পোস্টগুলি

মোবারক মাহে রমজান (মোঃ রহমত আলী)

ছবি
মোবারক মাহে রমজান ================== মোঃ রহমত আলী ================== বছর ঘুরে এলো আবার মাহে রমজান, রোজা রেখে পূরণ করবো রব তায়ালার আহকাম। বেশি বেশি নফল আদায়, মিলবে ফরজের সওয়াব, সব ইবাদত দেখে সবাই, সিয়াম সাধনা গোপন, দেখেন পরওয়ারদিগার। ধরতে পারলে ধরো রে মন, ছেড়ো না রোজার একদিন, বছর ঘুরে না পাও যদি রোজা আর কোনোদিন ! এই মাসে নাজিল আল-কোরআন, রহমত,মাগফেরাত,নাজাত, এত ফজিলত,এত নেয়ামত, এত তোহফা,এই তো মওকা, করে তওবা,তালাশ করি, নাজাতের হর বিজোড় রাতে, শ্রেষ্ঠ রজনী লাইলাতুল কদর, সংযমের এই পবিত্র মাস, মোবারক মাহে রমজান। ১২.০৩.২০২৪

আহ্বান (মোঃ রহমত আলী)

ছবি
আহ্বান ============ মোঃ রহমত আলী ============ কি হলো কবি নীরব কেন তুমি ? উঠো,জাগো,লেখো,চালাও কলম, মিথ্যার সমুদ্রে সত্যের ঢেউ তুলে। তুমি না জাগলে হবে না তো আর ! মৃত নদীতে উত্তাল ন্যায়ের জোয়ার, তোমার কলমটা-ও যে এক তলোয়ার, অন্যায়ের বিরুদ্ধে তোমার কবিতা হবে, এক কথার কথায়,শত দর্পণের দর্শন। তো কি হলো কবি আর দেরি কেন? লেখো আগুন ঝরা কলমে,শান্ত বাণী, অশান্ত অক্ষরে দুর্দান্ত শব্দ সাজিয়ে, অবহেলিত মানবতার জয় জয়গান। ঘুমন্ত মানবতা জাগাও আবেগের খোঁচায়, কারো অবহেলায়,কারো কান্না, কারো প্রতারণায়,কারো হতাশা, আরো আছে যা কিছু লিখে দাও সব, মজবুত বর্ণমালার সাথে,ভালোবাসা মেখে,নিদ্রিত বিবেকের ঘুম ভাঙ্গাতে। এই যে ওহে কবি তোমাকেই বলছি ! তুমিই পারবে,শত ঈর্ষার ঊর্ধ্বে, খ্যাপা সুর তুলে,বাউলা কন্ঠের তালে, ছন্দে ছন্দে লিখে আরো গদ্য কবিতা, প্রকাশ করে দিতে পারো সত্য ছবিটা। ও কবি তবে এতো আর ভাবছো কী ? লিখে দাও তো এবার হক কথা সমুদয়। আহ্বান পুরো করো। তবে কি হলো কবি? ১০.০৩.২০২৪

আবেদন (মোঃ রহমত আলী)

ছবি
আবেদন ============ মোঃ রহমত আলী ============ রাজ্য রাজার একাই, প্রজা সব গোলাম, হরেক কথায় প্রণাম। শখের প্রতিবাদী তুফান, জৌলুসে বিন্যাস জুলুম, সাধারণ জনতা মজলুম, মুখে মুখে রাজার মজলিস। ঘাতক করছে নাটক, সিপাহী যখন দর্শক, পাগল-ও করে উপভোগ। রাজ্য-টা সবার,রাজা-ও সবার, তবে কেন দৃষ্টি একতরফা ? একদল খেয়ে চেটে পুষ্টিতে তুষ্ট, আর কেউ অসহায়, দিশেহারা হতাশায় বোবা। আমরা আমজনতা, রাজা কে জানাই সালাম, যদি দেখেন চেয়ে রাজ্য জুড়ে, নয়ন মেলে সমান সমান, কেমন আছে গরীব প্রজা, সুখে দুঃখে তাই আবেদন। ০৮.০৩.২০২৪

