পোস্টগুলি

ডিসেম্বর, ২০২২ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

"অন্ধ'চোখে'পানি"

ছবি
"অন্ধ চোখে পানি" ================ মোঃ রহমত আলী ==================== যার জন্য কাঁদে, মনের গভীরে লুকানো আর-এক-মন-সেই, নোনা জলে, ডুবা চোখে মারে বাদামি লেবুর নিংড়ানো রশ। ছলো-ছলো চোখো পাতায়, দেখা যায় খুব সহজেই ঝড়ছে অঝোরে মনের ব্যথায়। বর্ণ বালীর এ কেমন রং অন্তর পুড়ে ছাই হলে সুভাষ পায় যেমন গান্ধ। গর্ব করে ধন্য হলে ঝরাতে  পেরে আকাঙ্ক্ষিত সম্পর্ণ্য, সাধন ভেঙ্গে, অন্ধ চোখে পানি, নয়নে বারি এ ঝরছে কারি, তবে কে! আছো তারি মুছাতে পারি। অন্ধ আঁখি পানে ও কি! থাকে, লুকাইতো এক দৃষ্টি পরশমণী'র। তবে ক্রন্দন কেন হে, অযাচিত কোন দুঃখের আয়নায়। কুলষিত প্রেম বাগে একি! হলো হায়রে,অন্ধ চোখে পানি ঝরে যে, বোবা পানি কহে রে কত কথা, ভুলে যেতে কয়, স্বপ্ন ভাঙ্গা স্বপনে'র কথা, সাজিয়ে রাখি তবু আমি অন্ধের সামনে আয়না । ===০১/০৯/২০১১===

প্রমাণ –

ছবি
প্রমাণ - ============= মোঃ রহমত আলী =================== মিথ্যার বুনিয়াদে তৈয়ার হয়  হাজারো হাজার প্রমাণ।  তবে বন্ধু সত্যের হয় না  বুঝি কোনো প্রমাণ।  তবে তাই সত্যর প্রমাণ একটাই, মনের গভীর বিশ্বাস।  নিঃশ্বাস যেথায় মিথ্যার,  সেথায় বিশ্বাস কি করে,  আর হয় শিক্ষার। দেখেছি খেলা এ দুনিয়ার  নাটকীয় রঙ্গমঞ্চে! মিথ্যার লীলা, মিথ্যার তরী,  বেয়ে ভেসে ভেসে পেয়ে যায়  অনেকেই তড়িঝড়ি দুর্বল কিনারা। তবে সত্যবাদী সত্য বলে কি পায়,  আর কতটুকু সাহারা,  প্রমাণ চায় সততা সত্যের, সত্যির অনুসন্ধানের। তাহলে দুর্বল কখন  আর হয় বন্ধু মিথ্যার পায়মানা। পবিত্র এক সত্য-প্রমাণ কি? তার অন্ধ,আঁধারে লুকানো  এক টুকরো আলোর কণিকা,  দৃষ্টি নেই যার সততা'র,  দেখবে কি ? করে আর,  সেই প্রমাণ অজান্তী'র নীলিমায়।  মনের পঙ্খী উড়ে যাবে যবে,  সত্যের সীমানায়, তবেই  প্রমাণ সাজিয়ে রেখো,  তোমরা সবে মিথ্যের পিঞ্জরায়। ১.১২.২০০৯

"সচেতনে'অচেতন"

ছবি
"সচেতনে'অচেতন" ============== মোঃ রহমত আলী ============== প্রহরে প্রহরে যারা, রহিতে চাহে সম্মানে, প্রহরী কে সুধায় গাহো শুধু জয় গান হামারে, কাঁপিছে কেন-হে  কভূ'কভূ এ মায়াময় ধমণী ! চিন্তা করো হে – একটু বেপর্দা রমণী। দুয়ারে পালকি প্রতিকাল-ই যায়ছে লয়ে চিরবিদায়-ঈ ! এখনো কেনো বন্ধু চেতনে সবে অচেতন। কাল তো আসিবে না আর, ভুল যে করছো নতুন করে আবার, হাসিবে আমোরি কর্ম আমা পানে আমারে, লুকিয়ে রাখিবে – যেথে (কবর) সবে আমোরে। নকল কে আসল বলিয়া করছো ব্যবসা সমানে, কে ঠগীলে বলো-তো বাহে , দিয়াছিলে যবে ওজন কমায়ে। করছো দেখি আবার ইবাদাত মালিক'পাকের, দোহাই শুনিলে'নে বোঝো একটুও ঈমানের। মোমিন এর দোকানে মূর্তি কেনো সাজায়ে রেখেছো নতুন পোশাকে। ঈমান এর সওদাগরি  করোনা হে শাহী, এইতো সে কালে ও হয়ে ছিলে কারবার, তবে ছিলে নে  তখন কোনো মূর্তির দরকার। দরবারে দরবারে শুধুই দাদাগিরি মানবতা-কে দাবায় করছি মোরা বে'মানবতার দরবারী। তবে কি ভাই এই ছিলে দরকারি, নয়তো কি আমাল গুলি তোমার-আমার যায় যেথায় যাক।  আজ কেনো বেহুঁশ মোরা, কাল যবে অন্ধোঁকারে কাঁদিলে কী মিলাইবে মুক্তি! তাই বলি, শাণ (বিল

