পোস্টগুলি

সাত-সত্য

ছবি
সাত-সত্য ============ মোঃ রহমত আলী ============ সত্যের বাণী শুনে মিথ্যা হাসে, মিথ্যার ফাঁদে সত্য যায় ফেঁসে। সত্যের কারবারী করে মিথ্যার দরবারী, বড় কথায় মিথ্যুকের,ছোট হয় সত্যবাদী, নিয়ে কিছু আজ শিক্ষনীয় শিক্ষা। মিথ্যা বলে-বলে খয়রাত চায়, মজলুম ভিখারী ভিক্ষা নাহি পায়। সত্যের অসুবিধায়,মিথ্যার সুবিধা, ঘটনার আড়ালে সত্য রয়ে যায়।  মিথ্যা দ্রুতগতিতে রটে রটে আগায়, সত্য যে সৎ তাই ছুঁতে ছুঁতে ও ছোয় না তো সহজে কেউ আর। অধরায় সত্য,ধরা খায় মিথ্যা, হকনা যতই তার বুনিয়াদ পোক্তা। সত্যের সন্ধানে সত্য হারিয়ে, চলছে সাত-সত্যের অনুসন্ধান, শত মিথ্যার মাঝে লুকায়িত, এক বিন্দু সত্যের আলো-টাই যথেষ্ট। এই তো তোমাদের লক্ষ মিথ্যার ভেতরে, এক যে সত্য ঢাকা পরেছে দুর্গন্ধে ! তা অনুভব করেছেন সে কে ? মিথ্যা সে তো সর্বদাই মৃত,আর সত্য, সে যে হরহামেশাই জীবিত,তাই মিথ্যাবাদী সত্যের নিশান খুঁজিতে ব্যর্থ । ১৫.০৮.২০২৩

নিয়ম নীতি -

ছবি
নিয়ম নীতি - ============ মোঃ রহমত আলী ============ অনিয়মই এখন নিয়মে পরিণত , নিয়ম চোখে আর দেখে না তো। সেবার নামে অসুবিধায় সেবাকারী , বাস্তবে এখন সুবিধার বেপারী। বিশ টাকার মূল্য দুশো পেরিয়ে পাঁচশো , হাজার টাকা ঘুষের লাখ টাকা তুল্য। নিয়ম কানুন সোনার হরিণ , ধরার আগেই উড়ে যায় ফড়িং , সর্ব সাধারণের অপরূপ রূপ , নিরুপায় মোরা যাত্রী পথিক। অচিরেই সবাই ইনসাফের সম্মুখীন , জবাব দিতে আমলের দিন দিন। আইনের নিয়মে নিয়মিত অন্যায় , ন্যায় বিচারক লজ্জায় ঘুমায়। নিয়ম নামের মনগড়া যত সব অনিয়মের ফাঁদের বালাই , লুটে খাচ্ছে লোকের হালাল কামাই। অনিয়ম-টাই যদি নিয়মিত নিয়ম হয় , আইনের খাতায় লাল-কালির নীতির , তবে কি আর মূল্য লিখিত রয় ! সহজ নীতি জটিল খাঁচায় বন্দী , উদ্ভট নিয়ম প্রীতিতে যত-শত ফন্দি। আওয়াজ তুলে নিয়ম-নীতির , বিপদে পতিত গাধা,উটের লাথি ॥ ০৮.০৮.২০২৩

মায়াজাল -

ছবি
মায়াজাল - ============ মোঃ রহমত আলী ============ রাত কালো হলেও সকাল আলো হবে, ব্যথার পরেও সান্তনা যন্ত্রনা শইয়ে দিবে। কাতর আলিঙ্গনের সহানূভবের অনুভবে, হৃদয়ের আবেগি বনবাসের অভিমানে, আজীবন ভেঙ্গে যাওয়া মনের উচ্ছাস, আবার নতুন করে নতুন স্বপ্ন দেখা যাক। নিরাশাতে এক আশা খুঁজে পাওয়া যায়, যদি তার আঁধারের সন্ধান জানা থাকে ! তবেই তো আলোর অনুসন্ধান হয়ে যাবে। কালোর মাঝে এক আলো আছে ভালো, অনেকের নজরে তা মনে হয় শুধু কালো, তাই আলোর জন্যই আঁধার কাটলো। কালো রাত বিদায়,কবে আলোর সকাল, জানিনা কপালে লেখা,কি হবে পরকাল। রাতের অঘটনের কালো আলোর বর্ণনা, দিনের বেলায় হয়ে যায় মেঘের পূর্ণিমা। জীবনে একটু ভালো আলোর জীবিকায়, অন্ধকারেই ছুটছে আশা-ভরসার কদম। সাত-সত্য আলো পাশ কাটিয়ে,উন্মাদ সে আলেয়া-র কালো আঁচল ছায়ার পিছে। সর্বনাশা চাহিদার কালো চোখের মায়ায়, ভুলটাই যে সঠিক মনে করছে তাই তারা। রাত যতই গভীর অন্ধকারে নিমজ্জিত,  ভরের আলো সন্নিকটে ভূমিষ্ঠ পুলকিত। ০৬.০৮.২০২৩