সোনামণি ( মোঃ রহমত আলী )

ছবি
সোনামণি ============ মোঃ রহমত আলী ============ ফুল বাগিচায় খুকুমণি খেলাকরে প্রজাপতির সাথে। পুকুরেতে গোসল করে খোকাবাবু মাছ ধরে আনে। সোনামণি শোনো পাখির বাসা ভেঙ্গোনা ডাকবে কে ভোরবেলা। আমরা ভালো খোকাখুকি লেখাপড়া করি সময়মতো রোজ নামাজ পড়ি। ২৯.০২.২০২৪

কলিজা (মোঃ রহমত আলী)

ছবি
কলিজা ============ মোঃ রহমত আলী ============ এক কথায় মন ভেঙ্গে চূর্ণ-বিচূর্ণ, আরো বেশি হিম্মত এসে হলো যুক্ত, চোখের কোনায় জমে আছে মুক্ত, ব্যথিত হৃদয়ে আরো ব্যথা সংযুক্ত, অপমানের আনন্দে হাসিমুখ উন্মুক্ত। কিছু বলতে চাই,তবে মুখ খুলতে চাই-না, চোখে চোখে বর্ণনা,যদি বুঝে নিতে ভাই। জেগে আছে তো সবাই ! তবে ঘুমন্ত অন্তর কোণে লুকানো আবেগ, আর নিদ্রিত মগজে লোপাট বিবেক। তাই সীমানা পেরিয়ে যেতে চাই না, তো যতটুকু ব্যথা ততটুকুতেই কথা, অপমানে-ও রাজি মন ভেঙেছে কাজী, অভিমানী অভিযাত্রী একাকী আমি। এক কথায় মন আনন্দে উজ্জ্বল, শত ব্যথায় কেন যেন নাহি চোখে জল, দুঃখ পেতে পেতে অটুট মনোবল। তাদের আচরণে ঘুম আসেনা চোখে, কলিজা কেঁপে কেঁপে সারারাত কাঁদে, নির্দয় মিষ্টি মিষ্টি নির্মম কথাগুলোর আঘাত,উত্তপ্ত পাথরের চেয়েও জোর, তবে কোনো টুঁ”শব্দ করা একদম বারণ। তবুও ঘুমন্ত বিবেক গুলো জাগ্রত হোক, দশ কথার সমাধান,এক কথায় প্রকাশ, ভালোবাসার ব্যবহার ভালোবেসে হোক। ২৮.০২.২০২৪

আত্মসমর্পণ (মোঃ রহমত আলী)

ছবি
আত্মসমর্পণ ================ মোঃ রহমত আলী ================ পথেই আছি পথ খুঁজে পাইনা, চোখে দেখে মুখ খুলে বলি-না, দেখানো রূপের অন্তরালে, নির্গত যে অনর্গল অনল, শিক্ষা জ্ঞানের আলো সর্বত্রই, দীক্ষায় বিবেক আলোকিত কই। কিছু বিদ্বানের আচরণ উদ্ভট, শোনেনা ব্যথিতের অভিযোগ, শুধু নিজেরটাই তার পূরক, কিছু ডাক্তার মশাই যেমন, শুনতে চায়-না রোগীর পূর্ণ বর্ণন, হাজার টাকায় দু-চার মিনিট দর্শন। বড্ড যন্ত্রণায় জর্জরিত দর্পণ, বাঁচার জন্য যুদ্ধ মরণপণ, এসব হতাশা কোথায় করি অর্পণ, বিমারি এমন বাধ্য আত্মসমর্পণ। ২৭.০২.২০২৪

জবাবদিহি (মোঃ রহমত আলী)

ছবি
জবাবদিহি ================ মোঃ রহমত আলী ================ চারিদিকে হাহাকার মুখে জয়জয়কার ঘুষ দিতে দিতে পকেট খালি কার কার ! বুদ্ধি ফুরিয়ে মাথায় হাত এ কেমন আবার কারবার পেটের জন্য পকেট কাটে আখেরাতে কিন্তু খবর আছে। দিনের আলোতে দ্বীন দেখে-না যে যে হারামের আরামে আছে কে কে হালালের সুসংবাদ মানে কে সে ! অবশ্যই চার দিন শেষে জবাবদিহি অবশেষে মনে রেখো রঙিন মানুষ সাদা কাফন সবার হবে। ২৬.০২.২০২৪

