পোস্টগুলি

সংশয় -

ছবি
সংশয় - ============ মোঃ রহমত আলী ============ খুলে যদি যায় মুখ, মিটে যাবে কলমের ভুখ। পিপাসায় পাথর, পাপের লেখা শেষ অক্ষর। গলাবাজি চুপ, হিসাবের খাতায় অধিক ভুল। মাধুর্য্য নির্মূল, মানুষে মানুষের খায় ঘুম। মাথাপিছু যম, অবিকল মানুষের মতন। ক্ষেতে আক্রমণ, নষ্ট করবে পোকা ভালো ফসল। দু-হাতের আমল, বুঝবে মরণ হবে যখন। চোখ কান খোলা, তবু অন্ধ বধির তারা যারা। পার্থক্য তুলনায়, একে অন্যের ক্ষতি সাধনায়। উচিত উপমায়, উপহাস করে উদ্ভট লোকেরাই। আনমনা বাসনা, সংশয়ে নিঃস্বার্থপর কামনা। আসল বেঈমান, শয়তান কখনোই হার মানে না॥ ১০.০৬.২০২৩

আরজু

ছবি
আরজু ============ মোঃ রহমত আলী ============ কে চায় ফিরে আর বারবার, পচা ফুল ফলের দিকে। যে পায় না সে ও তো, ঘুরে ফিরে তাকায় না। যা পেয়েছি তা অনেক, যা হারিয়েছি তা-ও কম নয়। অর্জন ছুঁতে পারেনি সীমান্ত, তবু পথ চলা আজও অনন্ত। নামের-নামী চাইনা হতে আমি, কর্ম তরে নাম যদি হয়, সেটাই হীরার বেশি দামী। অতীত আঁধারে আলো হারালো, মান-অভিমান ঘুরপাকে পচলো, ধন্য তবু আমি অন্যের জন্য। হারিয়ে নাম হয়েছে বদনাম, লেখা ছিল কিছু ক্ষেত্রে অপমান। জানা-অজানার পরিচয়, বিবরণ খোলামেলা সব অপচয়। কে যায় ফিরে নিকট খালি কলসের, চতুর সবাই আশেপাশের, আক্ষেপ চলে শ্বাস-নিঃশ্বাসের, নির্বাক আছে চুপ দোয়াত কলম। ০৯.০৬.২০২৩

দাপদাহ

ছবি
দাপদাহ ============ মোঃ রহমত আলী ============ শহর পুড়ছে গরম তাপে, মানব জীবন জ্বালা মুখে। শীতল নেই কোন দ্বারে, চারিপাশে রবি-র দাহ , মানব জীবন জ্বালা মুখে। ছুপিয়ে আছে মেঘ গগনে, বর্ষা নেই ধরা পাতে, তবু সময় চলছে এতে, জনজীবন তাপদাহে। নগর এখন ভীষণ তাপে, বাতাস পালিয়েছে লজ্জা পেয়ে, মানব মুখের হায় শুনে। ছায়া যেন ঝিমিয়ে আছে, মানুষ অঙ্গ ঘাম দেখে, মানব জীবন তাপদাহে। তবু জীবন চলছে ধুকে, জীবন সংগ্রাম মিছিল করে। ঘামে ঘামে ভিজা বদন, দোয়া চাহে খোদার কাছে। একটু হাওয়া,বর্ষা,তুফান বহান, আমরা এখন ভীষণ দাহে, খোদা মোদের ক্ষমা করে, বাঁচিয়ে নিন দাপদাহে। ০৭.০৭.২০০২

আলাপন

ছবি
আলাপন ============ মোঃ রহমত আলী ============ দুঃখীর দরজায় কেন ! আসিবে সুখ অপ্রয়োজনে। হাসি কান্নার জরুরত মিটিয়ে, বন্দি সে সুখ স্বর্গলোকে। কান পেতে শুনি সুখ যাচ্ছে চলে, ধরিতে পারিনা বন্দি আমি অসুখে। নাকের ডগায় লুকানো মিছে লজ্জা, মুখে ঝরে কি যে মমতা, অন্তরে দেখা যায় না আছে ভর্ৎসনা। মিছেই মনে হয় সত্যের আর্তনাদ, অজানাই থাকে সুখের সন্ধান, তবু তো রাতদিন স্বর্গের অনুসন্ধান। সুখের দুয়ারে দুঃখ হাজির হঠাৎ , দুঃখ তো সুখের আসল পাহারাদার। ভাগ্য বদলে বদলায় মনের আদব, জমানো দুঃখ কষ্ট হারায় না তার, আসলেই সুখী ধনীমন যে যার। করি অবুঝ মনে আলাপন, দুঃখের কি সুখ আপন ! তবে সুখের চেয়ে দুঃখ কেন ? ওজনে সদা এত কম। চেয়ে থাকি দুখী মুখের পানে, একটু সুখের হাসির কতই না অভাব, এক সুখের প্রয়োজন অমূল্য যখন। ০৮.০৬.২০২৩