হাসি খুশি সুখী

ছবি
হাসি খুশি সুখী ============ মোঃ রহমত আলী ============ কে এই সুখী এ -তো নাম শুধু শুনি সে যে চিরদুঃখী তবে নাম তার সুখী। কে এই হাসি এ -যে শুধুই কাঁদে মুখে বিষ ফুল তবু নাম তার হাসি। কে এই খুশি নিজেরটাই বেশি বুঝি এ -সে মনের খুশি নাম তার তো খুশি । ০৫.০৮.২০২৩

পাগলা-বাউল

ছবি
পাগলা-বাউল ============ মোঃ রহমত আলী ============ বাউল মন পাগল হয়ে গেলো, পাগল মন হলো রে বাউল। মনের ভিতর যে প্রাণ -তার যে পরান, সে ও জানে-না কোথায় জানের জান। গোলকধাঁধায় পরিবেশ বহাল, সঙ্গ দোষে ভালো মানুষ হয়রান। পাগল চেনা সহজ তো নয়, পথেই হচ্ছে কত জীবন যে ক্ষয়। দয়ার সাগরে কোথায় ঢেউ, হাত বাড়িয়ে মদত করবে যে কেউ। পাগল বসা আজও এক পাল্লায়, আরেক পাল্লায় দুনিয়ার মৌ। বাউলা মনে যে প্রাণ আছে, পাগলা মনেরও এক পরান। জানতে চায় -কে পাগলের খবর, কোথায় আছে পাগলার জান। অমাবস্যা আর পূর্ণিমার তুফান, পাগলা-বাউল এর সব সমান। কাঁদছে পাগল কিন্তু কেন ? মনের সুখে লোকালয়ে মুখ লুকিয়ে ! হাসছে আবার বাউল দুঃখে, মনের জঙ্গলে প্রাণের সুর তুলে। পাগলা চেনে যেমন পাগল, বাউলা চেনে তেমন বাউল, আমরা সভ্য বুঝিনা শব্দ জানি শুধু মূল্য। ০৪.০৮.২০২৩

আফসোস

ছবি
আফসোস ============ মোঃ রহমত আলী ============ তাকে দেখার সাধ আছে, তবে আহ্লাদ করতে পারিনা। অসহায় মন -মনের আঙিনাতে, তবু দুয়ার খুলতে যে চাইনা। প্রিয়জনের ছিল কি আর ? বেদনা দেওয়ার প্রয়োজন। আয়োজন যাকে ধরে বিস্তীর্ণ, সেই তিরস্কার করে হয় ধন্য। যাকে দেখে চোখ,চায়-না দেখতে, তবু মনের কোনায় একটু তৃষা। মনের বিচুর্ন বন্ধনের করুণায় আজও জীবিত বিন্দুমাত্র আশা। তাকে দেখেও অধরা-য় সাধন, ভেঙ্গে ছিল যে রক্তের বাঁধন। যার ছায়া বন্ধুগুলো তারই শত্রু, দূর করে দিলো তার রক্তের বন্ধু। আফসোস আলোতে তার অন্ধ হবার, সুঘ্রাণ পরিশ্রমে নেই এখনও যার। বিলাসী অভিলাষে তার চেতনা, পিষে যায় পদতলে আপন সম্বন্ধ। যাকে চেনার পরেও অচেনা-ই থাকা, জানলেও তার পরিচয় অজানা। শুধুমাত্র আফসোস-টাই আবদ্ধ, চাইলেও আর হয় না -হবেও না, পুরাতন ঘাটে নতুন বসতি গড়া । ২৮.০৭.২০২৩

লাজুক লজ্জা

ছবি
লাজুক লজ্জা ============ মোঃ রহমত আলী ============ পেটে আছে তার বহুত ভুখ, খোলে-না তো সে লাজে মুখ। বোঝে যদি কেউ দেখে রূপ, পুছে তাকে ওহে কেন চুপ। লজ্জায় চোখ ভরা জল, সংকোচবোধ তবে কিছু বল। আকাশের পানে মুখ তুলে, দুহাত পেতে মাগে দয়ার ভিখ। পাতে না তো লাজে হাত, জনে-জনের দুয়ারে আর। কেউ যদি খুঁজে তাকে, দেয় তুলে হাতে তবে -তা নেয়। মুখে আছে তার সুখ-সুখ, ক্ষুধায় জিকির খোদার খুব-খুব, পেটে বাঁধিলো লাজুক পাথর, লজ্জায় লজ্জিত হয়ে খুদ। কেউ কিছু দিয়ে যায়, তো কেউ দিতে-দিতে দুঃখ, সুখ যে আবার নিয়ে যায়। নাজুক হাত পেতে কি আশায়, লাজুক মুখ যার চুপ রয়। দারিদ্রের ছাপ পোশাকে তার, মুখে মৃদু আনন্দের-উল্লাস, চায় না খুলে তো মুখ ফুটে খোরাক ! ২১.০৭.২০২৩

