পোস্টগুলি

গরমিল (মোঃ রহমত আলী)

ছবি
গরমিল ============ মোঃ রহমত আলী ============ ছন্দে তাল , মন্দে গাল , জয়-জয় হবে-কার , খালি পেটে ডাক , গলা টানটান। সুর ছাড়া গান , গেয়ে বদনাম , ঢোল ফেটে গেলে , রং ঢং শেষে , সুধী অপমান। সুর ছন্দের তালে , হাততালি মিলে , তাল-মিল হলে গরমিল , নিমিষেই বাস শেষ অন্তমিল। ফুলে-ফুলে গদ্য , সুরভিত পদ্য , ছোট-বড় গল্প , লেখা খুব অল্প , অভিমানী কাব্য , চোখে-চোখে ছন্দ। ০৭.১১.২০২৩

মায়া - (মোঃ রহমত আলী)

ছবি
মায়া - ============ মোঃ রহমত আলী ============ সুখের সাথে দুঃখ খুঁজে চলা, প্রেমের সাথে বিরহ পুষে রাখা। চোখের ইশারায় প্রেম নিবেদন, পঙ্গু ভালোবাসার অদৃশ্য দৌড়। মনের ব্যাকুল বকুল ফুটিতেই সুরভিত ভালোবাসার পাওনায় আকুল সাধনায় প্রেমের বাসনা, পেয়ে হারানোর বেদনায় অমর এক গোলাপ ডায়েরির পাতায় আনন্দ বিধুর কান্নার সুখ স্মৃতি। দুঃখের মাঝে সুখের সন্ধান করি, স্বার্থকতা যার দুঃখের অশ্রু মুছে। প্রেমপত্র পদতলে যে যায় ফেলে, তাকেই ভালোবাসতে চোখ খুঁজে। সুখের কাহিনী,দুঃখী মন শুনে হাসে, বিশেষ জনের আসল দুঃখের অনল, কান্নাটা পুরাতন,নব-নূতন অশ্রুজল। যার লাগি জাগে আজও আঁখি, কার প্রেমে মজিলে অবুঝ পাখি। মিছে মায়ার বাঁধনে মন উদাসী, আজ ধূসর ভালোবাসা একা সাথী, জানি সে তো মরীচিকা প্রেম বৈকি। ০৫.১১.২০২৩

উদ্ধার (মোঃ রহমত আলী)

ছবি
উদ্ধার ============ মোঃ রহমত আলী ============ উদ্ধার হবে এই আঁধার, উপায় খুঁজে পাবে নিরুপায়, বর্ষার শেষে কেটে যাবে মেঘ, পুলকিত হবে নব জোছনা ফের। পূবের বাদল পশ্চিমে হারাবে, উত্তরের হাওয়া দক্ষিণ কাঁপাবে, সমুদ্রের বুক চিরে নতুন চর জাগিবে। আবার হবে হাতি পিঁপড়া দ্বারা শিকার, হতাশ হওয়া একদম বারণ, সামনে একদিন খুঁজে পাবে কারণ, অপেক্ষার প্রহরেই উর্বর আক্ষেপ। উজ্জ্বল মুখগুলো কালো হবে কাল, মলিন মুখেই আশাবাদী নতুন সকাল। প্রতিবার প্রতিবাদ,কলমের অপমান, অতীতে লেখা প্রতিকারে হবে উদ্ধার, বর্তমানে নয়-তো,ভবিষ্যতে আবার। যার জমিন আসমান সারা সৃষ্টিকূল, তিনিই একমালিক করিবেন উদ্ধার দুকূল, আশীর্বাদ চাই,নিরাশ তো নই, উদ্ধার হবেই বীর মজলুমের দিন, হবে সব মুশকিল মুসিবত আসান। প্রলয় কেটে জিন্দা আবার তাজা ঘাস, বিপদের দিনে করেছিলে তারা উপহাস, তাদের মুখে মিথ্যে আজ মোবারকবাদ, হয়েছে হিম্মতের পরিশ্রমে যারা উদ্ধার ॥ ০৩.১১.২০২৩

দলিল - (মোঃ রহমত আলী)

