পোস্টগুলি

facebook লেবেল থাকা পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

একজন-একেলা -

ছবি
একজন-একেলা - ============= মোঃ রহমত আলী ============= সমাপ্তিতে সূচনা ঘটাইলো এক'জনই একেলা, ইতির দুয়ারে পৌঁছে দেখে মিছেই সব বিষয় বর্ণনা। নিস্তেজ দেহ প্রাণহীন পড়ে রবে একেলা একদিন একা, মিছেই বুনিয়াদ সারা স্বার্থ নামের সম্মানের। প্রাপ্তি কোথায় যোগান পায়, শরমের শিক্ষায় সবুর লুটায়। শক্ত শিকল গলায় পরায়, সংসারে বন্দী সংসারী, কথায়-কথায় কর্ম করায়। দীক্ষায় ধিক্কারের মুচকি অমূল্য হাসিতে সুখ-দুঃখ সব,লুফে লুফায় হারায়,কানা মাছির ঠিকানায়। প্রতিততান পত্র মেলাম, বক্ষে বহি বোঁঝা সবজান, কূল রাতে,দিনে পাল হারান। চৈতের ঘামে বদন পেরেশান, দুপুরের খাবার সন্ধ্যায় খান। তবু জপে-জপি শুকরিয়া, রব তায়ালার গুণগান, সমাপ্তে সাথে লইতে পূর্ণ ঈমান । প্রতিজ্ঞা করে এসেছিলাম, আসি এ ধরায় সব ভুলে গেলাম। গোল-গোল ঘুরপাক রোজ চলে, একই গোয়াল পেয়ারের গোল্লায়। দাম নেই কারো কিন্তু নিজ কেল্লায়, আদর সোহাগে শূন্য পূরণ করত। প্রথম প্রশ্ন শেষ উত্তরে মিল চায়, সব ওজন হয় যদি এক পাল্লায়। প্রতীক্ষারত শুদ্ধ করে শ্রদ্ধায় শ্রম, মঞ্জিল গড়ে পরে নিজ ঘাড়ে। পাথরের আঘাতে পাথর ভাঙ্গে, অজানাকে চিনতে-চিনতে শেষে জানাশোনা খোয়

"বর্ণ"কথা"কণা"

ছবি
"বর্ণ"কথা"কণা" ============== মোঃ রহমত আলী ================ ক ! ক-জানি না কবি কালের, কলম তুলি কান কাপেছে ঠোটে, শিক্ষা মাটি মূর্খ বনীল। খ ! খুলিতে-ই কিতাব চিন্তামন, তাই খুদ খোয়াবী,চোখ মুন্দী- কেমন,শুই তো তখন। গ ! গাধা আমি আমার পালের, গুণ বীণে গাফিলতির, গোলকধাঁধার ওজন গুণে। ঘ ! ঘাড় নুইয়ে কু-নাম শুনি, যতক-ততক ঘর ছেড়ে ঘর খুঁজি, ঘাম মুছে নিজ তবনে।       ঙ ! আঙুল নাহি কারো পানে তুলি, নিজ ঘুম ভাংগি, আঙ্গুলে তাসবিহ গুণন চলি। চ ! চামচামি নাহি কারো করি, চোখ-দেখে-চোখ দেই, চা পানিতে জিহ্বা ঝাঁঝায় লই। ছ ! ছাড় নাহি নিজেকে দেই, ছত্রাকার-সমাজের-ছাড়পত্র- পাওয়া ছাত্র গুনী কই। জ ! জবান সামলে- জবাব দিয়েই জামিন, জনাব জ্বলি নিজেই, অন্যান্য না জ্বালাই।        ঝ ! ঝগড়ার ঝংকার- শুনেও না শুনি-রে, ঝুপ করেও চুপ, ঝই ঝামেলা চল এড়িয়ে চলি। ঞ ! অজ্ঞ আমি কৃতজ্ঞতাপূর্ণ, মন রতে মিঞা নাহি চাই হতে, না- কঞ্জুস বনীতে।        ট ! টাকা-টাকা কয় কথা, বন্ধনহীন টক্কর,টাকা'র না দেই, টক কথা না কানে লইরে।   ঠ ! ঠোকর খেয়ে ও ঠিক হলুম না তাই, ঠকার পরে-ই সঠিক হুশ পেলুম সমত ভাই। ড ! ডুব দিয়ে বিষ খায়

লুটেরা"–

ছবি
লুটেরা"– =========== মোঃ রহমত আলী =============== আমা আপনে আপনেরা লুটে নিলে সবে শেষে আমায়। লুফে নিতে পারবে কি! আর এখন মৃত্যু আমায়। শত সম্মান লুটে ও নাহি ক্ষান্ত আজও সে, বানাচ্ছে এখন নীরবে-নীরবে আমা মাপের এক একটা-ই কফিন। কামিয়াবী এখন আর হতে কমতে শুরু করেছে আমার। লুফে নীলে আবার সবে একে একে আমোরে। লন্ঠন লয়ে আবার খুঁজিতেছে কেহ বুঝি আমারে। কমি নাহি করিলু কেহু, লুটিতে তারে, আবার শেষের দিকে জানি কেহ খুঁজিবে বুঝি বৈ-কি তাহারে। যে তোমার একমাত্র কলিজার টুকরা, সেই লুটিবে একদিন তোমায় একতরফা। একান্তই যাকে তুমি ভালোবাসিবে শতভাগ, সেই তোমার লুটে- নিবু সম সম্মান। তাই বুঝি মনে হয় লুটেরা শবে নিজ নিজ স্বার্থ নামের সম্মানের! সইতে পারিলে বলো সব, লুটেরা'র লুটে, কি? আর! হবে লাভ। ===০৬-০৪-২০০৬===

