পোস্টগুলি

ধৈর্যের অধৈর্য

ছবি
ধৈর্যের অধৈর্য ============ মোঃ রহমত আলী ============ অধৈর্য হয়ে মোরা ধৈর্যকে খুঁজি, অন্তরে ধারণ করতে পারি না, তো মুখেই ধার্য শুধু ধৈর্য বলি। সবুরে মেওয়া পেয়েছে যে জন, অধৈর্য হবে না সে বিপদ যখন। তবে নীরব বীর তো সেই জন, ধৈর্য হারিয়ে অধৈর্য হয় না যে জন। ধৈর্যের তলোয়ারে বহুত ধার, অন্যায়-অবিচার-অত্যাচার, সব কেঁদে-কেঁদে,রব্ব তায়ালার কাছে, ধৈর্যধারী দেয় চুপচাপ বিচার, তিনিই করবেন রোজদিন ইনসাফ। ধৈর্যের দৈর্ঘ্য দূর সে তো বহুদূর, ধৈর্যশীলতা ও এক বড় নিয়ামত, কামিয়াব করে দেয় হর মুসকিল মুসিবত। ধাপে-ধাপে সহনশীলতা তো অমূল্য, অমর্ষিত হলেই শেষ অর্জিত মূল্য। বারংবার অপমানিত তবুও তো কেউ, আছে ধৈর্য-ধারণে হরদম উৎসাহিত। সততা আজকাল অমাবস্যায় পতিত, অসৎ যে জনে সে পূর্ণিমায় উজ্জীবিত। অধৈর্য হয়ে আর কোথায় করি নালিশ, সইতে বাধ্য,উপায় নেই তাই ধরি-ধৈর্য ! সামাজিক গঞ্জনা বুকে উদগ্রীব অধৈর্য । ০১.০৬.২০২৩

اردو شاعری۔

ছবি
رشتو کی بے حساب قدر میں انسان اجر بھول جاتا ہے۔ محبت کی کمزوری میں جواحساس بھول جاتا ہے۔ (رحمت علی) 13.04.2024 جو نگاہوں کی پہچان نہ جانے او دل کی حال کیا جانے جو حالت ضرورت نہ جانے او رشتوں میں چھپی راستے کی قدر کیا جانے۔ (رحمت علی)  13.04.2024 درد بھرے دامن میں تم نے اگ لگا دیے پھولوں کو قتل کر کے خوشبو لوٹ لیے افسوس غم کے انسو میں تم جو مسکرا دیے ۔ (رحمت علی) 19.01.2024 اے غم تجھے کب سے مسکرانا اگیا اے دل تو کیوں پتھر بن گیا اے دوست میرے بن گئے دشمنی کی تقدیر اے نمکین آنسوؤں تو کیوں آج میٹھا بن گیا ۔ (رحمت علی) 15.01.2024 ہمیں تو صورت نہ دکھلانا ہے نہ دیکھنا ہے ہمیں تو بس مورت کو ازمانا ہے۔ (رحمت علی) 30.12.2023 بڑھاپے نے مسکرا دی  کھوئے ہوئے جوانی پہ نگاہوں میں چھپا اب تک ہے وہ موسم لجت یاد ہے جہاں کھویا بچپن بڑھاپے میں جواں درد بھرے حسرت ۔ (رحمت علی) 20.12.2023 محبت کا ایک سفر ہے پرانا پر یہ انجان راہ ہے نیا بدلے ہوئے نگاہوں نے محبت کو محبت سے ٹھکرائے ۔ ( رحمت علی ) زندگی غم کا ایک خزانہ اسے لوٹانے کا میں  ڈون