প্রতিকার (মোঃ রহমত আলী)

ছবি
প্রতিকার ============ মোঃ রহমত আলী ============ দুর্বিষহ সময় এখন রোজ হাহাকার, কেউ শুনেনা আজ কারো কান্না আর। সবাই আজি মাতাল দুঃখে খুব পেরেশান, ভালোই গেল গতকাল আজ যে বেহাল। শিকার তামাম এক তীরে কর্তা বাবুসাব, লাটিম ঘুরবে এবার,জলের উপর জাল। আকাশ পাতাল সমান ভাবছে দরদিয়া, ব্যবধান বিবেচনায় করবে কে প্রতিকার ! আগুন নেভাতে যে,আরো আগুন লাগায়, তারই তাপে জ্বলছে সবই আনায়কানায়। উজান পানে চেয়ে থাকে,ভাটি ঘাটের মন, দৈনিক সময় বদল,তবু কাঁদে কোন জন। দুষকর এইসময়ে এগিয়ে চলা সকলের, দুঃসহ নেই কার মুসকিল জীবন-যাপনে। কঠোর কেন এত দরদী তোমাদের অন্তর, ছেড়ে দিলে অভাবীকে-অভাবের হালাতে। দুর্ভোগের চরম আর্তনাদ করছে ফরিয়াদ, কার-কার অশ্রু মুছাবে কে আর আজ ! দুর্গম অভিমুখে অসহায়ত্বের অভিযাত্রী, স্বার্থপর সবাই নিজের স্বার্থের প্রয়োজনে। সমুদয় আকাঙ্ক্ষা মৃত প্রায় আয়োজনের, জোড়হাতে ঘুরছে সেই আদিকাল থেকে, দুর্বল যত দরিদ্র অসহায় প্রজাপতির দল। সভ্যরূপে এরা কত অসভ্যতা বহনে দক্ষ, নির্লজ্জ অনুতপ্তীতে গ্রহণ করে সাধুবাদ । ০৬.০৬.২০২৩

চক্রভিউ –

ছবি
চক্রভিউ ============= মোঃ রহমত আলী =============== চুপি,চুপি,চুপ,চাপ মনের গভীরে লুকানো বলতে পারো কি? কার মনে কত পাপ। জীবন চলছে কেটে ধাপে-ধাপ সবই ঠিক-ঠাক তবু রূপ কত কার চমৎকার! অভিনয়ের চরিত্র বড়ই কঠিন এ যাত্রাপালায়। যবে অভিনেতারাই যে কি দারুন নাট্যকার। ছুপ,ছুপ,ছুপা কর্মকারের অলংকারী কারুকাজ তাইতো বুঝা বড়ই দায়, প্রকাশ্যে নিলাম যবে তরলের রূপকার, তাহলে কোথায় গেলে হারায়ে সেই সব লুকাই-তো উপকার। এখনো যে বিন্দু-বিন্দু বর্ষার জলে দরিয়ায় উঠে দোল, তবে কিন্তু যে কি? এক বিন্দু রক্তের কোথায় হারিয়ে গেলে মাশুল। চুপ,চাপ,ছুপ,ছুপা রুপ-রুপালী ধূপে কত যে রং হাঁয় লুকা, চুকে গেলো হে ধনুকের নিশানা কত যে ছাপ আঁকা ছবি যার পিছে! এ সত্য প্রমাণিত এমনই এক আয়না, যেথায় কিছুই যে যার লুকাইতো নহে রয়না । ১২.১২.২০১২

