পোস্টগুলি

শিকল -

ছবি
শিকল - ======= মোঃ রহমত আলী ============ কে ভাঙ্গিবে এ শিকল নিরপরাধ বন্দি যখন। অসহায় আছে এ ধারে বহু জীবন,পালাবার নাহি কোন দিক,তাই তো কবি বলে বন্দী জীবন বহু মাজবুর। এই কারাগারে বন্দী কিছু নিরপরাধের দীর্ঘশ্বাস। শুধুই অপরাধীরাই করছে, সবে মিলে এধারে উল্লাস। বিড়ি'র-পরে-বিড়ি ধরছে, ধোঁয়ায় ধোঁয়ায় হাজত ছেয়েছে। তাসের ঘর এখানে বসেছে, কয়েদিরা ও আরামে সময় কাটাচ্ছে। পায়ে বেড়ি-র শিকল পরা, কয়েদ আছে এ ধারে যারা। প্রতীক্ষা করছে সারা বেলা, এই বুঝি কেউ দেখতে এলো। হাজতে যারা হাজতি আছে, অপেক্ষা করছে তারা এতে এই বুঝি জামিন এলো। কবরখানার মতো-ই এখানে বন্দী জীবন শিকলে লিপটালো সবার-ই সুখের স্বপন । ১৩.০৫.২০০৫

ভাঙ্গা ভাঙ্গা মন -

ছবি
ভাঙ্গা ভাঙ্গা মন - ============ মোঃ রহমত আলী ============ আজ মন আমার ভাঙ্গা ভাঙ্গা একা তবু যায় না কেন তোমায় ভুলা। মনে মনে ভাবে মন তাই, কে ভাঙ্গিলো আমার এ অবুঝ মন। একি মন ময়না-ই তো ভাঙ্গিলো আমার মন মন্দির। আগে আর পিছে দুঃখ শত আছেই সাথে লেগে, সুখ গুলি বুঝি সব আজ খুবই সকালে গিয়েছে শুয়ে। স্বপনের দুয়ারে ভাঙ্গা ভাঙ্গা মন আজও আছে দাঁড়ায়ে, মাঝরাতে জেগে একা আজও করছে কেউ পচা প্রেমের পূজা। ভাঙ্গা ভাঙ্গা এ মনে আমার এক ঝুড়ি গঞ্জিত বেদনা। তবে তুমি কি ওগো মোর সাথী এর কোন একটুও ভাগ নিবে না। তবে কেমন অবুঝ এ ভাঙ্গা ভাঙ্গা মন আমার, আজও বুঝতে চায় না, আমার মত আমায় তুমি সত্যি করে একটুও ভালোবাসো না । ১১.০৬.২০০৭

আহাম্মুক !

ছবি
আহাম্মুক ! ============ মোঃ রহমত আলী =============== ফুলকে বললাম এই ফুল তুই অকালে ফুটলি কেন ? কাঁটাকে বললাম তুই শক্তবক্ষে বিঁধলি না কেন ? সুখকে বললাম এই সুখ তুই দুঃখীকে দুঃখ দিলি কেন ? প্রেমকে বললাম তুই অমর ভালোবাসা হইলি কেন ? বিলাসিতাকে বললাম তুই  এখন এতো দরিদ্র কেন ? অন্ধকে বললাম দেখো আয়নায় তুমি এতো খুব সুন্দর কেন ? প্রতারককে বললাম এই যে তুই আজ হলি প্রতারিত কেন ? মিথ্যাবাদীকে বললাম কি রে ! সত্যের কাছে তোর হার কেন ? কৃপণকে বললাম তোর দৌলত আজ কমলো কেন ? শিক্ষককে বললাম স্যার বিক্রি শিক্ষা আজ অশিক্ষিত কেন ? জ্ঞানীদের বললাম সবার গুনো জ্ঞান এতো ভাগ ভাগ কেন ? নিজেকে বললাম হিরামন অমূল্য তবে কথা তোর আহাম্মক কেন ?? ২৬.০২.২০২৩

