পোস্টগুলি

খোলাসা (মোঃ রহমত আলী)

ছবি
খোলাসা ================ মোঃ রহমত আলী ================ সব পরিষ্কার,একদম খোলসা, কৈ আমি তো দেখিনা,বুঝিনা, এটা আমার দোষ,চোখে ধুলা। আয়নার সামনে নিজেকে যখন ঠিকমতো চিনি না,জানিনা, শুধুমাত্র নিজেদের সাজাতে ব্যস্ত আমরা ভিন্ন-ভিন্ন খোলস দ্বারা। সব স্বীকার,এক কথায় খোলাসা, কৈ অন্যায় তো করি-না, শুধু অন্যায়কারীর পিছু চলাচল ! প্রতিবাদী কন্ঠে খোলাসা প্রকাশ, দুমুখো নীতি,ভয়ানক জঘন্য খোলস, রূপ বদলায় যখন তখন, কারণ হয় না খোলাসা চরণ। সব অস্বীকার,অন্তরে পোষা ঝামেলা, মুখের কাহিনী দোসরা,দিল খোলসা, জাতের নামে খেলে বজ্জাতি খেলা। অন্যায়ের বিরুদ্ধে অঙ্গীকার, প্রতিবাদের সময় প্রতিবার অজুহাত। মিথ্যা বলে না তো,বড্ড সত্যবাদী, মিথ্যার ছলে,যে জিতে যায় বাজি, দায়িত্ববান তকমা,দায়িত্বহীন আমলা, জবাবদিহি বাহানা প্রশ্নোত্তর খোলাসা ॥ ০৭.০১.২০২৪

অবলম্বন (মোঃ রহমত আলী)

ছবি
অবলম্বন ============ মোঃ রহমত আলী ============ হারিয়েছে যা আর সন্ধান করি না, ঐ দূরে যা আছে তার অনুসন্ধানে, চিঠিপত্র পাঠানোর দিন শেষ, পত্রিকায় ছাপানো হারানো বিজ্ঞপ্তি, তা খুঁজে-খুঁজে আজও ক্লান্ত পথিক। পাওয়া গেলো অবশেষে সান্ত্বনার বাণী, মুছাবে আর কে কার চোখের পানি। সামাজিক সূর্য -টা যখন হারিয়ে যায়, তখন মনোযোগী চাঁদটাও কালো মেঘের অন্তরালে লুকিয়ে থাকে। তাই লোকালয়ের মাঝে হারিয়ে যাওয়া এক নীরবতা কে খুঁজে চলা অবিরাম, তবে সবুজ পাতাকে গ্রাস করেছে, ধুলো আর ধুলো,তাই সামাজিকতার নিঃশ্বাসের বিশ্বাস কালো আর কালো। হারিয়েছে যা তার তালাশে মগ্ন ফকির, তার লাঠিটা ছিল সাথী,বৃদ্ধ বলে কথা ! যাযাবর অভিযাত্রী জানে সম্বলটুকু, জমানো এক নিষ্ঠুর অবলম্বনের পুঁজি। যদিও এখন আর চিঠি আসে না, তবুও ডাক পিয়নের অপেক্ষায়, জর্জরিত ডাকবাক্স মহা-মায়ার ইতিহাস। ০৬.০১.২০২৪

কার্যবিধি (মোঃ রহমত আলী)

ছবি
কার্যবিধি ============ মোঃ রহমত আলী ============ অন্ধের সাক্ষ্য,বোবার সাজা, চুপচাপ সভ্যতার মানবতা। বিচারক বন্দি,প্রমাণে জিম্মি, আইনের ফাঁকে ইনসাফ বিক্রি, আলামত বিলীন,জামানত জব্দ, স্বীকারোক্তি রেকর্ড জবরদস্তি আমিই একমাত্র মুজরিম। আইন কার জন্য ! মানবতার উর্ধ্বে তো নয় কানুন ! বিচার দিবস অপেক্ষায়, এই বিচারের বিচার হবে হক বিচার। বিচার হতে-হতেই সাজার মেয়াদ পার, হিসাব করে দেখা যায়, সাজার অধিক হাজত কারাবাস। ডাকাত আজাদ,চোরের শাস্তি, আইনের পাল্লায় সবাই সমান। কালো কোটের হেফাজতে ক্রিমিনাল, নামের মিল থাকায় আসামি মাষ্টার, সিপাহীর গাফিলতিতে স্বাধীন মাস্তান, জামিনের আসামি হাজির, হাজিরা দিতে-দিতে শিক্ষা মুহুরিগিরি। বৈধ অবৈধ প্রশাসনের জিম্মায়, প্রতীক্ষা সবার হক ন্যায়বিচার। ০৪.০১.২০২৪

অথচ (মোঃ রহমত আলী)

