পোস্টগুলি

মিঠা বিষ ভাষ্য

ছবি
মিঠা বিষ ভাষ্য ============ মোঃ রহমত আলী ============ মিষ্টি বুলির গুনে,বিষ ছুপায় গীলে, কটু ভাষা হজম হবে,মৃদু হাসির ছলে। মিঠার বড় গুণ,পিঁপড়া যত সব করে, চারি ধারে গুন-গুন,ডুবে মরে মিঠাই-তে। কটু কথায় বিগড়ায় কাজ কাম, ধুলোয় মিশে যায় যত মানজান। গেলে পরে কোনো আত্মার আত্মীয় বাড়ি, সবে নেয় সনে মিষ্টির ভরা হাঁড়ি খানি। ঘোষ দাদা বড্ড মিষ্টভাষী, প্রণাম করেন হাসি-হাসি, কিনলে পরে মিষ্টি বেশ খুশি, ওজন দেন মিঠাই বাক্স সমেত মাপে কম। তড়িঘড়ি যেতে মেহমান-বাড়ি, ওজনে খেয়াল কে করে বাড়াবাড়ি। চিনির মিঠা কমছে দিনে-দিন, চিনে ধরে নিলে চোর তর্কে বহুদূর। যেমন নুনের এখন গুণ কম, তবু নুন ছাড়া মিঠাই এর স্বাদ ফিকা। মাটির হাঁড়িতে মিঠা দই,টক দই থৈথৈ, জমাট ভরা বেচে এক কেজি বলে। মেপে দেখি মালসা সহ দেড় কেজি হলে, বাহ্ কেমন মিষ্টির এ মিঠা বাটপারি ভাই। বাড়ি গিয়ে সবে দই খেয়ে চেটে, খালি ভাঁড় মেপে সাতশত গ্রামে। এবার নালিশে,বাবু ঘোষ মশাই বলে, কেজি এক ছিল তো ঠিকই দাদা ! বোধহয় মাটির হাঁড়ি দুইশত গ্রাম, খেয়েছে জাদা,এই ভুল ক্ষমা চাই দাদা। ভেজাল এর কথা বলে লাভ কি ? ভেজাল মানুষ তাই মিঠাই,সন্দেশ, দই,চমচম,জিলাপি,রসগ

এখন মাঝরাত

ছবি
এখন মাঝরাত ============ মোঃ রহমত আলী ============ এখন মাঝরাত ঘুমিয়ে আছে নক্ষত্র গগনের, মেঘ আড়ালে ছুপায়ে। জেগে আছে একা হেলাল গগনের এই রাত পাহারায়। এখন মাঝরাত ঘুমিয়ে আছে শহর সারা, জেগে আছি আমি একা, আর ঐ লাইট পোস্ট। বাতায়ন খোলা আমার ঘরের,কদাচিৎ হাওয়া পাল্টে দিল বইয়ের পাতা, উড়িয়ে দিয়ে বাতায়ন পর্দা। এখন মাঝরাত ঘুমিয়ে গেছে নগরীর রাজপথ জেগে আছে একা গায়ের কাদামাখা মেটো আধার পথ। ভালোবাসা বেদনা গাঁথা বিরহের মালা,এটাই বুঝিয়ে দেয় এখন মাঝরাত । ২০.১০.২০০২

অনুমান -

ছবি
অনুমান - ============= মোঃ রহমত আলী ============= বলতে পারো কে ? তুমি, কখনোই কি ? কাঁদো-নি। আবেগ ছাড়া কেউ আছো কি ? বিবেক আছে অনেকের-অনেক, কম-বেশি-বেশ তবে ঘুমে-ঘুমন্ত। আবেগহীন কারো কান্না আসে কি ? মৃত নয় তবু বহু বিবেকবান, আছে তো আজও জাগা-জাগ্রত, শুধু বোবা হয়ে আছে চুপ তার কন্ঠ। আবেগের অনুসূচনায়,কারো আঁখি জল, করে ছল-ছল,বেওয়ারিশ লাশ দেখে। অতি বিবেকের তাড়নায় দেখে না, কে ? সে উঁকি দিয়ে লাশ ঘর। জানতে চাই ! পন্ডিত পণ্ড কখন, জ্ঞানের দরিয়ায় ডুবে অজ্ঞান যখন। অন্ধ বিবেক যদি অপদস্থ করে, জিন্দা আবেগের বিশ্বাসের ঘর। পাশাপাশি অতি জরুর আবেগের বিবেক, নয়তো মানবতার হবে রোজ নতুন কবর। এ কেমন কান্না আবার বিবেকের ভরাডুবিতে,জ্ঞানী হারায় পথ কেন? মরুভূমিতে,আবেগের হিম্মৎ এই, জেগে উঠে বৃদ্ধ ফের নওজোয়ানীতে। ভুল পথে চলায় যদি কভু আবেগ, তো সৎ রাহে শুধরায় দেখ সু-বিবেক। বলতে চাই ! আবার বিবেকের দংশনে, জেগে উঠাতে মৃত শত সব আবেগ। আছে কেন আজ আবেগ ঘুমিয়ে বন্ধু, বিবেক কি দেয় না সাড়া প্রতিবাদে। যারা খুব বেশি বিবেকবান তারা, নিজের তরেই জীবিত স্বার্থে থেকে যান। আবার অতি আবেগে আপোনের ক্ষতি, আপনে করে বিবেকের ধ্যান

