পোস্টগুলি

কাঁটাতার

ছবি
কাঁটাতার ============ মোঃ রহমত আলী ============ সুখের প্রকৃত বন্ধু দুঃখ, দুঃখের প্রকৃত রূপ সুখ, অদ্ভুত মনে হলেও সব, সৃষ্টিকূল বড়ো অপরূপ, ভাঙ্গে এক কূল,আবার তো গড়ে আরেক কূল। সফল হচ্ছে পশু গুলো, কুফল ভুগছে শিশু গুলো, সুফল গেল কার ঘরে, তবু কুশল বিনিময় চলছে। বলছে কথা কানে-কানে, চাঁদের বুকে মাটি আছে, মঙ্গলগ্রহে শিলা ও মাটি, জমিনে যত মহা-মারামারি, খুনাখুনি মাটির জন্যই তো ! আহ্ কী মাটির মানুষগুলো, করছে মাটির ভাগাভাগি॥ ওপার টা ঐ তোমার, এপার টা এই আমার, মাঝখানে কাঁটাতার, দুই দেশের সীমানা ! নদীর বুকটা দুই ভাগে-ভাগ, জল তো হয় না যে ভাগ। তবু কেন এত বিদ্বেষ, জাতি-জাতি দেশে-দেশে, এতো যদি আছে ক্ষমতা, তবে দেখাও না শিলাবৃষ্টি, শীত গ্রীষ্মকাল থামিয়ে, চাঁদ-সূর্যের আলো করো ভাগ, দিন-রাত দেখাও তো থামায়ে, আরো যদি পারো তবে, ছায়া যেন না চলে সাথ-সাথ ? ১৫.১০.২০২৩

স্বাধীন নিঃশ্বাস

ছবি
স্বাধীন নিঃশ্বাস ============ মোঃ রহমত আলী ============ দিন-দিন কেমন যেন ! আকাশের নীলিমা ধূসর হয়ে আসছে, বুঝতে পারছি না আমরা নিষ্ঠুর স্বভাবে। দিনে-দিনে কেমন যেন ! জমিন অদ্ভুত বিপন্ন হতে চলেছে, কেঁপে উঠছে ক্ষণে-ক্ষণে পাহাড় পর্বত। দিনরাত এ কেমন ! নির্দয় আঘাত চলছে নির্মম ধারাবাহিক কৌশলে,মজলুমের উপর জুলুম। রাতদিন এ কেমন ! গর্জন সমুদ্রের নাকি মেঘের না আবার বজ্রপাতের,এ-তো যুদ্ধের বৃদ্ধ দামামা। পৃথিবীতে মজুদ যত মারণাস্ত্র, বন্দী করে রাখো কারাগারে, আজাদ করে দাও, মানবিক-মানবতা স্বাধীন বাতাসে ॥ ১৩.১০.২০২৩

মন পাগলা -

ছবি
মন পাগলা - ============ মোঃ রহমত আলী ============ এক মনে প্রেম,এক মনে প্রীতি, এক মনের গোপন ভালোবাসা, মন বোঝে তবু মন মানে না, মনের-মানুষ মিলেনা-রে মন-পাগলা। মনে বড় সুখ,মনের অসুখ, মনের অন্তরে ছুপানো দুঃখ, মনের চোখে দেখি কত আবার, প্রেমের নব-নতুন রূপে-রূপ। এক চোখে অমর প্রেম-যমুনা, এক চোখে সংসার জীবন-সাধনা, দুচোখে একাকার এক আরাধনা। এক-মন চুপিচুপি খোঁজে মন-মহুয়া, এক-মন দেখে অন্তর চোখে, ভালোবাসার অদৃশ্য শত-কোটি নমুনা। এক মনে মিল,আরেক মনে অমিল, মনে-মনে গুন-গুন কত নব-গীত, মাঝে-মাঝে মোর মন-পাগলা ! খোঁজে বাউলা চোখে,স্মৃতির মন-ময়না। যতদূর যেতে পারি -না,তার থেকেও দূর, বহুত-দূর বজ্রের আগে চলে যায় মন, দ্রুতগতিতে সমুদ্রগর্ভ পেরিয়ে,ঢেউয়ের তালে নক্ষত্র গণনা শেষ না করেও, অরণ্য আকাশ-পাতাল আরো কত কি ! ভেদ করে স্বপ্নঘোরে রাজ্য জয়ী, একাই এই আমার মন-পাগলা ! ১২.১০.২০২৩