ছবি
দলিল - ============ মোঃ রহমত আলী ============ নিয়ম যত বিড়ালছানার জন্য, নিয়ম-কানুন নেই শকুনের জন্য। যত আইন কুকুর-ঘোড়ার জন্য, বিচার নাই তো অজগরের জন্য। চাবুকের যত আঘাত খরগোশের ওপর, ইন্দুর মারার দুঃসাহস হবে কবে কখন। গরম জল গড়ায় পিঁপড়ার বস্তিতে, সালিশ বসেছে গাধার ভিটে-মাটিতে। হুকুম প্রযোজ্য যত-সব কবুতরের জন্য, শিয়ালের জন্য আছে মোরগ উপহার। ঘুমন্ত সিংহের আনন্দে বেতাল বানর, মধ্যে ক্রোধে হয়ে গেল পাখিটা শিকার। মশা-মাছির উপর বিধিনিষেধ কার্য, মৌমাছির ঘরে আগুন লাগানো ধার্য। বাঘ-মামার জন্য সাফ,সাত-গুন মাফ, উল্লুকের জন্য হুঁশিয়ার কানা ভাল্লুক। নিয়মনীতি জানে তবু মানেনা জোনাকি পোকার দল,সারারাত খোলা দুয়ার। মাছের কান্না যায়না দেখা,নদীর জলে তা মেশা,নির্দোষ জেলের হবে এবার সাজা। টিকটিকি আর গিরগিটি আনন্দে অসীম, মুক্ত তারা এ যুগেও আছে অবাধ স্বাধীন। তেলাপোকার জন্য কানুনের ফন্দি, আগুনের দিকে উড়ে যায় জলদি। উইপোকার জন্য কী বিচার ? দলিল-ডায়েরি শেষ আমার ॥ ২৭.১০.২০২৩

মাথা-খারাপ (মোঃ রহমত আলী)

ছবি
মাথা-খারাপ ============ মোঃ রহমত আলী ============ মাথার ভেতর ঘুরছে মাথা ব্যথার গভীরে নতুন ঘাত কথার পেঁচে লুকানো কথা জবাবে কিন্তু উল্টো খোঁচা দেখায় খেলা ঠান্ডা মাথা রাগের বশে মাথায় হাত সরল লোকের প্রশ্ন সহজ জ্ঞানের উপর কঠোর জ্ঞানী মাথা-খারাপ বিপদ যার উদ্ধারকারীর মধ্যে মতবাদ চোখের ইশারায় বন্দি চোখ মুখে লাগাম সুযোগে দাঁতের হঠাৎ জিহ্বায় এক কামড় বলতে পারে না কথা কিছু ব্যথা হাসে কেউ কিন্তু শত কষ্টে একা দুঃখের পরে আবার সুখের দেখা চোখের জল চোখেই শুকায় মনের কথা মাথাতেই লুকায় সাধ্যের সাথে স্বার্থের ভেজাল তফাত বিবেচনায় মাথা ঘুরায় কানের ভিতরে মুখের আগুন নাকের প্রচেষ্টায় হিসেব-নিকেশ সালিশ-বিচারে মগজ ধোলাই লাভ-লোকসান কানার কামাই মাথা-ঘামায় আসল মাথা-হারায় ২৫.১০.২০২৩

আন্দাজ

ছবি
আন্দাজ ============ মোঃ রহমত আলী ============ সামাজিক হয়েও আজ আর আমি সমাজে থাকি না। যেন সব উত্তাল , পারলে ঢেউ সামাল , সতর্ক না হলে ডুবে মরা হাল। হট্টগোল চোখ-কান বন্ধ করে চল , হক কথা বললে পূজারী বেজার , সত্য খুলে দিলে অপমান আবশ্যক , মিথ্যার পর্দায় সব চকচক ঝকমক। তাই অন্ধ সমাজে বেঁচে থাকা সততার কি এক মুসিবত ! ২৩.১০.২০২৩

অসহায় গুলবাগ

ছবি
অসহায় গুলবাগ ============= মোঃ রহমত আলী ============= যতদূর কালো-ছায়া রয়েছে ছড়িয়ে, দানব-গুলোর অভিনব কূটকৌশলে, ততদূর মহাঅগ্নির কুণ্ডলীতে, অসহায় ইনসান গুলো হতবাক আজ ! মানবিক-মানবতা হায় কত যে রূপে ? বোমা-বর্ষণ অবাধ গুলবাগিচায় করে, গুলিস্তান নিতে চায় আয়ত্তে দখলে ! চাহে গুলবাগের সারা গুল, ঝরে যায় -নয়তো মরে যায় যাক ! তবু তারা কুসুম-কাননে গাইতে দেবে-না, স্বাধীন শালিক,ময়না,কোকিলের কন্ঠে নিজ মাতৃভূমির মাতৃ গীত। কাকাতুয়া ও তোতা পাখি,খাঁচায় বন্দী, তাতে কি ? তারাই তো আজ অবধি, এক আল্লাহর জিকির করে আনন্দে। হক স্তোতা দুর্বল সংখ্যায়,তাই তার নিন্দা, জিন্দা জান আমার প্রভুর কবজায়। ঈমানদার মজলুম নাহি করে নত শির, শিরায় বিঁধে যতই নির্যাতনের তীর। বাস ইহকালেই যত জুলুম আর বাহাদুরি, পরকালে হবে সব ইনসাফের সম্মুখীন। সময় থাকতে বন্ধ করো চালবাজি, রাত আর দিন সমান নয়তো পাজি, অমানবিক বোমা হামলার পর,আবার জাত-সংঘ মানবিক সহায়তা ছুড়ে দেয়, বাহ্ কি চমৎকার কৌশলী মানবতাবাদ ! ২১.১০.২০২৩

