পোস্টগুলি

অথচ-অচল

ছবি
অথচ-অচল ============ মোঃ রহমত আলী ============ বিশ্বাস করেছেন -কি ঠকেছেন, মিথ্যা বলছেন -তো জিতেছেন, বিশ্বাস করা ছাড়া উপায় আছে কি ? সুযোগ দিয়েছেন -কি মরেছেন, স্বার্থ ফুরালেই -তো অপ্রয়োজনীয়, উপকারের পরিণাম পেয়েছেন কি ? সাবধান চিটারের -কি বিবেক-জ্ঞান, ধরা খেয়েছেন -তো আহাম্মক বনেছেন, প্রতারিত না হলে প্রতারক চেনা যায় কি ? সত্য বলেছেন -কি মিথ্যার রূপ দেখেছেন, মিথ্যাবাদীর প্রমাণে -তো অন্ধ সত্য অচল যে-যেমন সে-তেমন এটাই স্বাভাবিক ! ঠকেছেন তাহলে বলুন -কি হয়েছে, বাটপার বেটা -তো নিজের বাপের ও নয়, একবার চিনে তোকে সালাম বারেবার। নীতি দেখিয়েছেন -কি অর্থনীতি বোঝেন, সৎ নীতিবান কোথায় সব -তো নিখোঁজ, তারপর অ চেষ্টায় বেঁচে চল-চলাচল ॥ ০৬.০৯.২০২৩

দাওয়াত

ছবি
দাওয়াত ============ মোঃ রহমত আলী ============ চুলো তাই রোজ জ্বলছে জ্বলার , ধুলো রোজ তাই উড়ছে হাওয়ায়। পথ তাই চলছে পথিক রোজ চলার , ভাগ্যচক্র তাই রোজ ঘুরছে সময় , বাজার তাই সব চলে কেনাবেচা। বিলাপি আনন্দে খুশি খুঁজে কাহারা , বাজারের খবরে কারা যেন কাঁদে-রে , বেড়েছে দামে দশ গুণ কমেছে এক , এই বলে হিসাব হল বরাবর সাহেব। কারো চুলো জ্বলার ধোঁয়ায় , কারো চোখে বহে কান্নার জোয়ার , থেমে নেই তবু এগিয়ে চলা সময় সবার। চুলো জ্বলার তাই জ্বলছে রোজ , রান্না-ঘরে কাঁন্নার কে করে খোঁজ। উদ্যানে বসে ক্ষুধার উন্মাদনায় উদ্দাম , তারা অপেক্ষায় খাবার প্রতীক্ষায়। যখন ফুল চোরের গলায়- ফুলের-মালা , তখন মাছ ধরতে গিয়ে জেলে তারা ! এখন সবার মুখে হারানো চাবির তালা , জ্বলছে চুলো অনেকের তবু পেটে জ্বালা। তিন চাকায় ঘুরছে ভাগ্য চাচা , বছর-বছর হয়নি খাওয়া ইলিশ-ভাজা। অথচ রোজ সুবাস ছড়ায় রান্নার ঘ্রাণ , যার নসিবে যা তাই হবে তার খাওন । ০৫.০৯.২০২৩

অভিযোগ

ছবি
অভিযোগ ============ মোঃ রহমত আলী ============ এই তো লেখা,যা পড়ে না কেউ, খুশি হচ্ছে শুনে বোবা। এই তো আমি,যাকে চেনে না কেউ, তবে খুঁজছে কেন কানা। এই যে আপনি,তো খুব নামি-দামি, তবু নামে কেউ নেয় না তো দোয়া। এই যে ফকির,ভিক্ষা করে খায়, যার নাম বাদশাহ সবার মাথায়। এই সেই পাগল,দেয় শুধু গালি, তাই শুনে তারা যে খুব উল্লাসী। এই সেই শ্রমিক,পরিশ্রম করে অধিক যার মূল্যায়ন নাই তো ঠিক। এই যে এরা -তো সেই চাকর, যারা মনিবের মাথায় ভাঙ্গে পাথর। এই যে এরা -তো সেই কর্তা, যাহারা ঘুষ ছাড়া বলে না কথা। এই তো ডাক্তার,সবার মা-বাপ, রোগীর-রোগ টেস্ট ওষুধ এ শেষ। এই তো সার্ভিস,যেকোনো দালালের, কাজের আগে কাজ হতে হয়। এই যে শিক্ষক-শিক্ষার পাঠাগার, আজ গুরু সম্মান অর্থের পরিমাণ। এই যে চোর-বাটপার মনে করে বাহ্ ! আসলে এদের মনুষ্যত্বের অভাব, এই তো এই সব এই যা তা ॥ ০১.০৯.২০২৩

