পোস্টগুলি

চোরাধর

ছবি
চোরাধর ============ মোঃ রহমত আলী ============ চোর চোর চোর ধর ধর ধর মসজিদের জুতা চোর, ধরেছে আবার আরেক চোর। সে ও গোপন নামাজ চোর, চোর মারছে চোরা কে চড়, চোরের ধর্ম চুরির গোপন কর্ম। চোরে চোরে সব চার ভাই, চুরি করেছে মা বাবার কামাই। চোরের বুদ্ধি শেষ হারিয়ে গেলো, দশ দিনের চুরি যেদিন ধরা খেলো, সেই গল্প গর্বে চোরা নিজেই বলে। চোর চোর চোর ধর ধর ধর আমার গোয়ালের গরু, করেছে এই বেটা চুরি, বহুদিন পর তুই আজ চোর ধরা খেলি। বসেছে বিচার গ্রাম্য সালিশ, চাল গম কম্বল চোর মেম্বার, ইনারাই হলেন বিচারক মহৎ গণ। সাক্ষ্য প্রমাণের পরে,চোর কহে, আরেক চোরকে,এটা বলিস,ওটা বলিস, তবে-রে, ও ঐ-টা কিন্তু না বলিস ! আজি তবে শেষ চোরা বিদ্যা বুঝিস। চোর চোর চোর ধর ধর ধর এই চোর ধরা বড়ই দুষ্কর ! নামিদামি হয়ে আছে,লিখে কারো লেখা চুরি করে,চোরা কোন সে কবি লেখক। ধরেছে পাঠক পাঠের আসরে শুনে'ই, তবে বিচারক সেই তো লেখক, কবিতা চোরা এই যে সে নিজেই ! চোরা বলো করে কার মঙ্গল, না নিজের ? নাকি গৃহস্থের লুটে সম্বল। চোর তো বহুত ভিন্ন ভিন্ন প্রকারভেদে, ছোট বড় আর কিছু খুবই জঘন্য। চোর চোর চোর ধর ধর ধর আছে কতজন বাজারের চোর ব্যবসায়ী, সুযোগের হুজুগ

হারমান

ছবি
হারমান ============ মোঃ রহমত আলী ============ লড়তে লড়তে এ জীবন সংগ্রামে, ক্লান্ত আজ আমি পরাজয়। অধরে আমার অন্ধকার দীপা, সান্তনা শুধুই নায়না-ধারা, পরাজিত যোদ্ধা এখনো রণক্ষেত্রে, লড়ছে একা জীবন যুদ্ধে। যাহাদের লাগি সারা জীবানে জীবান যুদ্ধ করিবে তুমি, একদিন এমন আসিবে তাহারাই তোমাকে হার মানাবে বুঝি। তবুও সংসারী যোদ্ধা, হার নাহি মানিবে সংসার যুদ্ধে ! তাই যে স্তম্ভিত রয় সে। তবুও আমি হার নাহি মানবো, কোনো-দম লড়তে থাকিবো আমিই একা সর্বদা অবিরাম। হার মানিলু আমি আপনে আপনের সনে, জয় বুঝি নাহি আর আমার নিয়তে। তবে আজ আমি সত্যি হারমান, মিছে আসার এ সংসারে। শত বদনাম ঝুটা সাজায়ে, হার মানাইলো শেষে আমার জীবন সঙ্গিনী'নী,তবু সত্যের সন্ধানে আমি আজও নাহি হারমান। ২৩.০৫.২০০৫

মশাই -

ছবি
মশাই - ============ মোঃ রহমত আলী ============ মশাই এমন কতক কসাই, নামের নামি করেন খামখেয়ালি। ধমক বড় গরম কথা নিজের দোষে, পাশের লোকে বেকার শোনেন বকা। জখম কজনে মশাই করেন হজম, নিজের ব্যথায় সারা শহর মাতান, পরের দুঃখের মাতমে মুচকি হাসি ছুপান। মশাই শুধু নামে-নামের মশাই, কাজে-কামে মশাই হন কসাই। নিজের ব্যথাই তো মুখ্য সবার, অপরের ব্যথা দেখা যায় না তো আর। ধ্যান ভাঙ্গিলে বুঝা যায় পরে, অর্জন কতটুকু আর সম্পূর্ণ সবার। মশাই তো আছেন কজন জনাব, নিঃস্বার্থ করেন সবারই উপকার, বিনিময়ে আবার পান উল্টো অপকার। যে জন মশাই করেন সওদা, তার গুনো মান রয় কি আর সদা ! মশাই এমন অনেক জনেই আছেন, মহাশয় যে নাহি তাদের কাছে ধৈর্যের, সময় অসময়ের হিসাব আগে দেখেন, নিজের স্বার্থেই তবে হাত আগায়ে দেন। মশাই যদি হয় রে সবাই কসাই, কার কাছে কে বা উম্মিদ করবে ভাই, দুঃসময়ে মদদ পাবে কেউ কি মানবতার। ১৮.০৫.২০২৩

