চলবে ! একটু সুখ দাও যদিও হয় অভিনয় করে, তাও চলবে ! নতুন দুঃখে আবার ডুবে যেতে”তো পারবো। একটি ভুল একটু ভেঙ্গে দাও ভালো-না-বাসলেও বন্ধু”তো হয়ে রও ! একটু দূরে একটি চাওয়া, একটু কাছে একটাই পাওয়া, হোক হৃদয় যতই ব্যাকুল, অন্তরে যে একটু সান্ত্বনা ! বেশ তাও চলবে ।। ০৪.১০.২০২৪

আর্তমানবতা ( মোঃ রহমত আলী )

ছবি
আর্তমানবতা ============= মোঃ রহমত আলী ============= মানবিকতার গান গেয়ে যাই , মানবতা মোটেও না দেখাই। ওপরে ওপরে মানবিক মশাই , ভেতরে ভেতরে জালিম কসাই। অক্ষরে অক্ষরে মমতা সাজাই , শব্দে শব্দে মানবতার দিশা হারাই। চলনে বলনে মায়া ধরাই , হিংসা বিদ্বেষ পুষেও আমিই মানবতার ফেরিওয়ালা ভাই। মানবিক আছেন জনাব যতজনই , কত ওজন তাদের মানবতারই , যাই হোক চাই চাই মানবতা কিছু চাই , হৈ হৈ রৈ রৈ মানবতা গেলো কই ! ০১.১১.২০২৪

তৃষ্ণাতুর ( মোঃ রহমত আলী )

ছবি
তৃষ্ণাতুর ============== মোঃ রহমত আলী ============== যদি একটু কাঁদতে দিতে, তবে পরান ভরে সুখের হাসি হাসতাম। যদি একটু হাসতে দিতে, তবে আনন্দঅশ্রু ঝরাতে পারতাম। যদি একটু কথা বলতে দিতে, তবে দুঃখ গুলো খুলে দেখাতাম। যদি একটু ভালোবাসা দিতে, তবে শত বদনাম মাথা পেতে নিতাম। যদি একটু সুযোগ দিতে বন্ধু, তবে একটি পুরাতন কবিতা শোনাতাম। যদি একটু চোখে চোখ দিতে প্রিয়, তবে ইশারায় প্রেম নিবেদন শিখাতাম। যদি একটু মুচকি হেসে দিতে তুমি, তবে শ্রাবণের গদ্যময় পদ্ম তোমায় দিতাম। যদি একটু একপলক দেখা দিতে, তবে জনমের তৃষ্ণা আজি ভুলে যেতাম। যদি একটু সাথ দিতে সাথী, তবে ধন্য আমি তোমার জন্য। যদি একটু… ৩০.১০.২০২৪

দুর্বোধ্য ( মোঃ রহমত আলী )

ছবি
দুর্বোধ্য ============== মোঃ রহমত আলী ============== কারো আপন হওয়া-টা সহজ হলেও সেই আপনজনের স্বপ্নের স্বপন হওয়া কঠিন। কারো মন ভাঙা-টা যদিও সহজ, তবে কারো মন জয় করাটা খুবই জটিল। কারো মুখের অন্ন কেড়ে নেওয়ার আগে, পারো যদি করিতে নিজের আহার দান, তবেই বাহাদুর তুমি হয়ে রবে প্রমাণ। কারো চোখের অঙ্গার হওয়া কঠিন কিছু নয়, তবে হয়তো খুবই কঠিন সময়ে-সময়ে, দুঃখীর অশ্রুভেজা আঁখি মুছিয়ে দেওয়া। কারো দুঃখ কষ্ট দেখে উপহাস করা যদিও অদ্ভুত হলেও সহজ, তথাপি সেই তো মানুষের কাতারে.. যে মানবতার পূজারী হয়ে এগিয়ে যায়, মানবেতর অসহায়ের পাশে কঠিন বিপদে আপদে সত্যিকার নিঃস্বার্থ উপকারী পরিচয়ে। কেউ কারো আপন, কেউ কারোর পর, যদিও সহজ, তবুও কঠিন, জটিল দুর্বোধ্য এ সফর ।। ২৮.১০.২০২৪

আমি কত প্রকার ! ( মোঃ রহমত আলী )

