পোস্টগুলি

অবুঝ মন -

ছবি
অবুঝ মন - ============ মোঃ রহমত আলী ============ আজ মনটা আমার বড্ড বেজার, চলছে মনের সাথে মনের অভিমান। নেই কোনো কারণ,আছে যত অকারণ, মন রে মন করছে অযথাই বারণ, যাসনে ঐ নদীর ঘাটে,জোছনা রাতে, মুখ ধুতে এখন,ওরে আমার পাগল মন। বলেছিলাম তাকে এসো না ভালোবাসতে আমায়,জ্বলে-পুড়ে যাবে মন তোমার। পাপের হিসেবগুলো পূর্ণ করেছে গোপন, মনের মাঝে আছে কষ্ট সব দাফন। কিছু পাওয়ার চাইতে হারিয়ে যাওয়ার, মূল্যটাই মনে থাকে যুগ-যুগ বহুদিন ! আজ মনটা আমার আবার উদাস, ভাঙা-ভাঙা স্বপ্নের এলোমেলো সমাহার। মানতে পারছেনা ঘটে যাওয়া কাহিনীর সাজ,জানিনা মন কেন হলো নারাজ। সময়ের ব্যবধানে হারালো রঙ-বাহার, তবু মনে করে-করে খুঁজি,স্মৃতির পাতা পাল্টে-পাল্টে সুখ-দুঃখের মণিহার, খুব করেছি কামনা,হলো না পূরণ আমার মনের বাসনা,বৃথা আজি সব সাধনা। আমার মনের মন-ময়না,আছে আনমনা, বলছে না তো কিছুই সে গুনগুন করিয়া, মনের সাথে মনের অভিমান আজকাল । ২৮.০৯.২০২৩

শূন্যস্থান

ছবি
শূন্যস্থান ============ মোঃ রহমত আলী ============ আমি কালো মেঘের কাছ থেকে কালি এনেছি কর্জ। লিখে-লিখে যা আছে মনে করবো পূরণ ফরজ। কে কি বললো আর বলবে, ধার-ধারি না ও-সব, চলছে কলম চলবে অবিরাম। ওরে-বাবা এত হিংসা, কিছু কবি-কবির দিলে, জানা ছিল না আগে আমার। ভুল ধরিয়ে দেওয়া তো খুবই ভালো, ধন্যবাদ জানাই বারবার, অপমান যে করে তার শূন্যস্থান, সে আবার কেমন ইনসান। আসল আসমানের নিচে থাকি, নকল আকাশ ছোঁয়ার তো নেই কোনো দরকার। সবাই তো ভালোই লেখে, নিজ-নিজ জায়গায়, ভুল ত্রুটি তো হতেই পারে, সবার বুঝ কি এক-সমান। ন্যায় বচন লিখলে -ও জেনে না-জেনে অন্যায় হয়ে যায়, প্রভু যদি ক্ষমা করে-দেন, তবে কার কি আসে-যায় । ২৭.০৯.২০২৩

অব-মত

ছবি
অব-মত ============ মোঃ রহমত আলী ============ কবিতার প্রেমে বুড়ো হলো নওজোয়ান , বুড়োর কলমে কবিতা সব পেরেশান। মাথার ঘিলু শুকিয়ে মরু-ময়দান , প্রেমের পত্র আগে পাঠিয়েছিলাম , এখন প্রেমের নাম ধোঁয়ায় সুখটান। চাঁদের প্রেমে পড়ে , সাগর নদীর মাঝে জোয়ার ভাটার টান ! কবিতা লিখিতে হারায়ে গিয়াছে , মোর বৃদ্ধ কলমের লাল,নীল,কালো প্রাণ। তাই প্রথমেই বলে নিচ্ছি,আমি মূর্খ কবি ! তবুও কি এই কবিতা ? তোমরা আমার সাথে প্রেম করবে ! ভুলেই গিয়েছি আদর্শলিপি , মুখ্য যত ব্যবহারিক কার্যবিধি। একেতো আমার কলমের কালি শূন্য , বোঝাতে পারব না,কোনো অক্ষরের মর্ম , তবু কেন লিখি জানিনা -না ! শুধু বলতে পারি এতটুকুই , এই কবিতা তোকে আমি ভালোবাসি। আমি নই কোন কবি , লিখে তবু ভুল বানানে , করি লেখা কাটাকাটি , তুমি বন্দী কবিতা ! বাঁধানো বইয়ের পাতায়-পাতায় , আমি কিন্তু স্বাধীন বাতাস , আমার আছে বিশাল অন্তরে-অন্তর , সাদা,মেঘলা,রঙিন-রঙের আকাশ। আবার আয়না-সাগর চোখে আমার , ঝর-ঝর ঝরিয়ে দেই সব ব্যথিত বাহার। অভ্যস্ত হয়ে গেলে অক্ষরের ভালোবাসায়, নিন্দার চাহনিতে তবে কি আসে-যায়, গুণন না হয় – ভাগফল তো হয়, যোগফল না হয় – বিয়োগ তো রয়। ক