হিম্মৎ

ছবি
হিম্মৎ ============ মোঃ রহমত আলী ============ ভেঙে দে নিয়ম বনের, ওহে হে বন্দি সাবক। সকল বাধার শিকড় কেটে, উঠে চল চূড়ার উপর। মনোবল না হয় দূর্বল, আগে তুই চল রে যুবক। চাবুক যতই আঘাত করুক, ততই তোর রক্ত গরম। ওরে মন ন্যায়ের পাগল, তুলে ধর নিশান সত্যের। পিছে থাক বৃদ্ধ শতক, মাথায় বাঁধ নতুন কাফন। ভেঙে দে ঘুমের দহন, ওরে হে নবীন নরম। রুখে দে ঢেউ এর ছোবল, ভয়ের কি আছে এমন। ঝড়ের এই রাতের প্লাবন, লুকাস না ঘরে এখন, বিপদ টা সবার যখন, ছুটে চল দলে বলে, করতে হবে এবার মদৎ। ভেঙ্গে সব নিয়ম কানুন, ভুলে যা দোস্ত দুশমন, ঘটিবে মহা আজ বিপ্লব॥ ১৬.০৫.২০২৩

পথের ধূলি

ছবি
পথের ধূলি ============ মোঃ রহমত আলী ============ পথের ধূলি ঐ সব জীবন গুলি, অসহায় এক ভিখারিনী একা। লুটিয়ে আছে ঐ পথে শীতের শিশিরে ভেজা ভেজা ঘাসে। একটি ছেঁড়া কম্বল তার বদনে, তাও গিয়েছে ভিজে শিশিরের জলে। লিখনীর পরে কি আর লেখন, সবে হবে পথের ধূলি যখন। পথের ধূলি সারা শরীর গুলি, তবুও এক ভিখারী পাগল, বলে উঠছে ক্ষণে ক্ষণে, দে বাবা দে- চার আনা -দে। কখনো আবার শরীরে মাখা ধুলা, জিহ্বাহে চাটা দিয়ে দিয়ে আবার, বলে কভু দে সাহেব দে এক-টাকা দে। তবে বলো সভ্য সমাজ এই কি জীবন,পথের ধূলিতে-ই শুরু আর কি ধূলি মাঝেই ইতি। পথের ধূলি তো কভু না কভু তোমরা ও হবে,সভ্যতার দ্বার বন্ধ হলে। তবে এই পরিণীতিতে একবার নিজেকে স্মরণ করে দেখো, তোমাদের কেমন লাগে । ২৬.০৬.২০০৫

অযথা !

ছবি
অযথা ! ============ মোঃ রহমত আলী ============ চাইলেই যদি যেত পাওয়া না চাওয়া, তবে কেন আমার এই একবার আসা, আর একবারেই শেষ চলে যাওয়া। খালি হাতে এসে ভরেছি যত সব, গুনাহের খাজানা জান্তা-অজান্তায়। মুখ বুজে থাকাই এখন সময় যথার্থ, খুলিতেই মুখ বেরিয়ে আসিবে দুর্গন্ধ, ভাঙিতে পারে অনেকের সনে সম্বন্ধ। ব্যর্থতা নিজের গোছাতে না পারা কর্মের, জবাবের উত্তরে উল্টো জটিল প্রশ্নের। অযথাই বলি নিজু সনে কত কি যে কথা, আগে গুন ভাগ শেষে যোগ গুন বিয়োগ। চাইলেই যদি সব ধরে রাখা যেত, গুন ফলাফলের মতোই অধিক। যাক অযথাই করে নেই কিছু জটিল, তবে হিসেব কিন্তু দিতে হবে ঠিক কঠিন। বাকির খাতা পরিশোধ না করলেও হয়, অন্য দিনের খবর কে আবার রাখে তাই। সহজটা কে জটিল বানিয়ে চালে চাল, আর জটিলতাকে সহজ বুঝাতে দাবাও। লাগলে আগুন তো ছাই হতে কতখন, একই মায়ের দুধে গড়া মাংস সবার, একই বাবার হাড়ে গড়া হাড় আবার, তবে কেন ভাই-ভাই ভাগ বোন সবে, ক্ষনিকের মিথ্যা স্বার্থ লোভে নিজেরাই নিজেদের রক্তের করে গুনাগুনের খুন। ০৮.০৫.২০২৩