সওগাত (মোঃ রহমত আলী)

ছবি
সওগাত ============ মোঃ রহমত আলী ============ অর্থের বিনিময়ে সওগাত বড়ো তাজ্জব এ গলার-হার ফুলগুলো ছিটানো হলো ভালোবেসে মাথার ওপর তবে হায় আফসোস লুটালো তা পদতলে সুবাসে মুখর বন্দর ভেতরে পুড়ে ছাই অন্তর ফুটন্ত ফুল ডালে ডালে সুন্দর বিনিময়ের এ বাজারে ঝরা ফুলের-ও  অমূল্য কদর আসলের চেয়ে নকলের সোর আছে সচল পেশিশক্তির জোর উত্তম কণ্ঠ লাপাত্তা প্রায় বেসুরো গলায় যা খুশি গায় মুখ চিনে চিনে বিতরণ মিষ্টি অদ্ভুত তরিকায় আকর্ষণ দৃষ্টি এ যেন হায় বিনা মেঘে বৃষ্টি অর্থের ওজনে সম্মান গোপনে পোশাকের কদর মুখর সদর ২৫.০২.২০২৪

আদব (মোঃ রহমত আলী)

ছবি
আদব ============ মোঃ রহমত আলী ============ তাদের থেকে যারা ভালো যাদের থেকে জানা হলো আমার চেয়ে তুমি ভালো তোমার চেয়ে উনি বড়ো। রাগের শেষে আদর করো গুছিয়ে কথা বুঝিয়ে বলো আদব মতো কায়দা জানো মানুষের মধ্যে মানুষ ধরো। আমার আমার ছেড়ে চলো বিবেক জ্ঞানের বিচার ভালো আবেগ তোমার সামলে রাখো তাদের জন্য কিছু তো করো। যাদের কাছে তারা আলো তাদের কাছে যারা কালো তোমার সাথে যিনি ভালো আমার সাথে তিনি আরো। ২২.০২.২০২৪

খামোশ (মোঃ রহমত আলী)

ছবি
খামোশ ============ মোঃ রহমত আলী ============ রূপসাগর বড় অপরূপ, ভরদুপুরে কড়া রোদ্দুর, মায়া-মায়া মায়াহীন, গহীন মরুভূমিতে জীবন্ত এক সমুদ্দুর। ডুবে-ডুবে বেঁচে থাকা, কিনারায় রোজ মরণপণ অহরহ জীবিকার যুদ্ধ। দুর্ভিক্ষের মধ্যে জ্যান্ত ক্ষুধা, দানশীল বর্ষায় তবুও তৃষ্ণার্ত মানবিক মানবতা। অপরূপ বড়ো রূপসাগর, কঠিন পাথর অন্তর, ভাঙ্গেনা হায় সচরাচর, উদার উদার উপর উপর, ভেতরটা জালিম জানেনা খবর, আগমন সহসা বিদায় যাযাবর। কাননে কাঁদে কোকিল যখন, দানবের হাসিতে সুখের বোল, মানবতার মুখে সাপের ছোবল, শহরে খামোশ প্রতিবাদী রোল, নিখোঁজ মানবতার অসহায় ঢোল। ২০.০২.২০২৪

হঠাৎ (মোঃ রহমত আলী)

ছবি
হঠাৎ ============ মোঃ রহমত আলী ============ এই ভালো এই মন্দ জীবন মানে হরেক রকম ছন্দ কখনো দ্বন্দ্ব কখনো আনন্দ তবুও সুখ দুঃখের সীমা অফুরন্ত। এইতো শিশু এইতো বৃদ্ধ এইতো সংসার কোথায় গেলো জোয়ান কাল কখনো রোগ কখনো শোক তবুও চলছে জীবন রোজ। এই সাঁঝ এই রাত একই সাজে সাজ দুপুর ঘুরে বিকাল কখনো হাসি কখনো কান্না কখনো উদাসী ঘর সবার এক মাপ সময় হলেই অবসান তাই হঠাৎ হঠাৎ সমাপ্তি সকাল। ১৯.০২.২০২৪

