পোস্টগুলি

মার্চ, ২০২৩ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

নামমাত্র !

ছবি
নামমাত্র ! ============ মোঃ রহমত আলী ============ লেখার এখন লিখি নাই। বলার মতোন কন্ঠ নাই। প্রেমের কোন পত্র নাই। কথার কোন কথাই নাই। মতের যেন শেষ নাই। মতামতের উপায় নাই। মদত করার কেউ নাই। মিছে আশ্বাস দরকার নাই। আওয়াজ দেওয়ার ভাষা নাই। শব্দ শুনে বোবার বুলি নাই। দেখার অনেক দেখি নাই। পাবার আশা ছাড়ি নাই। লেখালেখি বন্ধ নাই। বই বিক্রির খবর নাই। ধোঁকাবাজের অভাব নাই। কদরদানের কমতি নাই। কম পয়সায় শিক্ষা নাই। বিনামূল্যে চিকিৎসা নাই। অশান্তি সবার শান্তি নাই। মিথ্যা বলে,সত্যের বিশ্বাস নাই। আবেগ-বিবেক কার নাই। বিচার কাজীর কেন সমান নাই। ঘুষ ছাড়া কোনো কাজ নাই। আখেরাত কারো দূরে নাই। ৩১.০৩.২০২৩

উপায় !

ছবি
উপায় ! ============= মোঃ রহমত আলী ============= কোথায় কবি, কোথায় কবিতা, কোথায় আমার প্রথম প্রেমের ছবিটা। কোথায় সাগর, কোথায় নদীর ঢেউ, কোথায় জীবন যোদ্ধার আনন্দী কেউ। কোথায় রতন, কোথায় পাথর পথ, কোথায় যতনে গোছানো বৈকালী শখ। কোথায় কাজল, কোথায় নয়ন জল, কোথায় সুখের হারানো সারাক্ষণ। কোথায় মানিক, কোথায় খোকন, কোথায় সব বাল্যবন্ধু জন পুরাতন। কোথায় আতর, কোথায় গোলাপ, কোথায় আসল মানুষ দুধের মাখন। কোথায় হালাল, কেমন হারাম জানান, কোথায় ইনসাফ কাজী করেন চালান। কোথায় রসিক নামাজ পড়ে পড়ান, কোথায় আছে ঈমান ইমাম দাঁড়ান। কোথায় হুকুম পালন, করি সব আমি, কোথায় যাবার, কোথায় যাই না-জানি। কোথায় মুসাফির, কোথায় গোলাম, কোথায় মনিব সেই খানদানী। কোথায় বাগ-বাগান, সেই মল্লিকা-র, কোথায় নির্দোষ যে হয়েছিল হয়রান। কোথায় উপকার, কোথায় ক্ষমা চান, কোথায় শিকারির হয় শেষ স্বীকার ॥ ৩০.০৩.২০২৩

আক্ষেপ !

ছবি
আক্ষেপ ! ============= মোঃ রহমত আলী ============= মোরা এই আছি এই নাই নাট্যালয়ে, তবু বেঁচে আছি, কত কি কষ্ট লয়ে। সংগ্রামী কেউ দুনিয়ার, কেউ বা আখেরাতের। আবার উভচর অনেকে, খয়রাতি দো হাতের। মনোবল বড় বীর, হুশ এলে হাল ধর, চালচলন ঠিক কর। দুই পলকে গড়মিল, জবাবে কেমন ফাকফোকর। চেয়েছিলাম তবে যা, পাওয়া হলো না তা। রটে ছিলে যা বটে, সবটা'ই কি তা ঘটে। মানে না তো মন তবু, নিতে হয় মেনে হালত। উপযোগী যা অনুপযোগী, একদিন হয়ে যায় তা। ধুপ ছায়া'র এ মেলায়, ঘুরে-ঘুরে পথ শেষে, শেষ ঠিকানায় ॥ ২৯.০৩.২০২৩