কিংকর্তব্যবিমূঢ়

ছবি
কিংকর্তব্যবিমূঢ় ============ মোঃ রহমত আলী ============ সারা জাহানের মজলুমের বহমান সমগ্র অশ্রুজল, যদি একত্রে জমানো থাকতো, তবে হয়তো নূতন সদা উত্তাল, অসহায় এক মহাসাগরের জন্ম উৎস জানতো জালিমেরা। আর গর্বে হতো কিংকর্তব্যবিমূঢ় ! সারা দুনিয়ার তামাম নির্যাতিতদের আর্তনাদ যদি একসঙ্গে আর্তচিৎকারে বিস্ফোরিত হয়, তবে হয়তো মেঘের গর্জন, আর বজ্রপাতের বিকট শব্দ, নিস্তব্ধ মনে হলেও হতো। তবুও নত নয় জালেম, হতবাক ধৈর্য কিংকর্তব্যবিমূঢ় ! সারা ধরণীর বন্ধনী স্তম্ভ পাহাড়-পর্বত, যা আগলে রেখেছে বন্ধনে, এই ভাসমান ধরিত্রীকে। তাই যখন ভূমিকম্প সহ প্লাবন, আরো প্রাকৃতিক বিপর্যয় ঘটে। তখন বড়-বড় ক্ষমতাবান দানবেরা, কেমন নির্বাক কিংকর্তব্যবিমূঢ় ! ২১.১০.২০২৩

ইসলাম জিন্দাবাদ

ছবি
ইসলাম জিন্দাবাদ ============== মোঃ রহমত আলী ============== এখনো নিঃশ্বাস চলছে যাদের, আহত হৃদয়ের করুণ দীর্ঘশ্বাসে ! কোথায় মদত আল্লাহর রহমতের, এইতো অতি নিকট প্রায় সন্নিকটে, হিম্মৎ ছেরোনা ওহে বীরযোদ্ধা। দেখো রাতের আসমানে নক্ষত্রের ভিড়, হিকমতের সাথে জালিমের দিকে ছুড়ে মারো তীর, রব-তায়ালার হুকুম। নিশান একটাই জমিনে ইসলামের, হোক তার রং সাদা-কালো-লাল-সবুজ, মানবতার শেষ নবী ও রাসুল (সাঃ) , দিয়েছেন করে কায়েম ইসলামী কানুন। এখন পর্যন্ত-ও যুগে-যুগে ঈমানদার মজলুমের সাথে জালিমরা করছে জুলুম, তাই জাগো মোমিন, দাও আওয়াজ, বলো উচ্চ কন্ঠে ইসলাম-জিন্দাবাদ, আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার ॥ সব আসমানী-কিতাব আমাদের মান, সাথে সকল নবী ও রাসূল আমার, তাই আল-কোরআন মুমিনের জানের-জান, সাথী আল-হাদিস আছে সব সমাধান। হ্যাঁ এটা ঠিক আল্লাহ, আমাদের ভুল ত্রুটি পাপ দোষে, হারিয়েছি হাতছাড়া আজও, বায়তুল মুকাদ্দাস আল-আকসা,যেমন শয়তানের ধোঁকায়, বাবা মা হারিয়ে জান্নাত, তোমার অসীম রহমতের দয়ার ক্ষমায় আবার তারা হামেশা জান্নাতি। তাই আমাদের তওবা কবুল করো প্রভু, ক্ষমা করে আবার, দয়া করো আমাদের। তোমার গায়েবি মদতে ঝান্ডা উড়িয়ে

পরখ -

ছবি
পরখ - ============ মোঃ রহমত আলী ============ চোখে এত কাঁটা, বুকে কত আর ! মুখে মধু,হাতে ফুল, ঘিলু -সু বা কুবুদ্ধির মূল। যত চুল মাথায়, মন জানে লেখা, তারও অধিক গুনাহ আমলনামায়। যতই হবে জুলুম, তারও অধিক হবে ধৈর্য, পরীক্ষা এটা কঠিন, সফল একদিন হবেই সত্য।  বদন জুড়ে ক্ষত, অন্তরে অদেখা ঘাত, পুষ্প তবু ছড়ায় সুবাস, মৌমাছি বাঁধে নিবাস। চোখের দেখা গোলকধাঁধা, উচিত কথায় সাজা, পরখ করে সাক্ষ্য প্রমাণ, সহজ কি ? জটিল সমাধান !! ১৭.১০.২০২৩

