পোস্টগুলি

পথ হারা পথিক !

ছবি
পথ হারা পথিক ! =============== মোঃ রহমত আলী =============== পথ হারা পথিক এক ! একাই চলছে দিগ্বিদিক পচা অতীত সঙ্গী করে, খুঁজছে এক নতুন মঞ্জিল। খুঁজিতে খুঁজিতে সীমান্ত, পথ হারা পথিক আজ বড্ড একা ক্লান্ত। বইয়ের পাতা পাল্টে-পাল্টে পথিক সেই পড়ে গেলো গভীর সু-দুঃখের খালটি-তে, খালি-খালি সে দেয় গালি, আঁধারের গলিতে আর দেয় সে শুধুই গড়া-গড়ি, ভীষণ গরিব বেচারা সে পথিক,শূন্য আছে তার কামিজের পকেট ! পয়সা নেই তার কাছে আর হেঁটে-ই চলেছে তাই সে ঠিকানায় তার,তবুও পথের পথিককে ফিরালে-নে-পথ, সাহারা দিচ্ছে সারা - পুরাতন নাজারা-র নাজাকাত। হারিয়ে পথ খুঁজে পথিক, কোথায় আছে তার ঠিকানা সঠিক। সবই তো ঠিক-ঠিক, তবু কেন হারিয়ে ফেলিলে ঠিকানা সে পথিক, হারানো পথের বাঁকে,ছায়া নটে একটু দাঁড়িয়ে থাকে,আর থমকে থাকা নিজ ছায়াকে বলে হেসোনা ভাই তুমি আর ! আমি আর তুমি একই পথের পথ হারা পথিক । ২৬.০৬.২০০৭

"বঞ্চিত'জনতা'কণ্ঠ"

ছবি
"বঞ্চিত'জনতা'কণ্ঠ" =============== মোঃ রহমত আলী =============== আমি ঐ কন্ঠ ! যে কন্ঠ ! বঞ্চিত ভাষার উত্থান। আমি ঐ জনতার আওয়াজ, যে সব জনতা গঞ্চিত ইতিহাস, যাদের আওয়াজ আজও তুলে-নি কোন ইতিহাস, আমি হতে চাই ঐ সব জনতার আওয়াজ যাদের কন্ঠ বঞ্চিত শব্দ। সাক্ষী আজও ইতিহাস বঞ্চিত জনতা কণ্ঠ  গুমরে করে প্রতিবাদ, ভাবন(স্রষ্টা)-তরে দেয় আওয়াজ মানবতার জন্য প্রতীত -তান। সাধারণ জনতার বঞ্চিত কন্ঠ ভব-তরে দেয় পুকার অন্যায়ের বিরুদ্ধে ন্যায় বিচার চায় ভাবন-তার রায়। আকাশ ভারী ! আজ জামিন ভারী ! ভারী বাতাস বহে, বে-মানবতার হিসাব চাহে গুমরে বঞ্চিত স্বরে ! ===২৩-১০-২০০২===

বঞ্চিত অধিকার -

ছবি
বঞ্চিত অধিকার - ===================== মোঃ রহমত আলী ===================== সংসারে সবই আছে মোর, আমি শুধু হতে- পারলুম না কারো আপন। বঞ্চিত আমি পারিবারিক সমাজে কলুষিত অধিকারে, সকলের সনে-সনে তুচ্ছ করিয়াছে আমোরে সামাজিক রীতি, বঞ্চিত অধিকার রয়েছে আমোর পরিবারে বন্দী। এককালে মোর ক্ষুধার্ত দেহ, অসহায় পরিণাতে এ ভবে ঘুরছিল আশাবাদে। কেহ! নাহি দিলো তবে সাহসা মোরে আপামনে। এক শিশু মোর পরিণত শুনে অনুভূতি দিলে মানবতার বন্ধুরে। আর সবে বন্ধু আমা মশকরা করি-লো পরিণাত আমা, তামাশা করে হেয়ালিতায় সাজাই-লো আমা মাজবুরি, এইতো বঞ্চিত অধিকার। ণা-কী ! ===১৮-১২-২০০২===

এক-পাগলা-ফকির !