ঈদের ঈদ

ছবি
ঈদের ঈদ ============ মোঃ রহমত আলী ============ ঈদের দিনেও আছে কিছু ঈমানদারের, বহু পূর্ণ আমল ইবাদতের সামিল। নিসাব পরিমাণ হিসাব করা নিকাশ, মালে যাকাত বিলিয়ে দিতে হবে, হরেক সঠিক হকদারদের হাতে। রোজার শেষে আদায় ঈদের সালাত, ঈদগাহে মুমিনের জমায়েত এক জামাত। প্রতিবেশী নেই তো যেন দুঃখী, খেয়াল করে একটু নজর দিয়ে দেখি। পরের সুখে সুখী হয়ে, তবেই খুশির আতর সবে মাখী। গরিব দুঃখী ফকির এতিম সবার, চোখে কাজল দিয়ে অশ্রুজল মুছে,তবে আজি নিজের চোখে সুরমা নিও এঁকে। ঈদের আমাল কোরবানি হয় কবুল, হালাল মালের এক এক নেক আমল। সুন্নত সব পূরণ করে ভুল করোনা ফরজ, করজ চুকিয়ে দাও আগে পাওনাদারের, তো ঈদের নতুন পোশাক হক পরিধানের। কাঁদে তাই অনেক এতিম মিসকিন, আজ সুখের আনন্দে ঈদে ঈদগাহে,  হারানো প্রিয়জনের প্রয়োজন উৎসবে। ঈদের ঈদ বছরে দুই,ধনী-গরীব শরিক, পাগল-ফকির এক কাতারে হই শামিল, এই তো মুসলিম জাহানের ঈদের ঈদ ॥ ২২.০৪.২০২৩ ঈদের দিন ১৪৪৪ হিজরী

আসল আয়না -

ছবি
আসল আয়না - ============ মোঃ রহমত আলী ============= আসল আয়না না পারে  দেখাতে চেহারা নকল। দেখিয়ে দেয় যা আছে যার যা যা সব আসল। বাধা দিতে পারে কে সকল, দেয় আয়না সদা সত্য উত্তর। মিথ্যার উপমায় পারে না, করিতে কোনো ভান-বাহানা। সাজে আয়নার সামনে সবাই নিজের মতন, সাজেনা তো কেউ আয়নার মতের মতো। উন্মুক্ত আয়নায় জ্বলে আগুন, দেখে চুপ,সাজে কেউ যখন আসল চেহারায় নকল দ্বিগুণ। সব মতের চেহারা দেখে, অবিকল মানিয়ে নেয় আয়না। রোদে চমকায়,সুদূর ছায়ায় ঝলকায়, আয়নার সত্য,আছে কে মিথ্যা বানায়। আয়নার মতো সত্য বলে দেখুন, মিথ্যার সত্য খুঁজে পাবেন তখন। মিথ্যুকের আঘাতে চূর্ণ-বিচূর্ণ আয়না, তবু যতোই করি মোরা শত বাহানা, তবে আরো অধিক সত্যের প্রমাণ, দেখায় টুকরো এক এক আয়না ॥ ২২.০৪.২০২৩

একাকার !

ছবি
একাকার ! =============== মোঃ রহমত আলী =============== এক চোখে খুশি খুব, এক চোখে আঁসু দুখ। এক মন চোর চোর,  এক মনে ধর ধর। এক কাঁধে একা বোঝা, এক ঘরে দশ খাজা। এক দল চাঁদে বসা, এক দলে মরা দশা। এক ঘাটে হাট মাঠ, এক দেশ শত মত। এক মাথা ব্যথা কত, এক মই ধাপ যতো। এক সূর্য তাপ অতি, এক বন্ধু শত্রু ক্ষতি। এক নদী ঘাট শত, এক মুখে কথা কত। এক মালা বহু ফুলে, এক ভুলে সব খোয়া। এক কূলে মধু বাগ, এক তীরে পাতা ফাঁদ। এক জোড়া জুতা চোর, এক পাখি জপে রব্ব এক। এক জাত ঠগ বাজ, এক মাঝি নাও পাড় ॥ ১৯.০৪.২০২৩