ছবি
আমি কত প্রকার ! =============== মোঃ রহমত আলী =============== আমরা সবাই মুখেই বলি বারবার, দেখা যায় কাজের বেলায় কে কার ! নিজের পরিচয় নিজেই প্রদান, আমি,আমি,আমি কত প্রকার ! আমরা সবাই জানি ভালো-মন্দ, নিজের নিজের সবাই সবার ! অন্যের দোষটা আগে দিতে, নিজের মুখটা মুখোশে ঢেকে, সত্য ঢাকা যায় কি ? মিথ্যা দিয়ে আর ! আমরা জানি, মানি তবু মানিনা, আমার আমি আমিত্বটাই ধ্বংসক। আমরা নিয়ে ভাবনা হলে সর্বাত্মক, আমারটা-ও হয়তো হতো সার্থক। আমি আমি ভুলতে হবে, আমরা মিলে চলতে হবে। এক আঙুলে তো আর মুঠ হয় না, পাঁচ আঙ্গুলেই মজবুত মুঠো হয়, তাই আমি আমিটা ছেড়ে দিয়ে, আমরা মিলেমিশে চলি চল। আমি আমি তো সবাই ভাবে, আমরা ভাব ভাবতে হবে আগে, আমি আমি টা যে স্বার্থপর লাগে। আমরা ভাবলেই যে.. আমিও আছি, তো ভেবে দেখো -রে ভাই, প্রকারভেদে আমি কত প্রকার ? ১৫.১০.২০২৪

জীবনচক্র ( মোঃ রহমত আলী )

ছবি
জীবনচক্র ============== মোঃ রহমত আলী ============== কবিতা এখন আর কথা বলে-না, কারণ অনেকেই সম্পূর্ণ পড়ে-না। ছবিগুলো আজকাল আর হাসে-না, কারণ অনেকেই ফিরে দেখে-না। ব্যথা-গুলো আজ আর কাঁদে-না, কারণ কেউ আগের মতো দরদ দেখায়-না। সত্য এখন আর বিশ্বাস হয় -না, কারণ মিথ্যা ছাড়া জীবন চলে-না। আর উপকার করতে লোকে এগিয়ে আসে-না, কারণ অনেকেই কৃতজ্ঞতা স্বীকার করে-না। আজও মানুষ দেখে মানুষ চেনা যায়-না, কারণ অন্ধ তো আর আয়না দেখতে পায়-না। কবিতার ভাষা কেন যেন অনেকে বোঝে-না, কারণ কল্প-গল্প আর বাস্তব মিল হয়-না। জীবনচক্র কখনোই এক-সমান রয়-না, কারণ সময়ে হাওয়ার গতি দেখা যায়-না। সত্যের মুখোমুখি সবাই দাঁড়াতে পারে-না, কারণ মিথ্যা ক্ষণিকের, চিরস্থায়ী রবে-না। আশীর্বাদ সবাই কামাই করতে জানে-না, কারণ বেয়াদবে আদবের গুরুত্ব দেয়-না। লাল রক্ত যদিও সবার, গুণাবলী একই হয়-না, কারণ পচা সুতোয় মজবুত বন্ধন হবে-না। এক পলকে জীবন শেষ, বিষ লাগবে-না, কারণ সকাল প্রতি রাত হবে, আমি রইবো-না। ১৩.১০.২০২৪

দৈন্যদশা ( মোঃ রহমত আলী )