কাঁটাতার

ছবি
কাঁটাতার ============ মোঃ রহমত আলী ============ সুখের প্রকৃত বন্ধু দুঃখ, দুঃখের প্রকৃত রূপ সুখ, অদ্ভুত মনে হলেও সব, সৃষ্টিকূল বড়ো অপরূপ, ভাঙ্গে এক কূল,আবার তো গড়ে আরেক কূল। সফল হচ্ছে পশু গুলো, কুফল ভুগছে শিশু গুলো, সুফল গেল কার ঘরে, তবু কুশল বিনিময় চলছে। বলছে কথা কানে-কানে, চাঁদের বুকে মাটি আছে, মঙ্গলগ্রহে শিলা ও মাটি, জমিনে যত মহা-মারামারি, খুনাখুনি মাটির জন্যই তো ! আহ্ কী মাটির মানুষগুলো, করছে মাটির ভাগাভাগি॥ ওপার টা ঐ তোমার, এপার টা এই আমার, মাঝখানে কাঁটাতার, দুই দেশের সীমানা ! নদীর বুকটা দুই ভাগে-ভাগ, জল তো হয় না যে ভাগ। তবু কেন এত বিদ্বেষ, জাতি-জাতি দেশে-দেশে, এতো যদি আছে ক্ষমতা, তবে দেখাও না শিলাবৃষ্টি, শীত গ্রীষ্মকাল থামিয়ে, চাঁদ-সূর্যের আলো করো ভাগ, দিন-রাত দেখাও তো থামায়ে, আরো যদি পারো তবে, ছায়া যেন না চলে সাথ-সাথ ? ১৫.১০.২০২৩

স্বাধীন নিঃশ্বাস

ছবি
স্বাধীন নিঃশ্বাস ============ মোঃ রহমত আলী ============ দিন-দিন কেমন যেন ! আকাশের নীলিমা ধূসর হয়ে আসছে, বুঝতে পারছি না আমরা নিষ্ঠুর স্বভাবে। দিনে-দিনে কেমন যেন ! জমিন অদ্ভুত বিপন্ন হতে চলেছে, কেঁপে উঠছে ক্ষণে-ক্ষণে পাহাড় পর্বত। দিনরাত এ কেমন ! নির্দয় আঘাত চলছে নির্মম ধারাবাহিক কৌশলে,মজলুমের উপর জুলুম। রাতদিন এ কেমন ! গর্জন সমুদ্রের নাকি মেঘের না আবার বজ্রপাতের,এ-তো যুদ্ধের বৃদ্ধ দামামা। পৃথিবীতে মজুদ যত মারণাস্ত্র, বন্দী করে রাখো কারাগারে, আজাদ করে দাও, মানবিক-মানবতা স্বাধীন বাতাসে ॥ ১৩.১০.২০২৩

মন পাগলা -

ছবি
মন পাগলা - ============ মোঃ রহমত আলী ============ এক মনে প্রেম,এক মনে প্রীতি, এক মনের গোপন ভালোবাসা, মন বোঝে তবু মন মানে না, মনের-মানুষ মিলেনা-রে মন-পাগলা। মনে বড় সুখ,মনের অসুখ, মনের অন্তরে ছুপানো দুঃখ, মনের চোখে দেখি কত আবার, প্রেমের নব-নতুন রূপে-রূপ। এক চোখে অমর প্রেম-যমুনা, এক চোখে সংসার জীবন-সাধনা, দুচোখে একাকার এক আরাধনা। এক-মন চুপিচুপি খোঁজে মন-মহুয়া, এক-মন দেখে অন্তর চোখে, ভালোবাসার অদৃশ্য শত-কোটি নমুনা। এক মনে মিল,আরেক মনে অমিল, মনে-মনে গুন-গুন কত নব-গীত, মাঝে-মাঝে মোর মন-পাগলা ! খোঁজে বাউলা চোখে,স্মৃতির মন-ময়না। যতদূর যেতে পারি -না,তার থেকেও দূর, বহুত-দূর বজ্রের আগে চলে যায় মন, দ্রুতগতিতে সমুদ্রগর্ভ পেরিয়ে,ঢেউয়ের তালে নক্ষত্র গণনা শেষ না করেও, অরণ্য আকাশ-পাতাল আরো কত কি ! ভেদ করে স্বপ্নঘোরে রাজ্য জয়ী, একাই এই আমার মন-পাগলা ! ১২.১০.২০২৩