ভোরের পাখি

ছবি
ভোরের পাখি ============ মোঃ রহমত আলী ============ খোকা খুকি শোনো চাঁদ মামার মালিক কে জানো আল্লাহ আল্লাহ বলো খোকা খুকি পড়ো কান্না নাহি করো এক আল্লাহ সাথে তোমার সদা মনে রাখো। খোকা খুকি ওঠো সকাল সকাল আকাশ জমিন দেখো। পাখির ডাক শোনো আল্লাহর দয়া মাঙ্গো। ১৮.০৪.২০২৩

উত্তাপ

ছবি
উত্তাপ ============ মোঃ রহমত আলী ============ গরম গরম সব গরম, বাজার গরম শহর গরম, শরম খতম খবর গরম। গ্রামে গরম মাটির পথ, মাথা গরম চাচা নরম, পেটের গরমে ভরা মেডিকেল। ধনীর গরম চরম দৌলত, গরীব গরম ক্ষুধায় কর্মঠ। রাজার গরম রাজসিংহাসন, সিপাহী গরম অস্ত্র বহন, কুলি গরম মজুরি কমন। ব্যবসায়ী গরম চালান খতম, ক্রেতা গরম সাধ্য কম। গরম গরম সব গরম, কথার গরম আবহাওয়া গরম, সূর্যের উত্তাপে দুনিয়া গরম, ইঞ্জিন গরম রেলেরবগি গরম। জ্ঞানীর গরম বোকা চরম, বাতাস গরম ঘরের চালা গরম, চোখ গরম চামচা কেমন, চাই শীতে চাদর কম্বল গরম। চা গরম রোগীর লাগে পানি গরম, পাগল গরম খ্যাপা যখন, দ্বীনের কথায় বেদ্বীন গরম, গরম গরম সব গরম ॥ ১৬.০৪.২০২৩

শতক শর্ত

ছবি
শতক শর্ত ============ মোঃ রহমত আলী ============ সূর্য ডুবা সকালে কারো-কারো, জীবনের কাটে না আর আঁধার। চলে গেল কেউ হেসে প্রথম বেলায়, শুরুর আগেই রেগে শেষ খেলায়। লেখক লেখা বেঁচে ছিলেন বিনিময়ে, এখন কবি বেচে কবিতা টাকা দিয়ে। শতক শর্ত জোড়া ছাপা বই এ চাপা, প্রকাশ করে না কেউ,মনে শত ব্যথা। রাত জেগে লেখা,জুটে না দিনে আর, কারো-কারো নতুন কলম সাধের কেনা। এখন বাণিজ্য উল্টো জোয়ারের, ভাঁটা দেখি পাঠকের মনের খোরাকের। রাতের সূর্য - চাঁদ কি বলে, লেখকের স্বপনের কবিতা, ছাপা সমুদয় জলে ডুবে গেলে। প্রকাশনের শত শর্তে কবির স্বপ্ন ভঙ্গুর পূরণ ! নিজের লেখা মুছে দিতে আর পারি কখন। তাই সারাবেলা অন্তরে গোপন শ্রাবণ, শর্ত পূরণ করেও যখন কয় শুনানি, দুই রকম কথার ভাষায় বাটপারি। একের দ্বারা লাভ করে আরেক, সততার প্রমাণ দিতে লিতে, অসৎ শর্ত আসে যে আরো শতেক ! ১৪.০৪.২০২৩

হাবুডুবু -

ছবি
হাবুডুবু - ============ মোঃ রহমত আলী ============ চল হাবু ডুবু, ছল ছল জল। চায়ে চিনি কম, দুধে ভরা জল। দেশি ডিম শেষ, গোস্ত দামে বেস। জাল চালে জেলে মাছ মিলে নারে। শাক পাতা চাষ, পানে চুন খাস। বেচা কেনা শেষ, দামা দামি রেশ। শোধ বিল বিদ্যুৎ, নাই আলো অদ্ভুত। পানি কিনে পান, দুই নাও পাড়। ঝোপ বুঝে কোপ, লাভ বেশি লস। হাবু - ডুবু - বুবু , কুলি বোঝা তুলি। রেল সিট চাই, দেখি মেম নাই। খোকা বড় বাপ, খাপ মিলে থাক ॥ ১২.০৪.২০২৩

