পোস্টগুলি

রূপ অপরূপ (মোঃ রহমত আলী)

ছবি
রূপ অপরূপ ============ মোঃ রহমত আলী ============ প্রয়োজনের জন্য কত আয়োজন, মিটে গেলে দরকার,ভুলে উপকার। হাহাকার মেজাজের খামোশি প্রচার, আমার যা কারণ,তোমার তা অকারণ ! ললাটের আচরণ,বহু তার বিবরণ, স্বপ্ন ঘুম ভাঙ্গার বিষাদ একপ্রকার, বুকে-বুক জড়িয়ে বর্ণনা জরুরত, মিটে গেলে চাহিদা নিমিষেই ফারাক। হঠাৎ আঁচড়,বদলে আচরণের ধরণ, অস্বীকার যত মদদ অতীতের চরণ, অঙ্গীকার ভুলে আজ ব্যবহার কেমন, অপরূপের আদলে এখন নব রূপ,যেন বিপদের দিনে হাজির শত নতুন আপদ। আয়োজনের জন্য যা ছিল প্রয়োজনীয়, জরুরত শেষে তা অপ্রয়োজনীয়,তবে ছিঁড়ে তাল তালাশ,আবার সুর উপহার ! দায়বদ্ধ কোথায় আর কতদূর কর্তব্য, ভুলে যায় সেই উপকারের পরে দায়িত্ব, কত আদর মন ভোলানো সর্বনাশা ছলে, প্রয়োজন মিটে গেলে,মুখে নাম না মিলে। অন্ধকার দিনে মদদ,আলোতে চেনেনা, নিঃস্বার্থ মদতগার চিন্তা করেনা পরিনাম, উপকার পেয়ে দূরত্ব রাখে,গুরুত্ব ভুলে, স্বার্থপর হয়ে চলে,বিপদে হাত বাড়ালে, আবার কি আর সেই হাত মেলে ? ০৯.১২.২০২৩

শূন্যদৃষ্টি (মোঃ রহমত আলী)

ছবি
শূন্যদৃষ্টি ============ মোঃ রহমত আলী ============ মুখ চেপে চেপে বলতে হয় কথা , অনেক কিছু দেখেও ভান অদেখা , হাসি মুখে শত্রু বিদায় বুদ্ধিমানের , অতীতের সাথেই কদর বর্তমানের , ভবিষ্যতের সফর নীরব অন্ধকারে , মুখে তো আর নেই কোনো ঢাকনা , বেরিয়ে আসে হরেক রকম কথা । মুখবন্ধ,কান খুলে কত শুনি কথা , বলতে গেলে কিছু,অপরাধ মেলা , নাক চেপে শ্বাস বন্ধ রেখে চলা , ডাস্টবিনের বাইরে ময়লা ফেলা , চোখে ধুলো পড়লে নতুন কিছু শেখা , প্রমাণ খুঁজতে মুর্দা ফের জিন্দা করা , কিছু অন্ধের দৃষ্টিশক্তি ফিরে পাওয়া । মুখ-খুললে যেন পরান যায়-যায় ভাব , জোনাকির কাছে কী মূল্য সূর্যের তাপ , আজ অনেক সত্য মূল্যায়নের অভাব , চারিদিকে বহুত মিথ্যার জয়জয়কার , মুখ থাকতেও বোবা,অভিনয়ে বাধ্য , দ্বায়িত্ববান কেউ কেউ উপহাসে ব্যস্ত , ফিসফিস মুখ বুজে হচ্ছে কথা ন্যায্য ॥ ০৫.১২.২০২৩

আবদ্ধ (মোঃ রহমত আলী)

ছবি
আবদ্ধ ============ মোঃ রহমত আলী ============ সবার সাথে সবার জমে না তো ভাব , মনের মতো মনের আজ বড় অভাব ! সুখী সবাই উপর-উপর , দুঃখী যে ভেতর-ভেতর , হাসিতে যার মুখ ভরাট , কাঁদাতে পারে কে ললাট , স্পষ্ট কষ্ট একা তার চোখের কিনারায় । সবার সাথে সবার মিলেনা যে সব তাল , তবুও চলতে হয় মিলিয়ে তালে-তাল ! প্রশ্নের উত্তর জরুর তবে , উত্তরের উত্তরে বিবাদ হবে , আনন্দ শেষে বিষাদ রবে , মজবুত কথা দুর্বল যেথায় , সালাম দিয়ে জলদি বিদায় হেথায় । সবার সাথে সবার ভালোবাসা কি সমান , তাই নজরবন্দি ফিকির গুলো যার তার ! জীবন থেকে নেওয়া জীবন , হিসাবের ব্যবধান তুলনায় , আবদ্ধ নজরের করুণায় , তফাৎ শুধু বিষয় বিবেচ্য , মনের আঙিনায় কল্পনা এক আলোচ্য ॥ ০১.১২.২০২৩

বিবেক অন্ধ আবেগ (মোঃ রহমত আলী)