কি এ জীবন -

ছবি
কি এ জীবন - ============ মোঃ রহমত আলী ============ কি এ আমাদের মানব জীবন, আজও ঠিক বুঝা হলো না। এ জীবন কি কোন রাতের শিশীরে ভেজা ঘাস। নাকি মাঝ দরিয়ায় কোন ডুবন্ত কিস্তি। এই নয়তো তবে আর কি ? এ মানব প্রাণ যার নাম জীবন। কখনো আবার মনে হয়, আমার এ জীবন যেন, কোন মরুভূমি প্রান্তরের খুবই পরিশ্রান্ত ক্লান্ত এক উট। নয়তো আবার বুঝি ! এক বৃক্ষ যে এক পায়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে আকাশ পানে নয়ন মেলি। এছাড়া আর কি হতে পারে, এ জীবন মানে- যা একবার শুরু হয়ে চিরতরে শেষ হয়ে যায়। কি এ জীবন ? কিভাবে শুরু আর কোথায় গিয়ে-ই বা শেষ। মরণ কি এর শেষ ঠিকানা ! নাকি মরণের পরেও আর কিছু আছে এ জীবনের। তবে কি ? কি ? মনে হয় আমার এ মানব জীবন, যেন একরাশ কালো মেঘ, যার আসল সীমান্ত ঐ আকাশ। কি এ জীবন ? সংগ্রামী কোন মিছিল, নাকি ! ভালোবাসায় ভরা এক উড়ন্ত চিল। না আবার চিতায় পুড়া ছাই, এই নয়-তো তবে কি এ জীবন ? এ জীবন কি ! জ্বলন্ত কোন চিরাগ, না জমানো এক বরফ টুকরা, যা নিমিষেই গলে-গলে হয়ে যায় জল। নাকি কারো রিস্তায়-বন্দি এক কাক, এ মোদের মানব জীবন। এ মানব জীবন কি ! অতীতের শুধু রাশি রাশি স্মৃতি, নাকি ভবিতব্যের কোনো এক স্বপ্ন। না আবা

ফলাফল -

ছবি
ফলাফল - ============ মোঃ রহমত আলী ============ যা নেই তাই খুঁজি, পাই যা ফেলে রাখি, মন এক উড়ন্ত পাখি, বহমান ধারায় আঁখি, ঝাপ মারে জলন্ত আগুনে। যা হারায় তা পেতে চাই, যে পালায় ধরতে দৌড়াই, আর চিনে রাখি ঠকবাজ। যা চাই তা তো নাই, আছে যা পচা-বাসি তাই, তাও পাওয়া সাধের বড়াই। ভাবভঙ্গিতে সৎ সৎ উদার চোরের দান-খয়রাত। যা আছে হারিয়ে মিটে-যাবার, যে পরান সেই মারে জান, যার তার প্রেমে মর্জি না হয়। যে চেনে না চিনেও যারে, যা অজানা তাই জেনেশুনে, থামে না যে মন তবু থামা। যা জানি হালাতে তাবিয়াত, আষাঢ়ের আগে শাওন-ধারা, যেমন মনের খোরাক মেরে, মনকে জিন্দা মাত্র রাখা। যা ভেস্তে গেলো কর্মফলে, যে সব ধ্যানের অবহেলায়, ফলাফল আর দুহাতে যা !! ১৬.০৭.২০২৩

সাধন -

ছবি
সাধন - ============ মোঃ রহমত আলী ============ হাতে সবার রেখা আছে, সবার ভাগ্যে লেখা আছে। দুঃখ কষ্ট সবার সাথে আছে, সুখ সবার দেখা আছে। সবার মুখেই কথা আছে, বোবার ভাষা জানা আছে। সাধুর ধ্যানে ক্ষুধা আছে,  চোরের ধর্মে চুরি আছে। সবার সাধন সুখ আছে, সুখেও দুঃখের হিস্যা আছে। সবার চোখে সওয়াল আছে, জবাবে অবাক কিসসা আছে। সবার স্বার্থে কিছু কিন্তু আছে, মায়ের নিঃস্বার্থ মন আছে। হিসাব-দিবস অপেক্ষায় আছে, জালিমের দিন শেষ আছে, প্রদীপের নিচে আঁধার আছে, আলোর সন্ধানে কেউ আছে। সবার পায়ে শিকল আছে, জেগে স্বপ্ন দেখার সাধ্য আছে। অসম্ভবে সার্থকতা আছে, দুর্বলের ও এক শক্তি আছে। সবার কাঁধে বোঝা আছে, অকার্যে ও কার্যকর আছে, সত্যের জয় নিশ্চয় আছে । ১৫.০৭.২০২৩