জনাব-জবান

ছবি
জনাব-জবান ============ মোঃ রহমত আলী ============ কিছু কথায় মিলে সুখ শান্তি, তো কিছু কথায় হয় দুঃখ প্রাপ্তি, কিছু কথায় কষ্টের আঘাত, তবু কিছু কথায় হিম্মতের আভাস, কিছু কথায় হিংসার বাণী, তাই কিছু কথায় থাকে অভিমান, কিছু কথায় লাগে বড্ড অপমান, তবুও কিছু কথায় অদ্ভুত সম্মান, কিছু কথায় খুব স্বার্থের ঘ্রাণ, তো কিছু কথায় কেউ নিঃস্বার্থবান, কিছু কথা হয় দীর্ঘশ্বাসে, তবুও কিছু কথা হয় মেনে-নিতে, কিছু কথার প্রকাশ বারুদ মিশাল, তাই তো কিছু কথায় সুমধুর-বাহার। কিছু কথায় হয় তীর ছোঁড়া শিকার, তবু কিছু কথায় যে সত্য স্বীকার, কিছু কথায় ঘটে কে মিথ্যাবাদী প্রমাণ, তো কিছু কথায় থাকেনা লাজ-মান, কিছু কথায় জ্ঞানী ও হয় অজ্ঞান, তবুও কিছু কথায় গোপন সুভাষ, কিছু কথার ওজন থাকে বেসামাল, তো কিছু কথায় প্রেমের সুর-নরম, কিছু কথায় অধিকার অতি পরম-গরম, তবু কিছু ভাষায় যে ভালোবাসা চরম, এই তো কিছু কথার উদাহরণ বেশ সুন্দর, কথায় বলে গুণী-জ্ঞানীদের কথা কম, তাই নির্বোধের কথায় লজ্জা-শরম কম। কিছু কথায় চোর সাধু সাজে, তো কিছু কথায় সাধু সাজা-খাটে, কিছু কথা দুখীর দুঃখ আরো বাড়ায়, তাই কিছু কথায় সুখী নিদ হারায়, কিছু

সাঁতার

ছবি
সাঁতার ============ মোঃ রহমত আলী ============ বয়ে যায় বেলা, আছে পড়ে ভেলা, একি মিছে খেলা, প্রাণে এক লীলা। দেখো মুখ কালা, ঘুরে সারা মেলা, প্রেম-প্রেম জ্বালা, বহু ফুলে মালা। ছল চোখে হলে, প্রীতি শেষে জলে, স্মৃতি সব ভুলে, মাঝি পাল তুলে। মনে দাগ নীলা, সখী গীত মিলা, রোদ বৃষ্টি হাল, ঢেউ দেবে তাল। পাখি উড়ে গেলে, যেতে হবে চলে, এটা শেষ চাল, নেই আর মাল। এতো কেন জাল, এরা মোর লাল, ঘরে দিলো আল, মাটি লয়ে খেল, ছাতা ছেঁড়া কাল । ১০.১০.২০২৩

কৈফিয়ত

ছবি
কৈফিয়ত ============ মোঃ রহমত আলী ============ মাথার ভেতর ভনভন করে বাক্য, পিঁপড়ার মত অক্ষরগুলো, খুঁটিয়ে-খুঁটিয়ে সব সাজায়, মাছির মত শব্দমালা গুলো, উড়ছে গেঁথে-গেঁথে ভাষার হরফে। মশার মতোই খোঁজ চলছে, প্রজাপতির রঙে রঙিন যত, সূক্ষ্ম শিরায় দরদ কোথায়। তবুও চারিদিকে এত যে, মাকড়সার-জাল আঁকড়ে ধরেছে কথার সম্প্রসারণ ! তাই মৌমাছির মতো চলছে, আজও অবিরত সংগ্রাম। তো শামুক আর ঝিনুক বলবে, সমুদ্রের তলদেশে বহমান যে সাগর,যেখানে আছে, লুকায়িত মহা পাহাড় পর্বত ! সেখান থেকে-ই গুনে-গুনে, কিছু হীরা-মনি-মুক্তা আবরণে আহরণ করে,চুপি-চুপি মগজে লুকিয়ে রেখেছি বিলিয়ে দিতে। এই বুঝি আগ্নেয়গিরির চোখ খুলে যেতে চাইছে, ভূমিকম্পের সাথে মেঘের গর্জনে, বজ্রপাতের ভয়ঙ্কর আলোড়ন। চাঁদের আলো চুরি করে দেখাও, নয়তো চুপচাপ সূর্যের মুখোমুখি জবাবদিহিতায় জ্বলতে দাঁড়াও ॥ ০৯.১০.২০২৩