মহাওষুধ

ছবি
মহাওষুধ  ============ মোঃ রহমত আলী ============ অসুস্থ আজ সমাজের সামাজিকতা,  বড্ড পীড়ায় কাতর মন-মানসিকতা। উদাহরণ তো লক্ষ শত কোটি তার, কোথা হতে শুরু করি বুঝিনা আর। সবাই তো মানবিক তবে আজ হারানো, কোথায় সবার মানবতার-মানসিকতা। রোগা হয়ে আছে সহজ-সহযোগিতা, নেই মানসিক সৎ সৎ সব প্রতিযোগিতা। জটিল রোগে আক্রান্ত উপকারিতা, সাহায্য প্রার্থী ও কজনে ছলোনিকা। অবিশ্বাসে ক্ষতবিক্ষত এখন মানবতা, ব্যর্থ প্রমাণে চিকিৎসা দিতে অপারগতা। আক্রান্ত অনেকেই স্বার্থের ব্যধিতে, নিজ জঘন্য নিচু মানসিকতায়, হাসিল করতে সম্পদ,রক্তের কেটে বন্ধন, পাঠিয়ে দিলে ক্ষমতার কুজ্ঞানে, আহত মস্তিষ্কের মানসিক পাগল বলে, বন্দী করাইলে পাশবিক নির্যাতনের, মানবিক-অমানবিক পাগলাগারদে। মনুষ্যত্ব হচ্ছে আজি বিক্রয় সস্তায়, ডাক্তার কবিরাজ ওঝা,কেউ কি সোজা। ভাগিদার সবাই তো দেখি কড়ি গুনিবার, দায় কোথাও কী আছে -কি নেই কারো, প্রতিবেশীর-প্রতি মানবিক-মানবিকতার। উদার ভাষ্য নেই বলো কার ! তবু দেখি নাতো যা দেখানোর দরকার। মূল্যবোধ হতে বোধগম্য পড়ে আছে, সব গভীর জানোবিক গর্তের গর্ভে। নিকর্মা খুঁজে পেল কর্ম মানবতার জন্য, দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন যেন অবহেলা করলো।

কাক ডাকা কাল

ছবি
কাক ডাকা কাল ============ মোঃ রহমত আলী ============ ছায়া মায়া ছাড়া, সাথি আজ হারা। পথ নেই দাঁড়া, পাখি মারে কারা। কথা পাকা যার, জয় মালা তার। হার জিত শেষ, রাত জাগা বেশ। মন মাঝে বোঝা, মধু বন সাজা। সুখ দুঃখ ব্যথা, ফুল মালা গাথা। কাক ডাকে কাকা, শেষ মেলা ফাঁকা। যায় দিন একা, ভান ধরে বোকা। ভাই যার বেকা, ভাগ সব ধোঁকা। পাতা খায় পাঠা, গাধা হাত মাথা। মন মাখা মাঠা, সোজা কাজ দেখা। মায়া মোর জাদা, রাগ তাই সদা। মায়া ছায়া ছাড়, কে কার জান। কথা আর কাজ, মিল করা চান। রাত শেষে দিন, সুখ খুঁজে নিন। মাঠে ঘাটে হাট, খেলা খেলে ঠগ। নিজ মনে রাজা, কার মানি বাঁধা। দোষ গুণ ভরা, ক্ষমা চাই সদা। ধর নিজু ছায়া, পাপ করা ছাড়া। ঝুট নাহি নামী, সত্য বড় দামী। সুদ ছেড়ে দেন, ঘুষ নাহি নেন। দোয়া চেয়ে পান, রোজ করে দান। ছল বল কল, সব ভুলে চল। আমি তুমি এসে, দিন কম শেষে ॥ ০৭.০৪.২০২৩

রসুন -

ছবি
রসুন - ============= মোঃ রহমত আলী ============= রেশন দেওয়া-নেওয়া রসিকতা, রশি ধরে দৌড় চলে,ঠেলাগাড়ির পিছ-পিছ,উচ্চ মনিব নিচ-নিচ। গোড়া সব একই গীড়ায় মিলায়, গরিব মারার ফন্দি পাত-পাতায়, হিসাব লিখে লুটের খাতায়-সাজায়। চোর-ডাকাতের রোজ কোলাকুলি, যে ধরার,সে হাসছে দূর মজাক-করে। কার দাবড়ে কে যে তবে আহা ! কি? মাইর খেলো শেষে ভুখা পেটে। গীঠায় গীড়ায় শক্ত কঠিন মিল তার, কাঁঠাল-আঠার বেশি রসুন বিপদ কার ? পচালো রসুনে সবজি বাজার, সাধ্য কার কিনে নতুন খাবার, প্রতিবাদ করলেই আছে খবর, সব দাদার জেব ভরা নেক আমল। ঠুয়ার মাল কেজিতে বেচেন, রাজার চালচলনে ফুটপাতে কামান। হিসাব-নিকাশ একটু সবাই-মিলান,  ঠকায়ে-ঠগী তবে কে ? না সমান-সমান। রসুনের কোয়া সব এক মতামত, লুটপাট সমান্তরাল শেষ বরাবর। শকুন-রসুন মিল তালে-তাল, শস্য-লুটে ভাগে,ভাগে,ভাগ করে খান ॥ রসায়ন যত বড়াই শুধায় রসুন-রসুনের, কশুর তামাম সব বোবা জবানের। হালাল মাংস খায় কম শকুনের দল, হারাম ভক্ষণ কেড়ে-কেড়ে সারাক্ষণ। গরুর হাট হতে নদীর ঘাট, রেল স্টেশন -টু- বাস স্ট্যান্ড, হাসপাতাল থেকে গোরস্থান,  পাসপোর্ট ভিসা লাইসেন্স চান, ভাতা কার্ড হয় বা নিবন্ধন করান, সব