ছবি
বিবেক অন্ধ আবেগ ================ মোঃ রহমত আলী ================ কাঁদে আবেগ তো হাসে বিবেক, মরে মানুষ তো জাগে মানবতা, হারায় হীরা তো তালাশে হিয়া, মুসিবতে বিবেক তো আগুয়ান আবেগ, মনোভাব উদার তো বরবাদ মাঝি। আবেগি অসহায় তো বিবেকী মজা নেয়, নির্বোধ তাই তো তখন সেই বুদ্ধিমান। আবেগে আবদার তো বিবেকের হিসাব, সময়ের আগে তো জোয়ার-ভাটা হয় না, নির্লজ্জ বিবেকবান তো লজ্জিত আবেগ, হারিয়ে মান তো গোপনে চলে অনুসন্ধান। বিনয়ী আবেগ তো অহংকারে বিবেক, মান-সম্মান তো সবারই সমান-সমান, বিবেকের বশে জয় তো,আবেগেই হার। তবু তো মানুষ-মানুষের ভালো নাহি চায়, অধৈর্য আবেগ তো ধৈর্য ধরে রয় বিবেক, মমতার নমনীয়তায় তো পূর্ণ যে সাধন, আজাদ আবেগ তো দায়বদ্ধ বিবেক। শান্ত বিবেকের অত্যাচারে তো অশান্ত আবেগ,যবে ঘুষ আর দুর্নীতি করছে বিবেকবান,তো সইতে বাধ্য আবেগি মন। ঘুনে-ধরা বিবেকবান তো প্রায় অনেকেই হাসপাতালের সেবক-সেবিকা গণ, অন্ধ বিবেক তো বোবা আবেগ যার। ভুক্তভোগী আবেগে বোবা কন্ঠে বলে আহ বেরহম হায় আফসোস বেশরম॥ তবুও তো তারই মাঝে আছে কেউ জিন্দা-দিল,আবেগ বিবেক ধারণে মিল । ৩০.১১.২০২৩

মায়াবী জল (মোঃ রহমত আলী)

ছবি
মায়াবী জল ================ মোঃ রহমত আলী ================= জল ছলছল , মেঘ গুমসুম , মনে সুখ-সুখ , চোখে ঘুম-ঘুম , ছিঁড়ে ফুল,হলো ভুল,দিলাম মাশুল। মাটির উপর জল , মাটির তলায় জল , চোখের কোনায় জল , চোখে গভীর ছল , মায়াবী ফুলের মায়ায় জগৎ খুশবু-মুখর। আসমানের জল , জমিনে থলথল , পরিশ্রমী ঘামটা জল , সাপের বিষ জল , ফুলের মধু জল,মায়াবতীর মায়া-জাল। সাগরে নোনা জল , চোখে ও নোনা জল , ক-নদীতে মিঠা জল , মুখের মিঠা বোল , ঝরনাধারা শক্ত তবু কমল জীবন জল। সবার চোখের জল , একই যে রঙ , আঁখি-জলে কল , না জলের সাথে ছল , গাছের বুকে রসালো জল , মাছের সাথে সর্ব প্রাণের জন্য জল , তবু জল পিপাসায় মরে প্রাণ আর বাঁচে জান। জল তো কাটলে হয় না ভাগ , রক্তের-বাঁধন কেন এত ভাগ-ভাগ , জল-জলে মিশে থাকে রঙটা যে তফাৎ । ২৮.১১.২০২৩

ভদ্রলোক (মোঃ রহমত আলী)

ছবি
ভদ্রলোক ============ মোঃ রহমত আলী ============ মানুষের মাঝে ইনসান যে , খুঁজে পাওয়া -তাই বড় দায় , আছে সবই ঠিক-ঠাক , দেখে মনে তো হয় মানুষ। স্বভাবে মনুষ্যত্বের অভাব , ব্যবহারে বিরাজ বৈহিক আদব , অহংকারী অনেকেই চরম বেয়াদব। সুগন্ধি শরীরে মেখে অন্তরে দুর্গন্ধ , পোষ মানিয়ে চলে স্বার্থ , সন্ধির ছলে পয়সার ফন্দি , জিম্মি চুক্তিতে মুক্তি আজ বন্দী। মানুষের মত মানুষ তো সবাই , ব্যবহারের সাথে পরিচিত হই , তা এক কথায় মানসিক মনুষ্যত্ব , মানবতার অনুসন্ধানী তার পরিচয়। যে মানুষকে মূল্যায়ন করেনা , অথচ সে নিজে খুব ভদ্রলোক , উচ্চপদে তাই তো বুঝি দাপট। বিনয়ী মানবিক মানবিকতা গুলি কেমন যেন মরে যাচ্ছে দিন-দিন , মানুষ জনের রহস্যময় কু-লোভে। মানুষ ছিল দেখতে রূপের-রূপে , ধরা খেলো নিজ কর্মের মর্ম গুণে , আমিও মন্দ তাই বলি সবার আগে ॥ ২৮.১১.২০২৩