ছবি
দৈন্যদশা ============== মোঃ রহমত আলী ============== ক্ষুধার্ত বিশ্বে, মহারাজ ভিখারী খুঁজে পায়না ! কারো উদ্বৃত্ত কিছু ছুড়ে ফেলা হয় ডাস্টবিনে, কেউ যতনে তুলে তা প্রয়োজনের আগ্রহে। অতিরিক্ত আয়োজন অপ্রয়োজনীয় হলেও, ক্ষণিকের আনন্দভোগী মনের ক্ষুধা মেটায়। এদিকে কারোর রান্নাঘরে চুলো জ্বলে-না ! বিশ্ব আবার তালাশে অভাবী খুঁজে পায়না। যেখানে উৎসব প্রতিনিয়ত লালিত-পালিত ! তবে কি কাল্পনিক দারিদ্র্য বিমোচনের গল্প ? এখনও দৈন্যদশা কত শত মালেকের বাড়িতে, মালেকার হাঁড়িতে, বিশুদ্ধ জল থাকেনা। বিশ্ব যখন বিলাসিতায় মগ্ন উৎফুল্ল উচ্ছ্বাসে, তখন একদল মাটি খুঁড়ে খুঁড়ে পাথর তুলে, অবিরত চুলা জ্বালানোর প্রচেষ্টায় ধরাশায়ী। বিশ্ব মহারাজ যবে সুখনিদ্রায় স্বপ্নে বিভোর ! তখনও নিশি ফুরাবার আগ পর্যন্ত কারা যেন ? ফুটপাতে ক্ষুধার্ত আধো ঘুমে, পেট লাগা পিঠে। বিশ্ব দরবারের মহারাজ গণ অতিশয় ঘোর মগ্ন, নিজু-নিজু ক্ষমতার ভাগবাটোয়ারা পর্যন্ত ! এদিক-ওদিক নজর দেওয়ার মতো নজর নেই, দুনিয়ার মজলুম মজবুর চেয়ে আছে আকাশে। ১০.১০.২০২৪

যদিও কিছু আছে (মোঃ রহমত আলী)

ছবি
যদিও কিছু আছে ============== মোঃ রহমত আলী ============== এমন কিছু কান্না আছে, যা দেখা যায় না, শোনা-ও যায় না, তাই অনুধাবন-ও হয় না। এমন কিছু কথা আছে, যা বোঝা যায় না, তাই অনুতাপ-ও প্রকাশ করা হয় না। এমন কিছু ব্যথা আছে, যা খোলা যায় না, তাইতো অদেখা আজও তা খোঁজা হয় না।  এমন কিছু দুঃখ আছে, যা বলা যায় না, শত বলে বলে-ও কভু বোঝানো হয় না। এমনও কিছু বেদনা, যা খুলে বলা যায় না, ইশারায় অনুভব হয় তবে অনুমান করা হয় না। এমনও কিছু সুখ, ছোঁয়া যায়, তবু ধরা যায় না, যেমন কতক ধোঁকাবাজ চেহারা চেনা হয় না। ০৭.১০.২০২৪

হ-য-ব-র-ল ( মোঃ রহমত আলী )

ছবি
হ-য-ব-র-ল ============== মোঃ রহমত আলী ============== ভালো আছি ভালো নেই ভালোবেসে কারে কই রাত যায় ঘুম নাই দিন যায় সুখ নাই কার পানে চাই চাই এই আছি এই নাই কখন যেন চলে যাই যেতে-যেতে দেখি তাই কেউ নেই কেউ নাই এতকাল কার লাগি সই করেছি গো হইহই রইরই হযবরল হই নাকি নই গাই সারিগামা গাই ভালো নেই ভালো নাই কার কাছে কই কই ০৪.১০.২০২৪

হাসতে যে নেই মানা (মোঃ রহমত আলী)

ছবি
হাসতে যে নেই মানা ================ মোঃ রহমত আলী ================ হাসতে কে করল মানা মানবো না যে তা হাসবো সবাই খুব হাসবো পেলেই সঠিক বাহানা। দিনের বেলায় সূর্য হাসে রাতে হাসে চাঁদ মামা আমরা হাসবো সারাবেলা মনের সুখে হাসতে নেই মানা। শিশুর হাসি ভালোবাসি বুড়োর হাসিটা কি দারুণ মনের সুখে হেসে হাসাই আমরা হাসিখুশি জানুন। হাসবো বেশি-বেশি তাই সুস্থ সদা রাখতে মন  হাসতে যে করবে মানা মানবো না যে তাঁর বারণ। হাসবো না শুধু দুখে কারো কষ্ট দেখে ব্যঙ্গ করে বাকি হাসবো মোরা সারাক্ষণ হাস্যমুখে মনেপ্রাণে যখন-তখন হাসতে যে ভাই নেই মানা হাসতে নেই কোনো বারণ।। ০৩.১০.২০২৪

অবুঝ পাগল মন (মোঃ রহমত আলী)