জনাব-জবান

ছবি
জনাব-জবান ============ মোঃ রহমত আলী ============ কিছু কথায় মিলে সুখ শান্তি, তো কিছু কথায় হয় দুঃখ প্রাপ্তি, কিছু কথায় কষ্টের আঘাত, তবু কিছু কথায় হিম্মতের আভাস, কিছু কথায় হিংসার বাণী, তাই কিছু কথায় থাকে অভিমান, কিছু কথায় লাগে বড্ড অপমান, তবুও কিছু কথায় অদ্ভুত সম্মান, কিছু কথায় খুব স্বার্থের ঘ্রাণ, তো কিছু কথায় কেউ নিঃস্বার্থবান, কিছু কথা হয় দীর্ঘশ্বাসে, তবুও কিছু কথা হয় মেনে-নিতে, কিছু কথার প্রকাশ বারুদ মিশাল, তাই তো কিছু কথায় সুমধুর-বাহার। কিছু কথায় হয় তীর ছোঁড়া শিকার, তবু কিছু কথায় যে সত্য স্বীকার, কিছু কথায় ঘটে কে মিথ্যাবাদী প্রমাণ, তো কিছু কথায় থাকেনা লাজ-মান, কিছু কথায় জ্ঞানী ও হয় অজ্ঞান, তবুও কিছু কথায় গোপন সুভাষ, কিছু কথার ওজন থাকে বেসামাল, তো কিছু কথায় প্রেমের সুর-নরম, কিছু কথায় অধিকার অতি পরম-গরম, তবু কিছু ভাষায় যে ভালোবাসা চরম, এই তো কিছু কথার উদাহরণ বেশ সুন্দর, কথায় বলে গুণী-জ্ঞানীদের কথা কম, তাই নির্বোধের কথায় লজ্জা-শরম কম। কিছু কথায় চোর সাধু সাজে, তো কিছু কথায় সাধু সাজা-খাটে, কিছু কথা দুখীর দুঃখ আরো বাড়ায়, তাই কিছু কথায় সুখী নিদ হারায়, কিছু

সাঁতার

ছবি
সাঁতার ============ মোঃ রহমত আলী ============ বয়ে যায় বেলা, আছে পড়ে ভেলা, একি মিছে খেলা, প্রাণে এক লীলা। দেখো মুখ কালা, ঘুরে সারা মেলা, প্রেম-প্রেম জ্বালা, বহু ফুলে মালা। ছল চোখে হলে, প্রীতি শেষে জলে, স্মৃতি সব ভুলে, মাঝি পাল তুলে। মনে দাগ নীলা, সখী গীত মিলা, রোদ বৃষ্টি হাল, ঢেউ দেবে তাল। পাখি উড়ে গেলে, যেতে হবে চলে, এটা শেষ চাল, নেই আর মাল। এতো কেন জাল, এরা মোর লাল, ঘরে দিলো আল, মাটি লয়ে খেল, ছাতা ছেঁড়া কাল । ১০.১০.২০২৩

কৈফিয়ত

ছবি
কৈফিয়ত ============ মোঃ রহমত আলী ============ মাথার ভেতর ভনভন করে বাক্য, পিঁপড়ার মত অক্ষরগুলো, খুঁটিয়ে-খুঁটিয়ে সব সাজায়, মাছির মত শব্দমালা গুলো, উড়ছে গেঁথে-গেঁথে ভাষার হরফে। মশার মতোই খোঁজ চলছে, প্রজাপতির রঙে রঙিন যত, সূক্ষ্ম শিরায় দরদ কোথায়। তবুও চারিদিকে এত যে, মাকড়সার-জাল আঁকড়ে ধরেছে কথার সম্প্রসারণ ! তাই মৌমাছির মতো চলছে, আজও অবিরত সংগ্রাম। তো শামুক আর ঝিনুক বলবে, সমুদ্রের তলদেশে বহমান যে সাগর,যেখানে আছে, লুকায়িত মহা পাহাড় পর্বত ! সেখান থেকে-ই গুনে-গুনে, কিছু হীরা-মনি-মুক্তা আবরণে আহরণ করে,চুপি-চুপি মগজে লুকিয়ে রেখেছি বিলিয়ে দিতে। এই বুঝি আগ্নেয়গিরির চোখ খুলে যেতে চাইছে, ভূমিকম্পের সাথে মেঘের গর্জনে, বজ্রপাতের ভয়ঙ্কর আলোড়ন। চাঁদের আলো চুরি করে দেখাও, নয়তো চুপচাপ সূর্যের মুখোমুখি জবাবদিহিতায় জ্বলতে দাঁড়াও ॥ ০৯.১০.২০২৩