ছবি
এক- পাগলা -ফকির ! =============== মোঃ রহমত আলী =============== আসছে চলে পূর্ব হতে, হাঁটি-হাঁটি পায়ে-পায়ে, ছেঁড়া চটের জামা গায়ে। খুশবু সু-দুর্গন্ধের ছড়ায়-ছড়ায় সবে মম দেখছে তাকে অপলক হীন, দৃষ্টিতে দাঁড়ায়-দাঁড়ায়, তাকায়-তাকায়, দুই পায়ের তালু হতে আলতা রঙের ! রক্ত ঝরে, চলছে পথ ছেপে-ছেপে পাগল-পাগল বলছে সবে ঢিল টি ছুড়ে তাহার পিঠে, ঐ দুষ্টু ছেলের দল টি ছুটে তার-ই পাছে। হৈ-হৈ করে জনও সবে সচেতন বলে ! অসহায় কান্ড দেখছে খুব -ই মজা করে, তামাশা ভেবে। চীনা পাগলা নাম তার ! দোয়ার মতোই গাল দেওয়া কাম তার। পয়সা দিলে আর, নেয় না সে, কেড়ে নিবে তাই পকেট হতে। ক্ষুদা পেলে খায় না সে, পিয়াস হলে শুধুই কাঁদে যে ! মাঝে মাঝে ভিক্ষা করে, মন বেশি পাগলা হলে। যাকে তাকে সালাম করে, যেন কেউ না তাকে আর পাগল বলে। মিষ্টি মিষ্টি হাসতে থাকে, নিজের মুখটি নিজের কাছে-ই লুকিয়ে রাখে, হঠাৎ ! একদিন সাহস করে অবুঝ মনে নদী -পথে, চলতে গেলে আঁধার রাতে, উল্টো সাঁতার করবে বলে, তবু কেনই বা কেমন করে, সর্বশেষে ডুব দিলে, তাই এক পাগল হারিয়ে গেলে । ===০২-০৩-২০১০===

বেকার-চরণ" -

ছবি
বেকার-চরণ" - =============== মোঃ রহমত আলী =============== যে কোনও নিঃশ্বাসের নেই তো বন্ধু কোনো বিশ্বাস। এ জীবন পাঠশালায় হয়েছে শিক্ষার অভাব, শরমের দীক্ষায় নাহি মিটে কোন তৃষ্ণা। পিপাসায় যখন সমুদ্র ক্ষান্ত, তখনই মোহনায় জোয়ারের আনন্দ-ন। চরণ সারা জনমের বেকার, তবু উদাহরণ রয়েছে সাজানো হাজার এখন কি এক ! তার -এক আমার, তবেই তো বলা চলে জীবন চরণ বেকার। চশমার আড়ালে এক কালো চোখ, লুকানো রয়েছে যেথায়, হাজারো লক্ষ লোভ। চরণের ছাপ আঁকা আছে যাবার ! পিছনে ফিরিয়া দেখি, কেউ যে আর নেই আমার। যে বন্ধু ছিলে একান্তই আমার তারই চরণ চাদরে ঢাকা পাপের পর্দার। প্রতীক্ষায় ছিলে যবে চরণ যেন না হয় বেকার। তবে বিধাতার নিয়মে-র আগে বা পরে, সবই যে বেকার ! তাই তো আর কি থাকে করার, আশার তরঙ্গে, নিরাশার দীপ জ্বলে, এ কেমন ছলে-ছলে জীবন চলে। এই তো বর্তমান ধরন শত অন্যায়ের পরেও নাহি হয় ন্যায়ের আঙ্গিনায় সত্য সূর্যের উদেয়ন । ===১০-১০-২০১০===

অনলাইন দৈনিক পত্রিকায়

ছবি
"কবি'র'কবিতা" মোঃ রহমত আলী অনলাইন দৈনিক স্বদেশ প্রত্যয়  পত্রিকায় আমার লেখা কবিতা প্রকাশিত স্বদেশ প্রত্যয় পত্রিকার নিউজ👇

"কণ্ঠস্বর" !