হাট বাজার

ছবি
হাট বাজার ============ মোঃ রহমত আলী ============ আদা কিনতে গাধা আমি, তেলের বাজারে বেতাল, পেঁয়াজের ঝাঁঝে চোখে পানি, রসুন সহ দামে,গোস্ত দামী, মরিচের দর কষাকষি নানা-নানি, কাটা ঘায়ে হলুদ লাগাই, ওষুধ কেনা দুশকর তাই, সবজির বাজারে আগাছা হাতাই, চাল,গম,মসলা যেন সোনা-রূপা ভাই, টাকা-পয়সার কোনো -মূল্যনাই, লিচু কিনে শএর দরে, গণনা করলে আশি-নব্বই মিলে, গাছে পাকার আগেই ভরা ফল বাজার। মাছের বিরাট আজও হাট, কেনার সামর্থ্য কোথায় সবার, সুগন্ধি সাবান বাপরে-বাপ, সাধের-সাধ্য কার মাখবে আবার, পুরাতন কাপড় নতুনের দাম, বহুত ব্যবসায়ী তো লালেলাল, চিনির অভাবে মিঠা ছাড়াই -চা পান, গ্যাস-বিদ্যুৎ প্রায় মাসেই মূল্য সমন্বয়ে, সিজন ছাড়াই তরকারি এখন, পাই যে বারো মাস,আলু ভাই অমূল্য, দেশি মুরগির ডিম উধাও, বাজার করতে চোখ-মুখ কালো-লাল, বেহাল-দশার খেলা রোজ হাট-বাজার, পকেট ঝেড়ে ভরে না আর ব্যাগ আমার ! ০৪.০৬.২০২৩

বিষপাথর

ছবি
বিষপাথর ============ মোঃ রহমত আলী ============ মনের মাঝে আগুন জ্বলে, চোখে বহে অশ্রু সাগর। রাতে ফোটা ফুল জঙ্গলে, দিনের বেলায় বিষ পাথর। কালো মেঘে সময় বদল, সুখের সাথে দুঃখের বাদল। আষাঢ় শ্রাবণ যখন তখন, চোখের নদী শুকায় কখন। পাহাড়সম শক্ত কষ্ট যত, ঝর্ণাধারায় বহে জনম শত। আকাশ উদার রঙিন বাহার, নেই বলো সুখ-দুখ কাহার। অচিন পাখির জন্য কাঁদে, কোন সে কানন আবার। ভাদ্র মাসে ভদ্রলোকের, ভদ্রতা কে জানে কত প্রকার। পরশ পাথর বুকে দাফন, ঘুরছে পথে খুঁজে আপন। জোয়ার-ভাটা মানেনা বাধা, ভাঙা মনের বেহাল দশা। ০৩.০৬.২০২৩

পরান কেন কাঁদে

ছবি
পরান কেন কাঁদে ============ মোঃ রহমত আলী ============ কেন কাঁদে পরান, হবে নাকি এ বেদনা কভু আর অবসান। একটু ও করিলো না, সে আমার ভালোবাসায়, কভু কোন এহসান। ভালোবাসা টি শেষে আমার হল অপমান। কাঁদে কেনহে পরান, ভালোবেসে যে হয়েছে, বুঝি শত বদনাম। কার জন্য তোর পরান, এত করুণ কান্নায় কাঁদে ! কেউ কি তোকে ভালবাসে ! না কেহু তোর নাহি, তবে পরান কেন কাঁদে আমার। কেন পরান কাঁদে, কার ব্যথা কে আর বুঝে। আমি একা খুব দুঃখে ছলনা ভালোবাসা-তেই, তার আছি খুব সুখে। এমন দুঃখে দরিয়া ও নাহি, দিল আমার শান্ত তাই, আজও পরান আমার শুধু একা কাঁদে তাই । ২৬.০৭.২০০৫

ধৈর্যের অধৈর্য

ছবি
ধৈর্যের অধৈর্য ============ মোঃ রহমত আলী ============ অধৈর্য হয়ে মোরা ধৈর্যকে খুঁজি, অন্তরে ধারণ করতে পারি না, তো মুখেই ধার্য শুধু ধৈর্য বলি। সবুরে মেওয়া পেয়েছে যে জন, অধৈর্য হবে না সে বিপদ যখন। তবে নীরব বীর তো সেই জন, ধৈর্য হারিয়ে অধৈর্য হয় না যে জন। ধৈর্যের তলোয়ারে বহুত ধার, অন্যায়-অবিচার-অত্যাচার, সব কেঁদে-কেঁদে,রব্ব তায়ালার কাছে, ধৈর্যধারী দেয় চুপচাপ বিচার, তিনিই করবেন রোজদিন ইনসাফ। ধৈর্যের দৈর্ঘ্য দূর সে তো বহুদূর, ধৈর্যশীলতা ও এক বড় নিয়ামত, কামিয়াব করে দেয় হর মুসকিল মুসিবত। ধাপে-ধাপে সহনশীলতা তো অমূল্য, অমর্ষিত হলেই শেষ অর্জিত মূল্য। বারংবার অপমানিত তবুও তো কেউ, আছে ধৈর্য-ধারণে হরদম উৎসাহিত। সততা আজকাল অমাবস্যায় পতিত, অসৎ যে জনে সে পূর্ণিমায় উজ্জীবিত। অধৈর্য হয়ে আর কোথায় করি নালিশ, সইতে বাধ্য,উপায় নেই তাই ধরি-ধৈর্য ! সামাজিক গঞ্জনা বুকে উদগ্রীব অধৈর্য । ০১.০৬.২০২৩