ছাড়পত্র

ছবি
ছাড়পত্র ============ মোঃ রহমত আলী ============ যারা আমাকে ভালোবাসে -না, তাদেরকে ভালোবাসতে আমি অস্থির। যারা আমাকে পছন্দ করে -না, তাদের সমাদর করতে হই আমি ব্যস্ত। যারা মনে-করে আমায় সদা-শত্রু, তাদের জন্য হতে চাই আমি পরম-বন্ধু। যে বা যারা করতে চায় আমার ক্ষতি, তাদের উপকারে আসতে আমি রাজি। যারা ফাঁদ পেতে সাজে মোর মিত্র, তাহাদের আশীর্বাদ দিয়ে হই আমি ধন্য। যে ভাই আমায় করেছে অপমান, তার লাগি হাজির সর্বদা আমার-জান। যারা ঠকিয়ে-দেন আজও আমায়, তাদের জন্য বেশ হেদায়েতের মোনাজাত। যারা চিনেও অচেনার ভান করে চলে, তাদেরকে সালাম দিতে আমার মন করে। তারা যারা শুধুই স্বার্থ খুঁজে চাল-চালে, তাহাদেরকে সবুরে মেওয়া দেখাই ওই যে। যারা খোঁচা দেয় চোখের কোনায়, তাদের ব্যথায় আমিও চোখের বন্যায়। যারা ঘৃণা করে আমায় মনে মুখে ছলে, তাদের দোষ ত্রুটি আমি সযত্নে ছুপাই, যেমন চপেটাঘাত-টা গোপন করা মাত্র ! তবুও যদি এত সবের পরেও ক্ষান্ত না হয় তারা,ধৈর্যের-বাঁধ ভেঙ্গে যায়,দেয়ালে পিঠ ঠেকে,তবেই ছাড়বো না-তো আর ॥ ০৮.১০.২০২৩

আনমনা -

ছবি
আনমনা - ============ মোঃ রহমত আলী ============ মনটা আমার আকাশে উড়ে , দেহটা অথৈ সাগরে ডুবে মরে , কঙ্কাল পাওয়া যাবে কবরে , এক সময় তাও বিলীন মাটিতে , লাখো পোকা অপেক্ষায় , খাবে দেহ ধীরে ধীরে তাই। এখানে কামাই,এখানে খাই , পরকালের চিন্তায় ঘুমাই। আমিও আজ হারিয়ে যেতে চলেছি দমকা হাওয়ার মাতন , নিশানি গুলো মিটে যাবে সব , এক ঘুমেই জাগিব পরপার। যে-দিন প্রভু দেবেন এক ডাক , কামনা এই ক্ষমা যেন পাই সবাই। নেক-আমলের থলে-খালি আমার , ঘুরছি দুনিয়াবি মোহ মায়ায় , বেহুশী ঘুমে আকাশের রঙিন ভেলায়। জাগিবে যখন কাঁদিবে তখন , রহিবে না কোনো উপায় , জানিনা নসিবে আমলনামা , কোন হাতে আসিবে কার। ভিখারীর বেশে এসে ধরাধামে , পারিনি আজও পুঁজি কোনও জমা করতে নেক-আমলের। ব্যর্থ আমার সাধন কামাই , আনমনে যতনের চলাচল , সময় থাকতে সাধের সব করো ত্যাগ , মাফ যদি না করেন রাব্বুল-আলামিন , আজাব তুমি সইবে কেমনে , একবার ভাবো -রে মন ! ০৮.১০.২০২৩

দাবিদার -

ছবি
দাবিদার - ============= মোঃ রহমত আলী ============= কতদিন তোমরা আর দাবিয়ে রাখিবে দাবিদার সেই এক অধিকারী কে। সকল বিপত্তি কাটিয়ে জয় করিয়া নিবু সবে কালজয়ী দুঃস্বপ্নের মোহ। বঞ্চিত হয়ে ও অধিকারে বজ্রপাত হইছে নয়ন আঙ্গিনাতে। শেষ দাবি তার একটাই, অধিকারে বঞ্চিত দাবিদার তাই। দরদ আর নাহি জাহানে দরদিয়ায়, শুধু কি ডুবে কাস্তি দরিয়ায় এ দিলের। দাবিদার ও আর তার, মরিয়া গেল তবে কি? দাবানলে দেবে কত আর, রাখবে তোমরা সেই সে, এক এক দাবিদারি কে ! আমার নেই কি কোন তার উপর অধিকার, তবে কেন সে আমায় মানে না তার সত্য এক দাবিদার। দরদ দিয়া ও সে আমায় নাহি দিলে কোন দাওয়াই, তবে কি সে আমায়,সত্যি দিলে হামেশা মনের বদদোয়াই। দূরেই রবে আমি আর সদা, সব দাবি লয়ে,নাহি কবে তোমায় আর কিছু,কোনও এক দাবি লয়ে। বঞ্চিত দাবিদার তবুও বন্ধু আমি তাই কি তার। যে সত্য দাবিদার সেই যে, কভু তাকায়-নি ফিরিয়া আর, তবু যে আমরা সবে তারই তারিফ করে যাই। দাবিদার এক রোজ কাল পেরিয়ে, আছে একই দুয়ারে দাঁড়িয়ে। দিন দিন সে দোয়ার মতোই বদদোয়া করে,নিরুপায় অপূর্ণ যত সব হক দাবি লয়ে। দাবিদার কহে দেনাদারকে, মনে রাখার ছিল তোমার, নাকি স্মরণ করানো