সান্ত্বনা -

ছবি
সান্ত্বনা - ============ মোঃ রহমত আলী ============ মধুর পেয়ালায় ডুবে মরে পিঁপড়া, তেতুলের টকে জন্মে যে পোকা, মরিচের পোড়া ঘ্রাণে মগজ ধোলাই, দিয়াশলাই খুঁজে ফেরে জ্যান্ত জোনাকি, উইপোকার বুদ্ধি খাই-খাই সব। গাধার পোয়ালে লাগা অগ্নি দম, অক্সিজেনের সাথে ফরমালিন, মেঘের গর্জে উঠা কদাচিৎ দৌড়ঝাপ, কাদা মাটিতে জন্ম নব বিষাক্ত আগাছা। মৌমাছির সঙ্গে প্রজাপতির মনোমালিন্য, দিনে লুকোচুরি,রাতে কানামাছি খেলা, ঝড়ো হাওয়ায় কম-বেশি সংঘাত। তুফানের শব্দে কুমিরের হাসিমুখ, সিংহের গর্জনে,মরে সাপ,ইঁদুরের গর্তে, বানরের লাটিম নাচায় শিয়ালে। মরুর প্রান্তরে উটের সাঁতার, সমুদ্রের মাঝে হরিণের শিকার, বাজপাখি নাচে ঢেউয়ের তালে। লতা-পাতার প্রেমে ভল্লুক মশাই, স্বর্গীয় ফল দুনিয়ায় পচনের পরেও খাই। সাথী যার হাতি,ছাতি ফুলিয়ে চাঁদাবাজি, নিম-গাছের ছাই,ধুলো চোখে তাই ! কালপেঁচার রাজ্য রাত্রিচর কার্য, বাঘের ন্যায় বিড়ালের ধৈর্য, আস্তাবল শূন্য ঢোল-তবলা ধন্য ॥ ২৪.০৯.২০২৩

দুষ্কর

ছবি
দুষ্কর ============ মোঃ রহমত আলী ============ অশ্ব তো আর যায় না রণক্ষেত্রে, বৃক্ষ তো আর পারছে না, এক পায়ে দাঁড়িয়ে থাকতে। কষ্ট তো আর ফুরায় না,রাত পোহাতেই, প্রয়োজন তো আর নেই, তীর,ধনুক,তলোয়ার, সবার মুখেই বারুদ আছে বেশুমার। আছে কি আর দরকার ? বাঘ,শিয়াল,শকুনের,রক্ত মাংস খাবার ! এখন তো মানুষ-মানুষের, সুখ,ঘুম,আহার করছে হারাম। আর তো আছে কি জরুরত ? জুয়া খেলতে এতো সততার ইমারত, মিথ্যাবাদী যে সব নির্মাণ কারিগর। লাগিয়ে আগুন ফাগুনের দোষারোপ, বাহ্ কি তরিকা নেভানোর ! আর তো দেখে কে চোখের হকিকত। যোদ্ধা এখন মাঠে সর্বজন, যুদ্ধের কোথায় হবে আয়োজন, খেলোয়াড় এখন তো সবাই ! খালি নেই যে আর,খেলার ময়দান। কোথায় পরিষ্কার তলাব ! শিখবে ছেলেপুলে যে সাঁতার, ডোবা ভরে সারা নির্মাণ দালান। এখন আর কি সমাধান ? আগুন লাগলে পানি কোথায় জনাব !! ২২.০৯.২০২৩