মুসাফির -

ছবি
মুসাফির - ============ মোঃ রহমত আলী ============ মুসাফির এইতো আমি, ফিরে যাবো ঠিকানায় ঠিক। গুনতে গুনতে শেষ,চল্লিশ বছরের দিন। মুসাফির জীবন চলার পথে, হয়ে ছিল কতই না কত মুশকিল। আগমন দুনিয়ায় চিৎকারে কান্নার শব্দে, চির বিদায় পৃথিবী থেকে, নীরব আঁখি জলের বহমান স্রোতে। মুসাফির আমরা তো সবাই পথিক, কারো মঞ্জিল আগে, তো কারো গন্তব্য অবধারিত পরে। মুসাফির আমরা এ জগতে, পরীক্ষার সম্মুখীন সর্বদা-ই পতিত। তাই হুশিয়ার মুসাফির, দুনিয়া তোমার মাত্র ক'দিনের ঠিকানা। এরই মাঝে করে নাও তুমি, দীন-দুনিয়ার বেঁচা-কেনা। আখেরি জামানার দিকে এই দুনিয়ার বহমান বাতাস, মুসাফির আমি ছেঁড়া থলিতে জমা করেছি কত সামান। যাবার সময় সব রেখে, নিয়ে গেলাম সাথে শুধু আমাল। এ জিন্দেগি-টা এক মেহমান, দাওয়াত শেষে বিদায় মুসাফির ॥ ২৬.০৮.২০২৩

অচল-পয়সা

ছবি
অচল-পয়সা ============ মোঃ রহমত আলী ============ বলে কে গরিব আছে, গরিবি তো মারা গেছে, জীবিত শুধু বড়লোক। ফকির কে আছে বলো, যে এক টাকা ভিখ নেয়, চার-আনায় কি আর ! খেয়া ঘাট পাড় হয়। দশ-পয়সা অচল তো নয়, চলে না তো এখন আর ! পঞ্চাশ পয়সার মুদ্রা। পাঁচ টাকার কয়েন বহনে অনীহা, না জানি পানিতে পড়ে যায় কখন। কাগজের নোট ছেঁড়াফাটা, ময়লা-ভেজা-নরম, চায় না নিতে কেউ ঘামে ভিজা বদন থাকে যখন। ব্যাংকগুলো ছেঁড়া টাকা দেয় বান্ডিলে,গ্রাহক দিলে জমা, নেয় না তো আর টেপ লাগানো রং মাখা কাটা নোট স্বল্প। গরিব আছে কে ? যে টাকা-র হবে মূল্য, দেখি এখন -কে ফকির-গরিব ! লয় না ঘুষ অর্থের মূল্য মূল্যহীন ॥ ২৫.০৮.২০২৩

উদাহরণ -

ছবি
উদাহরণ - ============ মোঃ রহমত আলী ============ নয় চেনে তবে ছয় চেনে না, অচেনার খবর রাখে যে, সে চেনাজানা কে -চেনে না। নতুন বন্ধু তো রোজ পাওয়া যায়, পুরাতন বন্ধুর খবর কি জানেন ! কার কাছে বসে কাঁদেন তোষামোদে, সে কি মনের খোঁজ-খবর জানে। দশের মাঝে দুশমন চেনা দুষ্কর, আদর্শবান ও কভু ভুলে যান সাক্ষ্য। মাল দেখে নেয় মানুষ স্বার্থের পক্ষ, ভান-ধরা এমন যেন জানেনা সত্য। আমন্ত্রণ জানানো হল চেনা সহ অচেনাকে -ও, তবে আপন জন হলো-না হাজির কিছু ভুলের আক্রোশে। যেমন বাংলায় চার ইংরেজিতে আট -এ হয়ে রয় মাঝে ভুল বোঝাবুঝি, অবকাশ নেই কারো নতুন করে আর। পাথর-টা যত শক্ত তত নরম, শুধু সময় রয় না এক-মতন। অজুহাতের খোঁচায় ভারাক্রান্ত মন, নির্ভুল কার ? চরণের হর কদম ! ভুলে যাবার চেয়ে মনে রাখাটা সহজ, যদি অতিথির মাঝে চুপ থাকা বন্ধুর, সমাদরের আদর অবহেলিত রয়, যেমন নয় আর ছয় এর উদাহরণ ॥ ২৩.০৮.২০২৩