বীর -

ছবি
বীর - ============ মোঃ রহমত আলী ============ ওহে বীর- তুই হলি কবে হতে, এতো রে কাহিল, তোর চোখে কেন, আজ এত নিন্দ। ওরে বীর- তোরা ছিলি সব, এক ধনুকের তীর, তবে কেন তোরা আজ, সব ছিন্নভিন্ন বীর। আরে বীর- এক ঘাটে বসে, তোরাই -তো এক-কাল, খেয়েছিলি-জলপান, ছিল কত যে অন্তমিল। জাগো বীর- তোমাদের মতামত মিলাও, হয় যেথায় অমিল, যাও জাগো একসাথে, প্রহরায় পথে ফুটপাতে। তবে বীর- ফের উচু কর তোরা সব, এক হয়ে শির,  এই নিশান উড়িয়ে -দে, হাতে-হাত ধরে থির। ওঠো বীর- দেখো রাতের আকাশ, নক্ষত্রের কত ভিড়, দূরে-দূরে বহু তবু, দেখায় তাদের কক্ষপথেই। চলো বীর- আজি সবে এক হয়ে, এক কাতারে হও সামিল, সংগ্রামে সংসারে মানবতার, জিৎ হবেই হবে একদিন। বলো বীর- সংগ্রামী যোদ্ধা মোরা চিরদিন, মা আর মাটিতে মোদের জেদ, হার মানলে ও জিতবে ঠিকই  আরেক সৈনিক বীর। কে বীর- যে পালিয়েছে ময়দান ছেড়ে, নাকি যে লড়াকু সিপাহী, সম্মান তো দুজনারই, তবুও কেউ তো আছে বীর ॥ ৩০.০৫.২০২৩

নন্দিত নিন্দা

ছবি
নন্দিত নিন্দা ============ মোঃ রহমত আলী ============ নন্দিত নিন্দার করিনা আমি চিন্তা, জিন্দা থাকলে নিন্দা তো রটবে-ই। বদ-ইশারার আঙুল এইতো আমার দিকে, এগিয়ে যেতে হিম্মৎ যোগায়ে দিচ্ছে। পরোয়া করিনা তো অনুচিত সমালোচনা, যতই করুক পিছু-জনে এ-ঐ আলোচনা। পাইনি তাতে কি ? খোয়াতে হয়েছে যা, সময় তো আজও আছে জোয়ান তার, যেতে যেতে যাইনি সেই দরোজায় আর। আমি উম্মিদ এর ভেলায় বেয়ে-বেয়ে, নিরাশার সমুদ্রে আশায় পাড়ি দিতে চাই ! কিনারে যদিও নিদারুণ নিন্দাকারী পাই। আদৃত নই আমি অপেক্ষার কৌতূহলী, তাই নির্মাণ করি রোজ স্বপনের গৌরব। সুসময়ের নিন্দা করে অনেকেই চুপি-চুপি, দুর্দিনের নিন্দা সে তো আর আকাশচুম্বী। তোয়াক্কা করিনা আমি দু-মুখো মুখোশ, যারা সামনে আপন,পেছনে বড় দানব। আমার আমিকেই চিনি না,কি আজব ? তবু নিন্দুকের নিন্দায় কান-পাতে নির্বোধ, আলোচিত বিষয় নয় তবুও আলোচ্য, বানিয়ে আনন্দ করে নিন্দাকারীর দল। ঘাম ঝরানো সময়ের কর্ম হিসাব,করে না তারা আর,করে শুধু সবার নন্দিত নিন্দা॥ ২৯.০৫.২০২৩

তলোয়ার

ছবি
তলোয়ার ============ মোঃ রহমত আলী ============ আনোয়ার তোলো হাতে তলোয়ার, ওঠো ঘোড়ায় তোমার। যায়ে ময়দানে মারো,  আছে যতো জালিম-জানোয়ার। শোনোনি তুমি কি ইতিহাস ? নবী দাউদ (আঃ) আর ছিল নবী সোলায়মান (আঃ), সর্বশেষ শ্রেষ্ঠ নবী ও রাসূল হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)। আনোয়ার উঠাও কালেমার নিশান, আনো জয় করে ছিনিয়ে, শহীদের রক্তে লাল সেই ময়দান। শোনোনি তুমি হাদীসে রাসূল (সাঃ), সাহাবা -রা ছিলেন যে সবাই, ঈমানী পোক্তা আল্লাহর বীর শহীদ, ইসলামের যোদ্ধা মহান সিপাহী জিহাদী। আনোয়ার চলো সাথে নিয়ে কোরআন, পূর্বের সেই কেবলামুখী সিজদার স্থান। আল আকসা মুকাদ্দাস জয়ে আবার, করো আজাদ ইসলামের পূর্ণ আমান। শোনোনি তোমারা খলিফা সে দিন, করেছিলেন কেমন জিন্দা আবার, মুহাব্বাতে সবার হৃদয়ে ইসলাম । ২৭.০৫.২০২৩