সম্মানী -

ছবি
সম্মানী - ======= মোঃ রহমত আলী ============== দাঁড়া দাঁড়া একটু দাদা, ছিড়লো এই জুতার তলা। গোলাপ নিনু ঝুড়ি ভরা, তলা যে তার খোলা। সত্য বলে বিপদ এলে, মিথ্যা দূর হাসছে জোরে, নামের উপর ঠিকানা মিলে। অকারণে হাসতে হলে, পাগল বনে কাঁদতে হবে। ছেঁড়া জুতায় মান গেলে, নামির কি আর নাম রলে। দাঁড়া দাঁড়া একটু বাবা, ছিড়লো এই নতুন জামা। সভা মেলায় সম্মানী জমা। চিনবে কে আর দাওয়াতনামা। ভর দুপুরে চল যাই ফিরে, না না বাপু এই একটু দাঁড়া, ঐ চিনেছে এক যে দাদা। চল যাই জলসায় চলে, যে চেনার চিনবে সত্যি জামা ছেঁড়া তাতে কি ? দাঁড়া দাঁড়া একটু দাদা, দাওয়াত কার্ড গেল খোয়া। গুনছে যে দেখ মাথা সবার, এবার জিল্লতি পাওনা আমার। দেখছি না তো চেনা জনা, চুপ করে চল যাইরে চলে। এমনিতে তো জামা ছেঁড়া, জুতার আবার তলা সেলাই, নজর সভার আমার দিকেই। এ কথাই গুরু বলেছিলেন আগেই, পোশাক রূপে আদর সবার তরে, তাইতো চিনতে মানুষ ভুল করে ॥ ২২.০২.২০২৩

আগন্তুক -

ছবি
আগন্তুক - ======== মোঃ রহমত আলী ============= কোথায় বিষের বাঁশি,আর কোথায় সুধার পেয়ালা, কবে ছিলে যেন, রাতের খোঁজে রাত জেগে থাকা। আজও করে সেই সুর গুন-গুন ফুটেছিলে যে কালে মনের বকুল। কোথায় আমার-আমি কোথায় খোয়া-ল বাল্যকাল। এখন হলাম বুড়ো-বার্ধক্য, শুরুর আমার বৃদ্ধকাল। রাত জাগি দিনের দিন, খুঁজে অতীত স্বপ্নকাল। তুলে কবে ছিলাম ফুল, আজ ব্যথায় ডুবা কূল, নয়ন ভেজা রাজ মনের ভুল। কোথায় কবে যাবো কোলাহল হতে দূর নিরালায়,জানা নেই ঠিকানা, যেতে হবে একা তবু একলাই। দুঃখের সাথে সুখের কান্নার মতন, হাসিছে কার পরিণতে কে কখন। অনুধাবনের অনুপাতে ও মিলছে না নিকাশি, জীবন লীলার জামানা। কোথায় কালো চুলের-চমক, আর কবে ছিলে যেন, রোজ কাগজের নৌকায় চমন ভ্রমণ। চুপচাপ আগন্তুক হয়ে এলে ধরায়, সহসা আহাম্মক বনে নিজ কর্ম থলে নিয়ে সাথে হবে হে বিদায় ॥ ২৩.০২.২০২৩

বেলা শেষ -

ছবি
বেলা শেষ  - ============ মোঃ রহমত আলী ============ বেলা শেষে সূর্য ডুবে, আঁধার নামে পাখিরা ফিরে যায় নিজ ঠিকানায়। বেলা শেষে নক্ষত্র ধরা পরে মানব চোখে। চাঁদের আলো উথলে ওঠে নদীর জলে। জোনাকিরা ঝিকিমিকি করে বাঁশবনে বেলা শেষের আনন্দে। বেলা শেষে আঁধার ছেয়ে যায়, ছুটে চলে,সবাই নিজ সীমান্তে। বেলাশেষে কৃষক ছুটে যায়, নিজ ঘরে লাঙ্গল সাথে নিয়ে। কৃষকের ঘামে ভিজে যায় ক্ষেত বেলা শেষের জন্য। বেলা শেষে দিনমজুর পেয়ে যায় পয়সা, তাই মনে মনে কামনা করে হয়ে যা বেলা শেষ। ০৯.০৫.২০০০

সূর্য -

ছবি
সূর্য  - ===== মোঃ রহমত আলী ============= সূর্য আমি উদিত হবো, পৃথিবীকে আলো দেবো, আমার আলোতে কারো মনে আঁধার নামবে, কারো মনে আলো বইবে। সূর্য আমি ধানক্ষেতের জমিকে উর্বর উড়ে যাব, চাষির মনে হাসি দেখার জন্য। সূর্য্যের আলোতে তো, পৃথিবীর আঁধার কেটে যায়। কিন্তু আমার মনের আঁধার কাটবে কি করে। কাদা পথ শুকনো হয় সূর্যের তাপ পেয়ে। নীরবতা পালিয়ে যায় সূর্যের রশ্মি দেখে। ঐ আকাশে সেই সূর্য যে সূর্য আমাকে বানিয়েছে প্রিয় হারা। ০৬.০৫.২০০০