নামমাত্র !

ছবি
নামমাত্র ! ============ মোঃ রহমত আলী ============ লেখার এখন লিখি নাই। বলার মতোন কন্ঠ নাই। প্রেমের কোন পত্র নাই। কথার কোন কথাই নাই। মতের যেন শেষ নাই। মতামতের উপায় নাই। মদত করার কেউ নাই। মিছে আশ্বাস দরকার নাই। আওয়াজ দেওয়ার ভাষা নাই। শব্দ শুনে বোবার বুলি নাই। দেখার অনেক দেখি নাই। পাবার আশা ছাড়ি নাই। লেখালেখি বন্ধ নাই। বই বিক্রির খবর নাই। ধোঁকাবাজের অভাব নাই। কদরদানের কমতি নাই। কম পয়সায় শিক্ষা নাই। বিনামূল্যে চিকিৎসা নাই। অশান্তি সবার শান্তি নাই। মিথ্যা বলে,সত্যের বিশ্বাস নাই। আবেগ-বিবেক কার নাই। বিচার কাজীর কেন সমান নাই। ঘুষ ছাড়া কোনো কাজ নাই। আখেরাত কারো দূরে নাই। ৩১.০৩.২০২৩

উপায় !

ছবি
উপায় ! ============= মোঃ রহমত আলী ============= কোথায় কবি, কোথায় কবিতা, কোথায় আমার প্রথম প্রেমের ছবিটা। কোথায় সাগর, কোথায় নদীর ঢেউ, কোথায় জীবন যোদ্ধার আনন্দী কেউ। কোথায় রতন, কোথায় পাথর পথ, কোথায় যতনে গোছানো বৈকালী শখ। কোথায় কাজল, কোথায় নয়ন জল, কোথায় সুখের হারানো সারাক্ষণ। কোথায় মানিক, কোথায় খোকন, কোথায় সব বাল্যবন্ধু জন পুরাতন। কোথায় আতর, কোথায় গোলাপ, কোথায় আসল মানুষ দুধের মাখন। কোথায় হালাল, কেমন হারাম জানান, কোথায় ইনসাফ কাজী করেন চালান। কোথায় রসিক নামাজ পড়ে পড়ান, কোথায় আছে ঈমান ইমাম দাঁড়ান। কোথায় হুকুম পালন, করি সব আমি, কোথায় যাবার, কোথায় যাই না-জানি। কোথায় মুসাফির, কোথায় গোলাম, কোথায় মনিব সেই খানদানী। কোথায় বাগ-বাগান, সেই মল্লিকা-র, কোথায় নির্দোষ যে হয়েছিল হয়রান। কোথায় উপকার, কোথায় ক্ষমা চান, কোথায় শিকারির হয় শেষ স্বীকার ॥ ৩০.০৩.২০২৩

আক্ষেপ !

ছবি
আক্ষেপ ! ============= মোঃ রহমত আলী ============= মোরা এই আছি এই নাই নাট্যালয়ে, তবু বেঁচে আছি, কত কি কষ্ট লয়ে। সংগ্রামী কেউ দুনিয়ার, কেউ বা আখেরাতের। আবার উভচর অনেকে, খয়রাতি দো হাতের। মনোবল বড় বীর, হুশ এলে হাল ধর, চালচলন ঠিক কর। দুই পলকে গড়মিল, জবাবে কেমন ফাকফোকর। চেয়েছিলাম তবে যা, পাওয়া হলো না তা। রটে ছিলে যা বটে, সবটা'ই কি তা ঘটে। মানে না তো মন তবু, নিতে হয় মেনে হালত। উপযোগী যা অনুপযোগী, একদিন হয়ে যায় তা। ধুপ ছায়া'র এ মেলায়, ঘুরে-ঘুরে পথ শেষে, শেষ ঠিকানায় ॥ ২৯.০৩.২০২৩