ছায়াসঙ্গী

ছবি
ছায়াসঙ্গী ============ মোঃ রহমত আলী ============ মুখে সুখ, অন্তরে অসুখ, পথে চলে, তুলে পাথর, ভাঙা মনে, নতুন খবর। ভুলে গেছি, আজ শপথ, ঘুরে দেখি, পিছু আপদ, কেটে গেছে, হয়তো বিপদ। মাঝে মধ্যে, লাগে উদাস, একা কেউ, হাসে উন্মাদ, তবু ছায়া, সঙ্গী আপন। এক কষ্ট, যখন শব্দের, কার সুখ, তখন জানেন, স্বপ্নে তবু, নতুন ভাঙ্গন। হাতে ফুল, মুখে বিষাক্ত, কেন এই, নিয়ম আসক্ত, যাই খুলে, বাধন বিভক্ত। আশা শেষে, আশ্বাস বহাল, ব্যাথা কিনে, খুশি লুটান, ছায়া সাথী, পরম অন্তিম। ব্যাথা মাখা, জীবনে আরজু, কবে দেখা, সুখের চাঁদনী, রাত জাগা, মেঘের পালকি। ছায়া মায়া, আজও চাওয়া, ডানা ছাড়া, উড়ন্ত হাওয়া, বন্দি পাখি, স্বাধীন হওয়া। ২৩.০৫.২০২৩

মাশুল

ছবি
মাশুল ============ মোঃ রহমত আলী ============ চলুন তো দেখি কিছু সুখ, না হয়, সবার মাঝেই বিলিয়ে দেই। চেষ্টা করতেই তো পারি, না হয়, কিছু দুঃখ সবার থেকে অল্প কিনে লই। যদি ভুল করে ভুল হলে পরে, না হয়, ক্ষমা করে মহৎ হয়ে,হয়ে যাই। বলুন তো কে আছেন দেখি, না হয়, নিজের আয়োজন পরে করি, আগে অপরের প্রয়োজন মিটিয়ে দেই। হতেও তো পারতো যদি, না হয়, পাগলের সাথে খোশগল্প করতে চাই। একটু ভাবুন তো দেখি, না হয়, ফকিরের ছিটিয়ে যাওয়া চাল, কেউ কে যে আছে টোকায়ে দেয় তাই। চলতি পথে দেখিতেই বন্ধু, না হয়, তুলে দিতে পারতাম তো মদত করে, ফেরিওয়ালার ঝুড়ি মাথায় একাই। একটুও ধৈর্য ধারণ করতে ভাই, না হয়, মিলেমিশে বয়ে যেত হয়তো, একেবারে দুঃসময় সবার পুরোটাই। বন্ধুরূপী ঘনিষ্ঠ দুশমন থেকে, না হয়, হুঁশিয়ার থাকিলে মাশুল দিতে কি তাই। একমুখী মশগুল দেখি কি, না হয়, কিছু লোকসানে সার্থকতা যদি পাই । ২২.০৫.২০২৩