ছবি
"কণ্ঠস্বর" ! =============== মোঃ রহমত আলী ==================== তুমি কি ! করে বলো আমি সর্ব মানে পরিপূর্ণ। হয়তো তুমি ধার নিয়েছো কারো পণ্য, নয়তো বুঝি তুমি, চুরি করেছো কারও অন্য। তাহলে তোমরা বড় বড় দানবে, কি করে ! হবে আর ধন্য। কখনো আবার তুমি, এক অসহায় কে ডেকে শুনায়ে দিলে আশা বাণী লম্বা করে, আবার একদা সুযোগ বুঝে হতাশ গ্রস্ত কে করে দেলে কুরবানী। তুমি কি ! ভেবে দেখেছো, কভু অর্থহীন এ সারা তবো এক জীবনের সংগ্রহের সাধন। তবে কেমনে তোমরা, কিছু এক জন-সভে মানবের সনে মানবতার ব্যবহারে করছো বে-ধরন, অভি নামের লাগি তোমরা সবে শুনিলে না শুনেও সেই সব সে, সে, এক-এক বঞ্চিত জনতার হতদরিদ্রোর দরদ। তুমি কি ! শুনেছো কভু  ঐ বোবা কণ্ঠের ক্রন্দন, যাদের স্বর কোন সভ্য করিতে চাহেনা সহজেই শ্রবণ, সমানে-সমান -সমো মানবের কণ্ঠ, তবে কেন ? মানবেতর এক অন্ধকার কাফনে লুকায়িত স্বর অপূর্ণ ! ===২৫-০৫-২০১১===

ঠেকাদার !

ছবি
ঠেকাদার ! ========== মোঃ রহমত আলী =================== বড়ই কঠিন এ যাত্রা আসর জীবন নামক এই নাট্যালয়ে, সহজ সরল চরিত্র এখন সমাপ্তি হবার পালায় প্রায়। সকালবেলা সবার আগে, সত্য বলে শুরু করে,তবু ! বেলা সারা চলে মিথ্যার কাঁধে ভর করে অন্ধকার বর্ণন বলে। বড়ই সহজ ছিলে সে সত্য বেলা, মাতার কোলে নিঃশ্বাস নেওয়া, এখন যে বিষের দীর্ঘশ্বাস ! খুবই কঠিন তার বিশ্বাস, শুরুর আগে শেষ হলে আর এ দুঃখের কাহিনী কে শোনে। বড়ই নাজুক এ জীবন বেলা, যখন তখন হয় শেষ খেলা, তবুও এ মিথ্যের স্বার্থ লোভে একটুও নেই কেহ পিছু হটে। পারেশান সবে নিজ-নিজ, কর্ম তরে ! তারিফ শুধুই,  ওই এক খোদা পাকের লীলা ঘরে'র, আসলে ঠেকাদার, কে ? কার ! বড়ই কঠিন এ জীবন খাতার হিসাব অঙ্ক গুলি খুবই জটিল, তাহলে এ জীবন নামক যাত্রা আসরের চরিত্র, কি করে আর হতে পারে! সত্যের চেয়েও অধিক সঠিক ।   –––১২-১২-২০০৯–––

টোকাই কঙ্কর !

ছবি
টোকাই কঙ্কর ! ‐‐‐‐‐‐‐‐‐‐‐‐‐‐‐‐‐‐‐‐‐‐‐‐‐ মোঃ রহমত আলী ‐‐‐‐‐‐‐‐‐‐‐‐‐‐‐‐‐‐‐‐‐‐‐‐‐‐‐‐‐‐‐‐ বামোন তার নাম, টোকানো টুকিটাকি তার কাম। ছালার একটি ছেঁড়া ব্যাগ, হাতের ভরে ঘাড়ে ঝুলিয়ে চলে, পথে-পথে চলতে-চলতে টোকায় কাগজ আর হাড়ের টুকরা ! এমনই ভাবে এগিয়ে ধীরে ধীরে ব্যস্ত ডাস্টবিনে গিয়ে বসে, টুকাতে থাকে বাছাই করে টাকা একটু বেশি পাবে যাতে। হঠাৎ করে আসলো আবার পৌরসভার ট্রাক, ধমক মেরে তাকে, কেড়ে নিলো জোর করে ব্যাগ সমিত কুড়ানো তার সারা কঙ্কার, ধাক্কা মেরে তাকে আর ডাস্টবিনে ফেলে দিলে পৌর মাতব্বার বললো আবার গাল দিয়ে ডাস্টবিনে'ই তুই পড়ে থাক রে !! বামন আবার ক্ষিপ্ত হয়ে, গায়ের ছেড়া গেঞ্জি খুলে টুকাতে থাকে কেঁদে-কেঁদে ছুটে যাওয়া কংকর, গেঞ্জি আবার ভরে নিলো সে ধীরে ধীরে টুকরো কাঁচের টুকরায়, আচমকা দেখলো সে আঙুল কেটে তার ভীষণ ভাবে রক্ত ঝরছে ! তখন সে জলদি করে ডাস্টবিন কাদা তুলে আঙ্গুলে দিলো চেপে। এবার বামোন চললো আবার, বিক্রি করতে টোকানো তার সম্পৎ । দোকানী এক তাকে ঠগীয়ে  দিল চুরি করা মাল বলে, দামের চেয়েও কম দাম দিলো তাকে, বললো আবার রাগান্বিত স্বরে এ পথে যেন তোকে আর কভু এই পরিণতে না দেখি -রে । তবু