পাগল মন

ছবি
পাগল মন ============ মোঃ রহমত আলী ============ চলে এসো সব পাগল-পাগলী, এই শহরের প্রিয় বন্ধু আমার। তোমাদের অপেক্ষায় আজও আছে এই অবুঝ পাগল মন আমার। ভালোবাসার কাঙাল পাগলা বেসামাল ! পাগলা-গারদের শিকল ভেঙে, চলো যাই নগরে সবাই আবার, হোক না যতই সৌন্দর্য আমাদের খেলাফ। প্রিয়তমার খোঁপায় গেঁথে দেবো আবার, আমার পুরাতন প্রেমের তাজা গোলাপ। পাথরের নীরব অবিরত কান্নার শব্দে গল্প, পাগলপারা বস্তির অস্থির কোলাহলের মস্তি বিলাপ দেখে স্তব্ধ আজই মস্তিষ্ক। চলে এসো এই শহরের প্রান্ত থেকে, আছো যত পাগলা-পাগলী নগরীর দর্পণ। তোমাদের সাথে মুখোমুখি হবে আলাপন, ভেঙে ছিলে যাহারা আমাদের অন্তর, করবো তাহাদের বাহারি গুলাল অর্পণ। চলো বন্ধুগণ সুস্থ জীবনে ফিরে আমরণ, পরিধানে পরিচ্ছন্ন পোশাক,কেটে জটা, দেখিয়ে দেই মগজ খুলে,সমাজের সবাই পাগল,নিজস্ব সুযোগ সুবিধায় সব পাগল, ন্যায়-অন্যায় যা যার,পাগলা সবার মন। পাগলের পিছু ছুটছে যে,সে ও পাগল, পাগল-পাগল ভাব পাগলের নাই অভাব । ২০.০৯.২০২৩

সুনসান

ছবি
সুনসান ============ মোঃ রহমত আলী ============ ঘর সুখে শূন্য, দুঃখে পরিপূর্ণ, সুর ছাড়া বাঁশি, বাজায় কে সখী। রাত বেজায় ভারী, সকাল সুনসান সাথী, ডানা কাটা পাখি, উড়ে গেল একি। ডালপালা সামাল, ঝাঁকে ঝাঁকে কাঁক, জানমাল যার, এক মালিক সবার। সুখ দূর যাযাবর, দুঃখ প্রিয় আপন, বেদনা সারাক্ষণ, ভালোবাসায় আলোড়ন। বাস্তব অতি কঠিন, সহজ স্বপ্নে বিচরণ, হাসিটা বেশ আবরক। দিল পাথর অনুরাগে, মুখরিত আবেগে, সজ্জিত অকারণে, পাখিদের জিকির, দেন আল্লাহ রিজিক । ১৮.০৯.২০২৩

চোরের ঘরে চুরি

ছবি
চোরের ঘরে চুরি ============ মোঃ রহমত আলী ============ ঘটনা-ঘটলো বড়ই আজিব, চোরের ঘরে চুরি-র ঘটন, চোরি করেছে যে বহু কবির কাব্য, তারই ঘরে চুরি সামান-সমেত, চুরির পাণ্ডুলিপি,চুরি করেছে সে অসভ্য। চোর যে সাহেব-সাহেব স্বভাব, তার ঘরে নেই তো কোন অভাব। হাতে তাহার জাদু-র চোরা বিদ্যা, মাথায় নেশা কবিতা-কলম চুরির পেশা। অজ্ঞাত সে অধরাই রয়ে যায়, সে চোর যে চোরের ঘরে করলো চুরি। সে বর্ণ কানা,লেখা চোরা, চালাতে জানেনা কলম যারা, অন্যের লেখা নিজের বলে, চালিয়ে দেয় গল্প কবিতা করে। লজ্জা নেই ধরা খেয়ে, মরেনা তো জলে ডুবে, আরে বেটা কবিতা চোরা, গল্প,উপন্যাস,কবিতা লেখা কি ? সহজ এত ! দশের কবিতা করে চুরি, পারবে কে তুমি ? ওরে বোকা ! কবির ধ্যান-জ্ঞান কী করতে চুরি। লিখতে কবিতা পারিনা আমি, লেখায় সবই অন্তর্যামী। তাই লেখা এই কবিতা চোরের ঘরে চুরি ॥ ১৬.০৯.২০২৩

খেলাঘর

ছবি
খেলাঘর ============ মোঃ রহমত আলী ============ মরা ফুলে,গেঁথে মালা, কত নূতন খেলা, মনোহর লগন। নত হতে-হতে, পাথর হয় মন, অবশেষে ক্রন্দন। হাত দাও হাতে, চলো একসাথে, চোখ রাখো চোখে, কথা চোখাচোখি-তে। ফুলে-ফুলে বাহার, খুশবুর সমাহার, তারই মাঝে ভাঙে, কারো খেলাঘর। নকল ফুলে বাহ্ আতর মেখে আদব, প্রশ্ন করে কেউ, আজব আসল-নকল। দাওয়াতের থালায়, আপ্যায়ন মিলাও, পোশাকের পরিচিতি পরিচয় হওয়ায়। সোনা আর তামা, রঙে দেখায় এক, মানুষে ফারাক অন্তরের ॥ ১৫.০৯.২০২৩