নাম-বদনাম

ছবি
নাম-বদনাম ============ মোঃ রহমত আলী ============ এতটুকুই হল সুনাম,বাকি সব বদনাম, কেন করো ভাই তার দুর্নাম, তোমার মুখে হতে পারেনা সুনাম। মনটা যে আজ হলো খারাপ, নিরীহ মানুষের শুনে শত বদনাম। সব কাজেই হয় কে বলো ভালো, নাম আছে যার বদনাম ও হবে তার। শূন্য থেকে দশ সংখ্যা গুনে দেখো, প্রথম আর শেষ মিল করে চলো। পরের বদনামে হারায় নিজের নাম, করে দেখো কারো সত্য গুনোগান, বেড়ে যাবে বহুত গুন তোমার মান। এইটুকু ভুলচুক না পারো যদি সইতে, তবে তোমার দোষ ত্রুটি কি লুকাইবে ? এক নাও ভিড়ে দশ ঘাটে, তবে ঘাট গুলো তো বহু রকমের বটে ! বুঝে শুনে চুপ,দেখে-দেখে না দেখে, দুর্নাম রটে কভু যা সুনাম হয়ে ফেরে। কুনাম ছড়াও যারা যার তার হয়ে, নিজ কর্মে-ও তাকাও আয়না লয়ে। সত্যের বেশ নামে-নামে বদনাম রটে, মিথ্যার তো সব-শেষ একদিনে কাম। পরনিন্দায় যে রোজ থাকে বিভোর, সে নিজেই-নিজের নামে-কামে লীন ॥ ০৫.০৭.২০২৩

উজাড়

ছবি
উজাড় ============ মোঃ রহমত আলী ============ চলতে থাকি ক্লান্ত হলে দৌড়াতে চাই, মায়া হারিয়ে মমতার খোঁজ চালাই। স্বার্থের আড়ালে নিঃস্বার্থের ভান ধরে, ভ্রান্ত মনের শান্ত আবহাওয়ার সন্ধানে, ব্যর্থ বাধ্য বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে হই উজাড়। মায়া লুটে ফকিরের ছেঁড়া ঝোলা হতে, পাথর কুড়িয়ে মহলের ভিতরে যে পাহাড়, যদি বন্টন হতো তা সবার তরে সমান। চুপ কেন সাধুর ভুখা মুখরিত পঞ্চমুখ, ধূসর হাসিতে লুকায়িত আধ্যাত্মিক সুখ। কাঙ্খিত দুঃখ খুঁজি প্রাপ্য আমার যা,তাই পেয়ে যাই যেনোতেনো মৃত সুখের মায়ায়। দৌড়ে যাই ক্লান্ত হয়ে তাই চলতে থাকি, চলাচলের মাঝে যেথায় দেখেছি যা কিছু, শিক্ষার অভাবে হেথায় শিখেছি সব দেখি, তবু বদলায় না স্বভাব ভাঙ্গা স্বপ্ন দেখার। যাযাবর এ জনম আর হবে না জোয়ান, অভিমান গুলো সব শেষ পুঁজি আমরণ। অন্ধের কান্দনে বোবা দেয় মজুত সান্তনা, বধিরের শুনা কথায় পঙ্গু আজ মানবতা। বোঝা গুলো ভার শূন্য তুলা বড় দায়, পঁচেযাওয়া সহানুভূতি আজও তুলনাহীন। অমূল্য সময়ের চঞ্চল গতি জীবনে সবার, ধরতে পারলেই বিন্দু সেই উত্তম মানবিক। ০৩.০৭.২০২৩