নালিশ

ছবি
নালিশ ============ মোঃ রহমত আলী ============ নোনা জলে মিঠা মাছ ঘোলা জলে শিকার। মরুভূমির এক ফুলে সারা-জাহান সুবাস। চাবুকের শত আঘাতে মজলুমের এক ফুকার আল্লাহ আল্লাহ কবে হবে ইনসাফ। জুলুম করছে মানুষ দুর্বলের উপরে পাখি গুলো দেখে সব নালিশ করে আরশে আজিমে। মিঠা জলে আগুন আজ নামে মুসলিম-মুসলমান কাজে অমুসলিমের ভাগ। সুদ খেয়েও মসজিদে ঘুষ চেয়ে খেয়ে হাজি না জানি রব তায়ালা কার-কার থেকে রাজি। সালাতে দাখিল নাই আযান কানে রোজই খুন করে মানবতা কেমন মানবিক আজি। হালালের চেয়ে বেশি তারা হারামের পিছে দশ টাকায় ঈমান বেচে। ২২.০৮.২০২৩

উত্তরণ -

ছবি
উত্তরণ - ============ মোঃ রহমত আলী ============ অভিমানে মন আর মান করে না, অসহায় সব মেনে নেয়,অভিনয় করে না, সুখ নেই যার দুঃখ নিতে আসেন। অভিযোগ গুলো সব জমা কফিনে, অনুভূতির মানবতা-টা জ্বলে আগুনে, মারা গেল প্রজাপতি তিমির কাননে। বুকফাটা কান্না নেই কোনো কানুনে, কারো মাথার পাগড়ি হয়ে যায় কাফন। নির্ধারিত মৃত্যু হবেই সব হায়াতে আপন, কবর যেমন হোক না হয়ে যাবে দাফন। খাঁচার ভিতর আর এক খাঁচায় বন্দী প্রাণ, পাখি উড়ে গেলে খুঁজবে তারা প্রমাণ। অধিকারের প্রশ্নে লাঠি বোল দ্বারা দমন, অনুরোধে সাহায্যের অভিনব নিপীড়ন, হবে অবহেলিত উত্তরের আখেরি উত্তরণ। বিবর্ণ মানবতা-র আজ স্তব্ধ বিচরণ, দুনিয়াতে ঘুরপাক বোবার করুণ ক্রন্দনা, না জানি কার মনে চলছে কি বন্দনা। এ কেমন নিয়মনীতির পাশবিক আচরণ, পাষাণের বুকে লুকায়িত কত যে কারণ ! মান অপমান সবই তো অবধারিত লিখন, সময়ে-সময়ের ব্যবধানে ইতিহাস স্মরণ, সবার ব্যথাই চোট পাওয়ার একই ধরন, কে অনুধাবনে নেয় কার দুঃখের বিবরণ । ১৮.০৮.২০২৩

সাত-সত্য

ছবি
সাত-সত্য ============ মোঃ রহমত আলী ============ সত্যের বাণী শুনে মিথ্যা হাসে, মিথ্যার ফাঁদে সত্য যায় ফেঁসে। সত্যের কারবারী করে মিথ্যার দরবারী, বড় কথায় মিথ্যুকের,ছোট হয় সত্যবাদী, নিয়ে কিছু আজ শিক্ষনীয় শিক্ষা। মিথ্যা বলে-বলে খয়রাত চায়, মজলুম ভিখারী ভিক্ষা নাহি পায়। সত্যের অসুবিধায়,মিথ্যার সুবিধা, ঘটনার আড়ালে সত্য রয়ে যায়।  মিথ্যা দ্রুতগতিতে রটে রটে আগায়, সত্য যে সৎ তাই ছুঁতে ছুঁতে ও ছোয় না তো সহজে কেউ আর। অধরায় সত্য,ধরা খায় মিথ্যা, হকনা যতই তার বুনিয়াদ পোক্তা। সত্যের সন্ধানে সত্য হারিয়ে, চলছে সাত-সত্যের অনুসন্ধান, শত মিথ্যার মাঝে লুকায়িত, এক বিন্দু সত্যের আলো-টাই যথেষ্ট। এই তো তোমাদের লক্ষ মিথ্যার ভেতরে, এক যে সত্য ঢাকা পরেছে দুর্গন্ধে ! তা অনুভব করেছেন সে কে ? মিথ্যা সে তো সর্বদাই মৃত,আর সত্য, সে যে হরহামেশাই জীবিত,তাই মিথ্যাবাদী সত্যের নিশান খুঁজিতে ব্যর্থ । ১৫.০৮.২০২৩