ছবি
অবুঝ পাগল মন ============== মোঃ রহমত আলী ============== আমি সুন্দর ছিলাম কবে ! যে তুমি আমায় ভালোবাসবে ? তোমার চোখে ধরেনি যার মায়া,তবে কেন খোঁজো তার ছায়া। প্রেম যমুনায় ডুবেও বাঁচে পরান, মরে যায় মন, ধোঁকার নিশানায়, চোখের ইশারায় ! মুখের ছলনায় প্রাণ থেকে যায় চলে যায় পরান। আমি তোমার প্রেম কবেকার ! তুমি জানো কি জানো তবে আর ? চেয়েছি তোমায় মনে মনে, পারিনি মুখ খুলে বলতে আবার। চেয়ে দেখো চোখে আমার, পারো যদি খুঁজে নিতে ভালোবাসা তোমার ! স্বপ্নগুলো পুরাতন ভেঙে, নতুন স্বপ্ন সাজাই বুনে-বুনে। আমি অ’সুন্দর হলেও কি ! তুমি তো সু’সুন্দর বটে, হৃদয় ভাঙ্গার খেলায়, তবুও যে তুমি আমার সুখের ফাগুন আর দুখের শাওন। অবশেষে বুঝিলাম উদাসী মায়ায় ! বেশি ভালোবাসা ভালো না ! যদিও বুঝিতে চায় না, অবুঝ পাগল মন, তাই দু’চোখে অঝোর শ্রাবণ। ০২.১০.২০২৪

সুখ দুখ রত্ন (মোঃ রহমত আলী)

ছবি
সুখ দুখ রত্ন ============= মোঃ রহমত আলী ============= দুঃখ না পেলে সুখের কি মূল্য, সুখ ছাড়া দুঃখ যে বড় অমূল্য, নয়ন সাগর সদা পিপাসায় মগ্ন, হৃদয় পাথর সে সুখে দুখে রত্ন, দুঃখ অনন্ত তাই যতনে করি যত্ন। বলার ভাষা হারিয়ে যায়, যখন কিনা সুখের গভীরে কোনো গোপন দুঃখ, আনন্দ অশ্রু কত যে কথা বলে, সুখেও যে পরান কভু কভু কেঁদে উঠে, শত দুঃখ পুষে-ও জীবনযাত্রা চলে। সুখ সে তো বেশ দেখায়, দেখা যায় ! দুঃখ,কষ্ট,বেদনা দেখায় তবুও অদেখা, সুখের সাধনা শেষে যত মধুর যাতনা, তাই সুখের বাচ্য দু’চার আর দুখের বর্ণন সে তো শত শত শেষ না হবার। ২৮.০৯.২০২৪

বোবা কান্না (মোঃ রহমত আলী)

ছবি
বোবা কান্না ============= মোঃ রহমত আলী ============= এখানে কাঁদতে মানা ! হাসতে হবে শুধু কারণে অকারণে মন না চাইলেও মনের বিরুদ্ধে উদ্দাম উল্লাসে। এখানে মানতে হবে সব ! যত কান্না সবি লুকিয়ে প্রকাশ্যে হেসে-হেসে সুখ বিক্রয়ের নিত্যদিনের খেলায় মেলার রঙ্গে। এখানে সব চলে তাই ! মনে রঙ নেই তবুও রঙ ছড়াতে হবে নিশিদিন প্রেম কেনা-বেচার এ রঙ্গিলা ঘাটে। এখানে মূল্যহীন সব ! যতই ছলছল আঁখি ধারায় তাজা জল তথাপি বানোয়াট হাসিমুখের ঝলমলে এ হাট। এখানে হাসতে হবে হায়্ ! প্রতি খনে-খনে ললাটের বোবা কান্না দাফনায়ে অভিনয়ের বিচিত্র সাজগোজের নির্লজ্জ ঢঙে। এখানে কোনো উত্তর নেই ! হ্যাঁ প্রশ্ন শতক যা রেখে যেতে পারেন শুধু যদিও চাইলে জবাব দিতো সমাজ ও পরিবার।  এখানে প্রেম সেই তো ! যা আছে তা কিনা প্রেম-প্রেম খানিক লীলা যেন মৃত রজনীগন্ধার বিলিয়ে দেওয়া সুবাস।   এখানে জীবন বন্দী সাধ আর সাধ্য বিনিময়ের চাহিদায় ঘায়েল তো বোবা কান্না দেখায় না তাই সু’স্বাগতম। ২৪.০৯.২০২৪