সারাংশ !

ছবি
সারাংশ ! ============ মোঃ রহমত আলী ============ রক্ত ঝরানো এক ভাব-সম্প্রসারণের কঠিন বাক্য হয়ে গেল হারানো ব্যাকরণের, তবে সারাংশ থেকেই সুধানো যেতে পারি সারমর্ম-তার বর্ণনা। রচনা যেথায় বর্ণমালার মাঝে-মাঝে,বিচরণ যবে জামানতবিহীন হরোফের, আচরণে-ই যার সারাংশ নষ্ট, তার বলো কেমন হবে বিচিত্রা। ব্যঞ্জনবর্ণের অভাবে হলে নে জ্ঞান অর্জন তৎসম তাই বলি ! সন্ধি করি যদি সবার সনে। সাধু ভাষা বুঝেনা সে, জীবন ইতিহাসে-র   অঙ্কের ! অঙ্কন, তাই ব্যবহার হলে-নে লিকারের (ঌ) অর্থন।  এখন তো চন্দ্রবিন্দু (৺) - শুধুই কি না উদাহরণ স্বরূপ, তাই মানি-তে হবে কি ! সেই কালের না লেখার -লেখা কোনো রেখা, শব্দের বিপরীত সংঞ্জন খুঁজিলে তবে মনোরঞ্জন বলো আর কেমনে হইবে, তাই সাক্ষীর ! ইতিহাস আজও বুঝি ঘুমায়ে রয়েছে, সজাগ শুধুই এ প্রহর নিশীথে বইয়ের পাতায়-পাতায় বন্দি ঐ সে ব্যাকরণের সারাংশ ! ১৪.১০.২০০৮

গাঁঠরি কম্বল পাটি -

ছবি
গাঁঠরি কম্বল পাটি – ================ মোঃ রহমত আলী ================ সারাবেলা ঘুরে-ঘুরে,  এ দ্বার ও দ্বার ভিক্ষা চেয়ে, পেল যে পাঁচ টাকা খয়রাত, সেই পয়সায় পেট নাহি ভরে, করলো নেশা মন খুলে, নেশায় ঢুলে-ঢুলে পথে আবার ভিক্ষা চাইতে থাকে। এক বাড়িতে ভাত চেয়ে সে ! পাই-লো কটি শুকনো রুটি, তাই খেলো সে জলে ডুবিয়ে, ঢেকুর একটা দিলো কশে, বললো আবার দীর্ঘশ্বাসে খোদা তোমার শুকরিয়া করি খাওয়াই-লে আমায় রুটি খানি। গাঁঠরি, কম্বল, পাটি, হাতে বসলো এসে বটের নিচে, বিছালো আগে পাটি খানি, গাঁঠুরি টাকে শিথান বানালো, ধীরে বদন লুটিয়ে দিল, মাটির কোলে আরাম করে ছেঁড়া কম্বলে ঢেকে নিলো পাপী বদন নিজখানা ! মাওলা জিকির করতে-করতে ঘুমিয়ে গেল রাতের বুকে, হঠাৎ করে স্বপ্ন ঘোরে মৃত্যু বরণ করলো শেষে ॥ ===১৩/০৫/২০০২===