বিস্তারিত

ছবি
বিস্তারিত ============ মোঃ রহমত আলী ============ লেখাপড়া করিয়া, চাকরি বেড়াও খুঁজিয়া, উৎকচ দিলে পাওয়া যায়, বড়লোক হওয়া যায়। তদবির ছাড়া কি চাও, চাকরির ধান্দা বাদ দাও, বেকার তুমি কাজের নও, ম্যানেজ করে ম্যানেজার হও। এখানে নেই যোগ্যতার মূল্য, বিস্তীর্ণ শুধু টাকাই তুল্য। পরিচয় তোমার কি ? বাপ,দাদা,বন্ধুর সুপারিশ কৈ, মামা,খালু,চাচা,কে আছে দেখা ! সরকারি হোক বা বেসরকারি, চাকরিটা তো দরকারি। চার পদে দশ জন নিয়োগ, হাজির শত-শত জন, সবার চাকরির প্রয়োজন। অভিজ্ঞতা কি তোমার ? বড় বাবুর জন্য কী এন্তেজাম, ঘাস খেয়েছো নাকি, ওরে বোকা এতকাল। ডিগ্রি তুমি দেখাও বাপু, ভুলটা দেখো এই তোমার, চাকরি চাইলে টাকা আগে ! নইলে বিদায় কর্ম নাই ॥ ১৯.০৯.২০২৩

সাধুবাদ

ছবি
সাধুবাদ ============ মোঃ রহমত আলী ============ করো আরো দুর্নীতি, মারো তিলে-তিলে, দুনিয়ার গরিব দুঃখী। লাগাও আগুন,তেলে বেগুন, খাবে ভেজে শকুন। দুমুখো সাপের বাপ, কিছু মানুষ আজ, শিকার রোগীর অনুরাগ, মুন্সি বন্দী তো মাফ। খাও ঘুষ বেশি-বেশি, সুখটা তোমার -কাল, সুদের হিসাব-নিকাশ, বুঝবে তুমি পরকাল। বাড়াও দর যত খুশি, লাভের হিসেব হবে, ঠকাও তুমি ওজন দিতে, যাকে-তাকে বারবার, চোরের সাধু ভাষা আবার। কাটছো পকেট আরও কাটো, মগের-মুল্লুক আজ, ডাকুর মাথায় তাজ। লাগছে ভালো লুটতে থাকো, ডাস্টবিন সহ ময়লা যত, উন্নতি পায়ের তলায়, জানাই বন্ধু সাধুবাদ !! ১১.০৯.২০২৩

বর্ণন -

ছবি
বর্ণন - ============ মোঃ রহমত আলী ============ কোকিল আর কাক, হয় কি এক ডাক, শামুক ও ঝিনুক, হয় নাকো এক মাপ। লবণ এবং চিনি, একই রকম জানি, চোখের-পানি,নদীর-জল, নোনা কেন বল ? একেক দেশের মানুষ, এক-এক চাল-চলন। গাভীর দুধ শিলাবৃষ্টি, মিঠা কেমন সৃষ্টি। ফুলের ভিতর মধুর আবাদ, হরেক রকম স্বাদ, খুশবুর আবার ভিন্ন সুবাস, পাখির সুমধুর আওয়াজ। শালিক চেনে মালিক তার, কুকুর পাহারাদার। বন্ধু হয়ে যায় শত্রু কভু, বেঈমান স্বার্থপর, ঘোড়া ওফাদার। তোতা-ময়না বলে কথা, পিঁপড়ার আছে সর্দার, একের খোরাক আরেক খায়, শুকরিয়া আল্লাহ তায়ালার । ১০.০৯.২০২৩

যেমন-তেমন

ছবি
যেমন-তেমন ============ মোঃ রহমত আলী ============ আর ফিরে যাওয়া সম্ভব নয়, ঐ সন্ধ্যা ভুলে যাবার,কিছু নাই করবার। উদিত সূর্য রোজ ডুবে আবার, মেঘে ঢাকা চন্দ্র দেখা দেয় বারবার। অন্তরে প্রেমের প্রদীপ নিভিয়ে রাখি, তবু জ্বলে ওঠে ক্ষণে মনে আমার। আমি সুখের সন্ধানে আজও দুঃখের নতুন খবর পাই। কতগুলো কান্নার শব্দ হয় না, কিছু সুখ গোপন রাখা যায় না। মন পাখি বন্দি খাঁচায় দিবানিশি,  উড়তে চায় সাদা মেঘের মতো আসমানে। আর ফিরে পাওয়া যাবে না, হারানো অতীতের বাল্য বয়স। এ এক জমানো গোপন সুখ, বদলায় কত শত মুখের রূপ। জীবনের ছন্দে পতনের পতন, শাস্তি মাথা নিচু -পা উঁচু যেমন-তেমন। উজ্জ্বল চাঁদ চলতো সাথে সাথে সাথ, আজ আর রূপকথার গল্পে-গল্পে, কাটে নাতো বৃদ্ধ ঘুমের রাত। ঐ গোধূলি লগন গুলো,ধরাছোঁয়ার উর্ধ্বে চলে গেছে হায় জনমের তরে, এখন অন্ধ চোখ অন্ধকারে পূর্ণিমা গোনে।  ০৯.০৯.২০২৩