তুলনা (মোঃ রহমত আলী)

ছবি
তুলনা ================ মোঃ রহমত আলী ================ তুমি তো বন্ধু বহুদূর যাবে না আমার সাথে, তবে চলো না কিছুদূর। দেখো ঐ যে অন্ধ বেচারা, আলোতে খুঁজে ফেরে মানিক, চোখ থাকতেও কেমন পথিক, অন্ধকারেই করে ঘুরঘুর। চলো বন্ধু এইতো এই ফুটপাত পর্যন্ত যাই, আমি যা দেখছি, তুমিও কি তাই ভাবছো ! ঐদেখো ফকিরের সাথে বাবু-সাহেব এর কত মিল। অনুনয়-বিনয় করে, হাত পেতে ভিক্ষা নেয় ভিখারী, তারাও তো নেয় মুখ-খুলে দাপটের সাথে ধমকে। তবে বন্ধু তুমি কি বলো, পাগলরাই বোধহয় ভালো আছে তুলনামূলক ! ও তুমি তো আর যাবেনা, আমার সাথে ততদূর, তবুও তুল্য এগুলো  বকবক আবোল-তাবোল ঘোর॥ ১৮.০২.২০২৪

আহ্লাদ (মোঃ রহমত আলী)

ছবি
আহ্লাদ ============ মোঃ রহমত আলী ============ প্রেমের বয়স বলো আমায়, বিবাহের বয়সটা জানা, বুড়ো কখন হয় মনটা,দেহ চলেনা। চোখের নজর ফুরিয়ে গেলে-ও, খুশবু ফুলের পিছু ছাড়ে-না। মনের সাথে মন-ও প্রাণের মিলন, বয়স দেখে-ও বোঝেনা, সত্য প্রেমে সাদা-কালো, সুন্দর ধনী বা গরীব দেখেনা। ফাগুন জোয়ান প্রতিবছর, কোকিল গায় বারোমাস, আসল প্রেম হৃদয় গভীরে, চোখে বহা মোহনায়। সকাল,দুপুর,বিকাল,সন্ধ্যা, মনের সাথে মনের মিল সারাবেলা, সেই প্রেমের নাম ভালোবাসা। সারাজীবন রঙিন রঙিন, প্রেমে পড়ে প্রেম বাড়ে দিনের দিন, বয়স কোন ব্যাপার না, বন্দি প্রেমের কারাগারে। এই রোগের ইলাজ কোথায়, দুঃখের বসন্ত সুখের শাওন, প্রেমে জীবন প্রেমে মরণ, ভালোবাসা রোজদিন, সমান-সমান প্রতিদিন, সাধ্যমতো আহ্লাদিত বৃদ্ধ জোয়ান। ১৪.০২.২০২৪

কায়দা (মোঃ রহমত আলী)

ছবি
কায়দা ================ মোঃ রহমত আলী ================ কথার তালে তাল, জ্বলন্ত আগুনে তুফান, ফুলের দুশমন,কাননে লালন। খুব নামি তো বটেই, উপকারী ও নন, স্বার্থ ফুরালেই দৌড়ান। কলস দেখলেই পিয়াস জাগে, এক পয়সা-ও লাগেনা, দশ কাপ চা খেতে। দেখি-দেখি করে সব দেখে, নিজের সুবিধা ছাড়া, কিছুই আর দেখে না-রে। মুখে-মুখে কথা খুব দামী, বাহ্ মধু-মধু বদনামী, বেকায়দায় সুর তরফদারি। ০৯.০২.২০২৪

অহরহ (মোঃ রহমত আলী)