সজাগ -

ছবি
সজাগ - ============ মোঃ রহমত আলী ============ জাগি পুরাতন পূর্ণিমার নতুন রাতে সুখের খোঁজে দুঃখের আঙ্গিনাতে। কথার শেষে ভাষার অপেক্ষাতে, কোলাহলের মধ্যে আক্ষেপের ছোট্ট এক, শব্দ স্বর শুনিতে। মরা মনের বাগান হতে, একটি তরতাজা ফুল তুলিতে। মৌমাছি পাঁচ করে ভনভন পথ হারিয়ে, পারি যদি তাদের ঘরের পথ চেনাতে। আকাশ কুসুম স্বপ্ন দেখি-দেখে, ভাঙ্গিলো ঘুম কামারপাড়া'র শব্দতে। সবাই ধরিতে চান্দ,পাইতে ব্যাকুল সূর্য, আমি চাই এক মুঠ তুলে ধুলো, কণাগুলো সমুদয় গুনিতে। না পারার কি আছে এতে পারি তো সবে কোশিশ করিতে। আমি আছি আর অল্প সময় ধরণীতে, কিছুখন পরেই মিলেমিশে যাব মাটিতে। যদি এক গুচ্ছ সুখ কিনে, বিলিয়ে দিতে পারি সবার মাঝে, দুখির সাথে সমান ভাগেতে। এক কাঁধে আসমান,এক কাঁধে জমিন, কর্ম গুলো আমার সব মুজরিম, কি মুখে জাগিবো শেষ ঘুম বিচারেতে। ২৩.০৩.২০২৩

চালচিত্র -

ছবি
চালচিত্র - ============ মোঃ রহমত আলী ============ পেয়ে গেলে পূর্ণতা। গর্ব হলেই শূন্যতা। চুপচাপ বুদ্ধিমান। বোকার স্বর্গ সোজা। অতি চালাক ফেঁসে যান। মিষ্টভাষী পার পান। দুষ্টু চাষী হাল হারান। বাচাল হন পেরেশান। হার মানে না শয়তান। লোভী মন সব খোয়ান। জালিম জব্দ জুলুমে। ধৈর্যধারণ এক নেয়ামত। সুচরিত্র খুবই মূল্যবান। সত্যবাদী সদা জিন্দাবাদ। মিথ্যা ক্ষণিক তো মুর্দাবাদ। উপহাস করা নিচু খেয়াল। উপকার সেতো নয় এহসান। ঘুষ-সুদ এর সুখ কতদিন। হালাল পাকা আম মধুমিল। হারাম হজম মুশকিল। জখম শেফা পায় একদিন। অন্তরে আঁকা দাগ চিরদিন। গীবত নহে উপদেশ দিন। আশপাশের খবর নিন ।। ২১.০৩.২০২৩

প্রলাপ -

ছবি
প্রলাপ - ============= মোঃ রহমত আলী ============= কবিদের কি ? পাগল মনে হয় বুঝি, আর কবিতা গুলো পাগলের প্রলাপ। আসলে মনে হয় আমার কাছে সবাই, নিজ নিজ মনের রঙ্গের মনেই পাগল। বুঝেনা কবিতা তো,কবি কে ভাবে পাগল, কিছু বুঝে গেলে বলে ওঠে আবার, লিখেছে এগুলো কোন যুগের ছাগল। মানিনা কোনো অমান্য নিয়মের বারণ, লিখে যাই তবু আমি অবুঝ মনের কারণ। সাদা কাগজে কালি মেখে চুপ জান, খামোশ-বদলা নিতে চায়,নিরব প্রতিকারে সে আর এক মন-পাগলা পাগল-মন। কবিদের কি ? বলদ মনে হয় বন্ধু, মন পাগল বড়ই বোকা,আবেগেই হরহামেশা খেয়ে যাই,নতুন-নতুন ধোকা। মিছে সান্তনায় কি আর প্রান জুড়ায়, অন্তর সমঝোতায় কলম কালি ফুরায়। কালো নীল লাল সুখের গান মিলান, দুঃখের গদ্যে কিছু মনের-প্রান জুড়ান। কানাকানি কান কথায়,কবি কান না দেয়, কাননে বসে কান্নায় কথা হয় কবিতায়। কবির-কবিতার জিন্দা ভাষা না ফুরায়, কারণে-অকারণে মন বুঝা বড় দায়, কে চিনে কোন পাগল কার দরজায়। কবিদের কি ? আহাম্মক মনে হয় ভাই, লড়াই না করে মুখে-মুখে,প্রতিবাদ হবে সদা লিখিত কবির কাগজ-কলমে। বলেছিলে ছাপা হবে কবিতা দশ, ছেপে দিলে অন্তপর কবিতা আট। কবির স্বপ্ন ঘুম,পারে কে দেখি ভাঙ্গাতে