চোরাধর

ছবি
চোরাধর ============ মোঃ রহমত আলী ============ চোর চোর চোর ধর ধর ধর মসজিদের জুতা চোর, ধরেছে আবার আরেক চোর। সে ও গোপন নামাজ চোর, চোর মারছে চোরা কে চড়, চোরের ধর্ম চুরির গোপন কর্ম। চোরে চোরে সব চার ভাই, চুরি করেছে মা বাবার কামাই। চোরের বুদ্ধি শেষ হারিয়ে গেলো, দশ দিনের চুরি যেদিন ধরা খেলো, সেই গল্প গর্বে চোরা নিজেই বলে। চোর চোর চোর ধর ধর ধর আমার গোয়ালের গরু, করেছে এই বেটা চুরি, বহুদিন পর তুই আজ চোর ধরা খেলি। বসেছে বিচার গ্রাম্য সালিশ, চাল গম কম্বল চোর মেম্বার, ইনারাই হলেন বিচারক মহৎ গণ। সাক্ষ্য প্রমাণের পরে,চোর কহে, আরেক চোরকে,এটা বলিস,ওটা বলিস, তবে-রে, ও ঐ-টা কিন্তু না বলিস ! আজি তবে শেষ চোরা বিদ্যা বুঝিস। চোর চোর চোর ধর ধর ধর এই চোর ধরা বড়ই দুষ্কর ! নামিদামি হয়ে আছে,লিখে কারো লেখা চুরি করে,চোরা কোন সে কবি লেখক। ধরেছে পাঠক পাঠের আসরে শুনে'ই, তবে বিচারক সেই তো লেখক, কবিতা চোরা এই যে সে নিজেই ! চোরা বলো করে কার মঙ্গল, না নিজের ? নাকি গৃহস্থের লুটে সম্বল। চোর তো বহুত ভিন্ন ভিন্ন প্রকারভেদে, ছোট বড় আর কিছু খুবই জঘন্য। চোর চোর চোর ধর ধর ধর আছে কতজন বাজারের চোর ব্যবসায়ী, সুযোগের হুজুগ

হারমান

ছবি
হারমান ============ মোঃ রহমত আলী ============ লড়তে লড়তে এ জীবন সংগ্রামে, ক্লান্ত আজ আমি পরাজয়। অধরে আমার অন্ধকার দীপা, সান্তনা শুধুই নায়না-ধারা, পরাজিত যোদ্ধা এখনো রণক্ষেত্রে, লড়ছে একা জীবন যুদ্ধে। যাহাদের লাগি সারা জীবানে জীবান যুদ্ধ করিবে তুমি, একদিন এমন আসিবে তাহারাই তোমাকে হার মানাবে বুঝি। তবুও সংসারী যোদ্ধা, হার নাহি মানিবে সংসার যুদ্ধে ! তাই যে স্তম্ভিত রয় সে। তবুও আমি হার নাহি মানবো, কোনো-দম লড়তে থাকিবো আমিই একা সর্বদা অবিরাম। হার মানিলু আমি আপনে আপনের সনে, জয় বুঝি নাহি আর আমার নিয়তে। তবে আজ আমি সত্যি হারমান, মিছে আসার এ সংসারে। শত বদনাম ঝুটা সাজায়ে, হার মানাইলো শেষে আমার জীবন সঙ্গিনী'নী,তবু সত্যের সন্ধানে আমি আজও নাহি হারমান। ২৩.০৫.২০০৫

মশাই -

ছবি
মশাই - ============ মোঃ রহমত আলী ============ মশাই এমন কতক কসাই, নামের নামি করেন খামখেয়ালি। ধমক বড় গরম কথা নিজের দোষে, পাশের লোকে বেকার শোনেন বকা। জখম কজনে মশাই করেন হজম, নিজের ব্যথায় সারা শহর মাতান, পরের দুঃখের মাতমে মুচকি হাসি ছুপান। মশাই শুধু নামে-নামের মশাই, কাজে-কামে মশাই হন কসাই। নিজের ব্যথাই তো মুখ্য সবার, অপরের ব্যথা দেখা যায় না তো আর। ধ্যান ভাঙ্গিলে বুঝা যায় পরে, অর্জন কতটুকু আর সম্পূর্ণ সবার। মশাই তো আছেন কজন জনাব, নিঃস্বার্থ করেন সবারই উপকার, বিনিময়ে আবার পান উল্টো অপকার। যে জন মশাই করেন সওদা, তার গুনো মান রয় কি আর সদা ! মশাই এমন অনেক জনেই আছেন, মহাশয় যে নাহি তাদের কাছে ধৈর্যের, সময় অসময়ের হিসাব আগে দেখেন, নিজের স্বার্থেই তবে হাত আগায়ে দেন। মশাই যদি হয় রে সবাই কসাই, কার কাছে কে বা উম্মিদ করবে ভাই, দুঃসময়ে মদদ পাবে কেউ কি মানবতার। ১৮.০৫.২০২৩