হুঁশিয়ার

ছবি
হুঁশিয়ার ============ মোঃ রহমত আলী ============ হুঁশিয়ার সব অত্যাচারীর দল, হুঁশিয়ার সব পাপিষ্ঠ মানব। অনেক অত্যাচার করেছ তোমরা, আর নয়-আর নয়, এখনো সময় আছে, হয়ে যাও সব হুঁশিয়ার। আমি জ্বালামুখ, আমি অশান্ত ধূমকেতু, আমি জ্বলন্ত আগ্নেয়গিরি, আমি ভূমিকম্প, আমি করে দেবো শান্ত, অনাচার,অবিচার,অত্যাচার, হুঁশিয়ার সব হুঁশিয়ার। আমি গ্রহ, আমি উপগ্রহ, আমি সূর্য, আমি চন্দ্র, আমি নক্ষত্র, আমি নিজে এক ইতিহাস, হুঁশিয়ার হয়ে যাও সবাই। আমি উত্তাল সাগরের শেষ ঢেউ, আমি নদীর প্রথম জোয়ার, আমি একটি ম্যাচের কাঠি, জ্বালিয়ে দেবো সব অন্যায়। হুঁশিয়ার হয়ে যাও সব অপরাধী, আমি শেষ করে দেব তোমাদের। ০৯.০৯.২০০০

সন্ধ্যাতারা

ছবি
সন্ধ্যাতারা ============ মোঃ রহমত আলী ============ রজনীর বিদায়ের সাথে, জেগে উঠে সন্ধ্যা আকাশে, একটি মাত্র তারা,কিছু সময়ের জন্য, সেই তারা কে বলে সবে সন্ধ্যাতারা। তুমি ছিলে আমার জীবনে এমনই এক সন্ধ্যাতারা। কিছু সময়ের জন্য আমি পেয়েছিলাম তোমাকে,ঠিক সন্ধ্যা আকাশের একটি সন্ধ্যা তারার মত। আমার আকাশে এখন আর উঠে না কোন সন্ধ্যাতারা। লুকিয়ে গেছে আমার সে সন্ধ্যাতারা, মেঘলা আকাশের পিছনে। হয়তো আমি আর,দেখবো না কোনদিন, আমার সেই প্রিয় সন্ধ্যাতারা। অনেক সুন্দর ছিল সেই সন্ধ্যা, যে সন্ধ্যায় আমি দেখেছিলাম সন্ধ্যাতারা। জানিনা এখন কার নজরে রয়েছে আমার সেই প্রিয় সন্ধ্যাতারা। ২৩.০৪.২০০০

শঙ্খচূড় (মোঃ রহমত আলী)

ছবি
শঙ্খচূড় ============ মোঃ রহমত আলী ============ সাগরের তীরে বারবার দেখি আমি স্বপ্ন আমার, বারবার ধুয়ে যায় ঢেউয়ের ছোঁয়ায়। এক চিল শঙ্খচূড় এলো মোর অবকাশে ভালোবাসা হয়ে আমার এ জীবনে। হারিয়ে গেল আবার হঠাৎ করে সেই শঙ্খচূড় ভালোবাসা অজানা বসায়। ঠিক ওই আকাশে রংধনু উঠে কিছু সময় পর যেমন লুকিয়ে যায় অজানা কোথাও। এক টুকরো শঙ্খচূড় বিষাক্ত এক ভালোবাসা, যার শেষ থেকে ছলনা। এই বেলা শেষ ক্ষণে, শঙ্খচূড় হাতে ধরে, উঁকি দেয় মনে মনের অজান্তে, সেই এক অতীত ভালোবাসা যার নেই কোন শেষ সমাধা। ২৯.১২.২০০১