اردو شاعری۔

ছবি
جندہ پہ قرض نہیں  مردہ پہ فرض نہیں زندگی ازاد صحیح پر آزادی نہیں ۔ رحمت علی 22.11.2024 شام ڈھلے سورج ڈب جانا ہے رات بھر اندھیرے میں تنہا رہنا ہے اجڑا بستی میں یہ ادھی رات چاند کو دیکھو وہ بھی بیچارہ تنہا ہے انکھوں کے عشق میں کیا عاشقی ہے حسرت محبت دل میں مردہ ہے ۔ ( رحمت علی ) 24.06.2024 শাম ঢালে সুরাজ ডুব জানা হ্যায় রাত ভার অ্যাঁন্ধেরেমে তানহা রাহেনা হ্যায় উজড়া বাস্তি মে ইয়ে আধি রাত চান্দ কো দেখো অভি বেচারা তানহা হ্যায় আঁখো কে ইশক মে ক্যায়া আশিকি হ্যায় হাশরাতে মোহাব্বাত দিল মে মূরদা হ্যায়। ২৪|০৬|২০২৪ رشتو کی بے حساب قدر میں انسان اجر بھول جاتا ہے۔ محبت کی کمزوری میں جواحساس بھول جاتا ہے۔ (رحمت علی) 13.04.2024 جو نگاہوں کی پہچان نہ جانے او دل کی حال کیا جانے جو حالت ضرورت نہ جانے او رشتوں میں چھپی راستے کی قدر کیا جانے۔ (رحمت علی)  13.04.2024 درد بھرے دامن میں تم نے اگ لگا دیے پھولوں کو قتل کر کے خوشبو لوٹ لیے افسوس غم کے انسو میں تم جو مسکرا دیے ۔ (رحمت علی) 19.01.2024 اے غم تجھے کب سے مسکرانا اگیا اے دل تو کیوں پتھر بن گیا اے دوست ...

বীর -

ছবি
বীর - ============ মোঃ রহমত আলী ============ ওহে বীর- তুই হলি কবে হতে, এতো রে কাহিল, তোর চোখে কেন, আজ এত নিন্দ। ওরে বীর- তোরা ছিলি সব, এক ধনুকের তীর, তবে কেন তোরা আজ, সব ছিন্নভিন্ন বীর। আরে বীর- এক ঘাটে বসে, তোরাই -তো এক-কাল, খেয়েছিলি-জলপান, ছিল কত যে অন্তমিল। জাগো বীর- তোমাদের মতামত মিলাও, হয় যেথায় অমিল, যাও জাগো একসাথে, প্রহরায় পথে ফুটপাতে। তবে বীর- ফের উচু কর তোরা সব, এক হয়ে শির,  এই নিশান উড়িয়ে -দে, হাতে-হাত ধরে থির। ওঠো বীর- দেখো রাতের আকাশ, নক্ষত্রের কত ভিড়, দূরে-দূরে বহু তবু, দেখায় তাদের কক্ষপথেই। চলো বীর- আজি সবে এক হয়ে, এক কাতারে হও সামিল, সংগ্রামে সংসারে মানবতার, জিৎ হবেই হবে একদিন। বলো বীর- সংগ্রামী যোদ্ধা মোরা চিরদিন, মা আর মাটিতে মোদের জেদ, হার মানলে ও জিতবে ঠিকই  আরেক সৈনিক বীর। কে বীর- যে পালিয়েছে ময়দান ছেড়ে, নাকি যে লড়াকু সিপাহী, সম্মান তো দুজনারই, তবুও কেউ তো আছে বীর ॥ ৩০.০৫.২০২৩