সজাগ -

ছবি
সজাগ - ============ মোঃ রহমত আলী ============ জাগি পুরাতন পূর্ণিমার নতুন রাতে সুখের খোঁজে দুঃখের আঙ্গিনাতে। কথার শেষে ভাষার অপেক্ষাতে, কোলাহলের মধ্যে আক্ষেপের ছোট্ট এক, শব্দ স্বর শুনিতে। মরা মনের বাগান হতে, একটি তরতাজা ফুল তুলিতে। মৌমাছি পাঁচ করে ভনভন পথ হারিয়ে, পারি যদি তাদের ঘরের পথ চেনাতে। আকাশ কুসুম স্বপ্ন দেখি-দেখে, ভাঙ্গিলো ঘুম কামারপাড়া'র শব্দতে। সবাই ধরিতে চান্দ,পাইতে ব্যাকুল সূর্য, আমি চাই এক মুঠ তুলে ধুলো, কণাগুলো সমুদয় গুনিতে। না পারার কি আছে এতে পারি তো সবে কোশিশ করিতে। আমি আছি আর অল্প সময় ধরণীতে, কিছুখন পরেই মিলেমিশে যাব মাটিতে। যদি এক গুচ্ছ সুখ কিনে, বিলিয়ে দিতে পারি সবার মাঝে, দুখির সাথে সমান ভাগেতে। এক কাঁধে আসমান,এক কাঁধে জমিন, কর্ম গুলো আমার সব মুজরিম, কি মুখে জাগিবো শেষ ঘুম বিচারেতে। ২৩.০৩.২০২৩

চালচিত্র -

ছবি
চালচিত্র - ============ মোঃ রহমত আলী ============ পেয়ে গেলে পূর্ণতা। গর্ব হলেই শূন্যতা। চুপচাপ বুদ্ধিমান। বোকার স্বর্গ সোজা। অতি চালাক ফেঁসে যান। মিষ্টভাষী পার পান। দুষ্টু চাষী হাল হারান। বাচাল হন পেরেশান। হার মানে না শয়তান। লোভী মন সব খোয়ান। জালিম জব্দ জুলুমে। ধৈর্যধারণ এক নেয়ামত। সুচরিত্র খুবই মূল্যবান। সত্যবাদী সদা জিন্দাবাদ। মিথ্যা ক্ষণিক তো মুর্দাবাদ। উপহাস করা নিচু খেয়াল। উপকার সেতো নয় এহসান। ঘুষ-সুদ এর সুখ কতদিন। হালাল পাকা আম মধুমিল। হারাম হজম মুশকিল। জখম শেফা পায় একদিন। অন্তরে আঁকা দাগ চিরদিন। গীবত নহে উপদেশ দিন। আশপাশের খবর নিন ।। ২১.০৩.২০২৩

প্রলাপ -

ছবি
প্রলাপ - ============= মোঃ রহমত আলী ============= কবিদের কি ? পাগল মনে হয় বুঝি, আর কবিতা গুলো পাগলের প্রলাপ। আসলে মনে হয় আমার কাছে সবাই, নিজ নিজ মনের রঙ্গের মনেই পাগল। বুঝেনা কবিতা তো,কবি কে ভাবে পাগল, কিছু বুঝে গেলে বলে ওঠে আবার, লিখেছে এগুলো কোন যুগের ছাগল। মানিনা কোনো অমান্য নিয়মের বারণ, লিখে যাই তবু আমি অবুঝ মনের কারণ। সাদা কাগজে কালি মেখে চুপ জান, খামোশ-বদলা নিতে চায়,নিরব প্রতিকারে সে আর এক মন-পাগলা পাগল-মন। কবিদের কি ? বলদ মনে হয় বন্ধু, মন পাগল বড়ই বোকা,আবেগেই হরহামেশা খেয়ে যাই,নতুন-নতুন ধোকা। মিছে সান্তনায় কি আর প্রান জুড়ায়, অন্তর সমঝোতায় কলম কালি ফুরায়। কালো নীল লাল সুখের গান মিলান, দুঃখের গদ্যে কিছু মনের-প্রান জুড়ান। কানাকানি কান কথায়,কবি কান না দেয়, কাননে বসে কান্নায় কথা হয় কবিতায়। কবির-কবিতার জিন্দা ভাষা না ফুরায়, কারণে-অকারণে মন বুঝা বড় দায়, কে চিনে কোন পাগল কার দরজায়। কবিদের কি ? আহাম্মক মনে হয় ভাই, লড়াই না করে মুখে-মুখে,প্রতিবাদ হবে সদা লিখিত কবির কাগজ-কলমে। বলেছিলে ছাপা হবে কবিতা দশ, ছেপে দিলে অন্তপর কবিতা আট। কবির স্বপ্ন ঘুম,পারে কে দেখি ভাঙ্গাতে