ছাড়পত্র

ছবি
ছাড়পত্র ============ মোঃ রহমত আলী ============ যারা আমাকে ভালোবাসে -না, তাদেরকে ভালোবাসতে আমি অস্থির। যারা আমাকে পছন্দ করে -না, তাদের সমাদর করতে হই আমি ব্যস্ত। যারা মনে-করে আমায় সদা-শত্রু, তাদের জন্য হতে চাই আমি পরম-বন্ধু। যে বা যারা করতে চায় আমার ক্ষতি, তাদের উপকারে আসতে আমি রাজি। যারা ফাঁদ পেতে সাজে মোর মিত্র, তাহাদের আশীর্বাদ দিয়ে হই আমি ধন্য। যে ভাই আমায় করেছে অপমান, তার লাগি হাজির সর্বদা আমার-জান। যারা ঠকিয়ে-দেন আজও আমায়, তাদের জন্য বেশ হেদায়েতের মোনাজাত। যারা চিনেও অচেনার ভান করে চলে, তাদেরকে সালাম দিতে আমার মন করে। তারা যারা শুধুই স্বার্থ খুঁজে চাল-চালে, তাহাদেরকে সবুরে মেওয়া দেখাই ওই যে। যারা খোঁচা দেয় চোখের কোনায়, তাদের ব্যথায় আমিও চোখের বন্যায়। যারা ঘৃণা করে আমায় মনে মুখে ছলে, তাদের দোষ ত্রুটি আমি সযত্নে ছুপাই, যেমন চপেটাঘাত-টা গোপন করা মাত্র ! তবুও যদি এত সবের পরেও ক্ষান্ত না হয় তারা,ধৈর্যের-বাঁধ ভেঙ্গে যায়,দেয়ালে পিঠ ঠেকে,তবেই ছাড়বো না-তো আর ॥ ০৮.১০.২০২৩

আনমনা -

ছবি
আনমনা - ============ মোঃ রহমত আলী ============ মনটা আমার আকাশে উড়ে , দেহটা অথৈ সাগরে ডুবে মরে , কঙ্কাল পাওয়া যাবে কবরে , এক সময় তাও বিলীন মাটিতে , লাখো পোকা অপেক্ষায় , খাবে দেহ ধীরে ধীরে তাই। এখানে কামাই,এখানে খাই , পরকালের চিন্তায় ঘুমাই। আমিও আজ হারিয়ে যেতে চলেছি দমকা হাওয়ার মাতন , নিশানি গুলো মিটে যাবে সব , এক ঘুমেই জাগিব পরপার। যে-দিন প্রভু দেবেন এক ডাক , কামনা এই ক্ষমা যেন পাই সবাই। নেক-আমলের থলে-খালি আমার , ঘুরছি দুনিয়াবি মোহ মায়ায় , বেহুশী ঘুমে আকাশের রঙিন ভেলায়। জাগিবে যখন কাঁদিবে তখন , রহিবে না কোনো উপায় , জানিনা নসিবে আমলনামা , কোন হাতে আসিবে কার। ভিখারীর বেশে এসে ধরাধামে , পারিনি আজও পুঁজি কোনও জমা করতে নেক-আমলের। ব্যর্থ আমার সাধন কামাই , আনমনে যতনের চলাচল , সময় থাকতে সাধের সব করো ত্যাগ , মাফ যদি না করেন রাব্বুল-আলামিন , আজাব তুমি সইবে কেমনে , একবার ভাবো -রে মন ! ০৮.১০.২০২৩

দাবিদার -

ছবি
দাবিদার - ============= মোঃ রহমত আলী ============= কতদিন তোমরা আর দাবিয়ে রাখিবে দাবিদার সেই এক অধিকারী কে। সকল বিপত্তি কাটিয়ে জয় করিয়া নিবু সবে কালজয়ী দুঃস্বপ্নের মোহ। বঞ্চিত হয়ে ও অধিকারে বজ্রপাত হইছে নয়ন আঙ্গিনাতে। শেষ দাবি তার একটাই, অধিকারে বঞ্চিত দাবিদার তাই। দরদ আর নাহি জাহানে দরদিয়ায়, শুধু কি ডুবে কাস্তি দরিয়ায় এ দিলের। দাবিদার ও আর তার, মরিয়া গেল তবে কি? দাবানলে দেবে কত আর, রাখবে তোমরা সেই সে, এক এক দাবিদারি কে ! আমার নেই কি কোন তার উপর অধিকার, তবে কেন সে আমায় মানে না তার সত্য এক দাবিদার। দরদ দিয়া ও সে আমায় নাহি দিলে কোন দাওয়াই, তবে কি সে আমায়,সত্যি দিলে হামেশা মনের বদদোয়াই। দূরেই রবে আমি আর সদা, সব দাবি লয়ে,নাহি কবে তোমায় আর কিছু,কোনও এক দাবি লয়ে। বঞ্চিত দাবিদার তবুও বন্ধু আমি তাই কি তার। যে সত্য দাবিদার সেই যে, কভু তাকায়-নি ফিরিয়া আর, তবু যে আমরা সবে তারই তারিফ করে যাই। দাবিদার এক রোজ কাল পেরিয়ে, আছে একই দুয়ারে দাঁড়িয়ে। দিন দিন সে দোয়ার মতোই বদদোয়া করে,নিরুপায় অপূর্ণ যত সব হক দাবি লয়ে। দাবিদার কহে দেনাদারকে, মনে রাখার ছিল তোমার, নাকি স্মরণ করানো