গুঞ্জন -

ছবি
গুঞ্জন - ============ মোঃ রহমত আলী ============ জাত কালা অন্তর, রাতে কালো পথ-বন্দর, আঁধারে ঘুরে আরো কত কি সহ জোনাকি ! দিন-দুপুরে যে চোখ অন্ধ, সারা-জনম স্বার্থের দ্বন্দ্ব, চুক্তি করে-ও অস্বীকার, ফাঁদ পেতে ধরে শিকার। পাখি খুঁজে হারানো নীড়, প্রাপ্য হারিয়ে বহে চোখে নীর, সাদা-কালো মানুষ-গুলোর, অন্তর কোন জাতের, আকাশ ছুঁয়ে বলে, জমিন আমার কোন কাজের। জাত-পাতের গুঞ্জন, সবাই ভালো মানুষজন, মন্দ আমি একাই একজন। এক আঙুল তার দিকে, তিন আঙ্গুল নিজের দিকে, খারাপ কে এই ভবের-দেশে, খপ্পরে সব আপন দোষে। এখন দেখি সাধু সবাই, বাহ কি যে কথায়-কথায় ! রাজ্য সবার নিজের-নিজের, সন্ধানে পোড়া কয়লা অন্তরে, দরবেশ দেখো কোন জনে !! ০৭.১০.২০২৩

জাগ্রত মিলন মেলা

ছবি
জাগ্রত মিলন মেলা ============== মোঃ রহমত আলী ============== আসছে দিন সামনে সময়, জাগ্রত মিলন সাহিত্য মেলায় বন্ধুগণ হাজির হন। সাহিত্যপ্রেমী জাগ্রত সাহিত্যের মহামিলন মেলায় মহানায়কের ডাক। সব রেখেছেন আয়োজন, চলে আসেন সব-প্রিয়জন, এপার বাংলা ওপার বাংলা এক হবে সব জাগ্রত সভায়। শিহাব রিফাত আলম ভাই, জাগা জাগ্রত পাতায়-পাতায়, বহুদিন-বহুকাল বেঁচে থাকবেন, ইতিহাসের কলম খাতায়। আবৃত্তিকারদের অনেক সম্মান, সাংবাদিক,সাহিত্যিক,লেখক, কবিদের মনের-প্রান, প্রকাশক সম্পাদকের জানের-জান, মহা অগ্রনায়ক বহুত সভায়, শিহাব রিফাত আলম স্যার ॥ ২৮.০৯.২০২৩

সুপারিশ -

ছবি
সুপারিশ - ============ মোঃ রহমত আলী ============ থেমে আছি এই পর্যন্ত একাই, শোনেনি যতদূর মর্মান্তিক কান্না কেউ। চোখের আঙিনায় সারা দুনিয়ার কাহিনী, বন্দী গোপন মগজের শিরায়-শিরায়। ইতিহাস অধিকারের পুড়ে হলো ছাই, কানার দরবারে দাঁড়ানো,বোবার সুপারিশ মুখোমুখি-চুপচাপ বধিরের খারিজ। ততদূর তো পারি নাই যেতে,তবু দুর্বল নই, মজবুত মন হারিয়ে যায় মাঝে-মাঝে, নক্ষত্রের মতো কালো মেঘের সত্যিতে। আবার ঘুরে-ফিরে ঝরে যায় শক্তিতে, কলমের তলোয়ার,বিষয় শূন্য কাগজের এক ময়দানে,আহত যোদ্ধার হারমানা বিজয় উল্লাসে উচ্চ হাসি-কান্নার স্রোতে। থেমে আছি আজও তবুও ধৈর্য-ধরে ! রেগে-রেগে রোগা মনে,আর কতদূর ? শৈবালের জুতা পায়ে,যেতে-যেতে আর পারছি না,তাই দৌড়ায়ে যাই তবু হিম্মতের হিকমতে,এই মরু পার হবো যে একদিন। স্বার্থ আর সাধ্য একই বৃত্তে ঘুরপাকে মত্ত, কই দেখি না তো কেউ যে এসে দাঁড়াচ্ছে ন্যায়ের পক্ষে কারো এক আওয়াজ,আর অন্যায়ের বিরুদ্ধে হুংকার দিয়ে দুই ডাক। তাও যদি যার-তার অন্তরে বাধাগ্রস্ত হয়েও,নির্মাণ হয়ে যায় পুনরায় সততা ॥ ০৫.১০.২০২৩