আগুয়ান -

ছবি
আগুয়ান - ============ মোঃ রহমত আলী ============ হও আগুয়ান আজকের সব জোয়ান, অন্যায় অপরাধের সামনে করো, সবে মিলে কঠোর কন্ঠে প্রতিবাদ। দিলে পরে সবাই এক আওয়াজ, জুলুম অন্যায় হবে নিশ্চয় পিছপা। তবে হও আগুয়ান ভয় পেও না সবে, এই সময়ের যতো আছো যুবক জোয়ান। বৃদ্ধের লাঠি পারে যদি করতে প্রতিকার, তবুও পাবে না তো কি ? তোমরা লজ্জা, একটুও ওহে আজকের নওজোয়ান। দেখো নও তুমি একা,সাথী আছে নিশান, তো দাও দৌড়,এক আল্লাহ মহা মহান। হও আগুয়ান ওহে সব নব নওজোয়ান, তোমাদের কর্মমুখী চেয়ে আছে, শত শত বৃদ্ধের মান-অভিমান ! তবে ডর কেন এত ? ওরে জোয়ান, হয়ে যাও খোলা সব অন্যায়ের বিরুদ্ধে, প্রতিবাদী আজি এক সাথে আগুয়ান। জেগে দেখো কত শিকারী আছে, আজও জাল পেতে,বিবেক গুলো বন্দী, বিমুখ হয়ে মনের অন্ধকার কারাগারে। ওঠো-জাগো-দেখো এরা কেমন একদল, মৌমাছি আর পিঁপড়ের সংসার সংগ্রাম। তবে হও না কেন তুমি যোদ্ধা আগুয়ান, মেনে নিও না অন্যায়ের সুরে-সুরের গান। তাই বলি যে আছো আজ জোয়ান, প্রতিবাদী হয়ে উত্তম সততার হিম্মৎ এ, জোশ-জুলুসের সঙ্গে হও আগুয়ান হও॥ ০৫.০৫.২০২৩

আর্জি

ছবি
আর্জি ============ মোঃ রহমত আলী ============ পড়ে দেখো খালে, তুলে কে কূলে। নেমে যাও জলে, সাঁতার শিখে নিবে। ঘানি টেনে বোঝো, ভার শয়ে যাবে। পরো নিন্দা ছারো, নিজে শুধরে আগে। পরিশ্রম করে যাও, কামিয়াব হয়ে যাবে। বন্ধু কে চিনে লও, শত্রু কে ধরা যাবে। চেয়ে দেখো পাওনা, করে না কে বাহানা। উৎকৃষ্ট হওয়ার পরে, নিকৃষ্ট হয়ে যেও না। তাসের পাতা রাজে, কেন লক্ষী খোয়াবে। দ্বায়িত্ব মনেহয় সহজ, পালনকারী আর কতক। ফকির বেশে দেখো ঘুরে, রাজা মনের কতোজনে। হিম্মৎ যোগায় আগাও, বাধা যেথায় মানাও। ০৪.০৫.২০২৩

যেখানে বঞ্চিত সহসা

ছবি
যেখানে বঞ্চিত সহসা ============== মোঃ রহমত আলী ============== যেখান থেকে বঞ্চিত মানবতা, সেখান হতে-ই শুরু করি রচনা, আমি এক নতুন কবিতা। মানবতার দ্বারে দ্বারে ভিক্ষা চায় সহানুভূতি। ধিক্কার দিয়া হিন্য করে, সহানুভূতির এক এক দরবার। তুচ্ছ ভাবি,করুণা করি, নাহি দিলে সাহস, ঐ সেই মানবেতর কে ! লাঞ্ছিত করে ফিরায়ে দিলে বিবেকহীন মানবে। লাঞ্ছনা করিলে শুধুই তাহাদের, নাহি মুদ্রা যাহাদের কামিজে। বঞ্চিত যেখানে ইতিহাস সম্মানের, আকাঙ্ক্ষিত ভবিষ্যৎ নষ্ট করিলে, বেমানবতার বাণী শুনায়ে। কাম্য করিলে যাহার কাছে তুমি, সহানুভূতি নামের মানবতা। সেই তোমাদের বঞ্চিত করিবে, সহানুভূতির দাবিতে। সৎ কর্ম তোমাদের হামেশা সাহায্য করিবে, দরবারে এলাহী-র সহানুভবে । ০১.০৯.২০০৪

অপূর্ণ -

ছবি
অপূর্ণ - ============ মোঃ রহমত আলী ============ দৈনিক কাজা ফজর আজও, রোজ দেরি জোহর আদায় করি। আসর হলে হক মনে পরে, মাগরিবের সময় কম তবু নামাজি, এশা তে একা জামাত কম বেশি। তাহাজ্জুদ আদায় করি কি কখন, ইশরাক চাশত খবর জানা নেই যখন। ফরজ রোজা রোজ রমজানে, কতটুকু হয় সঠিক পূরণ, যাকাত হিসাবে করে কি পূর্ণ আদায় ! ঈমানের বোধ আছে যে ঘুমায়। লোক দেখানো সালাত ছিল না তো এ আমার। তবু কেন বলে উঠে লোকে, ঐ দেখ কেমন করছে আদায় সালাত। মাফ করে দেন আল্লাহ আমায়, অতি গুনাহ আমলনামায় আমার। বছর সারা হয়নি আদায়, ঈদের দুই জামাত ছাড়া, আমিই বড় অধম পাপি, রোজ ফজর ঘুমে থাকি, তবু আমায় দাও গো মাফি, তুমিই আমার এক আল্লাহ ইয়া রাব্বুলআলামিন। আমিন। ০১.০৫.২০২৩