নামিদামি -

ছবি
নামিদামি - ============= মোঃ রহমত আলী ============= আমি নিজেই এক জঙ্গল, কেমনে হবে কর্ম পূর্ণ মঙ্গল, ঘাড়ে নেই আর অতীতের লাঙ্গল, পঙ্খী নাহি হাকে আর কাকতাড়ুয়া। এখন নব যুগের আওয়াজ, কিছু উদাহরণ উন্মাদ উচ্ছৃঙ্খল, একে-ওকে ডাক ঘৃণ্য বিশৃঙ্খল। আলোর মাঝেই লুকায়িত অন্ধকার, আবার আঁধার থেকেই বেরিয়ে আসে, নতুন এক রোজ আলোক আলো। দাম আছে যার, মান কত তার, মতের মতামত কে করে যত্নে গ্রহণ। গুরুর আগে শিষ্য দৌড় দেয় যেমন, গর্তে পড়ে বাপ ডাকে বাপু তেমন। আমি এক নিজেই কলঙ্ক মায়ায়, জীবন চলছে ধোঁকায়-ধোঁয়ায়। তুলে কে কার, বোঝার বিন্দু ভার, বোধে-নির্বোধ সেজে দেখে, বসে হেসে-হেসে মজা তামাশায়। কান পেতে রই আমি,শুনতে পাই যদি আওয়াজ কভু মমতায়। সাধের আহ্লাদ আর ধরে না আবদার, অকারণ কে কারণ বানিয়ে, করি কারো কে কার উপকার। আমার এখন সময় নেই, বলে যে জন যাকে,সে আবার কখনো হয় বা তো কারো অপেক্ষায় পথ চেয়ে থাকে। সবাই নামি,তবে ভাবো তো দেখি, কে কত আর মূল দামি ? ১৩.০৩.২০২৩

মুখ-মুখোশ -

ছবি
মুখ-মুখোশ - ============= মোঃ রহমত আলী ============= বন্ধুর ঠিকানায় দুশমন দাঁড়িয়ে, দুর্বলের বদনে শক্তের আঘাত। ব্যভিচারের প্রতিবাদ সুষম ব্যবহার, বর্ণ ছাড়া করি সবে খামোশ প্রতিকার। থাকিবেনাকো সদা আর দুর্দিন চিত্র, আল্লাহ মোদের একমাত্র পরম মিত্র। অন্যায় হবে একদিন পদতলে নিমজ্জিত, ন্যায়পরায়ণ জাগিবে হয়ে উজ্জীবিত। জনাব জালিম আছে যারা খবিশ, সত্য-প্রমাণে তারা জ্বলিবে বিষে-বিষ। খুবই দুর্বল তাইতো সদা মুখে-মুখোশ, হার মানার ভয়ে মিথ্যুক রোজ বেহুশ। বন্ধুত্বের দুশমন শেষমেশ বন্ধু'ই হলে, ন্যায়-অন্যায়ের জবাব দিতে-নিতে, বিনিময়ের আপোষ না হয় অত্যাচারে। দুঃসাধ্য যেমন করে ছিলেম সবে সাধ্য, পরাজিত হয়েও আবার জাগা-জাগ্রত। আগে যেতে দাও ভিখারির থালা, পিছে জমিদারের হাত শক্ত শিকলে, ফকিরের পায়ে-পায়ে মজবুতি বাঁধা। শিক্ষা বিবেকের ছিলে বড় দরকার, কানার দরবারে মাঙ্গে বোবা বিচার, বধির লিখে দেয় রায়ের এক অস্কুট, এখানেই শেষ জোর যার কার ভিখবেশ।               ১০.০৩.২০২৩

অবান্তর -

ছবি
অবান্তর - ======== মোঃ রহমত আলী ============= সাঁঝের মাঝে এ এক অন্য সাজ, সাধের অপূর্ণ রাজ স্বপনের ভাজ। গোলাপের খুশবু করে যে আঘাত, কাটা বিধিলে ও সে করেনা কর্ণপাত। নেই দুয়ার খোলা আর সাধ্যের, সেই অপরূপ প্রভাতের প্রভাত। চামাড়ের চামচ দিয়ে শিয়ালের জাল রাক্ষসের পিপাসায় দরিদ্রের আঁখিজল। রাতের গভীর অন্ধকারে লুকানো, কত শতক চুপচাপ গোপন রাজ। কে জানে কার কান্না কেন কেমন, প্রজাপতির মুখ হতে,দানা কেড়ে নেয়,চতুর চামচিকা ছলেবলে যেমন। ঘর পোড়া মৌমাছির আর্তনাদ, শুনে এখন আর কোন কানন। সাজ সাজ সজ্জার মাঝে এক সাঁঝ, অগণিত মুকুল ঝরে ঝরা ঝার। ছল,বল,কল,কালো কৌশল, এই তো কি দারুণ সাজে-সজ্জিত, রোজদিন মৃত মনুষ্যত্বের জিন্দাবাজার। প্রশ্ন অবান্তর তবু জানান দেয় উত্তর, কে কার কার অন্তর,কত আর সুন্দর। আছেন জনে -ক চার, এক মোরগ বারংবার করিতে চায় হারাম ; হালাল। ০৭.০৩.২০২৩