"জগৎ খেলা"

ছবি
"জগৎ খেলা" ============== মোঃ রহমত আলী ================== এ জগৎ জুড়ে টাকার খেলা বসেছে মেলা'র সমাহার। অর্থ লুটালে দেখা যায় অনেক রকম রং নাজারা। টাকাই সব এ জগৎ মেলায় বাকি সব অন্ধ ছায়া, এ জগৎ মায়ায় অর্থ ছুটালে পাওয়া যায় ভালোবাসা বাদে হরেক সামান। লুটেরা সব এ পানে সারা, টুকিয়ে বেড়ায় টোকাই সাজে, অর্থ নামের কাগজ টুকরা। রুপার পাতে মোহর বসিয়ে কিনতে চায় জগৎ সারা। খেলা করে এ জগৎ পানে অর্থ নিয়ে জগৎ সনে, রুপি খুশবু মাহকায়-মাহাকায়। জগতে অর্থ নাহি সবই, তবু ও অর্থই সবই,সবই,সবই, এ জগত মেলায় অর্থ বিনা, নাই মিলে অন্য পণ্য কিছুই আর। টাকার পাহাড় বানিয়েছে কেহ, অর্থ চুরায়ে মানবতা বিবেকে'র। মরনের পর সনে কবরে লবে-না কেহ কিছুই সনে। তবুও মহল নিজে বানায় কেহ, পাপী পয়সার বুনিয়াদে ! রুপির বিপরীত নেই কিছু এ জগৎ মেলায় সঙ্গ দিবে। এ জগৎ মেলা'র সংঙ্গে সংঙ্গে টাকা চলে আগে আগে, ক্ষমতা নেই কারো কোনো, টাকার পরে যাবার আগে, কি? এই সত্য এ জগৎ মাহে ? ===২৪-১১-২০০২=== :৳:(হায়রে পয়সা হায়):৳:

নিথল প্রাঙ্গণ"-

ছবি
নিথল প্রাঙ্গণ"- ============= মোঃ রহমত আলী =============== কবি নিজেও জানে না কি সেই কবিতা, তবুও লিখে যায়, শত সাজের হরফে সাজায়ে এক কবিতা। ভাষার আঙ্গিনায় রঙিন রং এর গোলাপ জলের সিয়াহি তে আঁকা ছবি'টা। কোলাহল হতে একটু দূরে, নীরবতার চেয়েও আর একটু বেশি নিরবে। ঐ নীল আকাশের শীতল নীলিমার মাতন নিথল প্রাঙ্গণে, শিহরে চলে যায় কোনো এক আপনজন। লোকালয়ে লুকাইতো ধ্বনি, মানবতাহীন সেই মানবেতর স্বর মানবের শব্দ, এখন আর করুণার ভিক্ষায় কে দেয় সঠিক দীক্ষা। যবে সমাজেই ছুপানো অনেক অভাব সামাজিক শিক্ষায়। সবুরে সবুরে অবুঝ ও বুঝিলে তবু কর্ণে নাহি লয় জ্ঞানের জ্ঞানী, অন্ধ তবে- কে ! বাইছে নেত্রবারি, এ যুগে আছে কি? কেউ! যুগান্তকারী। ===১২-১২-২০১২===

দীর্ঘণীশয় –

ছবি
দীর্ঘণীশয় ============ মোঃ রহমত আলী ================== দীর্ঘণীশয় তে ও আছে বুঝি লুকিয়ে কারো কোন বিষয়। বর্ণনা চাইতে গেলে ও সে দেয় আর একবার গভীর নিশয়। মনের দুখের এই নির্মম  যন্ত্রণাময় বর্ণনা কাউকে বুঝায়ে যায় না' গো' বলা। বন্ধু যবে বেঈমান,তবে দীর্ঘণীশয়  কি আর করিবে কোন এহসান। দীর্ঘ, দীর্ঘ, আয়ু আর নয় নিশয় গহির মাঝে কি ? লুকানো শুধুই বিষের বিষয়। এখন তো আর বিশ্বাস নাহি করে রঙ্গের উপর রংধনু। তবু আজও জোয়ার ভাটার নদে নেই কোন কমি। কোলাহলের বর্বর অরণ্যে যায়না শুনেও শুনা, সততার সত্য আকুতি। তাই তো দীর্ঘণীশয় হতাশায়, কহে উঠে বারোবার,মম কুঞ্জের দেখেছো কি বেহাল দশা। এক কান শ্রবণে শূন্য, এক চোখ দিবালয়ে ও আলোতে অন্ধ,কণ্ঠ গুলো কেন যেন ন্যায়ের আওয়াজ দিতে নিস্তব্ধ-তাই কি?অনুভবে পাওয়া যায় যে,দীর্ঘণীশয় হতে হৃদয় পোড়ার গন্ধাঁন্য।  ১১.০৭.২০১৩