নন্দিত নিন্দা

ছবি
নন্দিত নিন্দা ============ মোঃ রহমত আলী ============ নন্দিত নিন্দার করিনা আমি চিন্তা, জিন্দা থাকলে নিন্দা তো রটবে-ই। বদ-ইশারার আঙুল এইতো আমার দিকে, এগিয়ে যেতে হিম্মৎ যোগায়ে দিচ্ছে। পরোয়া করিনা তো অনুচিত সমালোচনা, যতই করুক পিছু-জনে এ-ঐ আলোচনা। পাইনি তাতে কি ? খোয়াতে হয়েছে যা, সময় তো আজও আছে জোয়ান তার, যেতে যেতে যাইনি সেই দরোজায় আর। আমি উম্মিদ এর ভেলায় বেয়ে-বেয়ে, নিরাশার সমুদ্রে আশায় পাড়ি দিতে চাই ! কিনারে যদিও নিদারুণ নিন্দাকারী পাই। আদৃত নই আমি অপেক্ষার কৌতূহলী, তাই নির্মাণ করি রোজ স্বপনের গৌরব। সুসময়ের নিন্দা করে অনেকেই চুপি-চুপি, দুর্দিনের নিন্দা সে তো আর আকাশচুম্বী। তোয়াক্কা করিনা আমি দু-মুখো মুখোশ, যারা সামনে আপন,পেছনে বড় দানব। আমার আমিকেই চিনি না,কি আজব ? তবু নিন্দুকের নিন্দায় কান-পাতে নির্বোধ, আলোচিত বিষয় নয় তবুও আলোচ্য, বানিয়ে আনন্দ করে নিন্দাকারীর দল। ঘাম ঝরানো সময়ের কর্ম হিসাব,করে না তারা আর,করে শুধু সবার নন্দিত নিন্দা॥ ২৯.০৫.২০২৩

তলোয়ার

ছবি
তলোয়ার ============ মোঃ রহমত আলী ============ আনোয়ার তোলো হাতে তলোয়ার, ওঠো ঘোড়ায় তোমার। যায়ে ময়দানে মারো,  আছে যতো জালিম-জানোয়ার। শোনোনি তুমি কি ইতিহাস ? নবী দাউদ (আঃ) আর ছিল নবী সোলায়মান (আঃ), সর্বশেষ শ্রেষ্ঠ নবী ও রাসূল হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)। আনোয়ার উঠাও কালেমার নিশান, আনো জয় করে ছিনিয়ে, শহীদের রক্তে লাল সেই ময়দান। শোনোনি তুমি হাদীসে রাসূল (সাঃ), সাহাবা -রা ছিলেন যে সবাই, ঈমানী পোক্তা আল্লাহর বীর শহীদ, ইসলামের যোদ্ধা মহান সিপাহী জিহাদী। আনোয়ার চলো সাথে নিয়ে কোরআন, পূর্বের সেই কেবলামুখী সিজদার স্থান। আল আকসা মুকাদ্দাস জয়ে আবার, করো আজাদ ইসলামের পূর্ণ আমান। শোনোনি তোমারা খলিফা সে দিন, করেছিলেন কেমন জিন্দা আবার, মুহাব্বাতে সবার হৃদয়ে ইসলাম । ২৭.০৫.২০২৩

ছায়াসঙ্গী

ছবি
ছায়াসঙ্গী ============ মোঃ রহমত আলী ============ মুখে সুখ, অন্তরে অসুখ, পথে চলে, তুলে পাথর, ভাঙা মনে, নতুন খবর। ভুলে গেছি, আজ শপথ, ঘুরে দেখি, পিছু আপদ, কেটে গেছে, হয়তো বিপদ। মাঝে মধ্যে, লাগে উদাস, একা কেউ, হাসে উন্মাদ, তবু ছায়া, সঙ্গী আপন। এক কষ্ট, যখন শব্দের, কার সুখ, তখন জানেন, স্বপ্নে তবু, নতুন ভাঙ্গন। হাতে ফুল, মুখে বিষাক্ত, কেন এই, নিয়ম আসক্ত, যাই খুলে, বাধন বিভক্ত। আশা শেষে, আশ্বাস বহাল, ব্যাথা কিনে, খুশি লুটান, ছায়া সাথী, পরম অন্তিম। ব্যাথা মাখা, জীবনে আরজু, কবে দেখা, সুখের চাঁদনী, রাত জাগা, মেঘের পালকি। ছায়া মায়া, আজও চাওয়া, ডানা ছাড়া, উড়ন্ত হাওয়া, বন্দি পাখি, স্বাধীন হওয়া। ২৩.০৫.২০২৩