অবোধ (মোঃ রহমত আলী)

ছবি
অবোধ =============== মোঃ রহমত আলী ================ উড়িয়ে দিলাম মনের পিঞ্জরে বন্দী ছিল যতনের যত ময়না, কেউ বোঝেনি ভাষা,রাখেনি কথা, ব্যথার জলে ভাসিয়ে দিলাম শব্দগুলোর অপূর্ণ বায়না। কাঁচের দেয়াল ভাঙতে চাই একেবারে, প্রেমের কারাগারে বন্দি ভালোবাসা, বিফল আশাবাদী স্বাধীন মনের পাখি। খুঁজে ফেরে ফেরারি পথিক সন্ধানী নয়নে,দুর্বার কোন বাঁশরীর বিরহ কান্না, পথিক আবার হারালো পথ, নতুন জ্যোৎস্নায় আঁখি মেলে। উড়ে এলো হাওয়ায় সুরভিত আনন্দ, খুঁজে নিলাম তারই মাঝে, গর্বে দুঃখের বিন্দু-বিন্দু কণা। যত্নে দেওয়া প্রিয় কথার অনলে হৃদয় পুড়ে ছাই,তবু বিনয়ী অবোধ আমি, সেই বন্ধুর পিছু-পিছু যাই। বলো আমায় নির্বোধ যত, আমি আনন্দিত বন্ধু তত, তুলে-তুলে পাথর শত, চাপিয়ে রাখি হৃদয়ের ক্ষত। অবহেলায় অবুঝ মনের বেদনা, সান্ত্বনা ও তো দিলো-না কেউ  আপন মনে আপন জনা ॥ ২৭.১১.২০২৩

কথন - (মোঃ রহমত আলী)

ছবি
কথন - ============ মোঃ রহমত আলী ============ বেদনার গান শুনে বিরক্ত সুজন, প্রেমের গানে সকলেই প্রিয়জন, সুখের কথায় হঠাৎ আয়োজন, দুঃখের সুরে বন্ধ কানের শ্রবণ, সে কেমন হায় দয়ালু পরিচিত জন, যে রোগা-কে বলে তুমি মরে যাবে এখন। স্বার্থের প্রাচীর ভেঙে আসে বন্ধু, লোভের তাড়নায় দূরে আত্মার রঙ, ভীষণ ব্যথায় পাথর জমাট অশ্রু, শুকতারা সুখেই আছে যতদিন জোয়ান। আজান হয়ে গেছে প্রথম দিন, এখন বাকি শুধু শেষ দিনের সালাত, তখন তো সবার ছিল মিষ্টি মুখ, আজ শেষ বিদায়ের পরে খাওয়ার ধুম। কান পেতে ছিল বেদনায় প্রিয়ের চোখ, হৃদয়ে পাথর চাপা আহ কি শোক ! বাঁধন হারিয়ে মনকে শক্ত করে বাঁধা, রংধনুর সব রং ঢং ফুরিয়ে,আজ শুধু সাদা রঙের কাফনে প্রথম ও শেষ দাফন। এসব ঘুমের মাঝে স্বপ্ন ঘোরে রুহের সাথে রুহের আর দেহের সাথে মনের সত্য কথন ২৬.১১.২০২৩

দোষগুণ - (মোঃ রহমত আলী)

ছবি
দোষগুণ - ============ মোঃ রহমত আলী ============ কলম তো নিজেই চলে, মুখমন্ডল কালো হলে, চোখের জল যে কথা বলে, হাস্যকর রসিকতার ছলে, কথার ফাঁকে কথা শুনে, ঘুরে যায় মাথা মোটা। চোখের ধোঁকা,বুকের ব্যথা, মুখে লুকায়িত সত্য কথা, কাগজ-কলমে মিথ্যা সাক্ষ্য, আলোর খোঁজে আঁধারে ঘুরে, মাটির গভীরে রতন চাপা, রসিক হিরা বলে,সঠিক -কে -রে ! পাতায়-পাতায় গুলবাহার দোলে, খাতায়-খাতায় অক্ষর কথা বলে, অন্তরে পোষা দুঃখ চোখে প্রকাশ, মুখে-মুখে ফোটাতে হয় মধুর সুখ। দোলনা ছিঁড়ে পড়ে গিয়েছে বয়স, এখন শুধুই প্রতীক্ষা তলিয়ে যাবার, অনুপম অতীত হারিয়েছে বর্তমান পেরিয়ে,শেষ পালকির ভরসায়। কলমের দোষ নাকি খাতার দোষ, আসল দোষ-গুণ তো কর্মের মর্মে, গুণাগুণের হিসেবে সব হিসাব ভুল, পাপি আমি সর্ব উর্ধ্বে লেখা আছে, গায়েবি কলম দ্বারা আমলনামায় । ২৪.১১.২০২৩

রসন - (মোঃ রহমত আলী)