দীর্ঘণীশয় –

ছবি
দীর্ঘণীশয় ============ মোঃ রহমত আলী ================== দীর্ঘণীশয় তে ও আছে বুঝি লুকিয়ে কারো কোন বিষয়। বর্ণনা চাইতে গেলে ও সে দেয় আর একবার গভীর নিশয়। মনের দুখের এই নির্মম  যন্ত্রণাময় বর্ণনা কাউকে বুঝায়ে যায় না' গো' বলা। বন্ধু যবে বেঈমান,তবে দীর্ঘণীশয়  কি আর করিবে কোন এহসান। দীর্ঘ, দীর্ঘ, আয়ু আর নয় নিশয় গহির মাঝে কি ? লুকানো শুধুই বিষের বিষয়। এখন তো আর বিশ্বাস নাহি করে রঙ্গের উপর রংধনু। তবু আজও জোয়ার ভাটার নদে নেই কোন কমি। কোলাহলের বর্বর অরণ্যে যায়না শুনেও শুনা, সততার সত্য আকুতি। তাই তো দীর্ঘণীশয় হতাশায়, কহে উঠে বারোবার,মম কুঞ্জের দেখেছো কি বেহাল দশা। এক কান শ্রবণে শূন্য, এক চোখ দিবালয়ে ও আলোতে অন্ধ,কণ্ঠ গুলো কেন যেন ন্যায়ের আওয়াজ দিতে নিস্তব্ধ-তাই কি?অনুভবে পাওয়া যায় যে,দীর্ঘণীশয় হতে হৃদয় পোড়ার গন্ধাঁন্য।  ১১.০৭.২০১৩

নিয়তির নির্মম মিষ্টি হাসি-

ছবি
নিয়তির নির্মম মিষ্টি হাসি ‐ ===================== মোঃ রহমত আলী ===================== কাননে কেন ! হে কাঁদে কোকিল গ্রহণে কেন গগন রঙিন, সুখের বৃন্দাবনে আজ কেন গো বন্ধু বসন্তের অমিল। অশ্রু-ধারায় এ কেমন সারগাম শ্রাবণের সাথে কোথায় যেন মিল তার। উদাসীন বর্ণমালা লুকানো কেন ! বইয়ের পাতার গভীরে, তাই কি ফুল ফুটে মূর্ছায়ে যায় নিমিষেই। আবার কাঁদে কেন ! কাকের ছানা, দুঃখ এল কোথা হতে ভেসে দূর অজানা। এইতো নিয়তির নির্মম মিষ্টিময় হাসি-কান্না। ভাগ্যের লিখনীর কাছে হেরে-যায়, জিতে গিয়েও গঠনকৃত সেই কাকের বাসা,যেথায় প্রেম ভাসে, মরা গাছের শুকনো পাতা। কাঁদে কেন ! আবার সেই শিকারী তীর মেরে শেষে পাখিটির বাড়ি। ধরতে পারেনি যবে ধনুকের নিশানা,  তবে কি ? ধমকেই কি ! উড়ে যাবে, ভিটা ছেড়ে কোকিল বাছা যারা। এই তো কভু-কভু আবহাওয়ার নির্মম-ধারা পাগলা হাওয়ার বেগে একটু নড়ে চড়ে যায়, ছোট্ট ঢুনি পাখির পাকা ঘর বাসা। ০৯-০৯-২০০৯

করুণ কান্না ‐

ছবি
করুণ কান্না  - =============== মোঃ রহমত আলী =============== কেউ দুঃখে কাঁদে, কেউ সুখে কাঁদে, তবে করুণ কান্না,  সবার'ই সাথে থাকে।  অনেক দিনের কোনও  এক জমানো বেদনা, ণয়ণ বালী হয়ে এক'দিন করুণ কান্না'য় ভেঙ্গে ভেঙ্গে লুটায়। কান্না লয়ে শুরু,  আর শেষ,মাঝে রয়  কিছু কিছু খেল, পুরনো শত ব্যথায়'  কারো মন বারী বায়, কারো কারো আঁখি  আবার যমুনা হয়ে যায়।  অশ্রু শিক্তো ণয়ণে ভেজা ভেজা পলকে, সুখ বলিলে দুঃখ' কে-আল'বিদা। করুন কান্নায় কাঁদে,  আর তার জীবনধারা। কাঁদিয়া কাঁদিয়া শেষ  রাতেও ঘুমায় কেহ  বুঝি আমার'ই মতো। ২০.০৭.২০০৫