মাশুল

ছবি
মাশুল ============ মোঃ রহমত আলী ============ চলুন তো দেখি কিছু সুখ, না হয়, সবার মাঝেই বিলিয়ে দেই। চেষ্টা করতেই তো পারি, না হয়, কিছু দুঃখ সবার থেকে অল্প কিনে লই। যদি ভুল করে ভুল হলে পরে, না হয়, ক্ষমা করে মহৎ হয়ে,হয়ে যাই। বলুন তো কে আছেন দেখি, না হয়, নিজের আয়োজন পরে করি, আগে অপরের প্রয়োজন মিটিয়ে দেই। হতেও তো পারতো যদি, না হয়, পাগলের সাথে খোশগল্প করতে চাই। একটু ভাবুন তো দেখি, না হয়, ফকিরের ছিটিয়ে যাওয়া চাল, কেউ কে যে আছে টোকায়ে দেয় তাই। চলতি পথে দেখিতেই বন্ধু, না হয়, তুলে দিতে পারতাম তো মদত করে, ফেরিওয়ালার ঝুড়ি মাথায় একাই। একটুও ধৈর্য ধারণ করতে ভাই, না হয়, মিলেমিশে বয়ে যেত হয়তো, একেবারে দুঃসময় সবার পুরোটাই। বন্ধুরূপী ঘনিষ্ঠ দুশমন থেকে, না হয়, হুঁশিয়ার থাকিলে মাশুল দিতে কি তাই। একমুখী মশগুল দেখি কি, না হয়, কিছু লোকসানে সার্থকতা যদি পাই । ২২.০৫.২০২৩

চোরাধর

ছবি
চোরাধর ============ মোঃ রহমত আলী ============ চোর চোর চোর ধর ধর ধর মসজিদের জুতা চোর, ধরেছে আবার আরেক চোর। সে ও গোপন নামাজ চোর, চোর মারছে চোরা কে চড়, চোরের ধর্ম চুরির গোপন কর্ম। চোরে চোরে সব চার ভাই, চুরি করেছে মা বাবার কামাই। চোরের বুদ্ধি শেষ হারিয়ে গেলো, দশ দিনের চুরি যেদিন ধরা খেলো, সেই গল্প গর্বে চোরা নিজেই বলে। চোর চোর চোর ধর ধর ধর আমার গোয়ালের গরু, করেছে এই বেটা চুরি, বহুদিন পর তুই আজ চোর ধরা খেলি। বসেছে বিচার গ্রাম্য সালিশ, চাল গম কম্বল চোর মেম্বার, ইনারাই হলেন বিচারক মহৎ গণ। সাক্ষ্য প্রমাণের পরে,চোর কহে, আরেক চোরকে,এটা বলিস,ওটা বলিস, তবে-রে, ও ঐ-টা কিন্তু না বলিস ! আজি তবে শেষ চোরা বিদ্যা বুঝিস। চোর চোর চোর ধর ধর ধর এই চোর ধরা বড়ই দুষ্কর ! নামিদামি হয়ে আছে,লিখে কারো লেখা চুরি করে,চোরা কোন সে কবি লেখক। ধরেছে পাঠক পাঠের আসরে শুনে'ই, তবে বিচারক সেই তো লেখক, কবিতা চোরা এই যে সে নিজেই ! চোরা বলো করে কার মঙ্গল, না নিজের ? নাকি গৃহস্থের লুটে সম্বল। চোর তো বহুত ভিন্ন ভিন্ন প্রকারভেদে, ছোট বড় আর কিছু খুবই জঘন্য। চোর চোর চোর ধর ধর ধর আছে কতজন বাজারের চোর ব্যবসায়ী, সুযোগের হুজুগ...

হারমান

ছবি
হারমান ============ মোঃ রহমত আলী ============ লড়তে লড়তে এ জীবন সংগ্রামে, ক্লান্ত আজ আমি পরাজয়। অধরে আমার অন্ধকার দীপা, সান্তনা শুধুই নায়না-ধারা, পরাজিত যোদ্ধা এখনো রণক্ষেত্রে, লড়ছে একা জীবন যুদ্ধে। যাহাদের লাগি সারা জীবানে জীবান যুদ্ধ করিবে তুমি, একদিন এমন আসিবে তাহারাই তোমাকে হার মানাবে বুঝি। তবুও সংসারী যোদ্ধা, হার নাহি মানিবে সংসার যুদ্ধে ! তাই যে স্তম্ভিত রয় সে। তবুও আমি হার নাহি মানবো, কোনো-দম লড়তে থাকিবো আমিই একা সর্বদা অবিরাম। হার মানিলু আমি আপনে আপনের সনে, জয় বুঝি নাহি আর আমার নিয়তে। তবে আজ আমি সত্যি হারমান, মিছে আসার এ সংসারে। শত বদনাম ঝুটা সাজায়ে, হার মানাইলো শেষে আমার জীবন সঙ্গিনী'নী,তবু সত্যের সন্ধানে আমি আজও নাহি হারমান। ২৩.০৫.২০০৫