স্বীকার (মোঃ রহমত আলী)

ছবি
স্বীকার ============= মোঃ রহমত আলী ============= ফকিরের ঝুলিতে রাজার আহার পাগলের বুলিতে নবাবী বাহার বাউলের সুর কলিতে দরদ কাহার হাকিমের হুকুমে ইনসাফ দেখার পাগল-টা-ও হেসেছিল কিছু বুঝে আর ভিখারী-ও মহাখুশি শুনে সেই দরবার শিকারি হলো শিকার ইনসাফে আবার দুনিয়া ঘোরে সকাল-সন্ধ্যা করতে বাধ্য স্বীকার ভিখারী-ও ভিখ করলে দান হেসে-কেঁদে-রেগে খোদ রাজার খাজানায় পাগলা-ও বাহানা বানাতে নিরুপায় বাউলের সুর মিতালীতে নব-নতুন উপায় পাগল-ও নেচে-নেচে দফায়-দফায় গায় সূর্য উঠতে উঠতে রাজ্যে রাজার বাহাদুরি ডুবতে ডুবতে সুরজ রাজা-ও ফকির রুপি লীলাখেলা সব এক তারই কুদরত ভিখারী হলো রাজার রাজা বড় প্রজা পাগলার দুনিয়া একা রাত-দিনের রাজা বাউল গায় স্বাধীন মনে মনের সুখে-দুখে আজি শেষ রাত বাজিমাত সবাই জেগে দেখে রাজার-রাজা বাদশার-বাদশা হাকিমের-হাকিম সবার সৃষ্টিকর্তা দুজাহানের মালিক এক আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আজ বিচার দিবসের ইনসাফের এক হাকিম ২২.০৯.২০২৪

অধ্যয়ন (মোঃ রহমত আলী)

ছবি
অধ্যয়ন ============= মোঃ রহমত আলী ============= দুর্বলকে সজোরে আঘাত, শক্তকে দূর থেকে প্রণাম, ভাগ্যকে দুষে কি লাভ ! ধোঁকা দেওয়া যার স্বভাব। আতর মাখা পরিষ্কার লেবাস, অথচ ইন্ধনদাতা আগুনের মূল, অযথা আমি-আমি মারে ফুল, দুর্বার দেখায় কারবার, দুর্বল দেখে মহা হুঙ্কার। প্রতিবাদে পূজারী বেজার, সত্য কথায় বেজায় সংঘাত, মিথ্যা বলায় জয়-জয় নাম। অক্ষরে অক্ষরে আঁকা কথন, দুর্লভ নিরক্ষর ভক্তের অধ্যয়ন, দুর্দান্ত নীরবতায় ভণ্ডতা বপন, দুর্জয় কান্না অসহায়ের গোপন। ২০.০৯.২০২৪

আচমকা (মোঃ রহমত আলী)

ছবি
আচমকা ============== মোঃ রহমত আলী ============== মৃত্যুর অপেক্ষায় বেঁচে থাকা, মূল্য হারিয়ে অমূল্য হতে চাওয়া। জীবনের সাথে যুদ্ধ করে করে, অবশেষে মৃত্যু কে জয় করা। সংগ্রামের সহিত লক্ষ্য ভুলে, কভু কভু অলক্ষ্যে চলে যায় মন। রোজগার তেমন কিছুই নেই, আমলনামা একেবারেই শূন্য, দু-হাতের কর্ম বড়ই জঘন্য, পুরো জীবনে হয়নি কোনো পুণ্য। আলেম -ও নই, কামেল -ও নই, ধর্ম জেনেও পালনে কই, মানবতা লালনে, দেখি মৃত সবাই। আমিও ডুবে আছি দুনিয়ার মোহে, ভুলিয়াছি আখিরাতের মঞ্জিল, মৃত্যু প্রতি নিঃশ্বাসে, আমার বিশ্বাস, জবাব নেই দেওয়ার হিসাব। খবরদার বেওকুফ দিল আমার, হুঁশিয়ার সাবধান হও এবার, যেকোনো সময় আচমকা সময় শেষ ।। ১৯.০৯.২০২৪