কচুরিপানা -

ছবি
কচুরিপানা - ============= মোঃ রহমত আলী ============= চলতে চলতে হঠাৎ থেমে যাওয়া, থমকে থাকা নিজ ছায়াবিথীর সনে, নিরবে-নিরবে বিবাদ করা। খুব বড় কোনও এক আনন্দে, দুঃখের জলস্রোতে ভেসে যাওয়া। ভাঙ্গনের নির্মমতায় কভু-কভু জোরেশোরে একাই একা খুব হাসতে থাকা। প্রথম সংগ্রামে একদাই একা জয়ী হয়েছি, শেষের যুদ্ধেও একাই একা হেরেছি, আনন্দের ধ্রুবতারা পারিনি-নি ধরতে যে কখনোই। পলকেই সে খোয়া গেছে খোয়াবের দরিয়ায় যে, কচুরিপানার মাতন ভেসেই গেছে। ভঙ্গিমার ললিতায়, কখনো ফুটে গোবরে-ওতেই গভীর ভোরের, নিশীথের-শিশিরের ভেজা-ভেজা জলে, এক একটা-ই কাশবনের সু'সুন্দর পদ্ম ফুল। যুগে যুগে অবজ্ঞা-তিত আমি কচুরিপানার মতোই ফুটন্ত ফুল। বিষাক্ত সুন্দর পরো উপকারেই প্রকৃত আনন্দন হয়তো গভীর। সবার বেলায় সম্পূর্ণ পরিপূর্ণ, আমার বেলায় শুধুই শূন্য শূন্য। তবু আমি ধন্য-ধন্য,সব জলের ঢেউয়ে মিলে, জোয়ার-ভাটার সনে মিশে যোগান দেই আরণ্যক। ০১.০৮.২০০৯ // ১৯.০২.২০২৩

সুখের সমান অসুখ

ছবি
সুখের সমান অসুখ ================ মোঃ রহমত আলী ================ যারা নিজেই একদল অমানুষ হয়েও মানুষ নামের অসহায় মানুষকে বানিয়ে সাজায় পণ্য। যারা আবার গ্রহণ করে তাদেরই কামাই দ্বারা নাজায়েজ হারাম অন্য। যারা নিষ্ঠুর পর্যায় অমানবিক জঘন্য। তারাই তো পাগল-ফকির আর অবুঝ সেই সব শিশুর জীবন লয়ে, করছে কঠিন খেলা ভিন্ন ভিন্ন। কারা যেন যারা বেরহম জানবিক বর্ণ। বিদ্যামুখী চলত রোজ যে শিশু, তাকে ধোকা-য় বন্দি, জখমী করে, পথশিশু-ফকির বানিয়ে, ভিক্ষাবৃত্তি জবরদস্তি করিয়ে, ফুটানি করে ভক্ষণে আবার সেই কামাই। তাকে খাওয়ায় শুকনো কিছু তিন বেলার এক বেলায়। ওরা কি করে আবার হতে পারে, গণনায় গণ্য মানুষ। পথভুলা বৃদ্ধ কারো মা-বাবা, বুড়ো-বুড়িকে, ঠিকানায় পৌছে দেওয়ার ভ্রান্ত ছলে, নিলে ফুসলায় নির্মম আস্তানায়। অমানবিক নির্যাতন করিয়া ভাঙ্গিলে হাত পা,অঙ্গ ক্ষত-ক্ষত জুলুমের উপর জুলুম করে। একজন মরিলে যবে,দাফনের নামে ধান্দা-চাঁদা তুলে রাজপথে, জোগালে বহু মাল কামাই। জোড়া ভেঙ্গে বয়স্কের করে দাফন এক, অন্যজনা দ্বারা রোজ করায় ভিখ। কি ? এ পাপীর ইনসাফ হবে কবে ঠিক-সঠিক। এ দুনিয়ায় গোপন পরিচয় তাদের। ছোঁয়ায় চলে সবার সাথ

তামাশা -

ছবি
তামাশা - ============ মোঃ রহমত আলী =============== উচ্চ নীড়ে বসত করে, তামাশা ভাবে ফুটপাতকে। এমন বসত এই শহরের, তামাশা করে নিরুপায় সনে। আরে বিধি যাদের সনে করছে তামাশা সারাবেলা। তোরা তাদের হতাশা করে করিস কেন মিছে তামাশা। তোরা পারিস না যাবে তাদের একটু আশা-বাণী শোনাতে, তবে করিস কেন ? তাদের সাথে তামাশা। আরে তোরা তো সব শিক্ষিত ঘুনপোকা। বসত করিস কুটির ছায়ায়, এই কি তোদের শিক্ষা, অসহায় কে তিলে-তিলে মারা। যদি না পারিস তোরা তাদের একটু সহানুভূতি, তবে বন্ধু মানবতার বিবেক থেকে মন খুলে তাদের জন্য একটু অনুশোচনা কর। তোদের এই অনুশোচনা মাঝে, অসহায়-ফকির-নিরুপায়, খুঁজে পাবে তাদের জয়। তবেই হবি তোরা মানুষ-উত্তম। ৩০.০৭.২০০২

দিশেহারা !