মশাই -

ছবি
মশাই - ============ মোঃ রহমত আলী ============ মশাই এমন কতক কসাই, নামের নামি করেন খামখেয়ালি। ধমক বড় গরম কথা নিজের দোষে, পাশের লোকে বেকার শোনেন বকা। জখম কজনে মশাই করেন হজম, নিজের ব্যথায় সারা শহর মাতান, পরের দুঃখের মাতমে মুচকি হাসি ছুপান। মশাই শুধু নামে-নামের মশাই, কাজে-কামে মশাই হন কসাই। নিজের ব্যথাই তো মুখ্য সবার, অপরের ব্যথা দেখা যায় না তো আর। ধ্যান ভাঙ্গিলে বুঝা যায় পরে, অর্জন কতটুকু আর সম্পূর্ণ সবার। মশাই তো আছেন কজন জনাব, নিঃস্বার্থ করেন সবারই উপকার, বিনিময়ে আবার পান উল্টো অপকার। যে জন মশাই করেন সওদা, তার গুনো মান রয় কি আর সদা ! মশাই এমন অনেক জনেই আছেন, মহাশয় যে নাহি তাদের কাছে ধৈর্যের, সময় অসময়ের হিসাব আগে দেখেন, নিজের স্বার্থেই তবে হাত আগায়ে দেন। মশাই যদি হয় রে সবাই কসাই, কার কাছে কে বা উম্মিদ করবে ভাই, দুঃসময়ে মদদ পাবে কেউ কি মানবতার। ১৮.০৫.২০২৩

হিম্মৎ

ছবি
হিম্মৎ ============ মোঃ রহমত আলী ============ ভেঙে দে নিয়ম বনের, ওহে হে বন্দি সাবক। সকল বাধার শিকড় কেটে, উঠে চল চূড়ার উপর। মনোবল না হয় দূর্বল, আগে তুই চল রে যুবক। চাবুক যতই আঘাত করুক, ততই তোর রক্ত গরম। ওরে মন ন্যায়ের পাগল, তুলে ধর নিশান সত্যের। পিছে থাক বৃদ্ধ শতক, মাথায় বাঁধ নতুন কাফন। ভেঙে দে ঘুমের দহন, ওরে হে নবীন নরম। রুখে দে ঢেউ এর ছোবল, ভয়ের কি আছে এমন। ঝড়ের এই রাতের প্লাবন, লুকাস না ঘরে এখন, বিপদ টা সবার যখন, ছুটে চল দলে বলে, করতে হবে এবার মদৎ। ভেঙ্গে সব নিয়ম কানুন, ভুলে যা দোস্ত দুশমন, ঘটিবে মহা আজ বিপ্লব॥ ১৬.০৫.২০২৩

পথের ধূলি

ছবি
পথের ধূলি ============= মোঃ রহমত আলী ============= পথের ধূলি ঐ সব জীবন গুলি, অসহায় এক ভিখারিনী একা লুটিয়ে আছে ঐ পথে শীতের শিশিরে ভেজা ভেজা ঘাসে। একটি ছেঁড়া কম্বল তার বদনে, তাও গিয়েছে ভিজে শিশিরের জলে। লিখনীর পরে কি আর লেখন, সবে হবে পথের ধূলি যখন। পথের ধূলি সারা শরীর গুলি, তবুও এক ভিখারী পাগল, বলে উঠছে ক্ষণে ক্ষণে, দে বাবা দে- চার আনা -দে। কখনো আবার শরীরে মাখা ধুলা, জিহ্বাহে চাটা দিয়ে দিয়ে আবার, বলে কভু দে সাহেব দে এক-টাকা দে। তবে বলো সভ্য সমাজ এই কি জীবন,পথের ধূলিতে-ই শুরু আর কি ধূলি মাঝেই ইতি। পথের ধূলি তো কভু না কভু তোমরা ও হবে, সভ্যতার দ্বার বন্ধ হলে। তবে এই পরিণীতিতে একবার নিজেকে স্মরণ করে দেখো, তোমাদের কেমন লাগে । ২৬.০৬.২০০৫

অযথা !