হিম্মৎ

ছবি
হিম্মৎ ============ মোঃ রহমত আলী ============ ভেঙে দে নিয়ম বনের, ওহে হে বন্দি সাবক। সকল বাধার শিকড় কেটে, উঠে চল চূড়ার উপর। মনোবল না হয় দূর্বল, আগে তুই চল রে যুবক। চাবুক যতই আঘাত করুক, ততই তোর রক্ত গরম। ওরে মন ন্যায়ের পাগল, তুলে ধর নিশান সত্যের। পিছে থাক বৃদ্ধ শতক, মাথায় বাঁধ নতুন কাফন। ভেঙে দে ঘুমের দহন, ওরে হে নবীন নরম। রুখে দে ঢেউ এর ছোবল, ভয়ের কি আছে এমন। ঝড়ের এই রাতের প্লাবন, লুকাস না ঘরে এখন, বিপদ টা সবার যখন, ছুটে চল দলে বলে, করতে হবে এবার মদৎ। ভেঙ্গে সব নিয়ম কানুন, ভুলে যা দোস্ত দুশমন, ঘটিবে মহা আজ বিপ্লব॥ ১৬.০৫.২০২৩

পথের ধূলি

ছবি
পথের ধূলি ============ মোঃ রহমত আলী ============ পথের ধূলি ঐ সব জীবন গুলি, অসহায় এক ভিখারিনী একা। লুটিয়ে আছে ঐ পথে শীতের শিশিরে ভেজা ভেজা ঘাসে। একটি ছেঁড়া কম্বল তার বদনে, তাও গিয়েছে ভিজে শিশিরের জলে। লিখনীর পরে কি আর লেখন, সবে হবে পথের ধূলি যখন। পথের ধূলি সারা শরীর গুলি, তবুও এক ভিখারী পাগল, বলে উঠছে ক্ষণে ক্ষণে, দে বাবা দে- চার আনা -দে। কখনো আবার শরীরে মাখা ধুলা, জিহ্বাহে চাটা দিয়ে দিয়ে আবার, বলে কভু দে সাহেব দে এক-টাকা দে। তবে বলো সভ্য সমাজ এই কি জীবন,পথের ধূলিতে-ই শুরু আর কি ধূলি মাঝেই ইতি। পথের ধূলি তো কভু না কভু তোমরা ও হবে,সভ্যতার দ্বার বন্ধ হলে। তবে এই পরিণীতিতে একবার নিজেকে স্মরণ করে দেখো, তোমাদের কেমন লাগে । ২৬.০৬.২০০৫

অযথা !

ছবি
অযথা ! ============ মোঃ রহমত আলী ============ চাইলেই যদি যেত পাওয়া না চাওয়া, তবে কেন আমার এই একবার আসা, আর একবারেই শেষ চলে যাওয়া। খালি হাতে এসে ভরেছি যত সব, গুনাহের খাজানা জান্তা-অজান্তায়। মুখ বুজে থাকাই এখন সময় যথার্থ, খুলিতেই মুখ বেরিয়ে আসিবে দুর্গন্ধ, ভাঙিতে পারে অনেকের সনে সম্বন্ধ। ব্যর্থতা নিজের গোছাতে না পারা কর্মের, জবাবের উত্তরে উল্টো জটিল প্রশ্নের। অযথাই বলি নিজু সনে কত কি যে কথা, আগে গুন ভাগ শেষে যোগ গুন বিয়োগ। চাইলেই যদি সব ধরে রাখা যেত, গুন ফলাফলের মতোই অধিক। যাক অযথাই করে নেই কিছু জটিল, তবে হিসেব কিন্তু দিতে হবে ঠিক কঠিন। বাকির খাতা পরিশোধ না করলেও হয়, অন্য দিনের খবর কে আবার রাখে তাই। সহজটা কে জটিল বানিয়ে চালে চাল, আর জটিলতাকে সহজ বুঝাতে দাবাও। লাগলে আগুন তো ছাই হতে কতখন, একই মায়ের দুধে গড়া মাংস সবার, একই বাবার হাড়ে গড়া হাড় আবার, তবে কেন ভাই-ভাই ভাগ বোন সবে, ক্ষনিকের মিথ্যা স্বার্থ লোভে নিজেরাই নিজেদের রক্তের করে গুনাগুনের খুন। ০৮.০৫.২০২৩