ছবি
দিশেহারা ! ============= মোঃ রহমত আলী ============= দিশেহারা এক বেচারা,যেন দিক-বিদিক ছুটছে সর্বহারা। এ দ্বারে -ও দ্বারে, মিনতি করিয়া-করিয়া, বারবার কইছে ওহে মম কুঞ্জের সভ্য কুটিরের বাসিন্দা। একটু সাহায্য আমায় দাও, তবেই তো আমা ভাঙ্গা মেরুদন্ড পাইবে একটু সহসা-সাহস। স্বাবলম্বী যে কভু আমিও ছিলাম, আজ না হয় খুব অসহায়। দিশেহারা তবে আমি ভুলিয়াছি করোনি, তাহলে বলি তোমাদেরকে'ই আমি, ওহে সব বিত্তবান সহানুভূতি একটু অর্থের তবে আমায় করো দান। এ দ্বার ও দ্বার হতে গঞ্চিত হয়ে,আর একটু বেশি দিশে হারিয়ে শেষে, এখন যে বঞ্চিত তার মানবতার মান। জানেনা কেন সে বেশিরভাগ দুয়ারেই হয়েছে শেষে অপমান। হঠাৎ করে আবার একজন মানবতার বন্ধু কইছে সবেরে, আয় তোরা - সবে আয় এক দুই করে সাহায্য করি দিশেহারা এই মানবেতর-কে । ৩১.০৭.২০০৫

নিষেধাজ্ঞা !

ছবি
নিষেধাজ্ঞা ! ============= মোঃ রহমত আলী ================ প্রাণ ভরে নিশ্বাস নিতে এখন হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। অন্ধ বিশ্বাস এর সনে তাই তারা করেছে বিশ্বাসঘাতকতা। বিষয় বিবরণ বুঝাতে গিয়ে হয়েছে স্বীকার সে বর্বরতার। বর্ণ-বিহীন সেই বইয়ের পাতায় সাক্ষ্য দিতে হলে একটাই। কৈফিয়ৎ দিতে হলে তাই তার ভালোবাসা রচনায়, একটাই শুধুই যে ভুল হয়ে ছিলে আমার। ভালোই নটের এ বিচার,প্রেমের সংসার করার জন্য,দিতে হলো আবার জবানবন্দি একাই তার। জয়ের জ্বালামুখে চলতে হচ্ছে সকল নিষেধাজ্ঞা মেনেও-না-মেনে উপেক্ষা করে চলতে-ই হচ্ছে। যা পচে-গেছে, গলে-গেছে, তাকে সিল্কের কাপড়ে গাঠরি বেঁধে, একাই আমায় পূজতে হচ্ছে। হেরে গিয়েও আমি জয়ের উল্লাস-মানাই,নিষেধাজ্ঞার ওপারে বসে আমি কবিতা লিখে যাই। নিঃশ্বাসের বিষে ভরা দীর্ঘশ্বাস যার, কেউ তাই মহা ঔষধ ভেবে গ্রহণ করে যায়। জানে না সে নীলনদের ভাসমান পদ্ম, কতদূর আর আছে তার সীমারেখার গন্তব্য। সীমাহীন এত সব মন্তব্য, সুষম চরিত্রের সনে কি তার সম্বন্ধ। নিষেধাজ্ঞার জালে বাঁধা শোষণের সহানুভূতি,নেই যবে মানব বিবেকের কোন অনুভূতি। তবু বর্ষপূর্তি ঘটে-ই চলেছে, যুগে যুগে যুগান্তকারী,সময় জোয়ারের স্বাধীন ধা

একজন-একেলা -

ছবি
একজন-একেলা - ============= মোঃ রহমত আলী ============= সমাপ্তিতে সূচনা ঘটাইলো এক'জনই একেলা, ইতির দুয়ারে পৌঁছে দেখে মিছেই সব বিষয় বর্ণনা। নিস্তেজ দেহ প্রাণহীন পড়ে রবে একেলা একদিন একা, মিছেই বুনিয়াদ সারা স্বার্থ নামের সম্মানের। প্রাপ্তি কোথায় যোগান পায়, শরমের শিক্ষায় সবুর লুটায়। শক্ত শিকল গলায় পরায়, সংসারে বন্দী সংসারী, কথায়-কথায় কর্ম করায়। দীক্ষায় ধিক্কারের মুচকি অমূল্য হাসিতে সুখ-দুঃখ সব,লুফে লুফায় হারায়,কানা মাছির ঠিকানায়। প্রতিততান পত্র মেলাম, বক্ষে বহি বোঁঝা সবজান, কূল রাতে,দিনে পাল হারান। চৈতের ঘামে বদন পেরেশান, দুপুরের খাবার সন্ধ্যায় খান। তবু জপে-জপি শুকরিয়া, রব তায়ালার গুণগান, সমাপ্তে সাথে লইতে পূর্ণ ঈমান । প্রতিজ্ঞা করে এসেছিলাম, আসি এ ধরায় সব ভুলে গেলাম। গোল-গোল ঘুরপাক রোজ চলে, একই গোয়াল পেয়ারের গোল্লায়। দাম নেই কারো কিন্তু নিজ কেল্লায়, আদর সোহাগে শূন্য পূরণ করত। প্রথম প্রশ্ন শেষ উত্তরে মিল চায়, সব ওজন হয় যদি এক পাল্লায়। প্রতীক্ষারত শুদ্ধ করে শ্রদ্ধায় শ্রম, মঞ্জিল গড়ে পরে নিজ ঘাড়ে। পাথরের আঘাতে পাথর ভাঙ্গে, অজানাকে চিনতে-চিনতে শেষে জানাশোনা খোয়