এক ধাপ এগিয়ে

ছবি
এক ধাপ এগিয়ে ============= মোঃ রহমত আলী ============= এক ধাপ এগিয়ে তবু আমি যাই কেন পিছিয়ে। দৌড়ে যাই আমি সবার আগে তবু পিছু ফিরে দেখি আমি, আছি একাই সবার পিছে। এক ধাপ এগিয়ে জীবনযাত্রা কমিয়ে,শুধুই বয়স আমার যাই বাড়িয়ে। তবুও পিছু দেখি আমি, আমি একাকী পিছিয়ে। এক ধাপ এগিয়ে মরণে গিয়েছি আমি পচে। তবুও আছি আমি বেঁচে, স্মৃতির ইতিহাসে হামেশা এক ধাপ এগিয়ে। জীবনের ধাপে ধাপে, কমেছে শুধুই বয়স। এক ধাপ এগিয়ে,চলেছে একা,এক এক পাপের বছর। একধাপ এগিয়ে ও আমি হামেশা হেরেছি, নিয়তির দরবারে হামিসা এক ধাপ পিছিয়ে। ২৫.০১.২০০৪

মজলুম সাঁই -

ছবি
মজলুম সাঁই - ============= মোঃ রহমত আলী ============= চলে কলম বনে লিখে তরবারি, সাক্ষী হার জয়ের উজ্জ্বল  টুকরো কাগজ খানি। আঘাতের ক্ষতে ব্যথিত বেত, আঘাতকারী দুশমন আজি, ছিলে যে কভু সে বন্ধু মোর বেশ। বদনামের বদলায় করছে সে হামারি নামের নাম। জীবন যুদ্ধে হেরে আমি গাই তার জয়ের জয় গান। বলে লেখা কাগজের অতীত কথা, কাটাকাটি তে ফুরায় শিহাই সবটা। ভুলে বাঁধন গেল খুলে, কলমের সব দোষ গুনে। দরকারে'র দরবারি,দোয়া করে কে কারি,কাজী ও রাজি। কুনামের মান রটিলো সুনামের ঊর্ধ্বে, জিন্দা দিল জালিম সর্ব ফুলেল স্বর্গে,  মজলুম সাঁই সব জুলুমের গভীর গর্তে। হলে হবে আর এ শেষ কবে কি ? কানুন কিনুন একমুখী শান্ত। ভেঙে খাঁচা উড়ে পাখি স্বাধীন, সুখে যদি সমুদয় সত্য লিখতো। শঙ্খ শখের আজও বন্দি দুঃখের, নিয়মের কবুল করেনি কোকিল। ভণ্ডের ভক্ত বহু ভরপুর, শালিকের ঘরে শকুনের সুখ। মজলুম চিনে জেনে যুগে যুগ, জুলুম চলে রাতদিন চৌদিক, মহা সবুরের শেষে ইনসাফ ঠিক ! ০৩.০৩.২০২৩

হালচাল -

ছবি
হালচাল - ========= মোঃ রহমত আলী =============== চোর বলে জোর গলায় চুপ, গৃহী শুনে বাধ্য বলদ ছুপ। নতুন নতুন কতক রূপের-রূপ, ঘুষের সাথে সুদের শোধ-বোধ। নিরীহ জনে সব চাপে খামোশ, এ আবার কেমন নব যুগের-যোগ। দামের বাজার কার নাগাল, তর্ক শেষে নেই কেনার মাল। ধন্য-ধনীর খুব বেশি খারাপ হাল, মধ্যবিত্তের যায় দিনের মান। গরিবের হলেও চলে নামের! শুকনো-রুটি আর ভর্তা-ভাত। ডাকুর ব্যবসার এখন ধুম, কৃষক-ফলন বেচে বসে ধুর। ওজন নব্য পাল্লায় কম-করে, শরম নাই অর্থদণ্ড গুণে। সুদ-ঘুষের চালা ঘরের, আরাম এই সুখের ঘুমের, আখেরাতের খবর গুম। পাতায় পাতায় সবই লেখা পরিনাম সবার অপেক্ষায়। রাজা প্রজার এক কাতার ইনসাফ খোদার দূরে কোথায় সবার হবে সমান শেষ বিচার । ০৩.০৩.২০২৩