অথচ-অচল

ছবি
অথচ-অচল ============ মোঃ রহমত আলী ============ বিশ্বাস করেছেন -কি ঠকেছেন, মিথ্যা বলছেন -তো জিতেছেন, বিশ্বাস করা ছাড়া উপায় আছে কি ? সুযোগ দিয়েছেন -কি মরেছেন, স্বার্থ ফুরালেই -তো অপ্রয়োজনীয়, উপকারের পরিণাম পেয়েছেন কি ? সাবধান চিটারের -কি বিবেক-জ্ঞান, ধরা খেয়েছেন -তো আহাম্মক বনেছেন, প্রতারিত না হলে প্রতারক চেনা যায় কি ? সত্য বলেছেন -কি মিথ্যার রূপ দেখেছেন, মিথ্যাবাদীর প্রমাণে -তো অন্ধ সত্য অচল যে-যেমন সে-তেমন এটাই স্বাভাবিক ! ঠকেছেন তাহলে বলুন -কি হয়েছে, বাটপার বেটা -তো নিজের বাপের ও নয়, একবার চিনে তোকে সালাম বারেবার। নীতি দেখিয়েছেন -কি অর্থনীতি বোঝেন, সৎ নীতিবান কোথায় সব -তো নিখোঁজ, তারপর অ চেষ্টায় বেঁচে চল-চলাচল ॥ ০৬.০৯.২০২৩

দাওয়াত

ছবি
দাওয়াত ============ মোঃ রহমত আলী ============ চুলো তাই রোজ জ্বলছে জ্বলার , ধুলো রোজ তাই উড়ছে হাওয়ায়। পথ তাই চলছে পথিক রোজ চলার , ভাগ্যচক্র তাই রোজ ঘুরছে সময় , বাজার তাই সব চলে কেনাবেচা। বিলাপি আনন্দে খুশি খুঁজে কাহারা , বাজারের খবরে কারা যেন কাঁদে-রে , বেড়েছে দামে দশ গুণ কমেছে এক , এই বলে হিসাব হল বরাবর সাহেব। কারো চুলো জ্বলার ধোঁয়ায় , কারো চোখে বহে কান্নার জোয়ার , থেমে নেই তবু এগিয়ে চলা সময় সবার। চুলো জ্বলার তাই জ্বলছে রোজ , রান্না-ঘরে কাঁন্নার কে করে খোঁজ। উদ্যানে বসে ক্ষুধার উন্মাদনায় উদ্দাম , তারা অপেক্ষায় খাবার প্রতীক্ষায়। যখন ফুল চোরের গলায়- ফুলের-মালা , তখন মাছ ধরতে গিয়ে জেলে তারা ! এখন সবার মুখে হারানো চাবির তালা , জ্বলছে চুলো অনেকের তবু পেটে জ্বালা। তিন চাকায় ঘুরছে ভাগ্য চাচা , বছর-বছর হয়নি খাওয়া ইলিশ-ভাজা। অথচ রোজ সুবাস ছড়ায় রান্নার ঘ্রাণ , যার নসিবে যা তাই হবে তার খাওন । ০৫.০৯.২০২৩