জুয়া খেলার খেলা

ছবি
জুয়া খেলার খেলা ============= মোঃ রহমত আলী ============= জীবনটা এক জুয়া খেলা, আর জোয়ারের মতই এ জীবন ভাটায় ভেসে চলা। কখনো জিতের বেলায় ভাঙ্গনের লীলা, কখনো আবার গড়ার বেলায় বন্ধুর বেঈমানিতে হেরে যাওয়া। এক জীবন নামের জুয়ার আসরে জয় যার,পরাজয় মেনে নিয়ে যে, মেহেরবানী করে যায় শুধুই বারবার। জীবন জুয়ার পাতিতে যে রানীর নাম লেখা শুধুই একবার, সেই হারের বেলায়- জয়ের নামে করে তাই হায় হায় ! জুয়ার জালের মতই কেউ এ জোয়ানীতে ফেঁসে জ্বলে আর জ্বলে, জয়ের খুবই কাছাকাছি গিয়ে। তাই এ জীবন তরী ভেসে চলে, কখনো-কখনো এ ঘাটে ও ঘাটে, অসহায় ভাবে একটাই এক এক অধিকারে একটু-একটু বঞ্চিত হয়ে। আমার বেলায় এ জীবন জালিয়াতির খেলা,তাই জুয়ার ছলে-ছলে হারের বেলায়, জিততে ছিনিয়ে আনা। জুয়ার জালিয়াতিতে জবেহ করা হলো সত্য এক সত্যের প্রতীক কে তাই পাথর আঁখিতে রাতেই সূর্য উদয়। ২৭.১০.২০০৭

তারপর

ছবি
তারপর  ============ মোঃ রহমত আলী ============ তারপর জানলাম অজানা অনেক সত্য, তারপর ভুলে গেলাম জানাশুনা বহু তথ্য, তারপর অপমানিত হয়েও মনোবল শক্ত, তারপর এগিয়ে যেতে চায় মনের আগ্রহ, তারপর ক্ষত কত শত মুসকিল পেরিয়ে। অতঃপর ঘুরেফিরে হাত খালি শূন্য, এরপর হঠাৎ মেহমান ঘরে এসে পূর্ণ, তারপর বাকির খাতা ভরে পরিপূর্ণ, অতঃপর ঠনঠন হাঁড়ি চুলায় জ্বলছে, তারপর বিদায় ইজ্জত হয়ে কুদরত। অনন্তর চেষ্টায় যদি কিছু শিখতে পারি, এরপর হেরে গিয়েও তো জিততে চাই, তারপর নিজের সাথে নিজেই কথা বলি, অতঃপর সুখের বাজারে বেচাকেনা সুখ, এরপর যদি দুঃখ বেচা যেত কোন হাটে। তারপর সংসারে টানটান সুখের অভাব, তারপর পরম বন্ধুর শত্রুতামূলক স্বভাব, তারপর নতুন এর পরিচয়ে অতৃপ্ত স্বাদ, তারপর সুখ আর দুখের গমন আগমন, তারপরও বেঁচে থাকা দায় এ একজনম। ২৬.০৬.২০২৩

প্রিয়া হারা প্রিয়

ছবি
প্রিয়া হারা প্রিয় ============ মোঃ রহমত আলী ============ মনের গভীরে লুকানো, গোপন বেদনার অনলে ছাই ভালোবাসার সাধনা। অভিমানে নাহি চাই আর, নাশিলি চোখের সারাব। খুবসুরাত গোলাপে ছুপা, খুশবুতে ছলনার আভাস। পরানের মাঝে আছে একা গচ্ছিত প্রেম আজ পচা। নতমুখে অন্তিম ক্ষণে আজও ধোঁকার ধুপ-ছায়াতেই ভুগী, তপস্যার প্রেমে গোধূলিলগনে। আগুন জ্বলে কেন জলে, ফাগুন চলে গেলে পরে। প্রিয়া হারা আনন্দে কাঁদে, একা অন্তরে প্রেমের বাসনা। যাতনা স্মৃতির যতনে হাসে, অতীত সুখের নিখোঁজ-খোঁজে। পাগলের তকমায় প্রেমিক মন, শ্রাবণের কান্না বসন্তে যখন। আমি ও আমার পাগল মন, দেখে না আর প্রেমের স্বপন। গোলাপ দুঃখে কাহিল এমন, প্রিয়া হারা প্রিয় অবুঝ পাগল । ২৫.০৬.২০২৩

নির্বাক

ছবি
নির্বাক ======= মোঃ রহমত আলী ============ নির্বাক হয়ে দেখি আমি আজ, সমাজের অদ্ভুত রীতিনীতি। চোরের গলায় ফুলের মালা, চিকিৎসকদের ব্যবসায়িক খেলা। আর দালালদের দরদের লীলা, সিপাহীর ঝিমধরা চৌকিদারী। নতুন রেওয়াজ ঘুষ নেওয়ার, মন না চাইলেও নিরুপায় দেওয়ার। যৌতুক বলে বরের উপহার, চাহে কনের বাবা ভিক্ষুক হয়ে যান। যতই পোক্ত নিয়ম কানুন বহাল, টিকিট ছাড়াই উৎকোচ দিয়ে বাড়ি যান। নির্বাক আমি দেখে নির্মম সভ্যতা, ব্যবসায়ীদের মুখ অজগরের মতো হা। এখন সম্মান বেশি সেই পায়, যে জুলুমের সীমা পেরিয়ে যায়। বকশিশ হল সভ্য নাম ঘুষের, পার হতে পুল চাঁদা নেয় বারবার যতো। অবাক রূপে সজ্জিত আছে সেজে, শহরের জীবন জীবিকার বিলাস, দরিদ্র অনেকের মনে আবার, কম নেই যেন রাজা-মহারাজা ভাব। বিলাপ শুধুই সৎ জনের বোবা কণ্ঠে, গোঙানো শব্দের নির্বাক আওয়াজ । ২৩.০৬.২০২৩