বেলা অবেলার শেষে (মোঃ রহমত আলী)

ছবি
বেলা অবেলার শেষে ================= মোঃ রহমত আলী ================= গল্প শেষ,তবু স্বল্প রয়ে গেছে, সমাধির উপরে অযথাই ফুল, জীবদ্দশায় মূল্যহীন যা, মৃত্যুর পরে তুল্য কি তা, বেলা অবেলায় হারিয়ে যেতে বাধ্য সময়ের সাথে জীবনের মূল্য। কাহিনী যখন শুরু হয়েছিল, তখন তো স্মৃতিশক্তি হীন, আর এখন শেষ বেলাতেও স্মৃতির স্মরণে বুদ্ধি লোপপ্রাপ্ত। জীবন থেকে চিরতরে হারিয়ে যে সময়ের স্রোত বয়ে গেছে তা ধরা না ধরার আফসোস হায়্ । বেলা অবেলা শেষে, বিদায় বেলা ! সাথী যা আমল তা কি কাজের ? হিসাব শুরু শেষের পর, শুরু থেকে ।। ১৫.০৯.২০২৪

বোধগম্য (মোঃ রহমত আলী)

ছবি
বোধগম্য ============= মোঃ রহমত আলী ============= যা চোখে দেখা, তা মাথায় রাখা গোপনে, যত যা দুঃখ, হৃদয় অতলে যতনে, যে কথা কানে, মুখে তা বলা কেমনে ! সে পথ সুদূরে, ঘুরে শুধু ঘোর স্বপনে, তত দিনে শেষ, ঘুম ভেঙে শেষে ক্ষরণ, যা ছিল রাতে, ভুল হয় তা বলতে-বলতে ! যে কথা মিঠা, তা রক্ত দ্বারা পিঠেগাঁথা ছোরা, সতত স্মরণে বরণে, অপ্রকাশিত তা মরণে, সে এক কালা কাল, জ্বালাতনে উত্তপ্ত সকাল ! যা দেখা যায়, আসলে তা কতটুকু বোধগম্য, তথাপি অদেখা যা, একদা সামনে হাজির তা, অতএব সাক্ষ্যপ্রমাণ, তবুও কি তা যথেষ্ট ! ১৩.০৯.২০২৪

অবলোকন (মোঃ রহমত আলী)

ছবি
অবলোকন ============= মোঃ রহমত আলী ============= চুল টানলে ব্যাথা লাগে ভুল ধরলে দোষ ভাবে সত্য কথায় প্রশ্ন রাখে মিথ্যা বিশ্বাস পূর্বে করে চোরা আজও সাধু রূপে বেশ বদল আগে পরে এক আদম সব নয় যার যেমন দৃষ্টি হয় সৃষ্টি সুন্দর দেখা যায় দাঁত কামড় জিবে দেয় চোখে আঁচড় শিক্ষা হয় গুণী জ্ঞানের কথা কয় বোকা নির্বোধ তর্কে যায় শিক্ষা বিলালে আলো হয় দীক্ষা অর্জন ধৈর্য ধরে মন পবিত্র আগে করে ১২.০৯.২০২৪

আলোকপাত (মোঃ রহমত আলী)

ছবি
আলোকপাত ============= মোঃ রহমত আলী ============= যাদের উচিত হাত বাড়িয়ে দেওয়া , তবে দুঃখজনক হলেও সত্যি , তারাই চোখ ফিরিয়ে নেয় , তাই অদেখা বিষাক্ত বিষ রোজ পান করেও মরে-না অসহায় আজন্ম দারিদ্রতা। যাদের উচিত ধার্যকৃত ন্যায় করা , তবে দুঃখজনক হলেও সত্য , তারা নির্বিঘ্নে অন্যায় অবিচার করে , আর গর্বিত জোশ তাদের কালো অন্তরে , তবুও অসহায় ভুক্তভোগী মানুষেরা নিরুপায়.. তাদের দুয়ারে দাঁড়ায়ে। যাদের উচিত ছিল মজলুমের দিকে কিতাব মতে নির্ধারিত সুদৃষ্টি বজায় রাখা , অথচ দুঃখজনক হলেও সত্য , তাদের মধ্যেই বেশিরভাগ অবজ্ঞায় চলে , যদিও সহজ ছিলে হুকুম মেনে চলা ! যাক তবুও হক মজলুমের জয় সুনির্দিষ্ট ।। ০৬.০৯.২০২৪