ছবি
রসন - ============ মোঃ রহমত আলী ============ ফোঁটা কলি ছিঁড়ে লাভ , ঝরা ফুল তুলে মালা গাঁথ , কাটা ভরা ফুলে প্রেমবাগ , ফলে ভরা গাছ,চেনা যায় জাত। শুকনো পাতায় অগ্নি জ্বালা , বলাকা উড়ে মেলে ডানা , দু-পায়ে চলে চলাচল , চারপায়া চরিত্রে অবিকল। পূজারী দুর্বল সুন্দরে , তবে ভালোবাসবে কে অসুন্দর , ভাবভঙ্গী-তে যেন অঙ্গীকার ফাঁসাতে পারতেই বাস কামিয়াব। ফুলচোর গুলবাগের পাহারাদার , মৌমাছির হক মেরেই , নিজের পেট ভরে বারবার , দাবি করে নিজেকে সরদার। জমানো রসদ গেল পোকার পেটে , তবে পেল না রসন সদর লোকে , ভিখারী নিজের ভিক্ষা করে দান , তাতেই বাড়ে আরো বড়লোকের মান। সমান-সমান পকেট কেটে , সবার গলায় অভাবী ছুরি , লম্বা বোল রোজ-রোজ , চোর ডাকাতের নামের ঢোল । ২৩.১১.২০২৩

সবক (মোঃ রহমত আলী)

ছবি
সবক ============ মোঃ রহমত আলী ============ সুখের দিনে সঙ্গী সবাই আমার ভাই, দুঃখের সময় সাথী কেউ যে আর নাই, বুকের ভেতর জ্বালিয়ে আগুন তামাশা দেখে যায়,চোখের জল মোছাতে পারে দেখি কে কার সঙ্গে চলে সদা সাথে তাই। স্বার্থ লয়ে পিছু চলে বন্ধু কেমন তারা, মিথ্যাবাদী ফাঁসিয়ে দিলো হাসির ছলে, ছিল সাদা সহজ-সরল সোজা বেচারা। কে সত্যি ভালোবাসে,আর কে বাঁশ দেয়, তা ধারণার উর্ধে ঘটে যায় অজান্তেই। আসল বিষয় স্বার্থ হাসিল সমান তালে, বিপদ-আপদে পাই পরিচয় বন্ধু প্রাণের, সাক্ষী ইতিহাস কত কি ঘটন অঘটনের। সবক রোজদিন নূতন প্রাপ্তিতে আমার, পাঠ্যপুস্তকের শিক্ষা সমূহের বিপরীত গতিতে জীবন সংসার চলছে সমাজ। ভাগিদার সবাই ভালো দিনের আলো, আরো যদি বদলায় কারো ভাগ্যে কারো, পয়সা চেনে সে ও নতুন চোখে যে চালু, মাগনা সময় নষ্ট করে অন্ধ ছাড়া আর কে বলো ! তবু শিক্ষা সদা দীক্ষা সবক। দিনে সুরমা রাতে কাজল টাকার পিছে সবাই পাগল,কেউ তো আবার দেখি করছে নিঃস্বার্থ আমল এক বোকা-মন। তাই পাথরকে পাথর দিয়ে চাপা দাও,আর জলকে জলের স্রোতে ভাসিয়ে যাও ॥ ২২.১১.২০২৩

আদ্যপ্রান্ত (মোঃ রহমত আলী)

ছবি
আদ্যপ্রান্ত ============ মোঃ রহমত আলী ============ এগিয়ে যাওয়া সময়ের উত্থানে, পরাজিত সেই পতনের উচ্ছ্বাস। ভাঙ্গা ভাঙ্গা সাধনা অপ্রিয় তাতে কি ? গমন নির্ধারিত এক অবধারিত সময়ের শেষ অংশে যে ভাঙ্গনের ঢেউ আছড়ে পরে বুকের পিঞ্জরে। বিধান মিটিয়ে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট, তবু ফিরে পাওয়ার ব্যর্থ অঙ্গীকার, ভুলে যেতে বাধ্য সীমানা পেরিয়ে অজান্তেই ছিড়ে ফেলা কোন এক স্মৃতির ছবির মত যন্ত্রণার বালুচর। বরেণ্য কষ্টের অশ্রু রংয়ের নিরীক্ষায় হারমানা গবেষণায় ভালোবাসার জন্ম। অবান্তর সুখ খুঁজে ফেরে পথিক, বিদায় লগ্ন যদি হয় আশীর্বাদে তুষ্ট। নাম না জানা বহু রোগা বেদনার বিচরণ ধমনীর আদ্যপ্রান্ত জুড়ে অবিকল সুখ, প্রসারিত আনন্দে কার যেন এক দুঃখ। পিঞ্জর সর্বদাই খোলা,উড়ে যেতে প্রস্তুত পাখিটা,শুধুমাত্র আসল ক্ষনের অপেক্ষা। এড়িয়ে যাওয়া অসম্ভব দিনক্ষণ যখন, এটাই তো জীবনের আসল জয়,তবে থরথর কাঁপে কেন বুক বিজয়ের শেষ। আসল নকল হবে তখন প্রমাণ সকল, শেষ রাতের পরে নতুন সকাল যখন ! ২১.১১.২০২৩