নিয়ম নীতি -

ছবি
নিয়ম নীতি - ============ মোঃ রহমত আলী ============ অনিয়মই এখন নিয়মে পরিণত , নিয়ম চোখে আর দেখে না তো। সেবার নামে অসুবিধায় সেবাকারী , বাস্তবে এখন সুবিধার বেপারী। বিশ টাকার মূল্য দুশো পেরিয়ে পাঁচশো , হাজার টাকা ঘুষের লাখ টাকা তুল্য। নিয়ম কানুন সোনার হরিণ , ধরার আগেই উড়ে যায় ফড়িং , সর্ব সাধারণের অপরূপ রূপ , নিরুপায় মোরা যাত্রী পথিক। অচিরেই সবাই ইনসাফের সম্মুখীন , জবাব দিতে আমলের দিন দিন। আইনের নিয়মে নিয়মিত অন্যায় , ন্যায় বিচারক লজ্জায় ঘুমায়। নিয়ম নামের মনগড়া যত সব অনিয়মের ফাঁদের বালাই , লুটে খাচ্ছে লোকের হালাল কামাই। অনিয়ম-টাই যদি নিয়মিত নিয়ম হয় , আইনের খাতায় লাল-কালির নীতির , তবে কি আর মূল্য লিখিত রয় ! সহজ নীতি জটিল খাঁচায় বন্দী , উদ্ভট নিয়ম প্রীতিতে যত-শত ফন্দি। আওয়াজ তুলে নিয়ম-নীতির , বিপদে পতিত গাধা,উটের লাথি ॥ ০৮.০৮.২০২৩

মায়াজাল -

ছবি
মায়াজাল - ============ মোঃ রহমত আলী ============ রাত কালো হলেও সকাল আলো হবে, ব্যথার পরেও সান্তনা যন্ত্রনা শইয়ে দিবে। কাতর আলিঙ্গনের সহানূভবের অনুভবে, হৃদয়ের আবেগি বনবাসের অভিমানে, আজীবন ভেঙ্গে যাওয়া মনের উচ্ছাস, আবার নতুন করে নতুন স্বপ্ন দেখা যাক। নিরাশাতে এক আশা খুঁজে পাওয়া যায়, যদি তার আঁধারের সন্ধান জানা থাকে ! তবেই তো আলোর অনুসন্ধান হয়ে যাবে। কালোর মাঝে এক আলো আছে ভালো, অনেকের নজরে তা মনে হয় শুধু কালো, তাই আলোর জন্যই আঁধার কাটলো। কালো রাত বিদায়,কবে আলোর সকাল, জানিনা কপালে লেখা,কি হবে পরকাল। রাতের অঘটনের কালো আলোর বর্ণনা, দিনের বেলায় হয়ে যায় মেঘের পূর্ণিমা। জীবনে একটু ভালো আলোর জীবিকায়, অন্ধকারেই ছুটছে আশা-ভরসার কদম। সাত-সত্য আলো পাশ কাটিয়ে,উন্মাদ সে আলেয়া-র কালো আঁচল ছায়ার পিছে। সর্বনাশা চাহিদার কালো চোখের মায়ায়, ভুলটাই যে সঠিক মনে করছে তাই তারা। রাত যতই গভীর অন্ধকারে নিমজ্জিত,  ভরের আলো সন্নিকটে ভূমিষ্ঠ পুলকিত। ০৬.০৮.২০২৩

হাসি খুশি সুখী

ছবি
হাসি খুশি সুখী ============ মোঃ রহমত আলী ============ কে এই সুখী এ -তো নাম শুধু শুনি সে যে চিরদুঃখী তবে নাম তার সুখী। কে এই হাসি এ -যে শুধুই কাঁদে মুখে বিষ ফুল তবু নাম তার হাসি। কে এই খুশি নিজেরটাই বেশি বুঝি এ -সে মনের খুশি নাম তার তো খুশি । ০৫.০৮.২০২৩

পাগলা-বাউল

ছবি
পাগলা-বাউল ============ মোঃ রহমত আলী ============ বাউল মন পাগল হয়ে গেলো, পাগল মন হলো রে বাউল। মনের ভিতর যে প্রাণ -তার যে পরান, সে ও জানে-না কোথায় জানের জান। গোলকধাঁধায় পরিবেশ বহাল, সঙ্গ দোষে ভালো মানুষ হয়রান। পাগল চেনা সহজ তো নয়, পথেই হচ্ছে কত জীবন যে ক্ষয়। দয়ার সাগরে কোথায় ঢেউ, হাত বাড়িয়ে মদত করবে যে কেউ। পাগল বসা আজও এক পাল্লায়, আরেক পাল্লায় দুনিয়ার মৌ। বাউলা মনে যে প্রাণ আছে, পাগলা মনেরও এক পরান। জানতে চায় -কে পাগলের খবর, কোথায় আছে পাগলার জান। অমাবস্যা আর পূর্ণিমার তুফান, পাগলা-বাউল এর সব সমান। কাঁদছে পাগল কিন্তু কেন ? মনের সুখে লোকালয়ে মুখ লুকিয়ে ! হাসছে আবার বাউল দুঃখে, মনের জঙ্গলে প্রাণের সুর তুলে। পাগলা চেনে যেমন পাগল, বাউলা চেনে তেমন বাউল, আমরা সভ্য বুঝিনা শব্দ জানি শুধু মূল্য। ০৪.০৮.২০২৩