ছবি
অযথা ! ============ মোঃ রহমত আলী ============ চাইলেই যদি যেত পাওয়া না চাওয়া, তবে কেন আমার এই একবার আসা, আর একবারেই শেষ চলে যাওয়া। খালি হাতে এসে ভরেছি যত সব, গুনাহের খাজানা জান্তা-অজান্তায়। মুখ বুজে থাকাই এখন সময় যথার্থ, খুলিতেই মুখ বেরিয়ে আসিবে দুর্গন্ধ, ভাঙিতে পারে অনেকের সনে সম্বন্ধ। ব্যর্থতা নিজের গোছাতে না পারা কর্মের, জবাবের উত্তরে উল্টো জটিল প্রশ্নের। অযথাই বলি নিজু সনে কত কি যে কথা, আগে গুন ভাগ শেষে যোগ গুন বিয়োগ। চাইলেই যদি সব ধরে রাখা যেত, গুন ফলাফলের মতোই অধিক। যাক অযথাই করে নেই কিছু জটিল, তবে হিসেব কিন্তু দিতে হবে ঠিক কঠিন। বাকির খাতা পরিশোধ না করলেও হয়, অন্য দিনের খবর কে আবার রাখে তাই। সহজটা কে জটিল বানিয়ে চালে চাল, আর জটিলতাকে সহজ বুঝাতে দাবাও। লাগলে আগুন তো ছাই হতে কতখন, একই মায়ের দুধে গড়া মাংস সবার, একই বাবার হাড়ে গড়া হাড় আবার, তবে কেন ভাই-ভাই ভাগ বোন সবে, ক্ষনিকের মিথ্যা স্বার্থ লোভে নিজেরাই নিজেদের রক্তের করে গুনাগুনের খুন। ০৮.০৫.২০২৩

হুঁশিয়ার

ছবি
হুঁশিয়ার ============ মোঃ রহমত আলী ============ হুঁশিয়ার সব অত্যাচারীর দল, হুঁশিয়ার সব পাপিষ্ঠ মানব। অনেক অত্যাচার করেছ তোমরা, আর নয়-আর নয়, এখনো সময় আছে, হয়ে যাও সব হুঁশিয়ার। আমি জ্বালামুখ, আমি অশান্ত ধূমকেতু, আমি জ্বলন্ত আগ্নেয়গিরি, আমি ভূমিকম্প, আমি করে দেবো শান্ত, অনাচার,অবিচার,অত্যাচার, হুঁশিয়ার সব হুঁশিয়ার। আমি গ্রহ, আমি উপগ্রহ, আমি সূর্য, আমি চন্দ্র, আমি নক্ষত্র, আমি নিজে এক ইতিহাস, হুঁশিয়ার হয়ে যাও সবাই। আমি উত্তাল সাগরের শেষ ঢেউ, আমি নদীর প্রথম জোয়ার, আমি একটি ম্যাচের কাঠি, জ্বালিয়ে দেবো সব অন্যায়। হুঁশিয়ার হয়ে যাও সব অপরাধী, আমি শেষ করে দেব তোমাদের। ০৯.০৯.২০০০

সন্ধ্যাতারা

ছবি
সন্ধ্যাতারা ============ মোঃ রহমত আলী ============ রজনীর বিদায়ের সাথে, জেগে উঠে সন্ধ্যা আকাশে, একটি মাত্র তারা,কিছু সময়ের জন্য, সেই তারা কে বলে সবে সন্ধ্যাতারা। তুমি ছিলে আমার জীবনে এমনই এক সন্ধ্যাতারা। কিছু সময়ের জন্য আমি পেয়েছিলাম তোমাকে,ঠিক সন্ধ্যা আকাশের একটি সন্ধ্যা তারার মত। আমার আকাশে এখন আর উঠে না কোন সন্ধ্যাতারা। লুকিয়ে গেছে আমার সে সন্ধ্যাতারা, মেঘলা আকাশের পিছনে। হয়তো আমি আর,দেখবো না কোনদিন, আমার সেই প্রিয় সন্ধ্যাতারা। অনেক সুন্দর ছিল সেই সন্ধ্যা, যে সন্ধ্যায় আমি দেখেছিলাম সন্ধ্যাতারা। জানিনা এখন কার নজরে রয়েছে আমার সেই প্রিয় সন্ধ্যাতারা। ২৩.০৪.২০০০

শঙ্খচূড় (মোঃ রহমত আলী)

ছবি
শঙ্খচূড় ============ মোঃ রহমত আলী ============ সাগরের তীরে বারবার দেখি আমি স্বপ্ন আমার, বারবার ধুয়ে যায় ঢেউয়ের ছোঁয়ায়। এক চিল শঙ্খচূড় এলো মোর অবকাশে ভালোবাসা হয়ে আমার এ জীবনে। হারিয়ে গেল আবার হঠাৎ করে সেই শঙ্খচূড় ভালোবাসা অজানা বসায়। ঠিক ওই আকাশে রংধনু উঠে কিছু সময় পর যেমন লুকিয়ে যায় অজানা কোথাও। এক টুকরো শঙ্খচূড় বিষাক্ত এক ভালোবাসা, যার শেষ থেকে ছলনা। এই বেলা শেষ ক্ষণে, শঙ্খচূড় হাতে ধরে, উঁকি দেয় মনে মনের অজান্তে, সেই এক অতীত ভালোবাসা যার নেই কোন শেষ সমাধা। ২৯.১২.২০০১