গুঞ্জন -

ছবি
গুঞ্জন - ============ মোঃ রহমত আলী ============ জাত কালা অন্তর, রাতে কালো পথ-বন্দর, আঁধারে ঘুরে আরো কত কি সহ জোনাকি ! দিন-দুপুরে যে চোখ অন্ধ, সারা-জনম স্বার্থের দ্বন্দ্ব, চুক্তি করে-ও অস্বীকার, ফাঁদ পেতে ধরে শিকার। পাখি খুঁজে হারানো নীড়, প্রাপ্য হারিয়ে বহে চোখে নীর, সাদা-কালো মানুষ-গুলোর, অন্তর কোন জাতের, আকাশ ছুঁয়ে বলে, জমিন আমার কোন কাজের। জাত-পাতের গুঞ্জন, সবাই ভালো মানুষজন, মন্দ আমি একাই একজন। এক আঙুল তার দিকে, তিন আঙ্গুল নিজের দিকে, খারাপ কে এই ভবের-দেশে, খপ্পরে সব আপন দোষে। এখন দেখি সাধু সবাই, বাহ কি যে কথায়-কথায় ! রাজ্য সবার নিজের-নিজের, সন্ধানে পোড়া কয়লা অন্তরে, দরবেশ দেখো কোন জনে !! ০৭.১০.২০২৩

জাগ্রত মিলন মেলা

ছবি
জাগ্রত মিলন মেলা ============== মোঃ রহমত আলী ============== আসছে দিন সামনে সময়, জাগ্রত মিলন সাহিত্য মেলায় বন্ধুগণ হাজির হন। সাহিত্যপ্রেমী জাগ্রত সাহিত্যের মহামিলন মেলায় মহানায়কের ডাক। সব রেখেছেন আয়োজন, চলে আসেন সব-প্রিয়জন, এপার বাংলা ওপার বাংলা এক হবে সব জাগ্রত সভায়। শিহাব রিফাত আলম ভাই, জাগা জাগ্রত পাতায়-পাতায়, বহুদিন-বহুকাল বেঁচে থাকবেন, ইতিহাসের কলম খাতায়। আবৃত্তিকারদের অনেক সম্মান, সাংবাদিক,সাহিত্যিক,লেখক, কবিদের মনের-প্রান, প্রকাশক সম্পাদকের জানের-জান, মহা অগ্রনায়ক বহুত সভায়, শিহাব রিফাত আলম স্যার ॥ ২৮.০৯.২০২৩

সুপারিশ -

ছবি
সুপারিশ - ============ মোঃ রহমত আলী ============ থেমে আছি এই পর্যন্ত একাই, শোনেনি যতদূর মর্মান্তিক কান্না কেউ। চোখের আঙিনায় সারা দুনিয়ার কাহিনী, বন্দী গোপন মগজের শিরায়-শিরায়। ইতিহাস অধিকারের পুড়ে হলো ছাই, কানার দরবারে দাঁড়ানো,বোবার সুপারিশ মুখোমুখি-চুপচাপ বধিরের খারিজ। ততদূর তো পারি নাই যেতে,তবু দুর্বল নই, মজবুত মন হারিয়ে যায় মাঝে-মাঝে, নক্ষত্রের মতো কালো মেঘের সত্যিতে। আবার ঘুরে-ফিরে ঝরে যায় শক্তিতে, কলমের তলোয়ার,বিষয় শূন্য কাগজের এক ময়দানে,আহত যোদ্ধার হারমানা বিজয় উল্লাসে উচ্চ হাসি-কান্নার স্রোতে। থেমে আছি আজও তবুও ধৈর্য-ধরে ! রেগে-রেগে রোগা মনে,আর কতদূর ? শৈবালের জুতা পায়ে,যেতে-যেতে আর পারছি না,তাই দৌড়ায়ে যাই তবু হিম্মতের হিকমতে,এই মরু পার হবো যে একদিন। স্বার্থ আর সাধ্য একই বৃত্তে ঘুরপাকে মত্ত, কই দেখি না তো কেউ যে এসে দাঁড়াচ্ছে ন্যায়ের পক্ষে কারো এক আওয়াজ,আর অন্যায়ের বিরুদ্ধে হুংকার দিয়ে দুই ডাক। তাও যদি যার-তার অন্তরে বাধাগ্রস্ত হয়েও,নির্মাণ হয়ে যায় পুনরায় সততা ॥ ০৫.১০.২০২৩

"অন্ধ চোখে পানি"