ছবি
অহরহ ============ মোঃ রহমত আলী ============ ভান ধরে ঘুমিয়ে আছে যারা, তাদের জাগাতে পারবে না কোন কান্না, তারা তো জাগ্রত,ঘুমন্ত তাদের বিবেক, চোখ কান বন্ধ করে চলছে তাই ! জানে সব তবু ভান ধরা ধ্যানে, বিপদে কারো দেয় না সাড়া মনেপ্রাণে, কবুল করেনা গলদ করছে যা যা, নিজের বাহাদুরি নিজত্ব-তে সীমাবদ্ধ ! খোঁড়াটাও এগিয়ে যেতে হিম্মৎ বাঁধে, তবে এরা তো মজা নিতে নজর রাখে, এদের তাণ্ডব লীলা হায় আফসোস, যারা খুব নাকি হুঁশিয়ার তবুও চুপচাপ ! আগুন লাগিয়ে সংসার সহ সমাজে, জলের বদলে নেভানোর ছলে-ছলে, তারা কেরোসিন দেয় ঢেলে বহুরূপী ঢঙে, আর কত আনন্দ উপভোগ তাদের রঙে ! গোটা জগৎ এক মায়ার চক্রভিউ, বিভোর অহরহ স্বার্থের তালাশে কুচক্রী, নেই চোখে নোনাজল,হ্যাঁ দুষ্টু মুচকি হাসি, প্রায় নিভু-নিভু তবু উজাগর সত্যের দীপ ! ০৮.০২.২০২৪

পার্থক্য বিবেচ্য (মোঃ রহমত আলী)

ছবি
পার্থক্য বিবেচ্য ============ মোঃ রহমত আলী ============ অনেকের সাথে আছি আমি একা হয়ে, একা একা একাই একাকার হয়ে, হাতের রেখায় নাকি ভাগ্যের লেখায়, সময়ের কথায় নাকি কাহিনী-র খেলায়, ডানা কাটা পাখি উড়ে যেমন আঙিনায়। ঘষামাজা শেষে উজ্জ্বল চাঁদ আকাশে, জং ধরা চোখে দেখে-না তা অনেকে, পার্থক্য বিবেচ্য পথের মাঝেই তো পথ, তালাশ করার মতো যদি থাকে অন্তর্দৃষ্টি। তুলনায় মূল্যবান সোনাদানা,হীরা,মনি, মুক্তা,তার চেয়েও অমূল্য অল্পতে সন্তুষ্টি, সৃষ্টির পিছে ঘুরে ঘুরঘুর ভুল বহু ভুল, স্রষ্টা থেকে যে মন রয় দূর বহুত দূর। অনেকের সাথী বন্ধু আমি তো নই, একা একা একাই থাকি বেশ আনমনে, স্বপ্ন ভেঙে যায় যেখান থেকে, সেখান থেকেই আবার দেখি। একজন হবে না তো সবার হিয়া, তবুও কেউ হয়তো একান্ত প্রিয়, পার্থক্য হয় যদি বিবেচ্য নমনীয়তায়, তবে হিসেব আবার মেলানো যায়। সম্মুখে প্রকাশ যে সুখময় হাসিটা, গোপনে লুকায়িত যা অপ্রকাশিত দুঃখের বন্যা,তার জন্য কোথায় কার ? করুণাময় কারো আন্তরিক অনুসন্ধান ! তাই একা একাই আমি একাকী একাকার ০৭.০২.২০২৪

ব্যাখ্যা (মোঃ রহমত আলী)

ছবি
ব্যাখ্যা ============ মোঃ রহমত আলী ============ হাসতে চেয়ে দাগ পড়ে যায় দিলে, তবু হাসতে হয় কান্না লুকাতে, তর্কে অপমানিত চুপ থাকাই শ্রেয়, গাধার পিঠে পরাজিত যোদ্ধা, নদীর ভাঙ্গনে অকালে উজাড় বস্তি। চোখে আবার ছলছল নোনা জল, পদ্মা মেঘনা শুকনো যমুনার মরু-তল। যেখানে সূর্যের কিরণে আলোকপাত, তবু মগজ -টা আলোকিত নয়, ধোঁয়াশায় কতক রহস্য লুকায়িত, উদঘাটন করতে পারলেও অপারগ, সময়ের জটিল সমীকরণের ব্যাখ্যায়। হাসতে হাসতে যখন অশ্রু লুটায়, ব্যাখ্যা দেওয়ার মতো ভাষা হারায়, কল্পনায় ল্যাপটানো বাস্তবতার ফারাক, শুকনো নদীর চরে নূতন পূর্ণিমার ঝলক। মাসের পর মাস প্রতীক্ষার ফল রতন, যতনে লুকানো কান্না গুলো দুঃখের, কখনো সরিষা ফুলের মতো হাসে, তবুও বিশ্রামহীন কর্কটক্রান্তি পেরিয়ে, সমালোচনার আলোচনায় মুখরিত ক্ষুধা। পলকে পলকে স্বপ্ন ভাঙার সাধনা, অহরহ ঘুমন্ত বিবেক দ্বারা প্রতারিত, ক্লান্ত আবেগের পাগলামি হাসি -টা । ০৪.০২.২০২৪