ছবি
অথচ ============ মোঃ রহমত আলী ============ অথচ সজাগ তবুও কোথাও কেউ নেই, মানবতার মাঝে এক মানবিক দেয়াল, ভাসমান চারপাশে অযাচিত আক্রোশ, অথচ মাথার উপর বিশাল ছাদ যেন অসহায় ছাতা,হাস্যকর সময়ের পরিহাস। বহুরূপী মানবতা মিশে আছে আবেশে, অমানবিকতার নির্মম ধারাবাহিক নাটক, সমগ্র ফটক জুড়ে শুধু রহস্যময় পর্দা। অথচ দূর হতে মানবতার সুর আজও ভাসে বাতাসে,শত অজুহাত একাকার, পরিচর্যায় ব্যস্ত ডাস্টবিনের মেরামতে, সেকি কারিগরি কারুকার্যের ইশারায়। অথচ আনাড়ি গুলো নাড়ির ভিতরের দখলদার হয়ে জাগরণের গান গাইছে, তাই শুনে শুনে চুপ মর্মাহত প্রজাগণ, সোচ্চার বাবু সাহেব তবু ফিরিয়ে দিতে অপারগ আত্মসাৎকৃত মানবতার কন্ঠ। অথচ রাত দিনের ব্যবধানে,ভিখারীর দখলে মহাসড়ক সহ ফুটপাতের কার্নিশ, মানবতার নামে রোজদিন কৌশলে জন্মে, অমানবিক নির্যাতিত শোষণের ছায়া মর্গ। শাসনের পাহারায় শব্দগুলো যেন মুর্দা, যদিও ব্যারিকেড ভেঙ্গে সিপাহী প্রস্তুত, হত্যা করতে মানবতার লাশটাও অথচ ! ০৩.০১.২০২৪

তফাৎ (মোঃ রহমত আলী)

ছবি
তফাৎ ================ মোঃ রহমত আলী ================ হঠাও নীতি , করতে দাও দুর্নীতি , মুখেই সাম্যের গীতি , চোরের সাথে পিরিতি , ঘুষখোরের উন্নতি , বাজার দর উঠতি , বাহ দারুণ কীর্তি , মজাদার বিবৃতি , চালবাজের কূটনীতি , ধান্দাবাজের মূলনীতি , বাজেট কমলে ডাকাতি , ঘরে-ঘরে খয়রাতি ! হঠাৎ তফাৎ , ন্যায়-নীতির ঘাটতি , দিন-দিন খরচ বাড়তি , সততার জোড়হাত মিনতি , মিথ্যাচার ঊর্ধ্বগতি , সত্যের পথে লালবাতি , সৎ ব্যক্তির চরম দুর্গতি , জীবদ্দশা তো মধ্যবর্তী , গুনগুন ভুলে প্রজাপতি , যন্ত্রণায় জর্জরিত প্রীতি , মানসিক দুর্দশায় অবনতি , হারিয়ে গেছে প্রেমগীতি , সৎ নীতি বিনা কী গতি ! ০৩.০১.২০২৪

ক্ষুধার্ত কঙ্কাল (মোঃ রহমত আলী)

ছবি
ক্ষুধার্ত কঙ্কাল ============ মোঃ রহমত আলী ============ জেগেছে পাগলা ক্ষিপ্ত হয়ে , ধরেছে জিকির মনের আনন্দে , এক আল্লাহ আল্লাহু আল্লাহু। শীতের রাতে ফুটপাতে বসে , ছেঁড়া চটের চাদর গায়ে , কুয়াশায় সিক্ত বিছানায় শুয়ে তাও বলে , সুবহানাল্লাহ , আলহামদুলিল্লাহ , আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার। খাওয়া-দাওয়া নেই ঠিক কতদিন , তাও হাসি মুখে খ্যাপা দৃষ্টিতে মাস্তানা , বলে ওঠে ক্ষণে ক্ষণে উচ্চস্বরে , আস্তাগফিরুল্লাহ , লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ। মাথাগরম ক্ষিপ্তপ্রায় পাগলপারা, ফিসফিসে একাই বলে বকবক , ঐ দেখ ভাই ক্ষুধার্ত কঙ্কাল , বড়ো খয়রাতির অট্টালিকা , বড়-বড় দানবীর ডাকাত ওরা ! মাশাআল্লাহ , মাশাআল্লাহ। শান্ত পাগলের অশান্ত উচ্ছ্বাস , হাস্যকর উপলব্ধি সমাজপতির। আসল প্রেমের পাগলা , সফল পাগল , নফসের সাথে জিহাদ রত জিকিরে॥ ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ’ ‘‘সাল্লালল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম’’ ০১.০১.২০২৪

অভিলাষ (মোঃ রহমত আলী)