হুঁশিয়ার

ছবি
হুঁশিয়ার ============ মোঃ রহমত আলী ============ হুঁশিয়ার সব অত্যাচারীর দল, হুঁশিয়ার সব পাপিষ্ঠ মানব। অনেক অত্যাচার করেছ তোমরা, আর নয়-আর নয়, এখনো সময় আছে, হয়ে যাও সব হুঁশিয়ার। আমি জ্বালামুখ, আমি অশান্ত ধূমকেতু, আমি জ্বলন্ত আগ্নেয়গিরি, আমি ভূমিকম্প, আমি করে দেবো শান্ত, অনাচার,অবিচার,অত্যাচার, হুঁশিয়ার সব হুঁশিয়ার। আমি গ্রহ, আমি উপগ্রহ, আমি সূর্য, আমি চন্দ্র, আমি নক্ষত্র, আমি নিজে এক ইতিহাস, হুঁশিয়ার হয়ে যাও সবাই। আমি উত্তাল সাগরের শেষ ঢেউ, আমি নদীর প্রথম জোয়ার, আমি একটি ম্যাচের কাঠি, জ্বালিয়ে দেবো সব অন্যায়। হুঁশিয়ার হয়ে যাও সব অপরাধী, আমি শেষ করে দেব তোমাদের। ০৯.০৯.২০০০

সন্ধ্যাতারা

ছবি
সন্ধ্যাতারা ============ মোঃ রহমত আলী ============ রজনীর বিদায়ের সাথে, জেগে উঠে সন্ধ্যা আকাশে, একটি মাত্র তারা,কিছু সময়ের জন্য, সেই তারা কে বলে সবে সন্ধ্যাতারা। তুমি ছিলে আমার জীবনে এমনই এক সন্ধ্যাতারা। কিছু সময়ের জন্য আমি পেয়েছিলাম তোমাকে,ঠিক সন্ধ্যা আকাশের একটি সন্ধ্যা তারার মত। আমার আকাশে এখন আর উঠে না কোন সন্ধ্যাতারা। লুকিয়ে গেছে আমার সে সন্ধ্যাতারা, মেঘলা আকাশের পিছনে। হয়তো আমি আর,দেখবো না কোনদিন, আমার সেই প্রিয় সন্ধ্যাতারা। অনেক সুন্দর ছিল সেই সন্ধ্যা, যে সন্ধ্যায় আমি দেখেছিলাম সন্ধ্যাতারা। জানিনা এখন কার নজরে রয়েছে আমার সেই প্রিয় সন্ধ্যাতারা। ২৩.০৪.২০০০

শঙ্খচূড় (মোঃ রহমত আলী)

ছবি
শঙ্খচূড় ============ মোঃ রহমত আলী ============ সাগরের তীরে বারবার দেখি আমি স্বপ্ন আমার, বারবার ধুয়ে যায় ঢেউয়ের ছোঁয়ায়। এক চিল শঙ্খচূড় এলো মোর অবকাশে ভালোবাসা হয়ে আমার এ জীবনে। হারিয়ে গেল আবার হঠাৎ করে সেই শঙ্খচূড় ভালোবাসা অজানা বসায়। ঠিক ওই আকাশে রংধনু উঠে কিছু সময় পর যেমন লুকিয়ে যায় অজানা কোথাও। এক টুকরো শঙ্খচূড় বিষাক্ত এক ভালোবাসা, যার শেষ থেকে ছলনা। এই বেলা শেষ ক্ষণে, শঙ্খচূড় হাতে ধরে, উঁকি দেয় মনে মনের অজান্তে, সেই এক অতীত ভালোবাসা যার নেই কোন শেষ সমাধা। ২৯.১২.২০০১