খোরাক (মোঃ রহমত আলী)

ছবি
খোরাক ============ মোঃ রহমত আলী ============ আবার নাচতে শুরু করেছে, সাগরের ঢেউ,বাতাসের আবেশে, আবহাওয়ার মতো পরিবর্তনশীল, মানুষের আবরণ কারণে অকারণে, ধ্বংসের দিকে আগুয়ান হতে হতে, সান্ত্বনার কান্না খোরাক হয়ে রয় মনের। সত্য যা বিশ্বাস হয় না সহজে তা, মিথ্যার জয়জয়কার আজ চারিধার, উত্তম ব্যবহার পচে যাচ্ছে প্রতিদিন, চরিত্র বদলাতে বদলাতে আনমনে। স্বীকার হচ্ছে না গাফিলতি গুলো, আঙুল দেখাতে দেখাতে যাকে-তাকে, অবিশ্বাস গ্রাস করে আছে দিলের কোনে, নিঃশ্বাস চলছে শুধু মিথ্যার লোভে খয়ে, তারই মাঝে বহু মুশকিল চেনা -সুরত, পরিচয়ের পর পরিচিত কে সত্য বলে ! আবার ভাঙতে শুরু করেছে নতুন করে, বিশ্বাসের বুনিয়াদে গড়ে ওঠা চিত্ত, তাতে অনেকের কিছুই যায় আসে না, তবু তারই মধ্যে বেঁচে চলা নিরুপায়, চলতে হবে বেছে বেছে হিকমতের সাথে। প্রশান্তি হারিয়ে যাচ্ছে পরিশ্রমের পর, মহা জরুরত কি আর মিটে বিন্দু কণায়, আকাশ সমান হতাশায় সাফল্যের নীর, জীবনের পরীক্ষায় সত্য মিথ্যার ভিড় ॥ ০১.০২.২০২৪

দাদু - (মোঃ রহমত আলী)

ছবি
দাদু - ============ মোঃ রহমত আলী ============ দাদুর মাথায় টাক বৃষ্টি পড়ে টুপটাপ, গরম মাথা ঠান্ডা হঠাৎ চুপচাপ। দাদুর চোখের পাওয়ার দাঁত নেই খাওয়ার, তবু পান খায় চালভাজা চায়। দাদুর হাতের লাঠি পথ চলার সাথী, কথা বলেন খাঁটি প্রাণের প্রিয় নাতি। দাদু জ্ঞানী পাকা সত্য বলেন সদা, হাসিমুখে মনোব্যথা দেয় তবু দোয়া। দাদুর কান খাড়া শোনেন ঢের কথা, বুড়ো ছোট খোকা জেদ ধরা রাজা। দাদু করবে বিয়া দাওয়াত নাহি দিয়া, বিদায় কালে মিয়া কাঁদবে সবার হিয়া। ৩০.০১.২০২৪

কবি তুমি কার ! (মোঃ রহমত আলী)