মেলা -

ছবি
মেলা - ============ মোঃ রহমত আলী ============ মেলা মেলা মেলা মেলায় চলে হরেক রকম খেলা। চরকি ঘুরে,যাত্রাপালা, পুতুল নাচে,জুয়া খেলা, আছে মেলায় হরেক রকম খেলনা। মেলার মিঠাই খুকু খায়, মাটির ব্যাংক কিনে বাবা, খুকীর চুড়ি,আলতা,ঝুমকা, খোকার জুতা জোড়া। গ্রাম গঞ্জের মেলায়, জমে মনের মহা মিলন মেলা। মেলা মেলা মেলা শহর জুড়ে রঙ্গীন মেলা, রঙ বেরঙের খেলা। পাড়া মহল্লার ঘোপ ঝোপেতে, চলে দেখি কিশোর গেং এর, বাঁদরামো আর খামখেয়ালিপনা, খোলামেলা মারামারির মেলা। নিরীহ সবাই নীরব দেখে তা, এই যে,জমেছে মেলার খেলা। মেলা মেলা মেলা বর্ষপূর্তির দিনে এই জমে উঠে, বাউল মেলার মেলা। গানে-গানের বাউলা সুরে, এক দো-তারার মেলা। পাগল মেলা,ফকির মেলা, বড়লোকের পার্টির মেলা। মেলায় লুটায় টাকা মেলা, বিলাসবহুল বিয়ের মেলা, মেলা শেষে আবার খেলা। মেলা মেলা মেলা জেলখানাতে বন্দি মেলা, বাহিরে আবার জমেছে খেলা, স্বজনদের ঐ দিদার, পাওয়ার খায়েশ মেলা। বাল্যকালে পুতুল বিয়ে আর, হরেক সখের মজার খেলা। এই যুগে আর নেই তো ভাই, সেই সময়ের সে সব খেলার মেলা। মেলা মেলা মেলা শীতের সকাল-সন্ধ্যা,পিঠার মেলা। ফুলের মেলা,পাখির মেলা, চোর-বাজারে চোরাই মালের

আওয়াজ

ছবি
আওয়াজ ============ মোঃ রহমত আলী ============ কত বল তবু দুর্বল, এত মাথা কেন পাগল। দামে সস্তা সব ছাগল, মুখ কালো ভাষা উজ্জ্বল। হাসি খুশি শেষে মাশুল, খেয়ে চেটে লুটে উশিল। জুয়া খেলে জিতে কৌশল, হেরে বাজি বকে অশ্লীল, ছেলে মেয়ে ভুখা কান্দিল। আধা পাকা খাই কাঁঠাল, আর বাকি সব মঙ্গল, গাছ কেটে সাফ জঙ্গল। কত জনে কত কোন্দল, তবু চাল বাজ চঞ্চল। বাজি মাত হল কেবল, জাত পাত লুটে কুশল। পথ ঘাট পুরো বিকল, কাজ শেষ শান্ত বিকাল। আছে তবে কেউ কাঙাল, হাত বাঁধা দামে আকাল। গাছ পাকা ফল হালাল, সস্তা গোস মাছ পালাল। বাবু সাব তুমি দুলাল, পোষা পাখি আজ দালাল, বলে আমি হই আবাল। এতো মাল চোর সামাল, সব গেল কই দামাল। কর্তা কাজ কাম হারাল, খুজে কড়ি জ্বেলে মশাল। চোখে জল ঝরে আসল, ব্যাথা কার তবে নকল। চাষী তোর ভাঙা লাঙল, গরু দুই শেষ সম্বল। ভাতা পেল ছেঁড়া কম্বল, কাটে দিন রাত শীতল। বহু ফুল জবা বকুল, মালা গাঁথা প্রেম কবুল। এতো চাপ শুভ সকাল, এই কাজে আছে ভেজাল, সুদ ঘুষে স্যার মাতাল। কুলি ঘেমে শ্রমে উত্তাল, মুন্সি চুপ মুখে শিকল। ধোপা জামা ধুয়ে সফল, গঙ্গা জলে করে গোসল। পড়ে ছাত্র ছাত্রী সকল, আজ ছুটি বাজে মাদল, মেঘ ডাকে ছুটে বাদল। ছন্দে