লোকদেখানো মিত (মোঃ রহমত আলী)

ছবি
লোকদেখানো মিত =============== মোঃ রহমত আলী =============== আমার প্রয়োজনে যখন বন্ধু তুমি নেই ! তোমার প্রয়োজনে তখন আমি কে হই ? আমি তো পর্যাপ্ত এগিয়ে বাড়িয়েছি হাত , তুমি তো কভু ধরো-নি এক আঙুল সমান ! আমি যে বারবার পিছু গিয়েছি তোমার , তুমি সেই দেখনি ছায়াটাও আর আমার। মুখেই শুধু সীমাবদ্ধ তোমার মধুর ভালোবাসা, অন্তরে ছিল কতটুকু তা বাস্তবে মিলেনা। প্রয়োজন বড্ড বড় হয়-না প্রিয়জনের, আয়োজন অন্তরে-অন্তরে প্রমাণ উপকারে। পানি যেমন নেভাতে পারে আগুন, তেমন আবার কেড়ে নেয় জীবনের ফাগুন। মতলব স্বার্থপর বন্ধুর চোখে,মুখে,অন্তরে, স্বার্থের জন্য রং ঢং রূপ বদলায়, বেলা অবেলা খনেখনে অভিনয়ে। বসন্ত বাদলে ঢাকা, বন্ধুর বিরূপ আচরণে, অন্তরের যমুনা শুকিয়ে শ্রাবণও ধারা নয়নে, যদিও নিঃস্বার্থ ভালোবাসা জীবিত রয় পরানে ! আমার চেয়ে তোমার আয়োজন বড়, তোমার চাইতে আমার প্রয়োজন আরো বড় তবে বলো বন্ধু বলো, মিছেই কি এ বন্ধুত্ব ! শুধুই বুঝি হায়্ দুনিয়ার লোকদেখানো। ০৪.০৯.২০২৪

নিথর দৃষ্টি (মোঃ রহমত আলী)

ছবি
নিথর দৃষ্টি ============= মোঃ রহমত আলী ============= ইচ্ছেগুলো বন্দী জীবন্ত কারাগারে, বিপদের দিনে হয় প্রকৃত শিক্ষা, সময়ের ব্যবধানে সময়ের পরিচয়ে, জানতে চেয়ে শেষে চিনতে পেরে, সান্ত্বনাতেও যে আক্রোশ লুকায়িত, তা অনুধাবন হয় অন্তরালে অনন্তকাল। নিরাশার পরেও আশা গুলো জাগে, একটু উকি দিতে চায় ভরসার সন্ধানে, যাই হোক বন্দী সময়ের কাছে পরিচয়। ইচ্ছেগুলো আজও পরাধীন, বন্দী অভিমানে কালক্রমের যাত্রায়, লাল চোখে জমাটবাঁধা অশ্রু মায়ায়। বন্দী ডানা কাটা পাখি খোলা খাঁচায়, অবাক নিথর দৃষ্টি আকাশ পানে অপলক, হৃদয় গভীরে অবিরত অনুভব,আজব প্রশান্তি। ০২.০৯.২০২৪

কেউ কারো কেউ আরো (মোঃ রহমত আলী)

ছবি
কেউ কারো কেউ আরো =================== মোঃ রহমত আলী =================== কেউ ডুবে মরে কেউ হেসে বলে কেউ দেখে চলে কেউ কেঁদে ফেরে কেউ লুটে খায় কেউ দিতে চায় কেউ হাত ধরে কেউ দেয় ছেড়ে কেউ স্বার্থ চেনে কেউ সাধ্য ভুলে কেউ বাধ্য হয়ে কেউ মূল্য দেয় কেউ চুপ দেখে কেউ চোখে রাখে কেউ চাল চালে কেউ তাল দেয় কেউ সঙ্গে রয় কেউ বাজি মারে কেউ নাম টানে কেউ সব জানে কেউ ভান ধরে কেউ হাল ধরে কেউ নিন্দ পারে কেউ জেগে ঘুমে কেউ বেশ সুখে কেউ খুব দুখে কেউ কেউ কারো কেউ কেউ আরো ২৮.০৮.২০২৪