"কবি'র'কবিতা"

ছবি
"কবি'র'কবিতা" ============= মোঃ রহমত আলী ============= কবিতা যায়ছে পায়ে,পায়ে, হাটিয়া,কাহো ঠুকরায়,কাহো টুকায়-টোকায় পায় কুড়ায়। কবিতার লাগি গাথিতে কথার মালা, খোয়া গেল মোর সারাবেলা। বধু গোসায় কহে উঠে,কার লাগি এত কথা রচো, মোর পানে, নাহি চাহি, কবিতায় কি খোঁজো ! কবিতা আমার তুমিই তো রাণী শোনাতে তোমায় বেলা সারা খুইয়ে লেখা এ কবিতা খানি। কি যে লিখি আবোল তাবোল, পারিনা পড়তে, নিজের লেখা নিজেই ভাই,তবে বোঝাবো কি ছাই। কবিতা আমার হাটি হাটি,কবি হাট না যায়, কবিতার হাট বসে রোজ অন্তর বই মেলায়,সব কবি'র'কবিতা'য়। যারা ছন্দ মিলান কবিতা আমার, ছিঁড়ে যান কবিতা,ছন্দের নই আমি, কবি মানবেতর মম কন্ঠের কলম। দেখে তো শূঝেনা,শুঝে তো বোঝে না। দুখের-দুখীকে চিনে ও আজ চেনেনা। ফাগুনের ঝরা পাতার মতোই, ঝরে যাচ্ছে উড়ে এক-এক কবিতা বুলি মিটে। মালী গুলি তুলে ফেলে ডাস্টবিনে, লাগিয়ে দিলে অবুঝ মনে আগুন, তাই আসিলে না কবিতার নব ফাগুন। গুন গুন করে কবি কবিতার ধুন, কাহো না শুনে যবে,কাক পঙ্খী ডাকি, সমুদয় কবিতা শুনায় বেদনায় কবি। তাইতো কহে কথা কবিতা, কবি থাকে নীরব,এই কবিতা বলে উঠে কবি কেন ?

কি এ -কথার কথা !

ছবি
কি এ -কথার কথা ! ==================== মোঃ রহমত আলী ==================== কে ? আসান, কে ? পাষাণ,  কে ? করি পান্তা রুটি পাণ, পণ কারী, ভুলে নাহি পণ ! জেবে তুলি সুদ-ঘুষ সমান ডর ভিরু তনু- ডওর নাহি মনু। শাবক বনীতে সেবক, নিয়া ছিলে শিক্ষণ কেনা, কত কি ধার-কর্জ-দেনা। বনেছি এবার শেষে সাধের সুপারিশে ভিটেমাটি বেচে। রাজ-রাজার-রাজ্যে কর্মা, প্রজারে লুটিব এবার নিরন্তর, ঘুষঘুষে মিষ্ট্যে বাণী বেচে কিনে। কে ? আশি, কে ? বিশ,  কে ! না করি, বুনে জাল নিজে, নিজ ফাঁদে ফান্দা'ই ঘুষ। সরকার দিছে, নাহি – মাসিক মন্দা'র। তবু ছাড় ণাহী, ছাড় ণাহী,   ফকির-মলিক-কৃষক-কুলি ছাড় ণাহী, ছাড় ছাত্র-মজুর-মৌলভী-সাহাব! ছাড় ণাহী কো, দে' ভরে দে' ঝলি সমিত মোর কামিজ। কে ? কম, কে ? বেশি, নাহি পাল্লা' ওজন কাজী মিজান হবে তব দেখি ! কথার কথা নহে ,এ কথা সুদ ভারী না ঘুষ ভারী কোথা তমা আমানতদারি টিকি ধরে, টিকে আছে, ব' 'হু দপ্তর,-দপ্তরী। কে ? খায়, কে ? খাঁয়েনা, সূরাত দেখে বুঝ পায়না। হালাল রুজি রোজ হারায়ে, হারাম- আহ-আরামে ! দেহ ঘর মন ভোজ -লে'। হিসাব নিকাশ হবে যবে একদিন, তো দেখা যাবে, দেখবো ; কি হয় সেদিন !