জীবন নিয়ে খেলা

ছবি
জীবন নিয়ে খেলা ============== মোঃ রহমত আলী ============== সময় এখন বড়ই নিরালা জীবন লয়ে চলছে খেলা। এমো বাকে কেহ লুটায়ে আছে ফুটপাতে। ঐ দেখ কার যেন বেওয়ারিশ লাশ, ঢাকা আছে ছেঁড়া কাফনে। করুন সুরে এ কার ডাক যেন এক পাগলের পাগলামি। সভ্যতার দুয়ারে এদের নাহি কোন মূল্য। জীবন নিয়ে করছে খেলা সারাবেলা। মজার কথা মজার সুরে কয় যারা। এক ভিখারীর ভিক্ষা করা, কয় টাকা কেড়ে নিল তারা কারা। দুঃখী মানুষের দুঃখ আরো বাড়ায়, কিছু এই শহরে নামি আছে এমন যারা। স্টেশন লাইনের ধারে এ-কার আর্তনাদ, লুটে গেছে বুঝি,তার সারা সম সম্বল। লুটেরা কেহ আর নহে, হেফাজত কারী-ই করিলে হনন। আবার যেন কাঁদে কারা, করুন সুরে আবার কয় কথা। বিধি আর মম সবে কেণ-হে একযোগে যোগ হয়ে, মোদের এ জীবন নিয়ে খেলছে এই সব করুন খেলা । ১৩.০৭.২০০৫

মিঠা বিষ ভাষ্য

ছবি
মিঠা বিষ ভাষ্য ============ মোঃ রহমত আলী ============ মিষ্টি বুলির গুনে,বিষ ছুপায় গীলে, কটু ভাষা হজম হবে,মৃদু হাসির ছলে। মিঠার বড় গুণ,পিঁপড়া যত সব করে, চারি ধারে গুন-গুন,ডুবে মরে মিঠাই-তে। কটু কথায় বিগড়ায় কাজ কাম, ধুলোয় মিশে যায় যত মানজান। গেলে পরে কোনো আত্মার আত্মীয় বাড়ি, সবে নেয় সনে মিষ্টির ভরা হাঁড়ি খানি। ঘোষ দাদা বড্ড মিষ্টভাষী, প্রণাম করেন হাসি-হাসি, কিনলে পরে মিষ্টি বেশ খুশি, ওজন দেন মিঠাই বাক্স সমেত মাপে কম। তড়িঘড়ি যেতে মেহমান-বাড়ি, ওজনে খেয়াল কে করে বাড়াবাড়ি। চিনির মিঠা কমছে দিনে-দিন, চিনে ধরে নিলে চোর তর্কে বহুদূর। যেমন নুনের এখন গুণ কম, তবু নুন ছাড়া মিঠাই এর স্বাদ ফিকা। মাটির হাঁড়িতে মিঠা দই,টক দই থৈথৈ, জমাট ভরা বেচে এক কেজি বলে। মেপে দেখি মালসা সহ দেড় কেজি হলে, বাহ্ কেমন মিষ্টির এ মিঠা বাটপারি ভাই। বাড়ি গিয়ে সবে দই খেয়ে চেটে, খালি ভাঁড় মেপে সাতশত গ্রামে। এবার নালিশে,বাবু ঘোষ মশাই বলে, কেজি এক ছিল তো ঠিকই দাদা ! বোধহয় মাটির হাঁড়ি দুইশত গ্রাম, খেয়েছে জাদা,এই ভুল ক্ষমা চাই দাদা। ভেজাল এর কথা বলে লাভ কি ? ভেজাল মানুষ তাই মিঠাই,সন্দেশ, দই,চমচম,জিলাপি,রসগ

এখন মাঝরাত

ছবি
এখন মাঝরাত ============ মোঃ রহমত আলী ============ এখন মাঝরাত ঘুমিয়ে আছে নক্ষত্র গগনের, মেঘ আড়ালে ছুপায়ে। জেগে আছে একা হেলাল গগনের এই রাত পাহারায়। এখন মাঝরাত ঘুমিয়ে আছে শহর সারা, জেগে আছি আমি একা, আর ঐ লাইট পোস্ট। বাতায়ন খোলা আমার ঘরের,কদাচিৎ হাওয়া পাল্টে দিল বইয়ের পাতা, উড়িয়ে দিয়ে বাতায়ন পর্দা। এখন মাঝরাত ঘুমিয়ে গেছে নগরীর রাজপথ জেগে আছে একা গায়ের কাদামাখা মেটো আধার পথ। ভালোবাসা বেদনা গাঁথা বিরহের মালা,এটাই বুঝিয়ে দেয় এখন মাঝরাত । ২০.১০.২০০২