ছবি
অভিলাষ ============ মোঃ রহমত আলী ============ এখনো তো অনেক কিছুই বুঝি না, চলছে শেখার আজও শিক্ষা কার্যক্রম ! দেখে দেখে শেখা,শুনে শুনে শেখা, নিজে নিজে বুঝে না বুঝে শেখা, ঠকে ঠকে শিক্ষা,কিছু জীবন থেকে তুলে, বহু মিথ্যার অভিনয় থেকে,সত্যের শিক্ষা। এখনো অনেক কিছু শেখার আছে বাকি, কেমন করে নক্ষত্র গুনা যায় ! যেমন মানুষের মধ্যে মানুষ চেনা দায়, অমানুষ,স্বার্থপর,বাটপার কেমন দেখায়, দেখে দেখেও তো দেখি না যে চোখে, একই রকমের সব মিলে আছে রূপে। এখনো যে অনেক কিছু জানার আছে, অজানা আমার সবকিছুই সাথে ! জানতে চাই কে ! খেয়েছে কি পাগল ? জানার ইচ্ছা ফকিরের কান্না ও রান্না, জানি তবুও অজানা,ফুটপাতে কেন ? তাদের থাকা,এ জানায় লাভ কি ! যখন সমাধান যায় না পূর্ণাঙ্গ দেওয়া। এখনো অনেক কিছু দেখার আছে, দেখে দেখে যা আজও অদেখা ! অন্যায়,দুর্নীতি,ঘুষ,জুলুম,ঠকবাজি জয়ে গড়ে ওঠা মহা-প্রাসাদের ধ্বংস লীন। বড্ড দেখার সাধ ছিল,মজলুমের আনন্দ উল্লাস মুখরিত প্রাত্যহিক লালিত্য প্রভাত। এসব শুধুই অভিলাষী অপূর্ণ স্বপ্ন লীলা ! ৩১.১২.২০২৩

নিজত্ব (মোঃ রহমত আলী)

ছবি
নিজত্ব ============ মোঃ রহমত আলী ============ তোমাদের সঙ্গে আমি নেই, তবু আছি ! বাধ্য হয়ে অবাধ্য মনে, তোমাদের মন ভোলানো কথায় আমার পেট ভরে না, শুধু প্রচুর তৃষা জাগে প্রাণে, সত্যের অমৃত হায় কোথায় ! তোমাদের সঙ্গে নেই আমি॥ আমার মত আছি আমি, থাকতে পারছি না,তবু চুপ থাকি ! গানের কথায় কান দেই না, প্রাণের কান্নায় পিয়াস নিভাই, বলতে গেলে মান থাকেনা, চুপ থাকলে তো মানবতা বাঁচেনা ! আমার মত আমি আছি॥ তোমাদের সঙ্গে আমি আছি, শুধুমাত্র ! যদি হক পথের পথিক রও, যদি সদা সৎ সততার সাথে, ইনসাফে ওজন দিতেই থাকো, তোমাদের দিল এতই পাষাণ যে, পারবে না তোমরা সৎ সমতা ! তাই সঙ্গী তোমাদের আমি নই॥ ৩০.১২.২০২৩

ওরে বাটপার (মোঃ রহমত আলী)

ছবি
ওরে বাটপার ============ মোঃ রহমত আলী ============ প্রতারণা করছো লোকের সাথে, নিজের সাথে চলছে ছলনা, প্রতারক তুমি নিজের সাথেই খেলছো খেলা প্রতারণায়। অভিনন্দন তোমায় বন্ধু, যে বড় বাটপার তুমি নিন্দিত, একটু-ও তো হওনা তুমি মানুষ ঠকায় বিন্দুমাত্র চিন্তিত। ওরে বাটপার তোর তো পুঁজি ছাড়া ঠকবাজি কারবার, তোরা সব কথার বাজার, উপরে কী বেশ দরদী, ভেতরে লুকানো শুধু চুরি বাটপারি। অসুস্থ ফকির ও নিশানায় থাকে, বেওয়ারিশ লাশের কাফন-ও, হজম করতে লাগেনা সময় তোদের। প্রতারণার জাল বুনে হে, সাজো সরল সরলতায় সাধু, ফিটিং করে চিটিং করো, ঠকাও তুমি নাকি নিজেই ঠকে যাও, হিসাব রেখো কত বোকা তুমি বাটপার। বিবেক-আবেগ চিটারের তো নাই, আত্মা মুর্দা তাদের যে তাই, বাটপার দুনিয়ায় আছে কত প্রকার, ঠকার পরেই তো তা বুঝা যায়। ওরে বাটপার তোর কারণে মাথায় হাত ! ২৮.১২.২০২৩

তালাশ - (মোঃ রহমত আলী)

ছবি
তালাশ - ============ মোঃ রহমত আলী ============ ছোট্ট একটা সুখ, খুব বড় অসুখ, এক ফোটা অশ্রু, মূল্য তার বহুত, ওয়াদা খেলাপ, বড্ড বদ স্বভাব, নিষিদ্ধ তর্কে, সত্য প্রকাশ, উত্তরে জন্মে, প্রশ্ন বারবার, অর্থ-টা অর্থহীন, শুদ্ধ জবাব যেদিন। খুব বড় এক দুঃখ, মিটে ছোট্ট সুখেও, সত্য গোপন রেখে, মিথ্যার ফরিয়াদ, ওয়াদা পূরণ করে, দোয়ার বুনিয়াদ, জলন্ত প্রদীপের, হাওয়ার তালাশ, দুয়ারে পালকি, তৈয়ার ইন্তেজার, বিদায় মন থেকে শেষ দিনটা আজ। ২৭.১২.২০২৩