চাকচিক্য (মোঃ রহমত আলী)

ছবি
চাকচিক্য ============ মোঃ রহমত আলী ============ সকালে পুষ্পের তালাশে, দুপুরে ঝরা পাতার সন্ধান, বিকেলে হাসির অভাব, সন্ধ্যায় দুঃখের আবির্ভাব, সারারাত ঘুমের অভিনয়ে ক্লান্তি হারায় খনিকের স্বপ্নে। ভ্রমণ একা কান্নার কারাগারে, সূর্যের সাথে রোজকার যুদ্ধ শেষে উদ্ধার একমুঠো কালো-মেঘে লুকানো পূর্ণিমা। সমুদ্রের উপরে অমূল্য আকাশের উজালা নক্ষত্র, মরীচিকা এক সুন্দরের চাকচিক্য লোপাট আসল রহস্য ভিড়ে খুঁজে চলা তারই মাঝে মুক্তির নিদ। তরল হয়ে যায় মৃত্তিকা, বন্দী ঘামের পরাজিত সুবাসে, উদয় রোজ নব ঘোর তপস্যায় ফিরে যায় মুখ লুকিয়ে কোনো পরিচিত চোখের অপরিচিত নীর। মূল্যবান কুয়াশা হঠাৎ নিখোঁজ, ক্ষমা চেয়ে শান্ত,বিফল পরিশ্রম, আনন্দ তবু চোখের মণি বৃত্তে,  অবুঝ ক্ষুধা অঙ্গন পিপাসায়, মনোরম অঙ্গার পুষ্পের সান্ত্বনায় ॥ ১৯.১১.২০২৩

অমূল্য সুর (মোঃ রহমত আলী)

ছবি
অমূল্য সুর ============ মোঃ রহমত আলী ============ নন্দিত হতে চেয়ে নিন্দিত হলে, আসল গীতি কথা সুর অবহেলে। যে নতুন অদ্ভুত বেসুরো গাইলে, অচল হবেই এই নব সুর ঝংকার। চিরকাল যুগে-যুগে সচল থাকবে মহান কবির অমর সব কবিতা ও কালজয়ী সুরের গীত-সংগীত। যার বাঁশরী সেই বাজায় ভালো, নয়তো সুর তুলতে হবে একই সুরে-সুর মিলিয়ে সেই তালে-তালে। দামি তুমি হতে পারো ! তবুও ঐ নামের নও, যে নামে অমূল্য কবি-নজরুল॥ অতীতকে পচা ভাবাটাই ভুল, বর্তমান যা তাই তো খনিকের, গাও তবে ঠিকঠাক, কবি সুরে সদা মিলিয়ে সুর । ১৩.১১.২০২৩ কারার ঐ লৌহকপাট - গানটা বৈগুণ্য সুরে উপস্থাপন করায় ! প্রতিবাদ স্বরূপ এই কবিতা লেখা

আকাশকুসুম (মোঃ রহমত আলী)

ছবি
আকাশকুসুম ============ মোঃ রহমত আলী ============ মনের জানালা খোলা দেখে , উঁকি দিতে আসে ছলনাময়ী প্রেম। বুকের ভেতর তবু তুমি থাকো , ছলনায় ভাঙতে অবুঝ এ অন্তর। সরলা তোমায় চিনতে না পেরে , দুঃখের দহনে মলিন হৃদয় কানন। প্রথম সকাল , সুখের বিকাল , এখন যন্ত্রণাময় কষ্টের প্রতিরাত। উদাস দুপুর , সন্ধ্যা স্মৃতির , হারানো প্রীতির প্রতীক্ষায় একাই আমি আজও আমার আঙিনায়। মন ভেঙে চলে গেল সে , পারিনি তাকে বন্দী রাখতে প্রেম কাননের খোলা খাঁচাতে। একান্ত ভালোবাসার ফুলকে বুঝে ছিল সে অকারণেই ভুল , তাই আহত প্রেমের গোলাপ , আজও ডুবা একা চোখ যমুনায়। আকাশকুসুম পরশ পাথরের জন্য , ধড়ফড় করছে পরান পাখি , হারানো সুখের অতীত সাক্ষী , মিথ্যা সান্ত্বনায় বেঁচে থাকি , পথ ভুলে যদি আবার আসে সাথী। অশ্রু ভরা মুখ , শুকনো নদীর রূপ , সব ভুলেই যাবে আঁখি , তোমায় ফিরে পাই গো পাখি । ১২.১১.২০২৩

আত্মকথা (মোঃ রহমত আলী)