আফসোস

ছবি
আফসোস ============ মোঃ রহমত আলী ============ তাকে দেখার সাধ আছে, তবে আহ্লাদ করতে পারিনা। অসহায় মন -মনের আঙিনাতে, তবু দুয়ার খুলতে যে চাইনা। প্রিয়জনের ছিল কি আর ? বেদনা দেওয়ার প্রয়োজন। আয়োজন যাকে ধরে বিস্তীর্ণ, সেই তিরস্কার করে হয় ধন্য। যাকে দেখে চোখ,চায়-না দেখতে, তবু মনের কোনায় একটু তৃষা। মনের বিচুর্ন বন্ধনের করুণায় আজও জীবিত বিন্দুমাত্র আশা। তাকে দেখেও অধরা-য় সাধন, ভেঙ্গে ছিল যে রক্তের বাঁধন। যার ছায়া বন্ধুগুলো তারই শত্রু, দূর করে দিলো তার রক্তের বন্ধু। আফসোস আলোতে তার অন্ধ হবার, সুঘ্রাণ পরিশ্রমে নেই এখনও যার। বিলাসী অভিলাষে তার চেতনা, পিষে যায় পদতলে আপন সম্বন্ধ। যাকে চেনার পরেও অচেনা-ই থাকা, জানলেও তার পরিচয় অজানা। শুধুমাত্র আফসোস-টাই আবদ্ধ, চাইলেও আর হয় না -হবেও না, পুরাতন ঘাটে নতুন বসতি গড়া । ২৮.০৭.২০২৩

লাজুক লজ্জা

ছবি
লাজুক লজ্জা ============ মোঃ রহমত আলী ============ পেটে আছে তার বহুত ভুখ, খোলে-না তো সে লাজে মুখ। বোঝে যদি কেউ দেখে রূপ, পুছে তাকে ওহে কেন চুপ। লজ্জায় চোখ ভরা জল, সংকোচবোধ তবে কিছু বল। আকাশের পানে মুখ তুলে, দুহাত পেতে মাগে দয়ার ভিখ। পাতে না তো লাজে হাত, জনে-জনের দুয়ারে আর। কেউ যদি খুঁজে তাকে, দেয় তুলে হাতে তবে -তা নেয়। মুখে আছে তার সুখ-সুখ, ক্ষুধায় জিকির খোদার খুব-খুব, পেটে বাঁধিলো লাজুক পাথর, লজ্জায় লজ্জিত হয়ে খুদ। কেউ কিছু দিয়ে যায়, তো কেউ দিতে-দিতে দুঃখ, সুখ যে আবার নিয়ে যায়। নাজুক হাত পেতে কি আশায়, লাজুক মুখ যার চুপ রয়। দারিদ্রের ছাপ পোশাকে তার, মুখে মৃদু আনন্দের-উল্লাস, চায় না খুলে তো মুখ ফুটে খোরাক ! ২১.০৭.২০২৩

কি এ জীবন -

ছবি
কি এ জীবন - ============ মোঃ রহমত আলী ============ কি এ আমাদের মানব জীবন, আজও ঠিক বুঝা হলো না। এ জীবন কি কোন রাতের শিশীরে ভেজা ঘাস। নাকি মাঝ দরিয়ায় কোন ডুবন্ত কিস্তি। এই নয়তো তবে আর কি ? এ মানব প্রাণ যার নাম জীবন। কখনো আবার মনে হয়, আমার এ জীবন যেন, কোন মরুভূমি প্রান্তরের খুবই পরিশ্রান্ত ক্লান্ত এক উট। নয়তো আবার বুঝি ! এক বৃক্ষ যে এক পায়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে আকাশ পানে নয়ন মেলি। এছাড়া আর কি হতে পারে, এ জীবন মানে- যা একবার শুরু হয়ে চিরতরে শেষ হয়ে যায়। কি এ জীবন ? কিভাবে শুরু আর কোথায় গিয়ে-ই বা শেষ। মরণ কি এর শেষ ঠিকানা ! নাকি মরণের পরেও আর কিছু আছে এ জীবনের। তবে কি ? কি ? মনে হয় আমার এ মানব জীবন, যেন একরাশ কালো মেঘ, যার আসল সীমান্ত ঐ আকাশ। কি এ জীবন ? সংগ্রামী কোন মিছিল, নাকি ! ভালোবাসায় ভরা এক উড়ন্ত চিল। না আবার চিতায় পুড়া ছাই, এই নয়-তো তবে কি এ জীবন ? এ জীবন কি ! জ্বলন্ত কোন চিরাগ, না জমানো এক বরফ টুকরা, যা নিমিষেই গলে-গলে হয়ে যায় জল। নাকি কারো রিস্তায়-বন্দি এক কাক, এ মোদের মানব জীবন। এ মানব জীবন কি ! অতীতের শুধু রাশি রাশি স্মৃতি, নাকি ভবিতব্যের কোনো এক স্বপ্ন। না আবা