জঙ্গম সার্কাস (মোঃ রহমত আলী)

ছবি
জঙ্গম সার্কাস ============ মোঃ রহমত আলী ============ কান খাড়া খরগোশ,নাক বড় পিঁপড়া, ধৈর্য ধরে বসা বাঘ,শিকারের অপেক্ষা। অস্থির শিয়াল মশাই,দেখে তাই বিড়াল, মাকড়সা ব্যস্ত বুনিতে জাল,পোকামাকড় ফেঁসে গেলো সব চালে,ভুলে ভুল চাল। কাকের কন্ঠে হঠাৎ কোকিলের গান, শুনে-শুনে কচ্ছপ বেচারা যে মাতাল, শান্ত হাতির কাণ্ড দেখে,হনুমান পেরেশান। সাপ ধরতে বেজি হাজির,তবেই ইঁদুরের পিছু-পিছু বেঁচে গেল এবারের মত প্রাণ। বুড়ো ভাল্লুকের ঘাড়ে ঘুরঘুর করে উল্লুক, দূর থেকে দেয় আলো মিটমিট জোনাকি। চিতা দেখে খেলা,দলছুট মহিষয়ে দুর্বল, সবল সিংহের নিরীহ হরিণ কে আক্রমণ, পালিয়ে শেষে আর বাঁচে না জান ! কুমিরের মুখে বাহ সিংহের আহার। কঙ্কালটা ও হজম একদল হায়নার, চিল-শকুনের লড়াই হারামের জন্য, মৌমাছির দ্বায়িত্ব হালাল মধু আহরণ। ঘোড়া আর উট যুদ্ধে যেতে প্রস্তুত, টিকটিকির টিকটিক ধোঁকাবাজির ইঙ্গিত, হিংস্র নয় তবু ছারপোকা-মশা, রক্ত খেয়ে বাঁচে জোঁক,তাল দেয় মাছি। অজগর করে সব জ্যান্ত হজম, জলহস্তী বেশ মস্তিতে,গন্ডার খামোশ, পাখিদের কোলাহলে ময়ূরের শরম। কুকুরের পাহারায়,বাদুড়ের মুসকিল, প্রজাপতি স্বাধীন,ঘর খুঁজে মরে ফড়িং ॥ ২৬.১২.২০২

মরমি - (মোঃ রহমত আলী)

ছবি
মরমি - ================ মোঃ রহমত আলী ================ সে বানিয়ে পাগল আমায় না পাগল সাজতে দেয় খাওয়ায়ে বিষ আমায় সে মরিতে নাহি দেয়। সে পরান কেড়ে নিয়ে আবার প্রাণ ফিরিয়ে দেয় সে স্বাধীনতা দিয়ে আমায় বন্দি করে রাখে খাঁচায়। সে সুখ দিয়ে আমায় দুঃখ দেয় অপরিসীম  কাঁদতে চাইলে মন-ভরে সে হাসতে বলে মন-খুলে।   সে একতারাটা ভেঙে আমার বাউলা সুরে গান গাইতে বলে সে খাওয়ায়ে শুরা চোখের মাতাল হতে নিষেধ করে। সে ভালোবাসে আমায়  তবে ভালোবাসতে মানা করে সে জান আমার হায় মরমি মন মানে না তাও মানাই । ২৫.১২.২০২৩

প্রচার - (মোঃ রহমত আলী)

ছবি
প্রচার - ============ মোঃ রহমত আলী ============ সাঁতার জানে তবু,ডুবে মরে মাঝি, জাল চালতে নিষেধাজ্ঞা যে আজি। বড়-বড় মাছের তো পছন্দ হয় না, ছোট মাছের সাফল্যের সাঁতার, তবু ছোট দুর্বলদের হজম করে, আজ বড় মুখে যে তারা মহান। কেউ শোনেনা আমার গান, নিজেই কাটাই নিজের নাক-কান, গাই বেলা-অবেলা হরেক-রকম সুরে, নিজেই-নিজের জয়ের জয়-জয় গান। ভেদ ভেদাভেদ ভাঙতে গিয়ে, বিভক্ত যে হায় সমাজে ভাই-ভাই, শিক্ষিত হয়েও যখন মূর্খতা দেখাই। সাঁতার শিখে ভুলে ওস্তাদ, এখন নিজেই যে মাষ্টার, উপায় নেই বন্দী সমাজের সব, ছাত্র-ছাত্রী সহ অভিভাবকেরা। সবার উপর সফল প্রসারিত চাপ, নেই বাদ ধনী-গরীব ফকির তামাম, তবুও কঠিন আজ বোবা কন্ঠে কোনো দুঃখ কষ্টের টু-শব্দ প্রচার। কান্নাগুলো বাদ,হবে শুধু আনন্দ প্রকাশ, আমার উন্নতি আমি করবো প্রচার, বেশি সত্য বলবে তো মুখ বন্ধ তোমার, যাও সব দিতে মরুভূমিতে সাঁতার ॥ ২৩.১২২.০২৩