ছবি
কবি তুমি কার ! ============ মোঃ রহমত আলী ============ কবিতার জন্য কবির নাম,কবি বদনাম, পুরাতন দামি কবি-কে প্রণাম, নতুন নামি কবি কে সালাম। কবি তুমি কার ! শুধু কি কবিতা’র,নাকি জনতার, কবি আমি মমতার,আমি মানবতার, আমি ন্যায়ের পক্ষে সাক্ষ্য, অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী অক্ষর। আমি কবি এক ইতিহাস ! অনেকেই করে তাই উপহাস, কবির কাহিনী,নতুন গানে টান আনে, কবিতার প্রেমে বিদ্রোহী সংগ্রামী মনে। লুটিয়ে দিলাম সব কবিতা, টোকায়ে নিলোনা তো কেউ ! জানিনা কেন তারা ছেড়ে দিলো, অর্ধেক পড়ে কবির-কবিতা, ও…অন্তমিল ছাড়া ছন্দ হারা, লেখ যা তুমি কবিতা,কী কবি হলে ? কবি তুমি কার ! বন্দি কারাগার,নাকি ঢেউয়ের আগে, বাতাসের মতো সুখে-দুঃখে সমান সবার। কবি দিনরাত করে বরবাদ, ভিখারীর সাথে আসমানে পাতে দুহাত, পাগলের হাসি কবিতায় আঁকি, মজলুমের কথা,গরীবের দেখা, ফুটপাতে পাগলপারা পাগলীর কান্না, লিখে এক কবিতা,রাজার দুশমন হওয়া। ২৮.০১.২০২৪

জনাব - (মোঃ রহমত আলী)

ছবি
জনাব - ================ মোঃ রহমত আলী ================ আমারটা ঠিক বুঝি আমরা, পরের বেলায় পুরো অবুঝ, অন্যের দোষ দেখে হাসি, নিজের -টা ধরলে রাগী, গর্তে কাকে কেমনে ফালাই, নিজে পড়লে হায় কাঁদি, ভরা পকেটের সাথে আছি, পকেট খালি তো আর নাই, নিজের সুনাম খুব ভালো, দুর্নাম শুনলে লাজে ক্ষিপ্ত, সহযোগিতা নিতে রাজি, করতে অনেক দূর নারাজ, অপরের সুখে হিংসা করি, নিজের দুঃখে হতাশ হই, কানে-কানে শুনে কথা, আসল খবর হয়না দেখা, হাওলাত নিতে বিনয়ী ছলা, ফেরত দিতে তালবাহানা, কৃতজ্ঞ চার-পায়ে চলে, অকৃতজ্ঞ দুই-পায়ে দৌড়ে, নিজের দোষ অন্যের ঘাড়ে, সাধু সব এখন ঘরে-ঘরে, গুণ উপকার অস্বীকার করে, নিজের বেলায় দুঃখ লাগে, জনাবের এখন জবাব নাই ॥ ২৬.০১.২০২৪

জবাব - (মোঃ রহমত আলী)

ছবি
জবাব - ================ মোঃ রহমত আলী ================ পানের সাথে চুন সুপারি, কাজের আগে ঘুষ দাবি, কথা লম্বা বড় দামি দামি, সুযোগে ছাড়ে না সালামি, দরকষাকষিতে চাল নবাবী, মুখে বেশ নরম সুরের বাণী, গরম দাপটে ধমকায় অভাবী, হাতপাতা ঘুষখোর স্বভাবী। ঠান্ডা জল গরম করে, মিলায় চা-পাতা আর চিনি, লাল চা খেয়ে বলেন বাবু, ঘুষের টাকায় দেখরে বেকুব, আজ লালে-লাল আমি। আমি বলি শোনেন স্যার, কামাই সবাই খাবে আর আপনি দেবেন হিসাব, সময় থাকতে চিন্তা করেন, সময়মতো কী দেবেন জবাব। পানের সাথে জর্দা লাগে, অফিস খরচ -টা আগে, মামার বাড়ি এটা নাকি, আমার কলমের লাল কালি, হারিয়ে যাবে ফাইল খানি, বাপু খরচাপাতি ছাড়া, কাজটা করে কে দেখা ? ২৩.০১.২০২৪

শিক্ষা দীক্ষা হজম (মোঃ রহমত আলী)