ফলাফল -

ছবি
ফলাফল - ============ মোঃ রহমত আলী ============ যা নেই তাই খুঁজি, পাই যা ফেলে রাখি, মন এক উড়ন্ত পাখি, বহমান ধারায় আঁখি, ঝাপ মারে জলন্ত আগুনে। যা হারায় তা পেতে চাই, যে পালায় ধরতে দৌড়াই, আর চিনে রাখি ঠকবাজ। যা চাই তা তো নাই, আছে যা পচা-বাসি তাই, তাও পাওয়া সাধের বড়াই। ভাবভঙ্গিতে সৎ সৎ উদার চোরের দান-খয়রাত। যা আছে হারিয়ে মিটে-যাবার, যে পরান সেই মারে জান, যার তার প্রেমে মর্জি না হয়। যে চেনে না চিনেও যারে, যা অজানা তাই জেনেশুনে, থামে না যে মন তবু থামা। যা জানি হালাতে তাবিয়াত, আষাঢ়ের আগে শাওন-ধারা, যেমন মনের খোরাক মেরে, মনকে জিন্দা মাত্র রাখা। যা ভেস্তে গেলো কর্মফলে, যে সব ধ্যানের অবহেলায়, ফলাফল আর দুহাতে যা !! ১৬.০৭.২০২৩

সাধন -

ছবি
সাধন - ============ মোঃ রহমত আলী ============ হাতে সবার রেখা আছে, সবার ভাগ্যে লেখা আছে। দুঃখ কষ্ট সবার সাথে আছে, সুখ সবার দেখা আছে। সবার মুখেই কথা আছে, বোবার ভাষা জানা আছে। সাধুর ধ্যানে ক্ষুধা আছে,  চোরের ধর্মে চুরি আছে। সবার সাধন সুখ আছে, সুখেও দুঃখের হিস্যা আছে। সবার চোখে সওয়াল আছে, জবাবে অবাক কিসসা আছে। সবার স্বার্থে কিছু কিন্তু আছে, মায়ের নিঃস্বার্থ মন আছে। হিসাব-দিবস অপেক্ষায় আছে, জালিমের দিন শেষ আছে, প্রদীপের নিচে আঁধার আছে, আলোর সন্ধানে কেউ আছে। সবার পায়ে শিকল আছে, জেগে স্বপ্ন দেখার সাধ্য আছে। অসম্ভবে সার্থকতা আছে, দুর্বলের ও এক শক্তি আছে। সবার কাঁধে বোঝা আছে, অকার্যে ও কার্যকর আছে, সত্যের জয় নিশ্চয় আছে । ১৫.০৭.২০২৩

নাম-বদনাম

ছবি
নাম-বদনাম ============ মোঃ রহমত আলী ============ এতটুকুই হল সুনাম,বাকি সব বদনাম, কেন করো ভাই তার দুর্নাম, তোমার মুখে হতে পারেনা সুনাম। মনটা যে আজ হলো খারাপ, নিরীহ মানুষের শুনে শত বদনাম। সব কাজেই হয় কে বলো ভালো, নাম আছে যার বদনাম ও হবে তার। শূন্য থেকে দশ সংখ্যা গুনে দেখো, প্রথম আর শেষ মিল করে চলো। পরের বদনামে হারায় নিজের নাম, করে দেখো কারো সত্য গুনোগান, বেড়ে যাবে বহুত গুন তোমার মান। এইটুকু ভুলচুক না পারো যদি সইতে, তবে তোমার দোষ ত্রুটি কি লুকাইবে ? এক নাও ভিড়ে দশ ঘাটে, তবে ঘাট গুলো তো বহু রকমের বটে ! বুঝে শুনে চুপ,দেখে-দেখে না দেখে, দুর্নাম রটে কভু যা সুনাম হয়ে ফেরে। কুনাম ছড়াও যারা যার তার হয়ে, নিজ কর্মে-ও তাকাও আয়না লয়ে। সত্যের বেশ নামে-নামে বদনাম রটে, মিথ্যার তো সব-শেষ একদিনে কাম। পরনিন্দায় যে রোজ থাকে বিভোর, সে নিজেই-নিজের নামে-কামে লীন ॥ ০৫.০৭.২০২৩