"সুধ'বুধ"

ছবি
"সুধ'বুধ" ============= মোঃ রহমত আলী ============= যে,যে যার মতো, কে কার-কার মতো, এমনও মত আছে,  কেমন যেন মন নেই। যেথায় খোয়াইলে পাথর, সেথায় মিলবে রতন। করো এখন নিজে নিজে নিজের সুকর্মের যতন। যে,যে, পরেরে দোষাইলে, সে,সে,কি?কে! নিজেলে, নিজের মতো চিনি-লিতে। কে?কে! কিবলা মূখী, আছো দাঁড়ায়ে,কাবিল-তো সবে মুখো কালামের, সত্যের,সত্যি ক'জনই বলি। যে,যে চলছো সব রাতে'র ঐ রত পথে! তিমির হতে তম কেটে, ফিরে এসে চলো, দিন থাকতে দ্বীনের পথে। সময় আজ কম হাতে নয় মিলিবে না মূখ্য মূল্য কাল হতে কাল। যে,যে মশকরা করি হক দ্বীনি ইলম কারীর।  সে,সে,কি?কে! উঠি, রোজ ফজর আদি হতে। ফরিয়াদ করি,ফকিরের দারে, দোয়া করোত,মোর দুধ ভাতে। কাড়িয়া লোকমা এতিম থেকে, বনিছো আবার দান করে, খুবই মহৎ বড় দান কারি। যে,যে থাকিতে চোখ মুন্দী থুতু ছুড়ি-লে পাছে জন-দি। সে,সে,কি? দিতে হাঁচি, মুখ ঢাকিলে হর হামেশায় কি। হুশ রহিতে বেহুশ যে জন, দোষারোপ করি কারে, কানে শুনে-তো বধির সাজে, চোখ থাকিতে না দেখে দৌড়ে চলে মরণ সড়কে। যে,যে, জ্বলছে অপরের ন্যায় উন্নত উল্লাসে। সে,সে,কি? আঁচকর, দিয়া ছিলে না চাইতেই কি? ওয়াদা মোতাবেক ঠিক

"বর্ণ"কথা"কণা"

ছবি
"বর্ণ"কথা"কণা" ============== মোঃ রহমত আলী ================ ক ! ক-জানি না কবি কালের, কলম তুলি কান কাপেছে ঠোটে, শিক্ষা মাটি মূর্খ বনীল। খ ! খুলিতে-ই কিতাব চিন্তামন, তাই খুদ খোয়াবী,চোখ মুন্দী- কেমন,শুই তো তখন। গ ! গাধা আমি আমার পালের, গুণ বীণে গাফিলতির, গোলকধাঁধার ওজন গুণে। ঘ ! ঘাড় নুইয়ে কু-নাম শুনি, যতক-ততক ঘর ছেড়ে ঘর খুঁজি, ঘাম মুছে নিজ তবনে।       ঙ ! আঙুল নাহি কারো পানে তুলি, নিজ ঘুম ভাংগি, আঙ্গুলে তাসবিহ গুণন চলি। চ ! চামচামি নাহি কারো করি, চোখ-দেখে-চোখ দেই, চা পানিতে জিহ্বা ঝাঁঝায় লই। ছ ! ছাড় নাহি নিজেকে দেই, ছত্রাকার-সমাজের-ছাড়পত্র- পাওয়া ছাত্র গুনী কই। জ ! জবান সামলে- জবাব দিয়েই জামিন, জনাব জ্বলি নিজেই, অন্যান্য না জ্বালাই।        ঝ ! ঝগড়ার ঝংকার- শুনেও না শুনি-রে, ঝুপ করেও চুপ, ঝই ঝামেলা চল এড়িয়ে চলি। ঞ ! অজ্ঞ আমি কৃতজ্ঞতাপূর্ণ, মন রতে মিঞা নাহি চাই হতে, না- কঞ্জুস বনীতে।        ট ! টাকা-টাকা কয় কথা, বন্ধনহীন টক্কর,টাকা'র না দেই, টক কথা না কানে লইরে।   ঠ ! ঠোকর খেয়ে ও ঠিক হলুম না তাই, ঠকার পরে-ই সঠিক হুশ পেলুম সমত ভাই। ড ! ডুব দিয়ে বিষ খায়