"অন্ধ চোখে পানি"

ছবি
"অন্ধ চোখে পানি" ================ মোঃ রহমত আলী ==================== যার জন্য কাঁদে, মনের গভীরে লুকানো আর-এক-মন, সেই নোনা জলে, ডুবা চোখে মারে বাদামি লেবুর নিংড়ানো রশ। ছলো-ছলো চোখো পাতায়, দেখা যায় খুব সহজেই ঝড়ছে অঝোরে মনের ব্যথায়। বর্ণ বালীর এ কেমন রং অন্তর পুড়ে ছাই হলে সুবাস পায় যেমন গান্ধ। গর্ব করে ধন্য হলে ঝরাতে  পেরে আকাঙ্ক্ষিত সম্পর্ণ্য, সাধন ভেঙ্গে, অন্ধ চোখে পানি, নয়নে বারি এ ঝরছে কারি, তবে কে! আছো তারি মুছাতে পারি। অন্ধ আঁখি পানে ও কি! থাকে, লুকাইতো এক দৃষ্টি পরশমণী'র। তবে ক্রন্দন কেন হে, অযাচিত কোন দুঃখের আয়নায়। কুলষিত প্রেম বাগে একি! হলো হায়-রে,অন্ধ চোখে পানি ঝরে যে, বোবা পানি কহে রে কত কথা, ভুলে যেতে কয়, স্বপ্ন ভাঙ্গা স্বপনে'র কথা, সাজিয়ে রাখি তবু আমি অন্ধের সামনে আয়না । ০১.০৯.২০১১

মুশকিল

ছবি
মুশকিল ============ মোঃ রহমত আলী ============ এই তো আমি নেই , তবু আছি , এই তো আছি আমি , তবু নেই , এই তো নিঃশ্বাস ছিল তখন , এখন আর নেই তো , তাই তো বিশ্বাস করেনি কেউ , এই যে অচেনা শহর , আর তাই তো শিক্ষিত ক্ষুধা , মূর্খের মতো মিটাই , এই যে চেনাজানা যারা শিকারী , তাদের নিশানা ভিখারী , তাই তো একদিন কাঁদিবে পরান , দেখে নিজ মৃত্যু , আবার যেদিন কবর ঘরে হবে , একা সওয়াল-জবাব , এই তো সত্য যে তা বুঝতে আমি , বোবা আর অন্ধ , এই তো এতো যা আলোক সজ্জায় , দেখা যাচ্ছে না সে আঁধার , তাই তো অন্ধকারে ভুলভাল পথে , ক্ষমা চাইতে পারি নাই বেলাতে , এই তো সুযোগ হাতছাড়া হলে যা, আর কি দোবারা হবে তা, এই সে পাচ্ছো কে পোড়া ঘ্রাণ, সত্য-মিথ্যা যে -যা, এই তো নেই যে তা তা ! ০৩.১০.২০২৩

এক টাকা -

ছবি
এক টাকা - ============ মোঃ রহমত আলী ============ এক কোটি স্বপ্ন কিনেছিলাম, এক টাকায়। ছিলোনা তখন জরুরত, হাজার লক্ষ টাকা। খুশি খুব হয়ে যেত বাছা, এক টাকা হতে। কত কিছু খাওয়া-দাওয়া, সারাবেলা ঘুরে। তবুও সন্ধ্যায় থেকে যেত, চার-আনা পকেটে। ব্যাগ ভরে বাবা করতো বাজার, পাঁচ-দশ টাকাতে। শুনেছিলাম সারা সপ্তাহের কামাই, একশত টাকা যে। হাসিখুশি-সুখের ছিলোনা অভাব, যা ছিল টাকার দাম। আজকের লাখ টাকার মূল্য, তুল্য যেন তুচ্ছ-তুচ্ছ। লন্ঠনের আলোতে-ও ছিল সে কালে, অদ্ভুত এক শান্তি। পাঁচ-পাই,দশ-পাই আর নাহি আজ খুঁজে পাই। পঞ্চাশ-পয়সায় বাইসাইকেল ভাড়া, ঘুড়ি,সুতা ও রঙের-মিঠাই। কই মূল্য সেই আহা এক টাকা ! ০২.১০.২০২৩