ছবি
"অন্ধ চোখে পানি" ================ মোঃ রহমত আলী ==================== যার জন্য কাঁদে, মনের গভীরে লুকানো আর-এক-মন, সেই নোনা জলে, ডুবা চোখে মারে বাদামি লেবুর নিংড়ানো রশ। ছলো-ছলো চোখো পাতায়, দেখা যায় খুব সহজেই ঝড়ছে অঝোরে মনের ব্যথায়। বর্ণ বালীর এ কেমন রং অন্তর পুড়ে ছাই হলে সুবাস পায় যেমন গান্ধ। গর্ব করে ধন্য হলে ঝরাতে  পেরে আকাঙ্ক্ষিত সম্পর্ণ্য, সাধন ভেঙ্গে, অন্ধ চোখে পানি, নয়নে বারি এ ঝরছে কারি, তবে কে! আছো তারি মুছাতে পারি। অন্ধ আঁখি পানে ও কি! থাকে, লুকাইতো এক দৃষ্টি পরশমণী'র। তবে ক্রন্দন কেন হে, অযাচিত কোন দুঃখের আয়নায়। কুলষিত প্রেম বাগে একি! হলো হায়-রে,অন্ধ চোখে পানি ঝরে যে, বোবা পানি কহে রে কত কথা, ভুলে যেতে কয়, স্বপ্ন ভাঙ্গা স্বপনে'র কথা, সাজিয়ে রাখি তবু আমি অন্ধের সামনে আয়না । ০১.০৯.২০১১

মুশকিল

ছবি
মুশকিল ============ মোঃ রহমত আলী ============ এই তো আমি নেই , তবু আছি , এই তো আছি আমি , তবু নেই , এই তো নিঃশ্বাস ছিল তখন , এখন আর নেই তো , তাই তো বিশ্বাস করেনি কেউ , এই যে অচেনা শহর , আর তাই তো শিক্ষিত ক্ষুধা , মূর্খের মতো মিটাই , এই যে চেনাজানা যারা শিকারী , তাদের নিশানা ভিখারী , তাই তো একদিন কাঁদিবে পরান , দেখে নিজ মৃত্যু , আবার যেদিন কবর ঘরে হবে , একা সওয়াল-জবাব , এই তো সত্য যে তা বুঝতে আমি , বোবা আর অন্ধ , এই তো এতো যা আলোক সজ্জায় , দেখা যাচ্ছে না সে আঁধার , তাই তো অন্ধকারে ভুলভাল পথে , ক্ষমা চাইতে পারি নাই বেলাতে , এই তো সুযোগ হাতছাড়া হলে যা, আর কি দোবারা হবে তা, এই সে পাচ্ছো কে পোড়া ঘ্রাণ, সত্য-মিথ্যা যে -যা, এই তো নেই যে তা তা ! ০৩.১০.২০২৩

এক টাকা -

ছবি
এক টাকা - ============ মোঃ রহমত আলী ============ এক কোটি স্বপ্ন কিনেছিলাম, এক টাকায়। ছিলোনা তখন জরুরত, হাজার লক্ষ টাকা। খুশি খুব হয়ে যেত বাছা, এক টাকা হতে। কত কিছু খাওয়া-দাওয়া, সারাবেলা ঘুরে। তবুও সন্ধ্যায় থেকে যেত, চার-আনা পকেটে। ব্যাগ ভরে বাবা করতো বাজার, পাঁচ-দশ টাকাতে। শুনেছিলাম সারা সপ্তাহের কামাই, একশত টাকা যে। হাসিখুশি-সুখের ছিলোনা অভাব, যা ছিল টাকার দাম। আজকের লাখ টাকার মূল্য, তুল্য যেন তুচ্ছ-তুচ্ছ। লন্ঠনের আলোতে-ও ছিল সে কালে, অদ্ভুত এক শান্তি। পাঁচ-পাই,দশ-পাই আর নাহি আজ খুঁজে পাই। পঞ্চাশ-পয়সায় বাইসাইকেল ভাড়া, ঘুড়ি,সুতা ও রঙের-মিঠাই। কই মূল্য সেই আহা এক টাকা ! ০২.১০.২০২৩

চোখে দেখা চোখ

ছবি
চোখে দেখা চোখ ============ মোঃ রহমত আলী ============ খুশবুর বেজে গেল বারোটা, চারিধার ভালোবাসার আঙিনা, মিথ্যার বড়াই করে আমি, বেশি-বেশি মিষ্টি পাই, সত্যের দিদার করিয়ে ভাই, আমি আজ অন্ধকারে তাই। তোমাদের সুখে তো আমি সুখী হই, তবে আমার দুঃখে তো তোমরা দুঃখী নও, তবু তোমার সাথী বন্ধু আমি রই, আমার বিপদে আমার ছায়া টা যে গেলো কই ? সূর্যের তাপ সহ্য হয় বৈকি, তবে চোখের উত্তাপ সহনীয় হয় কী ? যাইহোক দিন পার হতে হবেই। এতো বদবু -তে ও সুগন্ধি ঈমান, যার কাছে হেরে যেতে বাধ্য যে বেঈমান। দুশমন যখন নিজের খুন বড় আফসোস, শত্রুর তলোয়ারে মোকাবিলা করা যায়, বন্ধুর ভরসায় ধোঁকা খেলে হুশ হয়। আশীর্বাদ এখন স্বপ্নে চলাচলের মতন, সারা জীবন যা টোকালাম তা অযথা, মৃত মনের সন্ধান হারিয়ে অনুসন্ধান, লাভ কি জমানো পুঁজি খরচ না হলে। খুলে গেল অসহায় অন্ধের চোখ, মিটে গেল আজ সারা জনমের বিরোধ। এত কাল তো বয়ে গেল,তবু হয়নি কভু, চোখে রেখে চোখ,চোখে চোখে কথা ॥ ২৯.০৯.২০২৩