আঁচড় -

ছবি
আঁচড় - ============ মোঃ রহমত আলী ============ এই তো চাঁদ কিন্তু একটাই, তাই পাগলের অভাব নাই। পার্থক্য বুঝি সব তুলনায়, শূন্য হাতের মূল্য যে ছাই। পাওয়া না পাওয়ার হতাশায়, বেদনা গুনতে ভুলে যাই। ফুলের আঁচড়ে শক্ত হিয়া ভাঙে, কাঁটার মাঝে ফুল ফুটে থাকে। চাঁদের পানে সবাই চেয়ে আছে, ক্ষনিকের মেঘে ধৈর্য হারিয়ে। সোজা পথের ভাগ্য জটিল, উল্টো চললে মঞ্জিল কঠিন। এই তো সূর্য কিন্তু একটাই, তবে নক্ষত্র সব দূরে দূরে তার। সিক্ত আঁখি শুকায় সময়ের উত্তরে, তারকা গুনতে কত চোখ রাখে। বালাই গুলো অন্তরে পোষা, কানার পিছু পথ চলতে থাকা। সুন্দরের পূজারী যে সবাই, অসুন্দর ও চায় ভালোবাসা। জেনেশুনে সব মিলে চলছে, ফুটন্ত ফুলে পাখির গুনগুন। রাতের ইন্তেজার সকালের, সকাল খোঁজে সাথী রাতের । ২১.০৬.২০২৩

চিৎকার !

ছবি
চিৎকার ! ============ মোঃ রহমত আলী ============ আমি চিৎকার দিয়ে বলতে চাই, নির্দোষকে দোষী বলছো কেন ? দোষী কে নির্দোষ বলে তার, আগে পিছে সমাদরের তোষামোদ, করছে যে আজ অনেকেই তাই ! আজও অন্ধ বাস্তবতার কাছে, পরাজিত সত্যের নির্দোষ নিদর্শন। নিজের দোষ অপরের কাঁধে চেপে, দোষারোপ করো,বাহ তুমি কেমন সাধু ! নির্দোষের আর্তচিৎকারে প্রমাণিত হয়েও, মিললোনা ন্যায়বিচার মিথ্যা-সাক্ষীতে, তবেই তো হেরেছে সত্য,সত্যের শাস্তিতে। আমি চিৎকার করে কাঁদতে চাই, এই বন্দি পিঞ্জরে অসহায় পঙ্খীর মতো। বলতে চাই,বোবা কণ্ঠের ভাষায়, শব্দ করে,আমি নির্দোষ,মিথ্যাবাদী নই। কলঙ্ক ঘুমন্ত সত্যের হতে-পারে, যদি মিথ্যা জেগে থাকে অনন্তকাল ! দোষী পাড় পেল মহা সমুদ্রের ওপার, নির্দোষী ধরাসায়ি ঘরের পুকুরে আবার। তাই চিৎকার দেই মন চায়,যুগের তরে, জানাই অন্ধের খুঁজে পাওয়া ঠিকানায়। ঘুমন্ত আঁখি জাগ্রত হতে পারে চিৎকারে, ভান-ধরা নিদ্রায় হিয়া জাগিবে কি করে ? আমি চিৎকার দিয়ে হাসতে চাই, হেরে যাওয়া বীরের মতো উল্লাসে, পাগলামির উচ্চ হাসি মিশ্রিত আওয়াজে। এছাড়া কি আর করার ! দোষী যখন নির্দোষের মুখোশে, হাসছে সম্মুখে মুচকি হাসি। তো হোক অবাধ সান্তনায়,অবাক