"মহাশয়"

ছবি
"মহাশয়" ≈≈≈≈≈≈≈≈≈≈≈≈≈≈≈≈ মোঃ রহমত আলী ≈≈≈≈≈≈≈≈≈≈≈≈≈≈≈≈ সহিলে মহাশয়, না সহিলে কিছু নাহি শয়,  দুঃখ শয় তো সুখ নাহি শয়,  সুখ শহিলে দুঃখ নাহি রয়।  তবে সুখ সুযোগ বুঝে সরে যায়,  দুঃখ সে তো অতি আপন  সবার'ই সাথে সাথে কিছু তো রয়,  সুখ কহে আমি নহে, তোমাদের অনন্তকাল। দুঃখ সে তো তোমার হামেশা  রবে একটু একটু চিরকাল।  মহাশই কজনেই মশাই,  সুখেরই গুন সারাকাল গাই,  তবুও নিরবে নিরবে  দুঃখ'কে পুষে যাই। যে যতটুকু পারে শইতে,  বিধাতা ঠিক ততটুকুই দিয়াছেন,  লিখে তার লিপিতে।  তবে মিছে'ই গীবত করি আমরা  সুখ আর দুঃখের,  দোষ খুঁজি না কেন ? আমোরা সবে নিজ নিজ নিজেদের, মহাশয় হয়ে আমরা শইতে  পারি সবই,একটু একটু  সবুর করি যদি,  শইতে, শইতে, শইবে সবই, কর্ম তরে দুই জাহানে  ইনসাফ যাই হবি,  মশয় যদি মহা নাহি শয়, তবে বলো তাকে আর কে বা বুঝায়। ======০১.০৮.২০০৫======

ঘাশঁফুল –

ছবি
🌿ঘাসফুল🌿 ============= মোঃরহমতআলী ============= আমি এক ঘাসফুল, দুঃখ কে জয় করেছি কষ্টকে সর্বদাই বন্ধু ভেবেছি, চোখের জলকে সারাব বানিয়ে পান করেছি। প্রিয়তমার ছলনাকে সত্য ভালোবাসা ভাবি তাই। আমি আশার প্রদীপ নিভায়ে দিয়ে,নিরাশার অন্ধকারে বসত করি-আমি জীবনের শতক হতাশা কে আশাবাদী চিরাগ বানায়ে রেখেছি। আমি ভালোবাসার হাজারো হাজার বেদনা কে হৃদয় কোনে দাফনায়ে দিয়াছি। আমি এক ঘাসফুল, আমার জন্ম হওয়াটাই ভুল সবারই পদতলে আমায় সুস্বাগতম মিলে,হাজারো সু'সুন্দর ফুলের মাঝে, কি আর মূল্য আমার বলো। পদ্ম ফুলের মূল্য আছে, গদ্য লিখে কবি রাখে। আমি এক ঘাসফুল আমার তবে কি কোনো মূল্যায়ন আছে। আমি সারাকাল'ই অবহেলিত পদতলেই সহি মর্যাদা পাই,তবু আমি ঘাসফুল হয়েই ধন্য-আমা প্রিয়ার ছলনা প্রয়াসেই মগন্য । ১৪.০৭.২০০৫

অনুভব ‐

ছবি
অনুভব - ============= মোঃ রহমত আলী ============= উত্তরে দরোজা,দক্ষিণে জানালা,  পূর্বে সীমানা,পশ্চিমে বিছানা,  এটাই তো জীবন পথের ঠিকানা। নয়নে মমতা, হৃদয়ে ছলনা,  দূরে থাকে ভালোবাসা,  নিজ সাথে অশ্রুধারা। উপরে ধোঁয়া ধোঁয়া আকাশ, পদতলে মাটির জলরাশি,  এই তো পথের দিশা। হঠাৎ দেখি আকাশ মেঘলা  আবার দেখি আকাশ রঙিন  কেন এমন নয়ন ধাঁধায় আমি।     =====১৫|১১|২০০০=====