অভিযোগ

ছবি
অভিযোগ ============ মোঃ রহমত আলী ============ এই তো লেখা,যা পড়ে না কেউ, খুশি হচ্ছে শুনে বোবা। এই তো আমি,যাকে চেনে না কেউ, তবে খুঁজছে কেন কানা। এই যে আপনি,তো খুব নামি-দামি, তবু নামে কেউ নেয় না তো দোয়া। এই যে ফকির,ভিক্ষা করে খায়, যার নাম বাদশাহ সবার মাথায়। এই সেই পাগল,দেয় শুধু গালি, তাই শুনে তারা যে খুব উল্লাসী। এই সেই শ্রমিক,পরিশ্রম করে অধিক যার মূল্যায়ন নাই তো ঠিক। এই যে এরা -তো সেই চাকর, যারা মনিবের মাথায় ভাঙ্গে পাথর। এই যে এরা -তো সেই কর্তা, যাহারা ঘুষ ছাড়া বলে না কথা। এই তো ডাক্তার,সবার মা-বাপ, রোগীর-রোগ টেস্ট ওষুধ এ শেষ। এই তো সার্ভিস,যেকোনো দালালের, কাজের আগে কাজ হতে হয়। এই যে শিক্ষক-শিক্ষার পাঠাগার, আজ গুরু সম্মান অর্থের পরিমাণ। এই যে চোর-বাটপার মনে করে বাহ্ ! আসলে এদের মনুষ্যত্বের অভাব, এই তো এই সব এই যা তা ॥ ০১.০৯.২০২৩

মুসাফির -

ছবি
মুসাফির - ============ মোঃ রহমত আলী ============ মুসাফির এইতো আমি, ফিরে যাবো ঠিকানায় ঠিক। গুনতে গুনতে শেষ,চল্লিশ বছরের দিন। মুসাফির জীবন চলার পথে, হয়ে ছিল কতই না কত মুশকিল। আগমন দুনিয়ায় চিৎকারে কান্নার শব্দে, চির বিদায় পৃথিবী থেকে, নীরব আঁখি জলের বহমান স্রোতে। মুসাফির আমরা তো সবাই পথিক, কারো মঞ্জিল আগে, তো কারো গন্তব্য অবধারিত পরে। মুসাফির আমরা এ জগতে, পরীক্ষার সম্মুখীন সর্বদা-ই পতিত। তাই হুশিয়ার মুসাফির, দুনিয়া তোমার মাত্র ক'দিনের ঠিকানা। এরই মাঝে করে নাও তুমি, দীন-দুনিয়ার বেঁচা-কেনা। আখেরি জামানার দিকে এই দুনিয়ার বহমান বাতাস, মুসাফির আমি ছেঁড়া থলিতে জমা করেছি কত সামান। যাবার সময় সব রেখে, নিয়ে গেলাম সাথে শুধু আমাল। এ জিন্দেগি-টা এক মেহমান, দাওয়াত শেষে বিদায় মুসাফির ॥ ২৬.০৮.২০২৩

অচল-পয়সা

ছবি
অচল-পয়সা ============ মোঃ রহমত আলী ============ বলে কে গরিব আছে, গরিবি তো মারা গেছে, জীবিত শুধু বড়লোক। ফকির কে আছে বলো, যে এক টাকা ভিখ নেয়, চার-আনায় কি আর ! খেয়া ঘাট পাড় হয়। দশ-পয়সা অচল তো নয়, চলে না তো এখন আর ! পঞ্চাশ পয়সার মুদ্রা। পাঁচ টাকার কয়েন বহনে অনীহা, না জানি পানিতে পড়ে যায় কখন। কাগজের নোট ছেঁড়াফাটা, ময়লা-ভেজা-নরম, চায় না নিতে কেউ ঘামে ভিজা বদন থাকে যখন। ব্যাংকগুলো ছেঁড়া টাকা দেয় বান্ডিলে,গ্রাহক দিলে জমা, নেয় না তো আর টেপ লাগানো রং মাখা কাটা নোট স্বল্প। গরিব আছে কে ? যে টাকা-র হবে মূল্য, দেখি এখন -কে ফকির-গরিব ! লয় না ঘুষ অর্থের মূল্য মূল্যহীন ॥ ২৫.০৮.২০২৩

উদাহরণ -

ছবি
উদাহরণ - ============ মোঃ রহমত আলী ============ নয় চেনে তবে ছয় চেনে না, অচেনার খবর রাখে যে, সে চেনাজানা কে -চেনে না। নতুন বন্ধু তো রোজ পাওয়া যায়, পুরাতন বন্ধুর খবর কি জানেন ! কার কাছে বসে কাঁদেন তোষামোদে, সে কি মনের খোঁজ-খবর জানে। দশের মাঝে দুশমন চেনা দুষ্কর, আদর্শবান ও কভু ভুলে যান সাক্ষ্য। মাল দেখে নেয় মানুষ স্বার্থের পক্ষ, ভান-ধরা এমন যেন জানেনা সত্য। আমন্ত্রণ জানানো হল চেনা সহ অচেনাকে -ও, তবে আপন জন হলো-না হাজির কিছু ভুলের আক্রোশে। যেমন বাংলায় চার ইংরেজিতে আট -এ হয়ে রয় মাঝে ভুল বোঝাবুঝি, অবকাশ নেই কারো নতুন করে আর। পাথর-টা যত শক্ত তত নরম, শুধু সময় রয় না এক-মতন। অজুহাতের খোঁচায় ভারাক্রান্ত মন, নির্ভুল কার ? চরণের হর কদম ! ভুলে যাবার চেয়ে মনে রাখাটা সহজ, যদি অতিথির মাঝে চুপ থাকা বন্ধুর, সমাদরের আদর অবহেলিত রয়, যেমন নয় আর ছয় এর উদাহরণ ॥ ২৩.০৮.২০২৩