অমূল্য স্মৃতির বেদনা (মোঃ রহমত আলী)

ছবি
অমূল্য স্মৃতির বেদনা ============== মোঃ রহমত আলী ============== পচে যাওয়া ফুলের আজও যতন, ভেঙে দিতে ভুল চলে বহু কথন, উদ্ধার হলো না সুখ,দুঃখটা আপন। দায়বদ্ধ ব্যর্থতায় আনন্দের বসত, অগ্রিম জমানো জামানত বেদখল, আগমন আর তার এক আমানত। পোষ মানে-না আমার মন পাখি, অবাধ্য মোহনায় ডুবা সজল আঁখি, সারারাত ফোঁটা যতনের মুকুল, সকালবেলা হায় ঝরে গেল ফুল, আজ বুঝলাম কত যে ছিল ভুল ! তবু সুখী মুখরিত খুশবুতে সে কূল। পচা ফুলটা আজও অমূল্য স্মৃতি, শুকিয়ে যায় আঁখিজল সুখে, বেদনা দুঃখের তাতে গুণ দ্বিগুণ। তাকিয়ে থাকি হা করে,তোমার চলে যাওয়া পথের পদে-পদে, সে ক্ষত হৃদয় গভীরে আজও কাঁদে। মজাদার ছিল বড় কথার আঘাত, এসে হেসে তুমি যা দিলে শখের বশে, আজব নহে এ যে প্রেমের প্রতিদান। মুখে কবুল,মনেপ্রাণে যদি মকবুল, তবে কেন খেলো-খেলা ও পরান-ফুল, তাও তো দেখোনা যে চোখে যমুনা ! ২২.১২.২০২৩

সময় অসময় (মোঃ রহমত আলী)

ছবি
সময় অসময় ============ মোঃ রহমত আলী ============ সময়ের আগে আর সময় আসে না, সময়ের পরে আর সময় থাকে না, সময় মতো জোয়ার,সময় হলে ভাঁটা, সময়ের সাথে সময়ই বলে ন্যায্য কথা। শান্তির তালাশে অশান্ত ধ্যানে ছুটে চলা, সান্ত্বনা কোথাও তো গেলো না পাওয়া, সময়ের সাথে ধৈর্যের ঠিক তাল-মেলে নাই বুঝি,তাই সময়ের সাথে প্রকৃতির বোঝাপড়া নিয়মিত নিয়মের প্রতিদান। সময়ের এপিঠ,সময়ের ওপিঠ,চিন্তাকরে চলে চিন্তাশীল,তবুও সময় বদলায় ঠিক, সময়ের মতই,সময়ের সঠিক নিয়মেতেই। বৃদ্ধ যেমন হয় না মন,সময় সদা জোয়ান তেমনই সারা জনম,শুধু সময়ে বদলায় সময়ের সব কার্য ধরনের মর্মে কর্মফল। সময়ের রূপ বড় সুন্দর,বড়ো নির্মম, দুঃসময়ে ধৈর্যধারণ মনে আনে পূর্ণ বল, সময়ের সাথে তালমিলিয়ে চললে, পুরো সময় যখন যেখানে যেমন, তখন সেখানে সময় হবে তেমন। সময়ের আগে তো আর যাওয়া যায়না, তাই অপেক্ষা উপযুক্ত সময়ের প্রতীক্ষা ! সময়টা আজ তার,কাল কার,তো আবার ঘুরেফিরে না জানি কখন যে কার-কার ! কখনো সময় অসময়,কখনো খুব দুর্বল, কখনো আবার কঠিন পরীক্ষায় সফল, তাই সময়ের সাথে সময় বদলায় হরদম। দুঃসময়ে পরিচয় ঘটে হায় পরিচিত জন, তখনও সময়ের নিয়মে হয় তারিখ বদল, যদিও সময় বয়

ছায়ার মায়া (মোঃ রহমত আলী)