"অন্ধ'চোখে'পানি"

ছবি
"অন্ধ চোখে পানি" ================ মোঃ রহমত আলী ==================== যার জন্য কাঁদে, মনের গভীরে লুকানো আর-এক-মন-সেই, নোনা জলে, ডুবা চোখে মারে বাদামি লেবুর নিংড়ানো রশ। ছলো-ছলো চোখো পাতায়, দেখা যায় খুব সহজেই ঝড়ছে অঝোরে মনের ব্যথায়। বর্ণ বালীর এ কেমন রং অন্তর পুড়ে ছাই হলে সুভাষ পায় যেমন গান্ধ। গর্ব করে ধন্য হলে ঝরাতে  পেরে আকাঙ্ক্ষিত সম্পর্ণ্য, সাধন ভেঙ্গে, অন্ধ চোখে পানি, নয়নে বারি এ ঝরছে কারি, তবে কে! আছো তারি মুছাতে পারি। অন্ধ আঁখি পানে ও কি! থাকে, লুকাইতো এক দৃষ্টি পরশমণী'র। তবে ক্রন্দন কেন হে, অযাচিত কোন দুঃখের আয়নায়। কুলষিত প্রেম বাগে একি! হলো হায়রে,অন্ধ চোখে পানি ঝরে যে, বোবা পানি কহে রে কত কথা, ভুলে যেতে কয়, স্বপ্ন ভাঙ্গা স্বপনে'র কথা, সাজিয়ে রাখি তবু আমি অন্ধের সামনে আয়না । ===০১/০৯/২০১১===

প্রমাণ –

ছবি
প্রমাণ - ============= মোঃ রহমত আলী =================== মিথ্যার বুনিয়াদে তৈয়ার হয়  হাজারো হাজার প্রমাণ।  তবে বন্ধু সত্যের হয় না  বুঝি কোনো প্রমাণ।  তবে তাই সত্যর প্রমাণ একটাই, মনের গভীর বিশ্বাস।  নিঃশ্বাস যেথায় মিথ্যার,  সেথায় বিশ্বাস কি করে,  আর হয় শিক্ষার। দেখেছি খেলা এ দুনিয়ার  নাটকীয় রঙ্গমঞ্চে! মিথ্যার লীলা, মিথ্যার তরী,  বেয়ে ভেসে ভেসে পেয়ে যায়  অনেকেই তড়িঝড়ি দুর্বল কিনারা। তবে সত্যবাদী সত্য বলে কি পায়,  আর কতটুকু সাহারা,  প্রমাণ চায় সততা সত্যের, সত্যির অনুসন্ধানের। তাহলে দুর্বল কখন  আর হয় বন্ধু মিথ্যার পায়মানা। পবিত্র এক সত্য-প্রমাণ কি? তার অন্ধ,আঁধারে লুকানো  এক টুকরো আলোর কণিকা,  দৃষ্টি নেই যার সততা'র,  দেখবে কি ? করে আর,  সেই প্রমাণ অজান্তী'র নীলিমায়।  মনের পঙ্খী উড়ে যাবে যবে,  সত্যের সীমানায়, তবেই  প্রমাণ সাজিয়ে রেখো,  তোমরা সবে মিথ্যের পিঞ্জরায়। ১.১২.২০০৯

"সচেতনে'অচেতন"