অবুঝ মন -

ছবি
অবুঝ মন - ============ মোঃ রহমত আলী ============ আজ মনটা আমার বড্ড বেজার, চলছে মনের সাথে মনের অভিমান। নেই কোনো কারণ,আছে যত অকারণ, মন রে মন করছে অযথাই বারণ, যাসনে ঐ নদীর ঘাটে,জোছনা রাতে, মুখ ধুতে এখন,ওরে আমার পাগল মন। বলেছিলাম তাকে এসো না ভালোবাসতে আমায়,জ্বলে-পুড়ে যাবে মন তোমার। পাপের হিসেবগুলো পূর্ণ করেছে গোপন, মনের মাঝে আছে কষ্ট সব দাফন। কিছু পাওয়ার চাইতে হারিয়ে যাওয়ার, মূল্যটাই মনে থাকে যুগ-যুগ বহুদিন ! আজ মনটা আমার আবার উদাস, ভাঙা-ভাঙা স্বপ্নের এলোমেলো সমাহার। মানতে পারছেনা ঘটে যাওয়া কাহিনীর সাজ,জানিনা মন কেন হলো নারাজ। সময়ের ব্যবধানে হারালো রঙ-বাহার, তবু মনে করে-করে খুঁজি,স্মৃতির পাতা পাল্টে-পাল্টে সুখ-দুঃখের মণিহার, খুব করেছি কামনা,হলো না পূরণ আমার মনের বাসনা,বৃথা আজি সব সাধনা। আমার মনের মন-ময়না,আছে আনমনা, বলছে না তো কিছুই সে গুনগুন করিয়া, মনের সাথে মনের অভিমান আজকাল । ২৮.০৯.২০২৩

শূন্যস্থান

ছবি
শূন্যস্থান ============ মোঃ রহমত আলী ============ আমি কালো মেঘের কাছ থেকে কালি এনেছি কর্জ। লিখে-লিখে যা আছে মনে করবো পূরণ ফরজ। কে কি বললো আর বলবে, ধার-ধারি না ও-সব, চলছে কলম চলবে অবিরাম। ওরে-বাবা এত হিংসা, কিছু কবি-কবির দিলে, জানা ছিল না আগে আমার। ভুল ধরিয়ে দেওয়া তো খুবই ভালো, ধন্যবাদ জানাই বারবার, অপমান যে করে তার শূন্যস্থান, সে আবার কেমন ইনসান। আসল আসমানের নিচে থাকি, নকল আকাশ ছোঁয়ার তো নেই কোনো দরকার। সবাই তো ভালোই লেখে, নিজ-নিজ জায়গায়, ভুল ত্রুটি তো হতেই পারে, সবার বুঝ কি এক-সমান। ন্যায় বচন লিখলে -ও জেনে না-জেনে অন্যায় হয়ে যায়, প্রভু যদি ক্ষমা করে-দেন, তবে কার কি আসে-যায় । ২৭.০৯.২০২৩

অব-মত

ছবি
অব-মত ============ মোঃ রহমত আলী ============ কবিতার প্রেমে বুড়ো হলো নওজোয়ান , বুড়োর কলমে কবিতা সব পেরেশান। মাথার ঘিলু শুকিয়ে মরু-ময়দান , প্রেমের পত্র আগে পাঠিয়েছিলাম , এখন প্রেমের নাম ধোঁয়ায় সুখটান। চাঁদের প্রেমে পড়ে , সাগর নদীর মাঝে জোয়ার ভাটার টান ! কবিতা লিখিতে হারায়ে গিয়াছে , মোর বৃদ্ধ কলমের লাল,নীল,কালো প্রাণ। তাই প্রথমেই বলে নিচ্ছি,আমি মূর্খ কবি ! তবুও কি এই কবিতা ? তোমরা আমার সাথে প্রেম করবে ! ভুলেই গিয়েছি আদর্শলিপি , মুখ্য যত ব্যবহারিক কার্যবিধি। একেতো আমার কলমের কালি শূন্য , বোঝাতে পারব না,কোনো অক্ষরের মর্ম , তবু কেন লিখি জানিনা -না ! শুধু বলতে পারি এতটুকুই , এই কবিতা তোকে আমি ভালোবাসি। আমি নই কোন কবি , লিখে তবু ভুল বানানে , করি লেখা কাটাকাটি , তুমি বন্দী কবিতা ! বাঁধানো বইয়ের পাতায়-পাতায় , আমি কিন্তু স্বাধীন বাতাস , আমার আছে বিশাল অন্তরে-অন্তর , সাদা,মেঘলা,রঙিন-রঙের আকাশ। আবার আয়না-সাগর চোখে আমার , ঝর-ঝর ঝরিয়ে দেই সব ব্যথিত বাহার। অভ্যস্ত হয়ে গেলে অক্ষরের ভালোবাসায়, নিন্দার চাহনিতে তবে কি আসে-যায়, গুণন না হয় – ভাগফল তো হয়, যোগফল না হয় – বিয়োগ তো রয়। ক