অনুমান -

ছবি
অনুমান - ============= মোঃ রহমত আলী ============= বলতে পারো কে ? তুমি, কখনোই কি ? কাঁদো-নি। আবেগ ছাড়া কেউ আছো কি ? বিবেক আছে অনেকের-অনেক, কম-বেশি-বেশ তবে ঘুমে-ঘুমন্ত। আবেগহীন কারো কান্না আসে কি ? মৃত নয় তবু বহু বিবেকবান, আছে তো আজও জাগা-জাগ্রত, শুধু বোবা হয়ে আছে চুপ তার কন্ঠ। আবেগের অনুসূচনায়,কারো আঁখি জল, করে ছল-ছল,বেওয়ারিশ লাশ দেখে। অতি বিবেকের তাড়নায় দেখে না, কে ? সে উঁকি দিয়ে লাশ ঘর। জানতে চাই ! পন্ডিত পণ্ড কখন, জ্ঞানের দরিয়ায় ডুবে অজ্ঞান যখন। অন্ধ বিবেক যদি অপদস্থ করে, জিন্দা আবেগের বিশ্বাসের ঘর। পাশাপাশি অতি জরুর আবেগের বিবেক, নয়তো মানবতার হবে রোজ নতুন কবর। এ কেমন কান্না আবার বিবেকের ভরাডুবিতে,জ্ঞানী হারায় পথ কেন? মরুভূমিতে,আবেগের হিম্মৎ এই, জেগে উঠে বৃদ্ধ ফের নওজোয়ানীতে। ভুল পথে চলায় যদি কভু আবেগ, তো সৎ রাহে শুধরায় দেখ সু-বিবেক। বলতে চাই ! আবার বিবেকের দংশনে, জেগে উঠাতে মৃত শত সব আবেগ। আছে কেন আজ আবেগ ঘুমিয়ে বন্ধু, বিবেক কি দেয় না সাড়া প্রতিবাদে। যারা খুব বেশি বিবেকবান তারা, নিজের তরেই জীবিত স্বার্থে থেকে যান। আবার অতি আবেগে আপোনের ক্ষতি, আপনে করে বিবেকের ধ্যান

ঈদের ঈদ

ছবি
ঈদের ঈদ ============ মোঃ রহমত আলী ============ ঈদের দিনেও আছে কিছু ঈমানদারের, বহু পূর্ণ আমল ইবাদতের সামিল। নিসাব পরিমাণ হিসাব করা নিকাশ, মালে যাকাত বিলিয়ে দিতে হবে, হরেক সঠিক হকদারদের হাতে। রোজার শেষে আদায় ঈদের সালাত, ঈদগাহে মুমিনের জমায়েত এক জামাত। প্রতিবেশী নেই তো যেন দুঃখী, খেয়াল করে একটু নজর দিয়ে দেখি। পরের সুখে সুখী হয়ে, তবেই খুশির আতর সবে মাখী। গরিব দুঃখী ফকির এতিম সবার, চোখে কাজল দিয়ে অশ্রুজল মুছে,তবে আজি নিজের চোখে সুরমা নিও এঁকে। ঈদের আমাল কোরবানি হয় কবুল, হালাল মালের এক এক নেক আমল। সুন্নত সব পূরণ করে ভুল করোনা ফরজ, করজ চুকিয়ে দাও আগে পাওনাদারের, তো ঈদের নতুন পোশাক হক পরিধানের। কাঁদে তাই অনেক এতিম মিসকিন, আজ সুখের আনন্দে ঈদে ঈদগাহে,  হারানো প্রিয়জনের প্রয়োজন উৎসবে। ঈদের ঈদ বছরে দুই,ধনী-গরীব শরিক, পাগল-ফকির এক কাতারে হই শামিল, এই তো মুসলিম জাহানের ঈদের ঈদ ॥ ২২.০৪.২০২৩ ঈদের দিন ১৪৪৪ হিজরী

আসল আয়না -

ছবি
আসল আয়না - ============ মোঃ রহমত আলী ============= আসল আয়না না পারে  দেখাতে চেহারা নকল। দেখিয়ে দেয় যা আছে যার যা যা সব আসল। বাধা দিতে পারে কে সকল, দেয় আয়না সদা সত্য উত্তর। মিথ্যার উপমায় পারে না, করিতে কোনো ভান-বাহানা। সাজে আয়নার সামনে সবাই নিজের মতন, সাজেনা তো কেউ আয়নার মতের মতো। উন্মুক্ত আয়নায় জ্বলে আগুন, দেখে চুপ,সাজে কেউ যখন আসল চেহারায় নকল দ্বিগুণ। সব মতের চেহারা দেখে, অবিকল মানিয়ে নেয় আয়না। রোদে চমকায়,সুদূর ছায়ায় ঝলকায়, আয়নার সত্য,আছে কে মিথ্যা বানায়। আয়নার মতো সত্য বলে দেখুন, মিথ্যার সত্য খুঁজে পাবেন তখন। মিথ্যুকের আঘাতে চূর্ণ-বিচূর্ণ আয়না, তবু যতোই করি মোরা শত বাহানা, তবে আরো অধিক সত্যের প্রমাণ, দেখায় টুকরো এক এক আয়না ॥ ২২.০৪.২০২৩

একাকার !