ছবি
"সচেতনে'অচেতন" ============== মোঃ রহমত আলী ============== প্রহরে প্রহরে যারা, রহিতে চাহে সম্মানে, প্রহরী কে সুধায় গাহো শুধু জয় গান হামারে, কাঁপিছে কেন-হে  কভূ'কভূ এ মায়াময় ধমণী ! চিন্তা করো হে – একটু বেপর্দা রমণী। দুয়ারে পালকি প্রতিকাল-ই যায়ছে লয়ে চিরবিদায়-ঈ ! এখনো কেনো বন্ধু চেতনে সবে অচেতন। কাল তো আসিবে না আর, ভুল যে করছো নতুন করে আবার, হাসিবে আমোরি কর্ম আমা পানে আমারে, লুকিয়ে রাখিবে – যেথে (কবর) সবে আমোরে। নকল কে আসল বলিয়া করছো ব্যবসা সমানে, কে ঠগীলে বলো-তো বাহে , দিয়াছিলে যবে ওজন কমায়ে। করছো দেখি আবার ইবাদাত মালিক'পাকের, দোহাই শুনিলে'নে বোঝো একটুও ঈমানের। মোমিন এর দোকানে মূর্তি কেনো সাজায়ে রেখেছো নতুন পোশাকে। ঈমান এর সওদাগরি  করোনা হে শাহী, এইতো সে কালে ও হয়ে ছিলে কারবার, তবে ছিলে নে  তখন কোনো মূর্তির দরকার। দরবারে দরবারে শুধুই দাদাগিরি মানবতা-কে দাবায় করছি মোরা বে'মানবতার দরবারী। তবে কি ভাই এই ছিলে দরকারি, নয়তো কি আমাল গুলি তোমার-আমার যায় যেথায় যাক।  আজ কেনো বেহুঁশ মোরা, কাল যবে অন্ধোঁকারে কাঁদিলে কী মিলাইবে মুক্তি! তাই বলি, শাণ (বিল

"মহাশয়"

ছবি
"মহাশয়" ≈≈≈≈≈≈≈≈≈≈≈≈≈≈≈≈ মোঃ রহমত আলী ≈≈≈≈≈≈≈≈≈≈≈≈≈≈≈≈ সহিলে মহাশয়, না সহিলে কিছু নাহি শয়,  দুঃখ শয় তো সুখ নাহি শয়,  সুখ শহিলে দুঃখ নাহি রয়।  তবে সুখ সুযোগ বুঝে সরে যায়,  দুঃখ সে তো অতি আপন  সবার'ই সাথে সাথে কিছু তো রয়,  সুখ কহে আমি নহে, তোমাদের অনন্তকাল। দুঃখ সে তো তোমার হামেশা  রবে একটু একটু চিরকাল।  মহাশই কজনেই মশাই,  সুখেরই গুন সারাকাল গাই,  তবুও নিরবে নিরবে  দুঃখ'কে পুষে যাই। যে যতটুকু পারে শইতে,  বিধাতা ঠিক ততটুকুই দিয়াছেন,  লিখে তার লিপিতে।  তবে মিছে'ই গীবত করি আমরা  সুখ আর দুঃখের,  দোষ খুঁজি না কেন ? আমোরা সবে নিজ নিজ নিজেদের, মহাশয় হয়ে আমরা শইতে  পারি সবই,একটু একটু  সবুর করি যদি,  শইতে, শইতে, শইবে সবই, কর্ম তরে দুই জাহানে  ইনসাফ যাই হবি,  মশয় যদি মহা নাহি শয়, তবে বলো তাকে আর কে বা বুঝায়। ======০১.০৮.২০০৫======

ঘাশঁফুল –

ছবি
🌿ঘাসফুল🌿 ============= মোঃরহমতআলী ============= আমি এক ঘাসফুল, দুঃখ কে জয় করেছি কষ্টকে সর্বদাই বন্ধু ভেবেছি, চোখের জলকে সারাব বানিয়ে পান করেছি। প্রিয়তমার ছলনাকে সত্য ভালোবাসা ভাবি তাই। আমি আশার প্রদীপ নিভায়ে দিয়ে,নিরাশার অন্ধকারে বসত করি-আমি জীবনের শতক হতাশা কে আশাবাদী চিরাগ বানায়ে রেখেছি। আমি ভালোবাসার হাজারো হাজার বেদনা কে হৃদয় কোনে দাফনায়ে দিয়াছি। আমি এক ঘাসফুল, আমার জন্ম হওয়াটাই ভুল সবারই পদতলে আমায় সুস্বাগতম মিলে,হাজারো সু'সুন্দর ফুলের মাঝে, কি আর মূল্য আমার বলো। পদ্ম ফুলের মূল্য আছে, গদ্য লিখে কবি রাখে। আমি এক ঘাসফুল আমার তবে কি কোনো মূল্যায়ন আছে। আমি সারাকাল'ই অবহেলিত পদতলেই সহি মর্যাদা পাই,তবু আমি ঘাসফুল হয়েই ধন্য-আমা প্রিয়ার ছলনা প্রয়াসেই মগন্য । ১৪.০৭.২০০৫