উধাও

ছবি
উধাও  ============ মোঃ রহমত আলী ============ উধাও মুহাব্বাত যা ছিল পুরনো দিনের, প্রতিবেশীর সন্তানকে ভালোবেসে, বিপথগামী দেখলেই শাসন করার। কমতে কমতে প্রায় মানবতা উধাও ! হাসছে ডাক্তার রোগীর কাতরানো দেখে। সততা উধাও,ইনসাফ উধাও,আরও উধাও মানজান,সত্যের সন্ধান কেউ দাও, আছে যতটুকু শুধুমাত্র দেখা-বার। আগামীর আগমন তবে কি বেদনাদায়ক, হয়ে যাবে বুঝি উধাও সৎ সরল মানব। নিয়ম বানাও,কানুন বানাও,পালন উধাও, বিনে পয়সায় কেউ কিছু বেচে দেখাও। উধাও হয়েছে অনেক কিছুই প্রকৃতিতে, নদীর কূলে ভিটে বুড়ির উধাও ভাঙ্গনে। পথের ধারের ছায়া বৃক্ষ গুলো সব, উধাও আজ যে তাই কার প্রয়োজনে। নীতি-কথা লেখা,পড়ে ও অন্ধ যারা, খেয়েছে ঘাস গরু-ছাগল,আম চোরা পাগল,সেই সব বিচারে মোড়ল সফল। উধাও এখন ন্যায়-অন্যায়ের সীমারেখা, সঠিক মাপে দাঁড়িপাল্লা,গাছে পাকা ফল, উধাও বহুত নদী,পুকুর,খাল,ঘাট পথ। চিল-শকুন,পাখি,আর বিলের মিঠা মাছ, উধাও সু-শিক্ষার-মান,চাকরির অভাব, উধাও মানুষের অন্তরের মানবিক সুভাষ। উধাও সস্তায় বস্তা ভরা বাজার। উধাও ভেজাল মুক্ত-নির্ভেজাল খাবার। উধাও ঘুষ ছাড়া কোন কাজের উপায়। উধাও যুগের স্রোতে মানবতার বন্ধন। উধাও মিল্লাত ভাই-

কে কার জন্য

ছবি
কে কার জন্য ============ মোঃ রহমত আলী ============ কেউ আঘাত করো নতুন করে, আবার আমার মনের গভীরে। পুরনো ব্যথা যেন জিন্দা হয়, তোমার নতুন আঘাত পেয়ে। যে কেউ ঠোস দিয়ে যাও আমায়, দেখে -বা -না দেখে আমার, কাটা ক্ষতের জ্বালা-যন্ত্রনায়, অনুতাপ কিসের গাফিলতিতে। কেউ আর খেয়াল করে না তো, আমার নিশীথ আবেশের হাসি-কান্না। তাই স্বপনের সাথে ভেঙ্গে যায়, আপন আনন্দের করুণ বেদনা। আর কেউ নয়,কার জন্য কে কাঁদে, ভালোবাসার জন্য ভালোবাসা কাঁদে। পরান খাঁচায় বন্দি পরানের পাখি, চোখের ধারা শ্রাবণ কেমনে ধরে রাখি। কেউ জখম দাও পুরাতন জখমে, আনন্দের আবার খায়েশ করে। মিথ্যা তো নয় ব্যথার বাহানা, দেখা যায় না তবে,কে আর বিশ্বাস করে ! ১৪.০৬.২০২৩

উপমা -

ছবি
উপমা - ============ মোঃ রহমত আলী ============ চারিধার বেশ চমৎকার, মানুষগুলো বাহ মজাদার। বোঝে শুধু আপন দরকার, অযথা করে না উপকার। অভিনব কত কি আবিষ্কার, অন্তর করেনা তো পরিষ্কার। দুর্বল এর সাথে অবিচার, ভেঙ্গেদেয় বিশ্বাসের অঙ্গীকার। বোবা কণ্ঠে শব্দের অধিকার, নির্বোধ করে সত্যকে অস্বীকার। মাথা ঠিক আছে পাগলের, নতি স্বীকার করে না কাছে জালিমের। চাহিবার নেই বেশি গরিবের, তিন বেলার শান্তি আর কি চাহিদার। বাগিচার বুলবুল এর আবদার, ভিখারিকে ফিরিয়ে দিওনা প্রতিবার। যদি ঘুম ভাঙ্গে কভু পাষাণের, তবুও হয় যদি উপহার সুন্দর ব্যবহার। ক্ষমতার জমিনে দিন-চার বাহাদুর, পাতালের আকাশে নিরুপায় হুশিয়ার। খামোশ আফসোস আগামীর, প্রতীক্ষার নেই কোনো আর প্রতিকার। শিক্ষার দেহঘর এক কারাগার, বিবেকের শিকার আবেগের পরিবার। ১৩.০৬.২০২৩