ছবি
একাকার ! =============== মোঃ রহমত আলী =============== এক চোখে খুশি খুব, এক চোখে আঁসু দুখ। এক মন চোর চোর,  এক মনে ধর ধর। এক কাঁধে একা বোঝা, এক ঘরে দশ খাজা। এক দল চাঁদে বসা, এক দলে মরা দশা। এক ঘাটে হাট মাঠ, এক দেশ শত মত। এক মাথা ব্যথা কত, এক মই ধাপ যতো। এক সূর্য তাপ অতি, এক বন্ধু শত্রু ক্ষতি। এক নদী ঘাট শত, এক মুখে কথা কত। এক মালা বহু ফুলে, এক ভুলে সব খোয়া। এক কূলে মধু বাগ, এক তীরে পাতা ফাঁদ। এক জোড়া জুতা চোর, এক পাখি জপে রব্ব এক। এক জাত ঠগ বাজ, এক মাঝি নাও পাড় ॥ ১৯.০৪.২০২৩

ভোরের পাখি

ছবি
ভোরের পাখি ============ মোঃ রহমত আলী ============ খোকা খুকি শোনো চাঁদ মামার মালিক কে জানো আল্লাহ আল্লাহ বলো খোকা খুকি পড়ো কান্না নাহি করো এক আল্লাহ সাথে তোমার সদা মনে রাখো। খোকা খুকি ওঠো সকাল সকাল আকাশ জমিন দেখো। পাখির ডাক শোনো আল্লাহর দয়া মাঙ্গো। ১৮.০৪.২০২৩

উত্তাপ

ছবি
উত্তাপ ============ মোঃ রহমত আলী ============ গরম গরম সব গরম, বাজার গরম শহর গরম, শরম খতম খবর গরম। গ্রামে গরম মাটির পথ, মাথা গরম চাচা নরম, পেটের গরমে ভরা মেডিকেল। ধনীর গরম চরম দৌলত, গরীব গরম ক্ষুধায় কর্মঠ। রাজার গরম রাজসিংহাসন, সিপাহী গরম অস্ত্র বহন, কুলি গরম মজুরি কমন। ব্যবসায়ী গরম চালান খতম, ক্রেতা গরম সাধ্য কম। গরম গরম সব গরম, কথার গরম আবহাওয়া গরম, সূর্যের উত্তাপে দুনিয়া গরম, ইঞ্জিন গরম রেলেরবগি গরম। জ্ঞানীর গরম বোকা চরম, বাতাস গরম ঘরের চালা গরম, চোখ গরম চামচা কেমন, চাই শীতে চাদর কম্বল গরম। চা গরম রোগীর লাগে পানি গরম, পাগল গরম খ্যাপা যখন, দ্বীনের কথায় বেদ্বীন গরম, গরম গরম সব গরম ॥ ১৬.০৪.২০২৩

শতক শর্ত

ছবি
শতক শর্ত ============ মোঃ রহমত আলী ============ সূর্য ডুবা সকালে কারো-কারো, জীবনের কাটে না আর আঁধার। চলে গেল কেউ হেসে প্রথম বেলায়, শুরুর আগেই রেগে শেষ খেলায়। লেখক লেখা বেঁচে ছিলেন বিনিময়ে, এখন কবি বেচে কবিতা টাকা দিয়ে। শতক শর্ত জোড়া ছাপা বই এ চাপা, প্রকাশ করে না কেউ,মনে শত ব্যথা। রাত জেগে লেখা,জুটে না দিনে আর, কারো-কারো নতুন কলম সাধের কেনা। এখন বাণিজ্য উল্টো জোয়ারের, ভাঁটা দেখি পাঠকের মনের খোরাকের। রাতের সূর্য - চাঁদ কি বলে, লেখকের স্বপনের কবিতা, ছাপা সমুদয় জলে ডুবে গেলে। প্রকাশনের শত শর্তে কবির স্বপ্ন ভঙ্গুর পূরণ ! নিজের লেখা মুছে দিতে আর পারি কখন। তাই সারাবেলা অন্তরে গোপন শ্রাবণ, শর্ত পূরণ করেও যখন কয় শুনানি, দুই রকম কথার ভাষায় বাটপারি। একের দ্বারা লাভ করে আরেক, সততার প্রমাণ দিতে লিতে, অসৎ শর্ত আসে যে আরো শতেক ! ১৪.০৪.২০২৩