ছবি
ছায়ার মায়া ============ মোঃ রহমত আলী ============ যেতে-যেতে যদি পিছু ফিরে দেখো, একবার ভালোবেসে বন্ধু আমায়, চোখে-চোখে নতুন করে আবার, শুরু হবে ভালোবাসা দুজনায়। হৃদয় ভাঙার খেলা,খেলো না গো বন্ধু, ভালোবাসা ছাড়া আর আছে কি শুদ্ধ, প্রেমের দুয়ার ভেঙে,যেওনা পেরিয়ে আঙ্গিনা,পাখি ছাড়া মুখর নহে বাগিচা। হারিয়ে তো যায়নি প্রিয় এখনো বসন্তের সুবাস,তোমার হাসিতে হবে নব শুরুয়াত। তোমার জন্য আমি,আমার জন্য তুমি, এই সুখের ঠিকানায়,আরো সুখ দুজনায়। যেতে হয় যদি পিছু-পিছু তোমার, আবারও যাবো তোমায় মানাতে বারবার, আমার তুমি তোমার আমি, তা না হয়, তোমার আমি আমার তুমি, আমরা দুজন হবো আবার একাকার। চলো ফিরে প্রিয়া প্রেম নিবাসে তোমার, ভালোবাসায় ভরা আমাদের গুলবাগ, তবে চলো গো বন্ধু ঘুরে-ফিরে যাই, সাজানো সুখ দুঃখের একান্ত প্রভাতে। সাধের বৈরাগী মনটা যে আমার, বন্দী তোমার অভিমানের মায়ায়, দেখো ফিরে আঁখিপাতে মোর,তব ছায়া ॥ ১৯.১২.২০২৩

ধীরে ধীরে - (মোঃ রহমত আলী)

ছবি
ধীরে ধীরে - ============ মোঃ রহমত আলী ============ ধীরে ধীরে ফুল ফোটে , ধীরে ধীরে ভুল ভাঙ্গে , ধীরে ধীরে কূল মিলে , ধীরে ধীরে পঙ্খী উড়ে , ধীরে ধীরে সূর্য উঠে ডুবে , ধীরে ধীরে শিশু আজ বৃদ্ধ , ধীরে ধীরে সচল হয় অচল , ধীরে ধীরে রংধনুটা নিখোঁজ , ধীরে ধীরে জমাট বাদল , ধীরে ধীরে বয়স বদল , ধীরে ধীরে আঁধার গমন , ধীরে ধীরে আলোর আগমন , ধীরে ধীরে নতুন চাঁদ পুরাতন , ধীরে ধীরে সৎ কর্ম সফল , ধীরে ধীরে মাটির বুকে ফসল , ধীরে ধীরে কামিয়াব সাধন , ধীরে ধীরে হয় কচ্ছপের জিত , ধীরে ধীরে কিছু অর্জন , ধীরে ধীরে মায়ার বাঁধন , ধীরে ধীরে বুনে মাকড়সার-জাল , ধীরে ধীরে দুষ্ট লোকের মিষ্টি-চাল , ধীরে ধীরে বুঝে উঠতে সময়-পার , ধীরে ধীরে সংগ্রাম জয় একবার , ধীরে ধীরে সত্য হবে ইনসাফ , ধীরে ধীরে আজ হয়ে যাবে কাল। ধীরে ধীরে হবে সমস্যার সমাধান ॥ ১৭.১২.২০২৩

সমান-সমান (মোঃ রহমত আলী)

ছবি
সমান-সমান ============= মোঃ রহমত আলী ============= যারা ছিল,তারা তো এখন আর নেই, যারা আছে,তারাও চলে যাওয়ার পথে, যারা আসবে,তারা ক্ষণিকের মেহমান, যারা চলে গেছে তারাই বেঁচে গেছে ! যারা থাকতে চায়,তারা যেতে হবে বাধ্য ॥ তারা কোথায়,যারা ভেবেছিল যাবেনা, তারাও তো বিলীন,কালক্রমে মাটির গর্ভে, তারা আজও আছে ইতিহাস সাক্ষী, তারা যারা ছিল সব একদম সত্যবাদী ! তারা চলে গেছে তবুও যুগের ইতিহাস ॥ যারা যোগ্য ছিলে,তারা অযোগ্য হলো, যারা সবল ছিলে,তারা আজি দুর্বল,  যারা অত্যাচারী,তারা একদা হবে নির্মূল, যারা ধৈর্যশীল,তারাই মূল সময়ে সার্থক ! যারা সত্য জেনেও,ভান ধরে অজানাই, যারা করে মিথ্যাচার,তারাই পরাজিত ॥ তারা দুষ্ট নির্বোধ,যারা করে হক হরণ, যারা সাক্ষ্য দেয় মিথ্যা,যারা করে বরণ, তারা জবাবদিহিতায় কি বলবে তখন ? যারা নির্যাতিত,তারা জেগে হবে উৎফুল্ল, যারা করে অবিচার,দেখবে তারা সেদিন ন্যায়বিচার,ইনসাফ শেষ সমানে-সমান ॥ ১৬.১২.২০২৩

গুনগুন (মোঃ রহমত আলী)