সংশয় -

ছবি
সংশয় - ============ মোঃ রহমত আলী ============ খুলে যদি যায় মুখ, মিটে যাবে কলমের ভুখ। পিপাসায় পাথর, পাপের লেখা শেষ অক্ষর। গলাবাজি চুপ, হিসাবের খাতায় অধিক ভুল। মাধুর্য্য নির্মূল, মানুষে মানুষের খায় ঘুম। মাথাপিছু যম, অবিকল মানুষের মতন। ক্ষেতে আক্রমণ, নষ্ট করবে পোকা ভালো ফসল। দু-হাতের আমল, বুঝবে মরণ হবে যখন। চোখ কান খোলা, তবু অন্ধ বধির তারা যারা। পার্থক্য তুলনায়, একে অন্যের ক্ষতি সাধনায়। উচিত উপমায়, উপহাস করে উদ্ভট লোকেরাই। আনমনা বাসনা, সংশয়ে নিঃস্বার্থপর কামনা। আসল বেঈমান, শয়তান কখনোই হার মানে না॥ ১০.০৬.২০২৩

আরজু

ছবি
আরজু ============ মোঃ রহমত আলী ============ কে চায় ফিরে আর বারবার, পচা ফুল ফলের দিকে। যে পায় না সে ও তো, ঘুরে ফিরে তাকায় না। যা পেয়েছি তা অনেক, যা হারিয়েছি তা-ও কম নয়। অর্জন ছুঁতে পারেনি সীমান্ত, তবু পথ চলা আজও অনন্ত। নামের-নামী চাইনা হতে আমি, কর্ম তরে নাম যদি হয়, সেটাই হীরার বেশি দামী। অতীত আঁধারে আলো হারালো, মান-অভিমান ঘুরপাকে পচলো, ধন্য তবু আমি অন্যের জন্য। হারিয়ে নাম হয়েছে বদনাম, লেখা ছিল কিছু ক্ষেত্রে অপমান। জানা-অজানার পরিচয়, বিবরণ খোলামেলা সব অপচয়। কে যায় ফিরে নিকট খালি কলসের, চতুর সবাই আশেপাশের, আক্ষেপ চলে শ্বাস-নিঃশ্বাসের, নির্বাক আছে চুপ দোয়াত কলম। ০৯.০৬.২০২৩

দাপদাহ

ছবি
দাপদাহ ============ মোঃ রহমত আলী ============ শহর পুড়ছে গরম তাপে, মানব জীবন জ্বালা মুখে। শীতল নেই কোন দ্বারে, চারিপাশে রবি-র দাহ , মানব জীবন জ্বালা মুখে। ছুপিয়ে আছে মেঘ গগনে, বর্ষা নেই ধরা পাতে, তবু সময় চলছে এতে, জনজীবন তাপদাহে। নগর এখন ভীষণ তাপে, বাতাস পালিয়েছে লজ্জা পেয়ে, মানব মুখের হায় শুনে। ছায়া যেন ঝিমিয়ে আছে, মানুষ অঙ্গ ঘাম দেখে, মানব জীবন তাপদাহে। তবু জীবন চলছে ধুকে, জীবন সংগ্রাম মিছিল করে। ঘামে ঘামে ভিজা বদন, দোয়া চাহে খোদার কাছে। একটু হাওয়া,বর্ষা,তুফান বহান, আমরা এখন ভীষণ দাহে, খোদা মোদের ক্ষমা করে, বাঁচিয়ে নিন দাপদাহে। ০৭.০৭.২০০২

আলাপন

ছবি
আলাপন ============ মোঃ রহমত আলী ============ দুঃখীর দরজায় কেন ! আসিবে সুখ অপ্রয়োজনে। হাসি কান্নার জরুরত মিটিয়ে, বন্দি সে সুখ স্বর্গলোকে। কান পেতে শুনি সুখ যাচ্ছে চলে, ধরিতে পারিনা বন্দি আমি অসুখে। নাকের ডগায় লুকানো মিছে লজ্জা, মুখে ঝরে কি যে মমতা, অন্তরে দেখা যায় না আছে ভর্ৎসনা। মিছেই মনে হয় সত্যের আর্তনাদ, অজানাই থাকে সুখের সন্ধান, তবু তো রাতদিন স্বর্গের অনুসন্ধান। সুখের দুয়ারে দুঃখ হাজির হঠাৎ , দুঃখ তো সুখের আসল পাহারাদার। ভাগ্য বদলে বদলায় মনের আদব, জমানো দুঃখ কষ্ট হারায় না তার, আসলেই সুখী ধনীমন যে যার। করি অবুঝ মনে আলাপন, দুঃখের কি সুখ আপন ! তবে সুখের চেয়ে দুঃখ কেন ? ওজনে সদা এত কম। চেয়ে থাকি দুখী মুখের পানে, একটু সুখের হাসির কতই না অভাব, এক সুখের প্রয়োজন অমূল্য যখন। ০৮.০৬.২০২৩