ছবি
শিক্ষা দীক্ষা হজম ============ মোঃ রহমত আলী ============ শিক্ষনীয় শিক্ষার আজ বড় অভাব, চলছে বাণিজ্যিক শিক্ষার সম্ভার। ছোট্ট শিশুর মগজে অতিরিক্ত ভার, সু-শিক্ষার দীক্ষা হজম তো এ দায় কার ! তোমার না আমার,নাকি আমাদের সবার। ও…শিক্ষা তো এখন বাণিজ্যর ব্যাপার, মান্য নয় বইয়ের পড়া জীবন শিক্ষায়, অর্জন ধরে বড় কত ডিগ্রি উপাধি, ছোট্ট বাবুর আজ হলো বড়বাবু পদবী। শিক্ষিত বাবু সাহেব হলে তুমি, সু-শিক্ষাণের বিবেক জ্ঞান কই, ব্যবহার বড্ড মানবিক মহোদয়, উচ্চপদস্থ সহ বড়-বড় অফিসার, কিছু জন বাদে,বাকি সব রাক্ষুসে ঘুষখোর খাদক,শিক্ষিত মহা-খয়রাতি। যে যত বড় ডিগ্রিধারী শিক্ষিত, সে তত বেশি-বেশি ঘুষ নেবে তো ! এটাই বিশ্বের প্রান্ত থেকে অর্জিত তাদের ডিগ্রির বড় শিক্ষা হয়তো। তবে কোনো বইতে তো লেখা নেই, বাস্তব চরিত্রে শিক্ষিতের রূপ যা ! ওদের ফাঁদ থেকে বাঁচা খুব মুশকিল ! তবু সততার হিকমত যার হবে আসান, শিক্ষিতরাই তো হয় বড় বড় অফিসার, তবুও তারা মূর্খের মতো করে অবিচার, বহু কিছু দেখে চোখ অন্ধ যে এখন ! ২২.০১.২০২৪

যখন তখন (মোঃ রহমত আলী)

ছবি
যখন তখন ============ মোঃ রহমত আলী ============ জানিনা ঠিক কে কেমন মনে হয় সব আমি যেমন সবার অশ্রুর একই রং তফাৎ যত কষ্টের ধরন কারো খুব মিঠা আচরণ কেউ করে দুঃখ হেসে বরণ মেজাজ বদলায় যখন তখন কাটা ঘায়ে নুনের মাখন যোগ গুণ এর যত যতন তেল মাথায় তেল দেয় যেমন তোমার চেয়ে আমি কমল আমার থেকে তুমি নির্মল যখন যেমন তখন তেমন গরমিল রাতদিন যখন তখন। জানিনা ঠিক কে আপন বিপদাপদ হঠাৎ যখন তখন ভাগ্য বদলে কেমন কখন কর্মফলের ফলাফল তেমন সবাই কি আর সবার মতন মুখের মধু যদি হয় অনল তবেই দেখায় চরম কোন্দল বিবাদ শেষে কী লাভের ক্রন্দন আগাম যদি দিতেন অভিনন্দন জীবন সমাজ হয় হতো চন্দন এখনো সময় ঠিক করেন বচন সারা সংসার রতন যখন তখন। ২১.০১.২০২৪

বালাই - (মোঃ রহমত আলী)

ছবি
বালাই - ================ মোঃ রহমত আলী ================ বেশি সুখ যার মুখে, দুঃখ তার অন্তরে, ভাঙ্গা মন ভাঙ্গে বারবার, লেখা যা কপালে আবার, বেশি কথা খেয়ে, বোবা হলো জবান, কানে-কানে,মান-সম্মান, ঘুরেফিরে রোজ, চোখে নোনা জল, অন্তরে দাফন আহত স্বপন, বিক্রয় হয় না কষ্টের দহন, ধার নিতে রাজি সবাই, চেয়ে সুখ-সুখের প্রহর। বেশি হাসি যার মুখে, গোপন কান্না তার মনে, শত রঙের বালাই, গুনে-গুনে লুকায়, সুদূর থেকে দেখে, বোঝার নেই উপায়, কথা খুব বড়-বড়, বটে সুখী-জনে বলে, মজা মারে বহুরূপে, দুঃখীর দুঃখ দেখে, মজা বাহ্ খুব লুটে, হেসে-হেসে,কান্না দেখে ! ১৯.০১.২০২৪