সান্ত্বনা -

ছবি
সান্ত্বনা - ============ মোঃ রহমত আলী ============ মধুর পেয়ালায় ডুবে মরে পিঁপড়া, তেতুলের টকে জন্মে যে পোকা, মরিচের পোড়া ঘ্রাণে মগজ ধোলাই, দিয়াশলাই খুঁজে ফেরে জ্যান্ত জোনাকি, উইপোকার বুদ্ধি খাই-খাই সব। গাধার পোয়ালে লাগা অগ্নি দম, অক্সিজেনের সাথে ফরমালিন, মেঘের গর্জে উঠা কদাচিৎ দৌড়ঝাপ, কাদা মাটিতে জন্ম নব বিষাক্ত আগাছা। মৌমাছির সঙ্গে প্রজাপতির মনোমালিন্য, দিনে লুকোচুরি,রাতে কানামাছি খেলা, ঝড়ো হাওয়ায় কম-বেশি সংঘাত। তুফানের শব্দে কুমিরের হাসিমুখ, সিংহের গর্জনে,মরে সাপ,ইঁদুরের গর্তে, বানরের লাটিম নাচায় শিয়ালে। মরুর প্রান্তরে উটের সাঁতার, সমুদ্রের মাঝে হরিণের শিকার, বাজপাখি নাচে ঢেউয়ের তালে। লতা-পাতার প্রেমে ভল্লুক মশাই, স্বর্গীয় ফল দুনিয়ায় পচনের পরেও খাই। সাথী যার হাতি,ছাতি ফুলিয়ে চাঁদাবাজি, নিম-গাছের ছাই,ধুলো চোখে তাই ! কালপেঁচার রাজ্য রাত্রিচর কার্য, বাঘের ন্যায় বিড়ালের ধৈর্য, আস্তাবল শূন্য ঢোল-তবলা ধন্য ॥ ২৪.০৯.২০২৩

দুষ্কর

ছবি
দুষ্কর ============ মোঃ রহমত আলী ============ অশ্ব তো আর যায় না রণক্ষেত্রে, বৃক্ষ তো আর পারছে না, এক পায়ে দাঁড়িয়ে থাকতে। কষ্ট তো আর ফুরায় না,রাত পোহাতেই, প্রয়োজন তো আর নেই, তীর,ধনুক,তলোয়ার, সবার মুখেই বারুদ আছে বেশুমার। আছে কি আর দরকার ? বাঘ,শিয়াল,শকুনের,রক্ত মাংস খাবার ! এখন তো মানুষ-মানুষের, সুখ,ঘুম,আহার করছে হারাম। আর তো আছে কি জরুরত ? জুয়া খেলতে এতো সততার ইমারত, মিথ্যাবাদী যে সব নির্মাণ কারিগর। লাগিয়ে আগুন ফাগুনের দোষারোপ, বাহ্ কি তরিকা নেভানোর ! আর তো দেখে কে চোখের হকিকত। যোদ্ধা এখন মাঠে সর্বজন, যুদ্ধের কোথায় হবে আয়োজন, খেলোয়াড় এখন তো সবাই ! খালি নেই যে আর,খেলার ময়দান। কোথায় পরিষ্কার তলাব ! শিখবে ছেলেপুলে যে সাঁতার, ডোবা ভরে সারা নির্মাণ দালান। এখন আর কি সমাধান ? আগুন লাগলে পানি কোথায় জনাব !! ২২.০৯.২০২৩