ছবি
আত্মকথা ============ মোঃ রহমত আলী ============ ওহে ডাক্তার সাহেব ! সেবার নামে কেন করেন , রোগীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার। রোগীর যন্ত্রনা শুনিতে মনোযোগী নও তো তোমরা। তবে কৃপা করে একটু হও , রোগীর সহযোগী ভাই চিকিৎসক। ও ডাক্তার সাহেব ! কত টাকা তোমার হয় দরকার , একই টেস্ট করিয়ে,লিখে ঔষধ কমিশন কেন খাও বারবার। রোগ কেমনে ধরা খাবে , প্যাথলজি বিভাগে আছে কিছু আনাড়ি। ওগো ডাক্তার সাহেব ! তোমরা কি কসাই নাকি ডাকাত , অসহায় রোগাক্রান্ত বলেই তো , তোমাদের দ্বারস্থ আমরা। তবু কেন সম্পূর্ণ চিকিৎসা ব্যবস্থা দু-চার বাদে প্রায় সব টাকার গোলাম। বাহ্ ডাক্তার সাহেব ! অসুস্থ মানুষের কাতরানো দেখে , মজা-মশকরা করছেন। বেশ দারুণ আপনার বিদ্যা , বুঝবেন যখন করুণ ব্যাধিতে ভুক্তভোগী হবেন। আহ্ ডাক্তার সাহেব ! যদি মানবিক সেবক হতে না পারেন , তবে তো বৃথা আপনাদের , বহু পরিশ্রমে লক্ষ-কোটি ব্যয়ে নির্মিত হাসপাতাল ও উপাধি আপনার। আরে ডাক্তার সাহেব ! একি করলেন ভাবেন তো একবার , ভুল চিকিৎসায় কেড়ে নিলেন যে কত রোগীর প্রাণ। আপনার ভুল অপারেশনে আজও , ক্ষতবিক্ষত পঙ্গু কতক রোগীর স্বাভাবিক জীবন-যাপনের মান। ওরে ডাক্তার সাহেব ! ধৈর্যধরে শোনেন একট

কৌশল (মোঃ রহমত আলী)

ছবি
কৌশল ============ মোঃ রহমত আলী ============ আদুরে বাদুড়ের গলায় বেঁধে দাও ঘন্টা, লুটে খাও সব গাছের পাকা ফল-টা, কাঠবিড়ালীর ভাগে যদি জুটে আঁটি -টা, হুতুম-পেঁচার চাহনিতে যে করুন পিপাসা, মলিন কন্ঠে কাঁদছে,কাকের ছানা-টা, ময়ূর থামালো নাচ,দেখে তার পা -টা, কৌশল জানে ভালো,শিকারি বাঘ-টা। কালোমুখো বানরের উৎফুল্ল হাসি-টা, জঙ্গলে বিদ্যমান শৃঙ্খলা আর কৌশল, সভ্য দেশে-দেশে তারও অধিক চলছে, উশৃঙ্খল নৃশংসতার কূটকৌশলী চলন। খুলে দাও বিড়ালের গলায় বাঁধা ঘন্টা-টা, দায়িত্ব পালন কোথায় করেছে সব-টা, ইঁদুর তো ঠিকই চুরি করে নিচ্ছে লুটে, কৃষকের ঘাম ঝরানো ক্ষেতের ফসল-টা। চতুর ইঁদুরের চালে,শিকার খরগোশ-টা, উদ্দাম উৎসব পালনে শিয়ালের দল-টা। হাতি দেখায় দাঁত,লুকায়িত তার জিভ-টা, বড় মাছে খেয়ে হজম,ছোট সব মাছ-টা, দেখো চশমার আড়ালের কালো চোখ-টা, মনে হয় কতই না কত উদার মানবিক, তবে তা আসলেই ভয়ানক কু-কৌশলী ॥ ১০.১১.২০২৩

তুলকালাম (মোঃ রহমত আলী)

ছবি
তুলকালাম ============ মোঃ রহমত আলী ============ সবই তো ঠিকঠাক , কথা-বার্তা টুকটাক , মুখে-মুখে কাটাকাটি , বাজলো নয়া ঢাকঢোল , মুখেই শুধু লম্বা বোল , লোভী মন বেসামাল , উচিত কথায় গোলমাল , হঠাৎ কাণ্ড তুলকালাম। বড্ড বেশি বাড়াবাড়ি , ভুলে মদত তাড়াতাড়ি , আত্মসম্মান কাড়াকাড়ি , বেইজ্জতি যে কানাকানি , অকৃতজ্ঞ তারা-যারা , অপরের লুটে জানমাল , সামলানো দায় মানজান। ফাঁদ-পেতে ধোঁকাবাজি , রোজগার ধান্দাবাজির , কালোবাজারি রাতারাতি , হালাল কামাই তার-নাকি , মহাসড়কের চাঁদাবাজি , সরল লোকের হাহুতাশ , হারিয়ে মাল কান্নাকাটি , বিচারী জটিল কারসাজি ॥ ০৮.১১.২০২৩

