পোস্টগুলি

ফেব্রুয়ারী ১৫, ২০২৩ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

তামাশা -

ছবি
তামাশা - ============ মোঃ রহমত আলী =============== উচ্চ নীড়ে বসত করে, তামাশা ভাবে ফুটপাতকে। এমন বসত এই শহরের, তামাশা করে নিরুপায় সনে। আরে বিধি যাদের সনে করছে তামাশা সারাবেলা। তোরা তাদের হতাশা করে করিস কেন মিছে তামাশা। তোরা পারিস না যাবে তাদের একটু আশা-বাণী শোনাতে, তবে করিস কেন ? তাদের সাথে তামাশা। আরে তোরা তো সব শিক্ষিত ঘুনপোকা। বসত করিস কুটির ছায়ায়, এই কি তোদের শিক্ষা, অসহায় কে তিলে-তিলে মারা। যদি না পারিস তোরা তাদের একটু সহানুভূতি, তবে বন্ধু মানবতার বিবেক থেকে মন খুলে তাদের জন্য একটু অনুশোচনা কর। তোদের এই অনুশোচনা মাঝে, অসহায়-ফকির-নিরুপায়, খুঁজে পাবে তাদের জয়। তবেই হবি তোরা মানুষ-উত্তম। ৩০.০৭.২০০২

দিশেহারা !

ছবি
দিশেহারা ! ============= মোঃ রহমত আলী ============= দিশেহারা এক বেচারা,যেন দিক-বিদিক ছুটছে সর্বহারা। এ দ্বারে -ও দ্বারে, মিনতি করিয়া-করিয়া, বারবার কইছে ওহে মম কুঞ্জের সভ্য কুটিরের বাসিন্দা। একটু সাহায্য আমায় দাও, তবেই তো আমা ভাঙ্গা মেরুদন্ড পাইবে একটু সহসা-সাহস। স্বাবলম্বী যে কভু আমিও ছিলাম, আজ না হয় খুব অসহায়। দিশেহারা তবে আমি ভুলিয়াছি করোনি, তাহলে বলি তোমাদেরকে'ই আমি, ওহে সব বিত্তবান সহানুভূতি একটু অর্থের তবে আমায় করো দান। এ দ্বার ও দ্বার হতে গঞ্চিত হয়ে,আর একটু বেশি দিশে হারিয়ে শেষে, এখন যে বঞ্চিত তার মানবতার মান। জানেনা কেন সে বেশিরভাগ দুয়ারেই হয়েছে শেষে অপমান। হঠাৎ করে আবার একজন মানবতার বন্ধু কইছে সবেরে, আয় তোরা - সবে আয় এক দুই করে সাহায্য করি দিশেহারা এই মানবেতর-কে । ৩১.০৭.২০০৫

নিষেধাজ্ঞা !

ছবি
নিষেধাজ্ঞা ! ============= মোঃ রহমত আলী ================ প্রাণ ভরে নিশ্বাস নিতে এখন হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। অন্ধ বিশ্বাস এর সনে তাই তারা করেছে বিশ্বাসঘাতকতা। বিষয় বিবরণ বুঝাতে গিয়ে হয়েছে স্বীকার সে বর্বরতার। বর্ণ-বিহীন সেই বইয়ের পাতায় সাক্ষ্য দিতে হলে একটাই। কৈফিয়ৎ দিতে হলে তাই তার ভালোবাসা রচনায়, একটাই শুধুই যে ভুল হয়ে ছিলে আমার। ভালোই নটের এ বিচার,প্রেমের সংসার করার জন্য,দিতে হলো আবার জবানবন্দি একাই তার। জয়ের জ্বালামুখে চলতে হচ্ছে সকল নিষেধাজ্ঞা মেনেও-না-মেনে উপেক্ষা করে চলতে-ই হচ্ছে। যা পচে-গেছে, গলে-গেছে, তাকে সিল্কের কাপড়ে গাঠরি বেঁধে, একাই আমায় পূজতে হচ্ছে। হেরে গিয়েও আমি জয়ের উল্লাস-মানাই,নিষেধাজ্ঞার ওপারে বসে আমি কবিতা লিখে যাই। নিঃশ্বাসের বিষে ভরা দীর্ঘশ্বাস যার, কেউ তাই মহা ঔষধ ভেবে গ্রহণ করে যায়। জানে না সে নীলনদের ভাসমান পদ্ম, কতদূর আর আছে তার সীমারেখার গন্তব্য। সীমাহীন এত সব মন্তব্য, সুষম চরিত্রের সনে কি তার সম্বন্ধ। নিষেধাজ্ঞার জালে বাঁধা শোষণের সহানুভূতি,নেই যবে মানব বিবেকের কোন অনুভূতি। তবু বর্ষপূর্তি ঘটে-ই চলেছে, যুগে যুগে যুগান্তকারী,সময় জোয়ারের স্বাধীন ধা