নালিশ

ছবি
নালিশ ============ মোঃ রহমত আলী ============ নোনা জলে মিঠা মাছ ঘোলা জলে শিকার। মরুভূমির এক ফুলে সারা-জাহান সুবাস। চাবুকের শত আঘাতে মজলুমের এক ফুকার আল্লাহ আল্লাহ কবে হবে ইনসাফ। জুলুম করছে মানুষ দুর্বলের উপরে পাখি গুলো দেখে সব নালিশ করে আরশে আজিমে। মিঠা জলে আগুন আজ নামে মুসলিম-মুসলমান কাজে অমুসলিমের ভাগ। সুদ খেয়েও মসজিদে ঘুষ চেয়ে খেয়ে হাজি না জানি রব তায়ালা কার-কার থেকে রাজি। সালাতে দাখিল নাই আযান কানে রোজই খুন করে মানবতা কেমন মানবিক আজি। হালালের চেয়ে বেশি তারা হারামের পিছে দশ টাকায় ঈমান বেচে। ২২.০৮.২০২৩

উত্তরণ -

ছবি
উত্তরণ - ============ মোঃ রহমত আলী ============ অভিমানে মন আর মান করে না, অসহায় সব মেনে নেয়,অভিনয় করে না, সুখ নেই যার দুঃখ নিতে আসেন। অভিযোগ গুলো সব জমা কফিনে, অনুভূতির মানবতা-টা জ্বলে আগুনে, মারা গেল প্রজাপতি তিমির কাননে। বুকফাটা কান্না নেই কোনো কানুনে, কারো মাথার পাগড়ি হয়ে যায় কাফন। নির্ধারিত মৃত্যু হবেই সব হায়াতে আপন, কবর যেমন হোক না হয়ে যাবে দাফন। খাঁচার ভিতর আর এক খাঁচায় বন্দী প্রাণ, পাখি উড়ে গেলে খুঁজবে তারা প্রমাণ। অধিকারের প্রশ্নে লাঠি বোল দ্বারা দমন, অনুরোধে সাহায্যের অভিনব নিপীড়ন, হবে অবহেলিত উত্তরের আখেরি উত্তরণ। বিবর্ণ মানবতা-র আজ স্তব্ধ বিচরণ, দুনিয়াতে ঘুরপাক বোবার করুণ ক্রন্দনা, না জানি কার মনে চলছে কি বন্দনা। এ কেমন নিয়মনীতির পাশবিক আচরণ, পাষাণের বুকে লুকায়িত কত যে কারণ ! মান অপমান সবই তো অবধারিত লিখন, সময়ে-সময়ের ব্যবধানে ইতিহাস স্মরণ, সবার ব্যথাই চোট পাওয়ার একই ধরন, কে অনুধাবনে নেয় কার দুঃখের বিবরণ । ১৮.০৮.২০২৩

সাত-সত্য

ছবি
সাত-সত্য ============ মোঃ রহমত আলী ============ সত্যের বাণী শুনে মিথ্যা হাসে, মিথ্যার ফাঁদে সত্য যায় ফেঁসে। সত্যের কারবারী করে মিথ্যার দরবারী, বড় কথায় মিথ্যুকের,ছোট হয় সত্যবাদী, নিয়ে কিছু আজ শিক্ষনীয় শিক্ষা। মিথ্যা বলে-বলে খয়রাত চায়, মজলুম ভিখারী ভিক্ষা নাহি পায়। সত্যের অসুবিধায়,মিথ্যার সুবিধা, ঘটনার আড়ালে সত্য রয়ে যায়।  মিথ্যা দ্রুতগতিতে রটে রটে আগায়, সত্য যে সৎ তাই ছুঁতে ছুঁতে ও ছোয় না তো সহজে কেউ আর। অধরায় সত্য,ধরা খায় মিথ্যা, হকনা যতই তার বুনিয়াদ পোক্তা। সত্যের সন্ধানে সত্য হারিয়ে, চলছে সাত-সত্যের অনুসন্ধান, শত মিথ্যার মাঝে লুকায়িত, এক বিন্দু সত্যের আলো-টাই যথেষ্ট। এই তো তোমাদের লক্ষ মিথ্যার ভেতরে, এক যে সত্য ঢাকা পরেছে দুর্গন্ধে ! তা অনুভব করেছেন সে কে ? মিথ্যা সে তো সর্বদাই মৃত,আর সত্য, সে যে হরহামেশাই জীবিত,তাই মিথ্যাবাদী সত্যের নিশান খুঁজিতে ব্যর্থ । ১৫.০৮.২০২৩