নামিদামি -

ছবি
নামিদামি - ============= মোঃ রহমত আলী ============= আমি নিজেই এক জঙ্গল, কেমনে হবে কর্ম পূর্ণ মঙ্গল, ঘাড়ে নেই আর অতীতের লাঙ্গল, পঙ্খী নাহি হাকে আর কাকতাড়ুয়া। এখন নব যুগের আওয়াজ, কিছু উদাহরণ উন্মাদ উচ্ছৃঙ্খল, একে-ওকে ডাক ঘৃণ্য বিশৃঙ্খল। আলোর মাঝেই লুকায়িত অন্ধকার, আবার আঁধার থেকেই বেরিয়ে আসে, নতুন এক রোজ আলোক আলো। দাম আছে যার, মান কত তার, মতের মতামত কে করে যত্নে গ্রহণ। গুরুর আগে শিষ্য দৌড় দেয় যেমন, গর্তে পড়ে বাপ ডাকে বাপু তেমন। আমি এক নিজেই কলঙ্ক মায়ায়, জীবন চলছে ধোঁকায়-ধোঁয়ায়। তুলে কে কার, বোঝার বিন্দু ভার, বোধে-নির্বোধ সেজে দেখে, বসে হেসে-হেসে মজা তামাশায়। কান পেতে রই আমি,শুনতে পাই যদি আওয়াজ কভু মমতায়। সাধের আহ্লাদ আর ধরে না আবদার, অকারণ কে কারণ বানিয়ে, করি কারো কে কার উপকার। আমার এখন সময় নেই, বলে যে জন যাকে,সে আবার কখনো হয় বা তো কারো অপেক্ষায় পথ চেয়ে থাকে। সবাই নামি,তবে ভাবো তো দেখি, কে কত আর মূল দামি ? ১৩.০৩.২০২৩

মুখ-মুখোশ -

ছবি
মুখ-মুখোশ - ============= মোঃ রহমত আলী ============= বন্ধুর ঠিকানায় দুশমন দাঁড়িয়ে, দুর্বলের বদনে শক্তের আঘাত। ব্যভিচারের প্রতিবাদ সুষম ব্যবহার, বর্ণ ছাড়া করি সবে খামোশ প্রতিকার। থাকিবেনাকো সদা আর দুর্দিন চিত্র, আল্লাহ মোদের একমাত্র পরম মিত্র। অন্যায় হবে একদিন পদতলে নিমজ্জিত, ন্যায়পরায়ণ জাগিবে হয়ে উজ্জীবিত। জনাব জালিম আছে যারা খবিশ, সত্য-প্রমাণে তারা জ্বলিবে বিষে-বিষ। খুবই দুর্বল তাইতো সদা মুখে-মুখোশ, হার মানার ভয়ে মিথ্যুক রোজ বেহুশ। বন্ধুত্বের দুশমন শেষমেশ বন্ধু'ই হলে, ন্যায়-অন্যায়ের জবাব দিতে-নিতে, বিনিময়ের আপোষ না হয় অত্যাচারে। দুঃসাধ্য যেমন করে ছিলেম সবে সাধ্য, পরাজিত হয়েও আবার জাগা-জাগ্রত। আগে যেতে দাও ভিখারির থালা, পিছে জমিদারের হাত শক্ত শিকলে, ফকিরের পায়ে-পায়ে মজবুতি বাঁধা। শিক্ষা বিবেকের ছিলে বড় দরকার, কানার দরবারে মাঙ্গে বোবা বিচার, বধির লিখে দেয় রায়ের এক অস্কুট, এখানেই শেষ জোর যার কার ভিখবেশ।               ১০.০৩.২০২৩