লুটেরা"–

ছবি
লুটেরা"– =========== মোঃ রহমত আলী =============== আমা আপনে আপনেরা লুটে নিলে সবে শেষে আমায়। লুফে নিতে পারবে কি! আর এখন মৃত্যু আমায়। শত সম্মান লুটে ও নাহি ক্ষান্ত আজও সে, বানাচ্ছে এখন নীরবে-নীরবে আমা মাপের এক একটা-ই কফিন। কামিয়াবী এখন আর হতে কমতে শুরু করেছে আমার। লুফে নীলে আবার সবে একে একে আমোরে। লন্ঠন লয়ে আবার খুঁজিতেছে কেহ বুঝি আমারে। কমি নাহি করিলু কেহু, লুটিতে তারে, আবার শেষের দিকে জানি কেহ খুঁজিবে বুঝি বৈ-কি তাহারে। যে তোমার একমাত্র কলিজার টুকরা, সেই লুটিবে একদিন তোমায় একতরফা। একান্তই যাকে তুমি ভালোবাসিবে শতভাগ, সেই তোমার লুটে- নিবু সম সম্মান। তাই বুঝি মনে হয় লুটেরা শবে নিজ নিজ স্বার্থ নামের সম্মানের! সইতে পারিলে বলো সব, লুটেরা'র লুটে, কি? আর! হবে লাভ। ===০৬-০৪-২০০৬===

"জগৎ খেলা"

ছবি
"জগৎ খেলা" ============== মোঃ রহমত আলী ================== এ জগৎ জুড়ে টাকার খেলা বসেছে মেলা'র সমাহার। অর্থ লুটালে দেখা যায় অনেক রকম রং নাজারা। টাকাই সব এ জগৎ মেলায় বাকি সব অন্ধ ছায়া, এ জগৎ মায়ায় অর্থ ছুটালে পাওয়া যায় ভালোবাসা বাদে হরেক সামান। লুটেরা সব এ পানে সারা, টুকিয়ে বেড়ায় টোকাই সাজে, অর্থ নামের কাগজ টুকরা। রুপার পাতে মোহর বসিয়ে কিনতে চায় জগৎ সারা। খেলা করে এ জগৎ পানে অর্থ নিয়ে জগৎ সনে, রুপি খুশবু মাহকায়-মাহাকায়। জগতে অর্থ নাহি সবই, তবু ও অর্থই সবই,সবই,সবই, এ জগত মেলায় অর্থ বিনা, নাই মিলে অন্য পণ্য কিছুই আর। টাকার পাহাড় বানিয়েছে কেহ, অর্থ চুরায়ে মানবতা বিবেকে'র। মরনের পর সনে কবরে লবে-না কেহ কিছুই সনে। তবুও মহল নিজে বানায় কেহ, পাপী পয়সার বুনিয়াদে ! রুপির বিপরীত নেই কিছু এ জগৎ মেলায় সঙ্গ দিবে। এ জগৎ মেলা'র সংঙ্গে সংঙ্গে টাকা চলে আগে আগে, ক্ষমতা নেই কারো কোনো, টাকার পরে যাবার আগে, কি? এই সত্য এ জগৎ মাহে ? ===২৪-১১-২০০২=== :৳:(হায়রে পয়সা হায়):৳:

নিথল প্রাঙ্গণ"-

ছবি
নিথল প্রাঙ্গণ"- ============= মোঃ রহমত আলী =============== কবি নিজেও জানে না কি সেই কবিতা, তবুও লিখে যায়, শত সাজের হরফে সাজায়ে এক কবিতা। ভাষার আঙ্গিনায় রঙিন রং এর গোলাপ জলের সিয়াহি তে আঁকা ছবি'টা। কোলাহল হতে একটু দূরে, নীরবতার চেয়েও আর একটু বেশি নিরবে। ঐ নীল আকাশের শীতল নীলিমার মাতন নিথল প্রাঙ্গণে, শিহরে চলে যায় কোনো এক আপনজন। লোকালয়ে লুকাইতো ধ্বনি, মানবতাহীন সেই মানবেতর স্বর মানবের শব্দ, এখন আর করুণার ভিক্ষায় কে দেয় সঠিক দীক্ষা। যবে সমাজেই ছুপানো অনেক অভাব সামাজিক শিক্ষায়। সবুরে সবুরে অবুঝ ও বুঝিলে তবু কর্ণে নাহি লয় জ্ঞানের জ্ঞানী, অন্ধ তবে- কে ! বাইছে নেত্রবারি, এ যুগে আছে কি? কেউ! যুগান্তকারী। ===১২-১২-২০১২===