উজাড়

ছবি
উজাড় ============ মোঃ রহমত আলী ============ চলতে থাকি ক্লান্ত হলে দৌড়াতে চাই, মায়া হারিয়ে মমতার খোঁজ চালাই। স্বার্থের আড়ালে নিঃস্বার্থের ভান ধরে, ভ্রান্ত মনের শান্ত আবহাওয়ার সন্ধানে, ব্যর্থ বাধ্য বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে হই উজাড়। মায়া লুটে ফকিরের ছেঁড়া ঝোলা হতে, পাথর কুড়িয়ে মহলের ভিতরে যে পাহাড়, যদি বন্টন হতো তা সবার তরে সমান। চুপ কেন সাধুর ভুখা মুখরিত পঞ্চমুখ, ধূসর হাসিতে লুকায়িত আধ্যাত্মিক সুখ। কাঙ্খিত দুঃখ খুঁজি প্রাপ্য আমার যা,তাই পেয়ে যাই যেনোতেনো মৃত সুখের মায়ায়। দৌড়ে যাই ক্লান্ত হয়ে তাই চলতে থাকি, চলাচলের মাঝে যেথায় দেখেছি যা কিছু, শিক্ষার অভাবে হেথায় শিখেছি সব দেখি, তবু বদলায় না স্বভাব ভাঙ্গা স্বপ্ন দেখার। যাযাবর এ জনম আর হবে না জোয়ান, অভিমান গুলো সব শেষ পুঁজি আমরণ। অন্ধের কান্দনে বোবা দেয় মজুত সান্তনা, বধিরের শুনা কথায় পঙ্গু আজ মানবতা। বোঝা গুলো ভার শূন্য তুলা বড় দায়, পঁচেযাওয়া সহানুভূতি আজও তুলনাহীন। অমূল্য সময়ের চঞ্চল গতি জীবনে সবার, ধরতে পারলেই বিন্দু সেই উত্তম মানবিক। ০৩.০৭.২০২৩

জুয়া খেলার খেলা

ছবি
জুয়া খেলার খেলা ============= মোঃ রহমত আলী ============= জীবনটা এক জুয়া খেলা, আর জোয়ারের মতই এ জীবন ভাটায় ভেসে চলা। কখনো জিতের বেলায় ভাঙ্গনের লীলা, কখনো আবার গড়ার বেলায় বন্ধুর বেঈমানিতে হেরে যাওয়া। এক জীবন নামের জুয়ার আসরে জয় যার,পরাজয় মেনে নিয়ে যে, মেহেরবানী করে যায় শুধুই বারবার। জীবন জুয়ার পাতিতে যে রানীর নাম লেখা শুধুই একবার, সেই হারের বেলায়- জয়ের নামে করে তাই হায় হায় ! জুয়ার জালের মতই কেউ এ জোয়ানীতে ফেঁসে জ্বলে আর জ্বলে, জয়ের খুবই কাছাকাছি গিয়ে। তাই এ জীবন তরী ভেসে চলে, কখনো-কখনো এ ঘাটে ও ঘাটে, অসহায় ভাবে একটাই এক এক অধিকারে একটু-একটু বঞ্চিত হয়ে। আমার বেলায় এ জীবন জালিয়াতির খেলা,তাই জুয়ার ছলে-ছলে হারের বেলায়, জিততে ছিনিয়ে আনা। জুয়ার জালিয়াতিতে জবেহ করা হলো সত্য এক সত্যের প্রতীক কে তাই পাথর আঁখিতে রাতেই সূর্য উদয়। ২৭.১০.২০০৭

তারপর

ছবি
তারপর  ============ মোঃ রহমত আলী ============ তারপর জানলাম অজানা অনেক সত্য, তারপর ভুলে গেলাম জানাশুনা বহু তথ্য, তারপর অপমানিত হয়েও মনোবল শক্ত, তারপর এগিয়ে যেতে চায় মনের আগ্রহ, তারপর ক্ষত কত শত মুসকিল পেরিয়ে। অতঃপর ঘুরেফিরে হাত খালি শূন্য, এরপর হঠাৎ মেহমান ঘরে এসে পূর্ণ, তারপর বাকির খাতা ভরে পরিপূর্ণ, অতঃপর ঠনঠন হাঁড়ি চুলায় জ্বলছে, তারপর বিদায় ইজ্জত হয়ে কুদরত। অনন্তর চেষ্টায় যদি কিছু শিখতে পারি, এরপর হেরে গিয়েও তো জিততে চাই, তারপর নিজের সাথে নিজেই কথা বলি, অতঃপর সুখের বাজারে বেচাকেনা সুখ, এরপর যদি দুঃখ বেচা যেত কোন হাটে। তারপর সংসারে টানটান সুখের অভাব, তারপর পরম বন্ধুর শত্রুতামূলক স্বভাব, তারপর নতুন এর পরিচয়ে অতৃপ্ত স্বাদ, তারপর সুখ আর দুখের গমন আগমন, তারপরও বেঁচে থাকা দায় এ একজনম। ২৬.০৬.২০২৩