অবান্তর -

ছবি
অবান্তর - ======== মোঃ রহমত আলী ============= সাঁঝের মাঝে এ এক অন্য সাজ, সাধের অপূর্ণ রাজ স্বপনের ভাজ। গোলাপের খুশবু করে যে আঘাত, কাটা বিধিলে ও সে করেনা কর্ণপাত। নেই দুয়ার খোলা আর সাধ্যের, সেই অপরূপ প্রভাতের প্রভাত। চামাড়ের চামচ দিয়ে শিয়ালের জাল রাক্ষসের পিপাসায় দরিদ্রের আঁখিজল। রাতের গভীর অন্ধকারে লুকানো, কত শতক চুপচাপ গোপন রাজ। কে জানে কার কান্না কেন কেমন, প্রজাপতির মুখ হতে,দানা কেড়ে নেয়,চতুর চামচিকা ছলেবলে যেমন। ঘর পোড়া মৌমাছির আর্তনাদ, শুনে এখন আর কোন কানন। সাজ সাজ সজ্জার মাঝে এক সাঁঝ, অগণিত মুকুল ঝরে ঝরা ঝার। ছল,বল,কল,কালো কৌশল, এই তো কি দারুণ সাজে-সজ্জিত, রোজদিন মৃত মনুষ্যত্বের জিন্দাবাজার। প্রশ্ন অবান্তর তবু জানান দেয় উত্তর, কে কার কার অন্তর,কত আর সুন্দর। আছেন জনে -ক চার, এক মোরগ বারংবার করিতে চায় হারাম ; হালাল। ০৭.০৩.২০২৩

এক ধাপ এগিয়ে

ছবি
এক ধাপ এগিয়ে ============= মোঃ রহমত আলী ============= এক ধাপ এগিয়ে তবু আমি যাই কেন পিছিয়ে। দৌড়ে যাই আমি সবার আগে তবু পিছু ফিরে দেখি আমি, আছি একাই সবার পিছে। এক ধাপ এগিয়ে জীবনযাত্রা কমিয়ে,শুধুই বয়স আমার যাই বাড়িয়ে। তবুও পিছু দেখি আমি, আমি একাকী পিছিয়ে। এক ধাপ এগিয়ে মরণে গিয়েছি আমি পচে। তবুও আছি আমি বেঁচে, স্মৃতির ইতিহাসে হামেশা এক ধাপ এগিয়ে। জীবনের ধাপে ধাপে, কমেছে শুধুই বয়স। এক ধাপ এগিয়ে,চলেছে একা,এক এক পাপের বছর। একধাপ এগিয়ে ও আমি হামেশা হেরেছি, নিয়তির দরবারে হামিসা এক ধাপ পিছিয়ে। ২৫.০১.২০০৪

মজলুম সাঁই -

ছবি
মজলুম সাঁই - ============= মোঃ রহমত আলী ============= চলে কলম বনে লিখে তরবারি, সাক্ষী হার জয়ের উজ্জ্বল  টুকরো কাগজ খানি। আঘাতের ক্ষতে ব্যথিত বেত, আঘাতকারী দুশমন আজি, ছিলে যে কভু সে বন্ধু মোর বেশ। বদনামের বদলায় করছে সে হামারি নামের নাম। জীবন যুদ্ধে হেরে আমি গাই তার জয়ের জয় গান। বলে লেখা কাগজের অতীত কথা, কাটাকাটি তে ফুরায় শিহাই সবটা। ভুলে বাঁধন গেল খুলে, কলমের সব দোষ গুনে। দরকারে'র দরবারি,দোয়া করে কে কারি,কাজী ও রাজি। কুনামের মান রটিলো সুনামের ঊর্ধ্বে, জিন্দা দিল জালিম সর্ব ফুলেল স্বর্গে,  মজলুম সাঁই সব জুলুমের গভীর গর্তে। হলে হবে আর এ শেষ কবে কি ? কানুন কিনুন একমুখী শান্ত। ভেঙে খাঁচা উড়ে পাখি স্বাধীন, সুখে যদি সমুদয় সত্য লিখতো। শঙ্খ শখের আজও বন্দি দুঃখের, নিয়মের কবুল করেনি কোকিল। ভণ্ডের ভক্ত বহু ভরপুর, শালিকের ঘরে শকুনের সুখ। মজলুম চিনে জেনে যুগে যুগ, জুলুম চলে রাতদিন চৌদিক, মহা সবুরের শেষে ইনসাফ ঠিক ! ০৩.০৩.২০২৩