ছবি
গুনগুন - ============ মোঃ রহমত আলী ============ বাঁশি তো আমি বাজাই না, তবে সুর কেন টানে, দুপুরের রোদ্দুরে,পাখিটার পিপাসায়, নদীর বুকে যে ঢেউ দোলে, তার তালে প্রজাপতি নাচে। বাঁশি তো বাজে না, তবে মাতালো কে করুণ সুর, অবুঝ পাখিটা ফাঁদে ফেঁসে কাঁদে, সুখের সাথী গুলো, আজ দুঃখে সঙ্গ দিলো ছেড়ে। ভাঙা বাঁশি পুরাতন সুরে, রোজ বাজিছে নূতন তালে, সেই সুরে কারো আনন্দ, আবার কারো-কারো, দুঃখের স্মৃতি সুরে যায় মিশে। বাজে বাঁশি মনের সুরে, প্রাণের বেদনা তুলে, কষ্টের সাথে সুখের কথা, গুনগুন শব্দে মাতাল করা সুরে, প্রাণ দিয়ে ফের প্রাণ নেয় কেড়ে। ১৩.১২.২০২৩

অনির্বাণ - (মোঃ রহমত আলী)

ছবি
অনির্বাণ - ============ মোঃ রহমত আলী ============ চোখ খোলো নব যুগের দামাল, দেখাও তোমার সৎ হিম্মতের কামাল। আওয়াজ তোলো ইনসাফের জয় গানে, একাই তুমি সমান হাজার জওয়ান, অন্যায় দেখে হয়োনা পেরেশান, সাহস ধরে হয়ে যাও আগুয়ান। দুয়ার খোলো সময়ের দারোয়ান, সদা সত্য তোমার মগজে বহমান, মিথ্যা তোমার জন্য নয় পরিধান, নব যুগের নব ইতিহাস হবে অনির্বাণ। যুগান্তর কোন এক আওয়াজ, হয়ে রবে যুগে-যুগে সত্যের অভিধান। মুখ খুলে দাও ফুকার ওহে দামাল, ভয় কি সত্যের জন্য চাইতে ইনসাফ, হ্যাঁ আসবে কিছু সাজানো তুফান, ভয় নেই,ভয় নেই,তুমি বলবান, তুমি যুবক,তুমি নব যুগের নওজোয়ান। এগিয়ে যাও পায়ে-পায়ে সামনে, শান্ত এক নিয়তে,অশান্ত হিম্মত ধরে, তোমার যৌবনে জাগাও ঈমানের জোশ। যারা ছিল,তারা তো আজ আর নেই, তবু আছে জিন্দা আজও তাদের সততা, তাই অন্তরে ধারণ,তাদের যত ধরন,   ধৈর্য আর হক-হিকমতে তারাই অনির্বাণ । ১২.১২.২০২৩

মাটি (মোঃ রহমত আলী)

ছবি
মাটি ================ মোঃ রহমত আলী ================ মাটির বুকে ঘুরে-ঘুরে খাঁটি মাটির খোঁজে মাটির মানুষ মাটি চেনেনা হিংসা পুষে অন্তরে ঘুন ধরেছে জ্যান্ত গাছের আগা গোড়া সবখানে মাটির মায়ায় মাটি কেটে ঘর বানায় একটাই যে মাটির জন্য যুদ্ধ করে জিন্দা মাটির সঙ্গে প্রেম-টা কই তিল-তিল করে চেনা এক পলকে অচেনা চোখ মুখের কথা সব মাটি পুতুল এরা চেনেনা আসল মাটি মাটির বুকে ঘুমাতে হবে ভাবনা নেই যে কার মাটির সাথে বেইমানি করে গড়ে মাটির প্রাসাদ মাটির সাথেই মিশে একদিন সব হবে যে সবই মাটি মাটির পানে আঘাত হানে চলে খুব গর্ব ভরা কদম মেলে মাটির মায়ায় মরতেও পারে মারতেও জানে মাটির মানুষ রোজ খোঁজে ঘুরে-ঘুরে রিজিক মাটির ভিতর মাটির ঘর মাটি ১১.১২.২০২৩

কবি ও কবিতা (মোঃ রহমত আলী)

ছবি
কবি ও কবিতা ============ মোঃ রহমত আলী ============ বলবে কথা কবিতা চুপ থাকো হে কবি তুমি শুধু লিখতে জানো খুলবো তো রাজ আমি। তুমি কবি স্বপ্ন দেখো সাদা-কালো রঙিন কবিতা আমি বলে-দেবো জীবনের ছবিটা। বলছে কথা কবিতা শোনো চুপ শ্রোতা অনেক দিনের জমানো আগুন জ্বলছে কবির কলমে। একদিন কবি মৃত জীবিত আমি ক্ষণিকের কবিতা জীবনের কথা ফকিরের ভিক্ষা পাগলের অবুঝ পাগলামি আমি সেই আরো কবিতা। লেখা শেষ কবিতা কে করিবে আবৃত্তি এটা ভুলভাল ছন্দ অন্তমিল মন্দ কবিতার মায়ায় কবি অন্ধ কবিতা বইয়ের পাতায় বন্ধ। ১০.১২.২০২৩