আগুয়ান -

ছবি
আগুয়ান - ============ মোঃ রহমত আলী ============ হও আগুয়ান আজকের সব জোয়ান, অন্যায় অপরাধের সামনে করো, সবে মিলে কঠোর কন্ঠে প্রতিবাদ। দিলে পরে সবাই এক আওয়াজ, জুলুম অন্যায় হবে নিশ্চয় পিছপা। তবে হও আগুয়ান ভয় পেও না সবে, এই সময়ের যতো আছো যুবক জোয়ান। বৃদ্ধের লাঠি পারে যদি করতে প্রতিকার, তবুও পাবে না তো কি ? তোমরা লজ্জা, একটুও ওহে আজকের নওজোয়ান। দেখো নও তুমি একা,সাথী আছে নিশান, তো দাও দৌড়,এক আল্লাহ মহা মহান। হও আগুয়ান ওহে সব নব নওজোয়ান, তোমাদের কর্মমুখী চেয়ে আছে, শত শত বৃদ্ধের মান-অভিমান ! তবে ডর কেন এত ? ওরে জোয়ান, হয়ে যাও খোলা সব অন্যায়ের বিরুদ্ধে, প্রতিবাদী আজি এক সাথে আগুয়ান। জেগে দেখো কত শিকারী আছে, আজও জাল পেতে,বিবেক গুলো বন্দী, বিমুখ হয়ে মনের অন্ধকার কারাগারে। ওঠো-জাগো-দেখো এরা কেমন একদল, মৌমাছি আর পিঁপড়ের সংসার সংগ্রাম। তবে হও না কেন তুমি যোদ্ধা আগুয়ান, মেনে নিও না অন্যায়ের সুরে-সুরের গান। তাই বলি যে আছো আজ জোয়ান, প্রতিবাদী হয়ে উত্তম সততার হিম্মৎ এ, জোশ-জুলুসের সঙ্গে হও আগুয়ান হও॥ ০৫.০৫.২০২৩

আর্জি

ছবি
আর্জি ============ মোঃ রহমত আলী ============ পড়ে দেখো খালে, তুলে কে কূলে। নেমে যাও জলে, সাঁতার শিখে নিবে। ঘানি টেনে বোঝো, ভার শয়ে যাবে। পরো নিন্দা ছারো, নিজে শুধরে আগে। পরিশ্রম করে যাও, কামিয়াব হয়ে যাবে। বন্ধু কে চিনে লও, শত্রু কে ধরা যাবে। চেয়ে দেখো পাওনা, করে না কে বাহানা। উৎকৃষ্ট হওয়ার পরে, নিকৃষ্ট হয়ে যেও না। তাসের পাতা রাজে, কেন লক্ষী খোয়াবে। দ্বায়িত্ব মনেহয় সহজ, পালনকারী আর কতক। ফকির বেশে দেখো ঘুরে, রাজা মনের কতোজনে। হিম্মৎ যোগায় আগাও, বাধা যেথায় মানাও। ০৪.০৫.২০২৩