প্রিয়া হারা প্রিয়

ছবি
প্রিয়া হারা প্রিয় ============ মোঃ রহমত আলী ============ মনের গভীরে লুকানো, গোপন বেদনার অনলে ছাই ভালোবাসার সাধনা। অভিমানে নাহি চাই আর, নাশিলি চোখের সারাব। খুবসুরাত গোলাপে ছুপা, খুশবুতে ছলনার আভাস। পরানের মাঝে আছে একা গচ্ছিত প্রেম আজ পচা। নতমুখে অন্তিম ক্ষণে আজও ধোঁকার ধুপ-ছায়াতেই ভুগী, তপস্যার প্রেমে গোধূলিলগনে। আগুন জ্বলে কেন জলে, ফাগুন চলে গেলে পরে। প্রিয়া হারা আনন্দে কাঁদে, একা অন্তরে প্রেমের বাসনা। যাতনা স্মৃতির যতনে হাসে, অতীত সুখের নিখোঁজ-খোঁজে। পাগলের তকমায় প্রেমিক মন, শ্রাবণের কান্না বসন্তে যখন। আমি ও আমার পাগল মন, দেখে না আর প্রেমের স্বপন। গোলাপ দুঃখে কাহিল এমন, প্রিয়া হারা প্রিয় অবুঝ পাগল । ২৫.০৬.২০২৩

নির্বাক

ছবি
নির্বাক ======= মোঃ রহমত আলী ============ নির্বাক হয়ে দেখি আমি আজ, সমাজের অদ্ভুত রীতিনীতি। চোরের গলায় ফুলের মালা, চিকিৎসকদের ব্যবসায়িক খেলা। আর দালালদের দরদের লীলা, সিপাহীর ঝিমধরা চৌকিদারী। নতুন রেওয়াজ ঘুষ নেওয়ার, মন না চাইলেও নিরুপায় দেওয়ার। যৌতুক বলে বরের উপহার, চাহে কনের বাবা ভিক্ষুক হয়ে যান। যতই পোক্ত নিয়ম কানুন বহাল, টিকিট ছাড়াই উৎকোচ দিয়ে বাড়ি যান। নির্বাক আমি দেখে নির্মম সভ্যতা, ব্যবসায়ীদের মুখ অজগরের মতো হা। এখন সম্মান বেশি সেই পায়, যে জুলুমের সীমা পেরিয়ে যায়। বকশিশ হল সভ্য নাম ঘুষের, পার হতে পুল চাঁদা নেয় বারবার যতো। অবাক রূপে সজ্জিত আছে সেজে, শহরের জীবন জীবিকার বিলাস, দরিদ্র অনেকের মনে আবার, কম নেই যেন রাজা-মহারাজা ভাব। বিলাপ শুধুই সৎ জনের বোবা কণ্ঠে, গোঙানো শব্দের নির্বাক আওয়াজ । ২৩.০৬.২০২৩

আঁচড় -

ছবি
আঁচড় - ============ মোঃ রহমত আলী ============ এই তো চাঁদ কিন্তু একটাই, তাই পাগলের অভাব নাই। পার্থক্য বুঝি সব তুলনায়, শূন্য হাতের মূল্য যে ছাই। পাওয়া না পাওয়ার হতাশায়, বেদনা গুনতে ভুলে যাই। ফুলের আঁচড়ে শক্ত হিয়া ভাঙে, কাঁটার মাঝে ফুল ফুটে থাকে। চাঁদের পানে সবাই চেয়ে আছে, ক্ষনিকের মেঘে ধৈর্য হারিয়ে। সোজা পথের ভাগ্য জটিল, উল্টো চললে মঞ্জিল কঠিন। এই তো সূর্য কিন্তু একটাই, তবে নক্ষত্র সব দূরে দূরে তার। সিক্ত আঁখি শুকায় সময়ের উত্তরে, তারকা গুনতে কত চোখ রাখে। বালাই গুলো অন্তরে পোষা, কানার পিছু পথ চলতে থাকা। সুন্দরের পূজারী যে সবাই, অসুন্দর ও চায় ভালোবাসা। জেনেশুনে সব মিলে চলছে, ফুটন্ত ফুলে পাখির গুনগুন। রাতের ইন্তেজার সকালের, সকাল খোঁজে সাথী রাতের । ২১.০৬.২০২৩