রূপ অপরূপ (মোঃ রহমত আলী)

ছবি
রূপ অপরূপ ============ মোঃ রহমত আলী ============ প্রয়োজনের জন্য কত আয়োজন, মিটে গেলে দরকার,ভুলে উপকার। হাহাকার মেজাজের খামোশি প্রচার, আমার যা কারণ,তোমার তা অকারণ ! ললাটের আচরণ,বহু তার বিবরণ, স্বপ্ন ঘুম ভাঙ্গার বিষাদ একপ্রকার, বুকে-বুক জড়িয়ে বর্ণনা জরুরত, মিটে গেলে চাহিদা নিমিষেই ফারাক। হঠাৎ আঁচড়,বদলে আচরণের ধরণ, অস্বীকার যত মদদ অতীতের চরণ, অঙ্গীকার ভুলে আজ ব্যবহার কেমন, অপরূপের আদলে এখন নব রূপ,যেন বিপদের দিনে হাজির শত নতুন আপদ। আয়োজনের জন্য যা ছিল প্রয়োজনীয়, জরুরত শেষে তা অপ্রয়োজনীয়,তবে ছিঁড়ে তাল তালাশ,আবার সুর উপহার ! দায়বদ্ধ কোথায় আর কতদূর কর্তব্য, ভুলে যায় সেই উপকারের পরে দায়িত্ব, কত আদর মন ভোলানো সর্বনাশা ছলে, প্রয়োজন মিটে গেলে,মুখে নাম না মিলে। অন্ধকার দিনে মদদ,আলোতে চেনেনা, নিঃস্বার্থ মদতগার চিন্তা করেনা পরিনাম, উপকার পেয়ে দূরত্ব রাখে,গুরুত্ব ভুলে, স্বার্থপর হয়ে চলে,বিপদে হাত বাড়ালে, আবার কি আর সেই হাত মেলে ? ০৯.১২.২০২৩

শূন্যদৃষ্টি (মোঃ রহমত আলী)

ছবি
শূন্যদৃষ্টি ============ মোঃ রহমত আলী ============ মুখ চেপে চেপে বলতে হয় কথা , অনেক কিছু দেখেও ভান অদেখা , হাসি মুখে শত্রু বিদায় বুদ্ধিমানের , অতীতের সাথেই কদর বর্তমানের , ভবিষ্যতের সফর নীরব অন্ধকারে , মুখে তো আর নেই কোনো ঢাকনা , বেরিয়ে আসে হরেক রকম কথা । মুখবন্ধ,কান খুলে কত শুনি কথা , বলতে গেলে কিছু,অপরাধ মেলা , নাক চেপে শ্বাস বন্ধ রেখে চলা , ডাস্টবিনের বাইরে ময়লা ফেলা , চোখে ধুলো পড়লে নতুন কিছু শেখা , প্রমাণ খুঁজতে মুর্দা ফের জিন্দা করা , কিছু অন্ধের দৃষ্টিশক্তি ফিরে পাওয়া । মুখ-খুললে যেন পরান যায়-যায় ভাব , জোনাকির কাছে কী মূল্য সূর্যের তাপ , আজ অনেক সত্য মূল্যায়নের অভাব , চারিদিকে বহুত মিথ্যার জয়জয়কার , মুখ থাকতেও বোবা,অভিনয়ে বাধ্য , দ্বায়িত্ববান কেউ কেউ উপহাসে ব্যস্ত , ফিসফিস মুখ বুজে হচ্ছে কথা ন্যায্য ॥ ০৫.১২.২০২৩

আবদ্ধ (মোঃ রহমত আলী)

ছবি
আবদ্ধ ============ মোঃ রহমত আলী ============ সবার সাথে সবার জমে না তো ভাব , মনের মতো মনের আজ বড় অভাব ! সুখী সবাই উপর-উপর , দুঃখী যে ভেতর-ভেতর , হাসিতে যার মুখ ভরাট , কাঁদাতে পারে কে ললাট , স্পষ্ট কষ্ট একা তার চোখের কিনারায় । সবার সাথে সবার মিলেনা যে সব তাল , তবুও চলতে হয় মিলিয়ে তালে-তাল ! প্রশ্নের উত্তর জরুর তবে , উত্তরের উত্তরে বিবাদ হবে , আনন্দ শেষে বিষাদ রবে , মজবুত কথা দুর্বল যেথায় , সালাম দিয়ে জলদি বিদায় হেথায় । সবার সাথে সবার ভালোবাসা কি সমান , তাই নজরবন্দি ফিকির গুলো যার তার ! জীবন থেকে নেওয়া জীবন , হিসাবের ব্যবধান তুলনায় , আবদ্ধ নজরের করুণায় , তফাৎ শুধু বিষয় বিবেচ্য , মনের আঙিনায় কল্পনা এক আলোচ্য ॥ ০১.১২.২০২৩