যেখানে বঞ্চিত সহসা

ছবি
যেখানে বঞ্চিত সহসা ============== মোঃ রহমত আলী ============== যেখান থেকে বঞ্চিত মানবতা, সেখান হতে-ই শুরু করি রচনা, আমি এক নতুন কবিতা। মানবতার দ্বারে দ্বারে ভিক্ষা চায় সহানুভূতি। ধিক্কার দিয়া হিন্য করে, সহানুভূতির এক এক দরবার। তুচ্ছ ভাবি,করুণা করি, নাহি দিলে সাহস, ঐ সেই মানবেতর কে ! লাঞ্ছিত করে ফিরায়ে দিলে বিবেকহীন মানবে। লাঞ্ছনা করিলে শুধুই তাহাদের, নাহি মুদ্রা যাহাদের কামিজে। বঞ্চিত যেখানে ইতিহাস সম্মানের, আকাঙ্ক্ষিত ভবিষ্যৎ নষ্ট করিলে, বেমানবতার বাণী শুনায়ে। কাম্য করিলে যাহার কাছে তুমি, সহানুভূতি নামের মানবতা। সেই তোমাদের বঞ্চিত করিবে, সহানুভূতির দাবিতে। সৎ কর্ম তোমাদের হামেশা সাহায্য করিবে, দরবারে এলাহী-র সহানুভবে । ০১.০৯.২০০৪

অপূর্ণ -

ছবি
অপূর্ণ - ============ মোঃ রহমত আলী ============ দৈনিক কাজা ফজর আজও, রোজ দেরি জোহর আদায় করি। আসর হলে হক মনে পরে, মাগরিবের সময় কম তবু নামাজি, এশা তে একা জামাত কম বেশি। তাহাজ্জুদ আদায় করি কি কখন, ইশরাক চাশত খবর জানা নেই যখন। ফরজ রোজা রোজ রমজানে, কতটুকু হয় সঠিক পূরণ, যাকাত হিসাবে করে কি পূর্ণ আদায় ! ঈমানের বোধ আছে যে ঘুমায়। লোক দেখানো সালাত ছিল না তো এ আমার। তবু কেন বলে উঠে লোকে, ঐ দেখ কেমন করছে আদায় সালাত। মাফ করে দেন আল্লাহ আমায়, অতি গুনাহ আমলনামায় আমার। বছর সারা হয়নি আদায়, ঈদের দুই জামাত ছাড়া, আমিই বড় অধম পাপি, রোজ ফজর ঘুমে থাকি, তবু আমায় দাও গো মাফি, তুমিই আমার এক আল্লাহ ইয়া রাব্বুলআলামিন। আমিন। ০১.০৫.২০২৩

মেলা -

ছবি
মেলা - ============ মোঃ রহমত আলী ============ মেলা মেলা মেলা মেলায় চলে হরেক রকম খেলা। চরকি ঘুরে,যাত্রাপালা, পুতুল নাচে,জুয়া খেলা, আছে মেলায় হরেক রকম খেলনা। মেলার মিঠাই খুকু খায়, মাটির ব্যাংক কিনে বাবা, খুকীর চুড়ি,আলতা,ঝুমকা, খোকার জুতা জোড়া। গ্রাম গঞ্জের মেলায়, জমে মনের মহা মিলন মেলা। মেলা মেলা মেলা শহর জুড়ে রঙ্গীন মেলা, রঙ বেরঙের খেলা। পাড়া মহল্লার ঘোপ ঝোপেতে, চলে দেখি কিশোর গেং এর, বাঁদরামো আর খামখেয়ালিপনা, খোলামেলা মারামারির মেলা। নিরীহ সবাই নীরব দেখে তা, এই যে,জমেছে মেলার খেলা। মেলা মেলা মেলা বর্ষপূর্তির দিনে এই জমে উঠে, বাউল মেলার মেলা। গানে-গানের বাউলা সুরে, এক দো-তারার মেলা। পাগল মেলা,ফকির মেলা, বড়লোকের পার্টির মেলা। মেলায় লুটায় টাকা মেলা, বিলাসবহুল বিয়ের মেলা, মেলা শেষে আবার খেলা। মেলা মেলা মেলা জেলখানাতে বন্দি মেলা, বাহিরে আবার জমেছে খেলা, স্বজনদের ঐ দিদার, পাওয়ার খায়েশ মেলা। বাল্যকালে পুতুল বিয়ে আর, হরেক সখের মজার খেলা। এই যুগে আর নেই তো ভাই, সেই সময়ের সে সব খেলার মেলা। মেলা মেলা মেলা শীতের সকাল-সন্ধ্যা,পিঠার মেলা। ফুলের মেলা,পাখির মেলা, চোর-বাজারে চোরাই মালের