গরমিল (মোঃ রহমত আলী)

ছবি
গরমিল ============ মোঃ রহমত আলী ============ ছন্দে তাল , মন্দে গাল , জয়-জয় হবে-কার , খালি পেটে ডাক , গলা টানটান। সুর ছাড়া গান , গেয়ে বদনাম , ঢোল ফেটে গেলে , রং ঢং শেষে , সুধী অপমান। সুর ছন্দের তালে , হাততালি মিলে , তাল-মিল হলে গরমিল , নিমিষেই বাস শেষ অন্তমিল। ফুলে-ফুলে গদ্য , সুরভিত পদ্য , ছোট-বড় গল্প , লেখা খুব অল্প , অভিমানী কাব্য , চোখে-চোখে ছন্দ। ০৭.১১.২০২৩

মায়া - (মোঃ রহমত আলী)

ছবি
মায়া - ============ মোঃ রহমত আলী ============ সুখের সাথে দুঃখ খুঁজে চলা, প্রেমের সাথে বিরহ পুষে রাখা। চোখের ইশারায় প্রেম নিবেদন, পঙ্গু ভালোবাসার অদৃশ্য দৌড়। মনের ব্যাকুল বকুল ফুটিতেই সুরভিত ভালোবাসার পাওনায় আকুল সাধনায় প্রেমের বাসনা, পেয়ে হারানোর বেদনায় অমর এক গোলাপ ডায়েরির পাতায় আনন্দ বিধুর কান্নার সুখ স্মৃতি। দুঃখের মাঝে সুখের সন্ধান করি, স্বার্থকতা যার দুঃখের অশ্রু মুছে। প্রেমপত্র পদতলে যে যায় ফেলে, তাকেই ভালোবাসতে চোখ খুঁজে। সুখের কাহিনী,দুঃখী মন শুনে হাসে, বিশেষ জনের আসল দুঃখের অনল, কান্নাটা পুরাতন,নব-নূতন অশ্রুজল। যার লাগি জাগে আজও আঁখি, কার প্রেমে মজিলে অবুঝ পাখি। মিছে মায়ার বাঁধনে মন উদাসী, আজ ধূসর ভালোবাসা একা সাথী, জানি সে তো মরীচিকা প্রেম বৈকি। ০৫.১১.২০২৩

উদ্ধার (মোঃ রহমত আলী)

ছবি
উদ্ধার ============ মোঃ রহমত আলী ============ উদ্ধার হবে এই আঁধার, উপায় খুঁজে পাবে নিরুপায়, বর্ষার শেষে কেটে যাবে মেঘ, পুলকিত হবে নব জোছনা ফের। পূবের বাদল পশ্চিমে হারাবে, উত্তরের হাওয়া দক্ষিণ কাঁপাবে, সমুদ্রের বুক চিরে নতুন চর জাগিবে। আবার হবে হাতি পিঁপড়া দ্বারা শিকার, হতাশ হওয়া একদম বারণ, সামনে একদিন খুঁজে পাবে কারণ, অপেক্ষার প্রহরেই উর্বর আক্ষেপ। উজ্জ্বল মুখগুলো কালো হবে কাল, মলিন মুখেই আশাবাদী নতুন সকাল। প্রতিবার প্রতিবাদ,কলমের অপমান, অতীতে লেখা প্রতিকারে হবে উদ্ধার, বর্তমানে নয়-তো,ভবিষ্যতে আবার। যার জমিন আসমান সারা সৃষ্টিকূল, তিনিই একমালিক করিবেন উদ্ধার দুকূল, আশীর্বাদ চাই,নিরাশ তো নই, উদ্ধার হবেই বীর মজলুমের দিন, হবে সব মুশকিল মুসিবত আসান। প্রলয় কেটে জিন্দা আবার তাজা ঘাস, বিপদের দিনে করেছিলে তারা উপহাস, তাদের মুখে মিথ্যে আজ মোবারকবাদ, হয়েছে হিম্মতের পরিশ্রমে যারা উদ্ধার ॥ ০৩.১১.২০২৩

দলিল - (মোঃ রহমত আলী)