পাগল মন

ছবি
পাগল মন ============ মোঃ রহমত আলী ============ চলে এসো সব পাগল-পাগলী, এই শহরের প্রিয় বন্ধু আমার। তোমাদের অপেক্ষায় আজও আছে এই অবুঝ পাগল মন আমার। ভালোবাসার কাঙাল পাগলা বেসামাল ! পাগলা-গারদের শিকল ভেঙে, চলো যাই নগরে সবাই আবার, হোক না যতই সৌন্দর্য আমাদের খেলাফ। প্রিয়তমার খোঁপায় গেঁথে দেবো আবার, আমার পুরাতন প্রেমের তাজা গোলাপ। পাথরের নীরব অবিরত কান্নার শব্দে গল্প, পাগলপারা বস্তির অস্থির কোলাহলের মস্তি বিলাপ দেখে স্তব্ধ আজই মস্তিষ্ক। চলে এসো এই শহরের প্রান্ত থেকে, আছো যত পাগলা-পাগলী নগরীর দর্পণ। তোমাদের সাথে মুখোমুখি হবে আলাপন, ভেঙে ছিলে যাহারা আমাদের অন্তর, করবো তাহাদের বাহারি গুলাল অর্পণ। চলো বন্ধুগণ সুস্থ জীবনে ফিরে আমরণ, পরিধানে পরিচ্ছন্ন পোশাক,কেটে জটা, দেখিয়ে দেই মগজ খুলে,সমাজের সবাই পাগল,নিজস্ব সুযোগ সুবিধায় সব পাগল, ন্যায়-অন্যায় যা যার,পাগলা সবার মন। পাগলের পিছু ছুটছে যে,সে ও পাগল, পাগল-পাগল ভাব পাগলের নাই অভাব । ২০.০৯.২০২৩

সুনসান

ছবি
সুনসান ============ মোঃ রহমত আলী ============ ঘর সুখে শূন্য, দুঃখে পরিপূর্ণ, সুর ছাড়া বাঁশি, বাজায় কে সখী। রাত বেজায় ভারী, সকাল সুনসান সাথী, ডানা কাটা পাখি, উড়ে গেল একি। ডালপালা সামাল, ঝাঁকে ঝাঁকে কাঁক, জানমাল যার, এক মালিক সবার। সুখ দূর যাযাবর, দুঃখ প্রিয় আপন, বেদনা সারাক্ষণ, ভালোবাসায় আলোড়ন। বাস্তব অতি কঠিন, সহজ স্বপ্নে বিচরণ, হাসিটা বেশ আবরক। দিল পাথর অনুরাগে, মুখরিত আবেগে, সজ্জিত অকারণে, পাখিদের জিকির, দেন আল্লাহ রিজিক । ১৮.০৯.২০২৩

চোরের ঘরে চুরি

ছবি
চোরের ঘরে চুরি ============ মোঃ রহমত আলী ============ ঘটনা-ঘটলো বড়ই আজিব, চোরের ঘরে চুরি-র ঘটন, চোরি করেছে যে বহু কবির কাব্য, তারই ঘরে চুরি সামান-সমেত, চুরির পাণ্ডুলিপি,চুরি করেছে সে অসভ্য। চোর যে সাহেব-সাহেব স্বভাব, তার ঘরে নেই তো কোন অভাব। হাতে তাহার জাদু-র চোরা বিদ্যা, মাথায় নেশা কবিতা-কলম চুরির পেশা। অজ্ঞাত সে অধরাই রয়ে যায়, সে চোর যে চোরের ঘরে করলো চুরি। সে বর্ণ কানা,লেখা চোরা, চালাতে জানেনা কলম যারা, অন্যের লেখা নিজের বলে, চালিয়ে দেয় গল্প কবিতা করে। লজ্জা নেই ধরা খেয়ে, মরেনা তো জলে ডুবে, আরে বেটা কবিতা চোরা, গল্প,উপন্যাস,কবিতা লেখা কি ? সহজ এত ! দশের কবিতা করে চুরি, পারবে কে তুমি ? ওরে বোকা ! কবির ধ্যান-জ্ঞান কী করতে চুরি। লিখতে কবিতা পারিনা আমি, লেখায় সবই অন্তর্যামী। তাই লেখা এই কবিতা চোরের ঘরে চুরি ॥ ১৬.০৯.২০২৩

খেলাঘর

ছবি
খেলাঘর ============ মোঃ রহমত আলী ============ মরা ফুলে,গেঁথে মালা, কত নূতন খেলা, মনোহর লগন। নত হতে-হতে, পাথর হয় মন, অবশেষে ক্রন্দন। হাত দাও হাতে, চলো একসাথে, চোখ রাখো চোখে, কথা চোখাচোখি-তে। ফুলে-ফুলে বাহার, খুশবুর সমাহার, তারই মাঝে ভাঙে, কারো খেলাঘর। নকল ফুলে বাহ্ আতর মেখে আদব, প্রশ্ন করে কেউ, আজব আসল-নকল। দাওয়াতের থালায়, আপ্যায়ন মিলাও, পোশাকের পরিচিতি পরিচয় হওয়ায়। সোনা আর তামা, রঙে দেখায় এক, মানুষে ফারাক অন্তরের ॥ ১৫.০৯.২০২৩