হালচাল -

ছবি
হালচাল - ========= মোঃ রহমত আলী =============== চোর বলে জোর গলায় চুপ, গৃহী শুনে বাধ্য বলদ ছুপ। নতুন নতুন কতক রূপের-রূপ, ঘুষের সাথে সুদের শোধ-বোধ। নিরীহ জনে সব চাপে খামোশ, এ আবার কেমন নব যুগের-যোগ। দামের বাজার কার নাগাল, তর্ক শেষে নেই কেনার মাল। ধন্য-ধনীর খুব বেশি খারাপ হাল, মধ্যবিত্তের যায় দিনের মান। গরিবের হলেও চলে নামের! শুকনো-রুটি আর ভর্তা-ভাত। ডাকুর ব্যবসার এখন ধুম, কৃষক-ফলন বেচে বসে ধুর। ওজন নব্য পাল্লায় কম-করে, শরম নাই অর্থদণ্ড গুণে। সুদ-ঘুষের চালা ঘরের, আরাম এই সুখের ঘুমের, আখেরাতের খবর গুম। পাতায় পাতায় সবই লেখা পরিনাম সবার অপেক্ষায়। রাজা প্রজার এক কাতার ইনসাফ খোদার দূরে কোথায় সবার হবে সমান শেষ বিচার । ০৩.০৩.২০২৩

নীতিকথা -

ছবি
নীতিকথা - ============ মোঃ রহমত আলী ============ নীতি কথা অনেকেই কয় বটে, নীতি কথা কয়জন রাখে খুব মনে। নীতিবান অনেকেই বুঝিয়ে দেয়, সমাজকে বটে,কিন্তু নীতি-করণ, কজনেই বলো করে। নীতিবান একজনই বটে মহানবী (সাঃ) তাহার নাম সকলেই তাহাই জানে। এ সমাজে নীতিবান যারাই আছে,গঞ্জনা-বঞ্চনা লেখা তাদেরই রেখা মাতে। নীতিবান পন্ডিত আছে কিছু এ সমাজে বটে, ব্যনীতিয়া কর্মকাণ্ড তারাই করে সমাজের,অথচ দ্বীনি নীতি কথা বলে তারা সারাবেলা। নীতিকথা এক কথা, ছেপকে থাকে ঠোঁটের সাথে, এই সমাজে সব মোমেনে। বাস্তব রূপ দেয় না কেউ, নীতিবান সেই ব্যক্তিকে। নীতিবান একাই থাকে, এই পাষাণ সামাজিক জীবন থেকে একাকী বঞ্চিত। ২০.১০.২০০৩

দুনিয়াদারি -

ছবি
দুনিয়াদারি - ============ মোঃ রহমত আলী ============ এই দুনিয়াদারি সব ক্ষেতখামারী, মরণে রয়ে যাবে এক কবর নিশানি। কি আর মূল্য আমার বলো, এই দুনিয়ার কোলাহলে। জনজীবনের কথা বলছি এই দুনিয়াদারি-তে যা যা দেখেছি। কেউ নহে কারো,এই দুনিয়াদারি-র লোকালয়ে,সবে আপন অতি খুব নিজ নিজ নিজেদের। ভুল আমার সবই ক্ষেত্রফল এই দুনিয়ার নিরালায়। সুযোগবাদী এ দুনিয়া সারি, ক্ষতি করে চুপিসারে। পিছু লাগি থাকি সবে, একটু আনন্দ যাদের কাছে। এ দুনিয়াদারি-র মম নীতি বুঝলাম না আজো আমি। অনুতপ্ত সামনে সবে পিছু পানে, সুযোগ বুঝে আঘাত হানে নির্বিচনে। এ দুনিয়াদারি-র মম সবে, ভুলে যে আছে একেবারে, মরবে যে সবে একে একে, তাই তো করে বুঝি পাপাচার অবিচার। ০৮.০৫.২০০৪