নিয়ম নীতি -

ছবি
নিয়ম নীতি - ============ মোঃ রহমত আলী ============ অনিয়মই এখন নিয়মে পরিণত , নিয়ম চোখে আর দেখে না তো। সেবার নামে অসুবিধায় সেবাকারী , বাস্তবে এখন সুবিধার বেপারী। বিশ টাকার মূল্য দুশো পেরিয়ে পাঁচশো , হাজার টাকা ঘুষের লাখ টাকা তুল্য। নিয়ম কানুন সোনার হরিণ , ধরার আগেই উড়ে যায় ফড়িং , সর্ব সাধারণের অপরূপ রূপ , নিরুপায় মোরা যাত্রী পথিক। অচিরেই সবাই ইনসাফের সম্মুখীন , জবাব দিতে আমলের দিন দিন। আইনের নিয়মে নিয়মিত অন্যায় , ন্যায় বিচারক লজ্জায় ঘুমায়। নিয়ম নামের মনগড়া যত সব অনিয়মের ফাঁদের বালাই , লুটে খাচ্ছে লোকের হালাল কামাই। অনিয়ম-টাই যদি নিয়মিত নিয়ম হয় , আইনের খাতায় লাল-কালির নীতির , তবে কি আর মূল্য লিখিত রয় ! সহজ নীতি জটিল খাঁচায় বন্দী , উদ্ভট নিয়ম প্রীতিতে যত-শত ফন্দি। আওয়াজ তুলে নিয়ম-নীতির , বিপদে পতিত গাধা,উটের লাথি ॥ ০৮.০৮.২০২৩

মায়াজাল -

ছবি
মায়াজাল - ============ মোঃ রহমত আলী ============ রাত কালো হলেও সকাল আলো হবে, ব্যথার পরেও সান্তনা যন্ত্রনা শইয়ে দিবে। কাতর আলিঙ্গনের সহানূভবের অনুভবে, হৃদয়ের আবেগি বনবাসের অভিমানে, আজীবন ভেঙ্গে যাওয়া মনের উচ্ছাস, আবার নতুন করে নতুন স্বপ্ন দেখা যাক। নিরাশাতে এক আশা খুঁজে পাওয়া যায়, যদি তার আঁধারের সন্ধান জানা থাকে ! তবেই তো আলোর অনুসন্ধান হয়ে যাবে। কালোর মাঝে এক আলো আছে ভালো, অনেকের নজরে তা মনে হয় শুধু কালো, তাই আলোর জন্যই আঁধার কাটলো। কালো রাত বিদায়,কবে আলোর সকাল, জানিনা কপালে লেখা,কি হবে পরকাল। রাতের অঘটনের কালো আলোর বর্ণনা, দিনের বেলায় হয়ে যায় মেঘের পূর্ণিমা। জীবনে একটু ভালো আলোর জীবিকায়, অন্ধকারেই ছুটছে আশা-ভরসার কদম। সাত-সত্য আলো পাশ কাটিয়ে,উন্মাদ সে আলেয়া-র কালো আঁচল ছায়ার পিছে। সর্বনাশা চাহিদার কালো চোখের মায়ায়, ভুলটাই যে সঠিক মনে করছে তাই তারা। রাত যতই গভীর অন্ধকারে নিমজ্জিত,  ভরের আলো সন্নিকটে ভূমিষ্ঠ পুলকিত। ০৬.০৮.২০২৩

হাসি খুশি সুখী

ছবি
হাসি খুশি সুখী ============ মোঃ রহমত আলী ============ কে এই সুখী এ -তো নাম শুধু শুনি সে যে চিরদুঃখী তবে নাম তার সুখী। কে এই হাসি এ -যে শুধুই কাঁদে মুখে বিষ ফুল তবু নাম তার হাসি। কে এই খুশি নিজেরটাই বেশি বুঝি এ -সে মনের খুশি নাম তার তো খুশি । ০৫.০৮.২০২৩