ছবি
দলিল - ============ মোঃ রহমত আলী ============ নিয়ম যত বিড়ালছানার জন্য, নিয়ম-কানুন নেই শকুনের জন্য। যত আইন কুকুর-ঘোড়ার জন্য, বিচার নাই তো অজগরের জন্য। চাবুকের যত আঘাত খরগোশের ওপর, ইন্দুর মারার দুঃসাহস হবে কবে কখন। গরম জল গড়ায় পিঁপড়ার বস্তিতে, সালিশ বসেছে গাধার ভিটে-মাটিতে। হুকুম প্রযোজ্য যত-সব কবুতরের জন্য, শিয়ালের জন্য আছে মোরগ উপহার। ঘুমন্ত সিংহের আনন্দে বেতাল বানর, মধ্যে ক্রোধে হয়ে গেল পাখিটা শিকার। মশা-মাছির উপর বিধিনিষেধ কার্য, মৌমাছির ঘরে আগুন লাগানো ধার্য। বাঘ-মামার জন্য সাফ,সাত-গুন মাফ, উল্লুকের জন্য হুঁশিয়ার কানা ভাল্লুক। নিয়মনীতি জানে তবু মানেনা জোনাকি পোকার দল,সারারাত খোলা দুয়ার। মাছের কান্না যায়না দেখা,নদীর জলে তা মেশা,নির্দোষ জেলের হবে এবার সাজা। টিকটিকি আর গিরগিটি আনন্দে অসীম, মুক্ত তারা এ যুগেও আছে অবাধ স্বাধীন। তেলাপোকার জন্য কানুনের ফন্দি, আগুনের দিকে উড়ে যায় জলদি। উইপোকার জন্য কী বিচার ? দলিল-ডায়েরি শেষ আমার ॥ ২৭.১০.২০২৩

মাথা-খারাপ (মোঃ রহমত আলী)

ছবি
মাথা-খারাপ ============ মোঃ রহমত আলী ============ মাথার ভেতর ঘুরছে মাথা ব্যথার গভীরে নতুন ঘাত কথার পেঁচে লুকানো কথা জবাবে কিন্তু উল্টো খোঁচা দেখায় খেলা ঠান্ডা মাথা রাগের বশে মাথায় হাত সরল লোকের প্রশ্ন সহজ জ্ঞানের উপর কঠোর জ্ঞানী মাথা-খারাপ বিপদ যার উদ্ধারকারীর মধ্যে মতবাদ চোখের ইশারায় বন্দি চোখ মুখে লাগাম সুযোগে দাঁতের হঠাৎ জিহ্বায় এক কামড় বলতে পারে না কথা কিছু ব্যথা হাসে কেউ কিন্তু শত কষ্টে একা দুঃখের পরে আবার সুখের দেখা চোখের জল চোখেই শুকায় মনের কথা মাথাতেই লুকায় সাধ্যের সাথে স্বার্থের ভেজাল তফাত বিবেচনায় মাথা ঘুরায় কানের ভিতরে মুখের আগুন নাকের প্রচেষ্টায় হিসেব-নিকেশ সালিশ-বিচারে মগজ ধোলাই লাভ-লোকসান কানার কামাই মাথা-ঘামায় আসল মাথা-হারায় ২৫.১০.২০২৩

আন্দাজ

ছবি
আন্দাজ ============ মোঃ রহমত আলী ============ সামাজিক হয়েও আজ আর আমি সমাজে থাকি না। যেন সব উত্তাল , পারলে ঢেউ সামাল , সতর্ক না হলে ডুবে মরা হাল। হট্টগোল চোখ-কান বন্ধ করে চল , হক কথা বললে পূজারী বেজার , সত্য খুলে দিলে অপমান আবশ্যক , মিথ্যার পর্দায় সব চকচক ঝকমক। তাই অন্ধ সমাজে বেঁচে থাকা সততার কি এক মুসিবত ! ২৩.১০.২০২৩

অসহায় গুলবাগ

ছবি
অসহায় গুলবাগ ============= মোঃ রহমত আলী ============= যতদূর কালো-ছায়া রয়েছে ছড়িয়ে, দানব-গুলোর অভিনব কূটকৌশলে, ততদূর মহাঅগ্নির কুণ্ডলীতে, অসহায় ইনসান গুলো হতবাক আজ ! মানবিক-মানবতা হায় কত যে রূপে ? বোমা-বর্ষণ অবাধ গুলবাগিচায় করে, গুলিস্তান নিতে চায় আয়ত্তে দখলে ! চাহে গুলবাগের সারা গুল, ঝরে যায় -নয়তো মরে যায় যাক ! তবু তারা কুসুম-কাননে গাইতে দেবে-না, স্বাধীন শালিক,ময়না,কোকিলের কন্ঠে নিজ মাতৃভূমির মাতৃ গীত। কাকাতুয়া ও তোতা পাখি,খাঁচায় বন্দী, তাতে কি ? তারাই তো আজ অবধি, এক আল্লাহর জিকির করে আনন্দে। হক স্তোতা দুর্বল সংখ্যায়,তাই তার নিন্দা, জিন্দা জান আমার প্রভুর কবজায়। ঈমানদার মজলুম নাহি করে নত শির, শিরায় বিঁধে যতই নির্যাতনের তীর। বাস ইহকালেই যত জুলুম আর বাহাদুরি, পরকালে হবে সব ইনসাফের সম্মুখীন। সময় থাকতে বন্ধ করো চালবাজি, রাত আর দিন সমান নয়তো পাজি, অমানবিক বোমা হামলার পর,আবার জাত-সংঘ মানবিক সহায়তা ছুড়ে দেয়, বাহ্ কি চমৎকার কৌশলী মানবতাবাদ ! ২১.১০.২০২৩