মাজুর (মোঃ রহমত আলী)

ছবি
মাজুর =============== মোঃ রহমত আলী =============== মেলা সব ভেঙে যাবে, খেলা শেষ হবে, মরা ফুল শুকাবে, মালা ছিঁড়ে লুটাবে, ফু দিলে বাজে বাঁশি, তাছাড়া কি কাজের ! আরাম প্রিয় হারাম, গাধার পিছে জাহান, মাছের ভিতর কাঁটা, ধরতে জলে নামা, রোদ বৃষ্টি কাঁধে, সুখ দুখ সাথে, চলে বেলা ছলে, বয়স বেড়ে শেষে, হাতি মাজুর হলে, মেলা শেষে খেলা শেষ ! ২৬.০৮.২০২৪

গাফেল (মোঃ রহমত আলী)

ছবি
গাফেল ============= মোঃ রহমত আলী ============= ওহে পথিক পথ ভুলে ঘুরছো কেন পথে-পথে, চলে এসো কেবলার দিকে, এসো মিম্বারের সম্মুখে, শোনো মনোযোগ সহকারে, মন দিয়ে কান পেতে সত্যবাণী খুতবা। হে পথিক তোমার কান অবধি কি পৌঁছায়নি আহ্বান, ঐ সে মুয়াজ্জিনের সুমধুর আযান, তবু কেন আজো ঘুরছো হে, সত্য থেকে মুখ ফিরিয়ে, কু-সাথে অযথাই বি-পথের বাঁকে-বাঁকে। ওহে হে পথিক কেন তুমি আজও গাফেল, তোমার কি ডর করে-না, মন কাঁদেনা, ফিরে এসো ফিরে, সময় থাকতে, অন্ধকার থেকে আলোর পথে, হক সত্য দ্বীনের রাহে হে পথিক। ২৪.০৮.২০২৪

মানুষ চেনা দায় (মোঃ রহমত আলী)

ছবি
মানুষ চেনা দায় ============= মোঃ রহমত আলী ============= মানুষের মধ্যে এখনো মানুষ আছে মহাসাগরের অশান্ত ঢেউয়ের অন্তরালে শান্ত শান্তি ঢের আছে। এখনও বহু ঈমানদার ঈমানওয়ালা আছে বেঈমানের জয় চার দিনের ঈমানদারের হাতে একদিন। মানুষ দেখো মানুষ ধরো মানুষের বস্তিতে মানুষ খুঁজে চলো নিজে মানুষ হলে আগে সবাই মানুষ হবে। মানুষ কর্মে হয় বর্ণে নয় ঈমানদারী দেখা যায় ঈমান নয় মনুষ্যত্ব জিন্দা যার আসলেই মানুষ নাম তার। মানুষ উত্তম তাতে কি তবুও যে মানুষ চেনা দায় মানুষের ভেতর অমানুষ লুকায়িত হায়। কথার কথা এ নহে তো মানুষে-মানুষে মাটির ঘ্রাণ কোথায় দেখতে মানুষ মানবিক ও বটে ইনসান সে.. যে সমগ্র মখলুক ভালোবাসে। ২১.০৮.২০২৪

প্রেমের দামে প্রেম (মোঃ রহমত আলী)

ছবি
প্রেমের দামে প্রেম ============== মোঃ রহমত আলী ============== মনটা ভেঙে যেওনা প্রিয়, যদি পারো প্রেমের দামে প্রেম কিনে নিও। সুখের ভুবনে হারালে সুখ, দিতে হবে মূল্য নোনা জলে খুব, মনটা যেমন নরম,কমল,নাজুক, তেমনি আবার কঠিন শক্ত নিঠুর। তোমার দুখে দুখী, সুখে তোমার সুখী, মনের উপর জুলুম করে কান্না সারারাতি, মনের ভেতর চুপিচুপি জ্বলে প্রেমের বাতি। ১৮.০৮.২০২৪