রঙ বে- রঙের -রং

ছবি
রঙ বে- রঙের -রং ================ মোঃ রহমত আলী ==================== রঙ বে রঙের ভালোবাসা পাওয়ার বড় আশা। মিছেই মায়ার গুন'গুনানি'তে দোতারা' টা,ছিঁড়ে হলে একতারা, একলা ঘরে থাকতে হবে ভাবতে-ভাবতে কলম কালি লাল হলো যা। রঙ বে রঙের করুন কান্না, মাপতে গেলে ওজন হয় না। ইচ্ছা পূরণে অশ্রু ঝরে, হারিয়ে গেলে খুঁজতে থাকে কাঁদতে কাঁদতে। রঙ বে রঙের কানের কথায় কান দিওনা পাগল মনা -মন আমার। রঙ্গের জ্ঞানের সনে রং মিলিয়ে, রঙের রং- বে-রঙ! চিন্তা করে নিও। রঙ বে রঙ্গের চোখের দেখায় চোখ দিওনা হিরা 'মণ' ! কদম সামলে চলে নিও ঈমান আমূল খোয়া না যায় চোখ দেখে চোখ নিও। রঙ বে রঙের সুরাত দেখে সিরাত বোঝা দায়, মাসুম সবে, সবে'-ই বুঝি সুষম কোথায় রায়। চোখ কানা ণা মন কানা আজে কতো'ক জ্ঞানের বিবেক জ্ঞানী কানা। রঙ বে রঙের বইয়ের পাতায়, লেখক লিখে বৈজ্ঞানিক কথায়, ইতিহাস আমা জানা -না-র আছে, বানর আগে না আদম(আঃ)আগে। যেমন আছে প্রবাদ বটে ডিম আগে না' মুরগি আগে। বে রং কে রঙ বানিয়ে চায় কে ! সবের বদন চেপে দিতে ছেপে। রঙ বে রঙের দেমাগ য'তো ঈমান বেঁচে ইলম কেনায়, ছেঁড়া থলে ভর্তে চাহে, আলেয়া-র ক

পথ হারা পথিক !

ছবি
পথ হারা পথিক ! =============== মোঃ রহমত আলী =============== পথ হারা পথিক এক ! একাই চলছে দিগ্বিদিক পচা অতীত সঙ্গী করে, খুঁজছে এক নতুন মঞ্জিল। খুঁজিতে খুঁজিতে সীমান্ত, পথ হারা পথিক আজ বড্ড একা ক্লান্ত। বইয়ের পাতা পাল্টে-পাল্টে পথিক সেই পড়ে গেলো গভীর সু-দুঃখের খালটি-তে, খালি-খালি সে দেয় গালি, আঁধারের গলিতে আর দেয় সে শুধুই গড়া-গড়ি, ভীষণ গরিব বেচারা সে পথিক,শূন্য আছে তার কামিজের পকেট ! পয়সা নেই তার কাছে আর হেঁটে-ই চলেছে তাই সে ঠিকানায় তার,তবুও পথের পথিককে ফিরালে-নে-পথ, সাহারা দিচ্ছে সারা - পুরাতন নাজারা-র নাজাকাত। হারিয়ে পথ খুঁজে পথিক, কোথায় আছে তার ঠিকানা সঠিক। সবই তো ঠিক-ঠিক, তবু কেন হারিয়ে ফেলিলে ঠিকানা সে পথিক, হারানো পথের বাঁকে,ছায়া নটে একটু দাঁড়িয়ে থাকে,আর থমকে থাকা নিজ ছায়াকে বলে হেসোনা ভাই তুমি আর ! আমি আর তুমি একই পথের পথ হারা পথিক । ২৬.০৬.২০০৭

"বঞ্চিত'জনতা'কণ্ঠ"

ছবি
"বঞ্চিত'জনতা'কণ্ঠ" =============== মোঃ রহমত আলী =============== আমি ঐ কন্ঠ ! যে কন্ঠ ! বঞ্চিত ভাষার উত্থান। আমি ঐ জনতার আওয়াজ, যে সব জনতা গঞ্চিত ইতিহাস, যাদের আওয়াজ আজও তুলে-নি কোন ইতিহাস, আমি হতে চাই ঐ সব জনতার আওয়াজ যাদের কন্ঠ বঞ্চিত শব্দ। সাক্ষী আজও ইতিহাস বঞ্চিত জনতা কণ্ঠ  গুমরে করে প্রতিবাদ, ভাবন(স্রষ্টা)-তরে দেয় আওয়াজ মানবতার জন্য প্রতীত -তান। সাধারণ জনতার বঞ্চিত কন্ঠ ভব-তরে দেয় পুকার অন্যায়ের বিরুদ্ধে ন্যায় বিচার চায় ভাবন-তার রায়। আকাশ ভারী ! আজ জামিন ভারী ! ভারী বাতাস বহে, বে-মানবতার হিসাব চাহে গুমরে বঞ্চিত স্বরে ! ===২৩-১০-২০০২===