পোস্টগুলি

হাবুডুবু -

ছবি
হাবুডুবু - ============ মোঃ রহমত আলী ============ চল হাবু ডুবু, ছল ছল জল। চায়ে চিনি কম, দুধে ভরা জল। দেশি ডিম শেষ, গোস্ত দামে বেস। জাল চালে জেলে মাছ মিলে নারে। শাক পাতা চাষ, পানে চুন খাস। বেচা কেনা শেষ, দামা দামি রেশ। শোধ বিল বিদ্যুৎ, নাই আলো অদ্ভুত। পানি কিনে পান, দুই নাও পাড়। ঝোপ বুঝে কোপ, লাভ বেশি লস। হাবু - ডুবু - বুবু , কুলি বোঝা তুলি। রেল সিট চাই, দেখি মেম নাই। খোকা বড় বাপ, খাপ মিলে থাক ॥ ১২.০৪.২০২৩

মহাওষুধ

ছবি
মহাওষুধ  ============ মোঃ রহমত আলী ============ অসুস্থ আজ সমাজের সামাজিকতা,  বড্ড পীড়ায় কাতর মন-মানসিকতা। উদাহরণ তো লক্ষ শত কোটি তার, কোথা হতে শুরু করি বুঝিনা আর। সবাই তো মানবিক তবে আজ হারানো, কোথায় সবার মানবতার-মানসিকতা। রোগা হয়ে আছে সহজ-সহযোগিতা, নেই মানসিক সৎ সৎ সব প্রতিযোগিতা। জটিল রোগে আক্রান্ত উপকারিতা, সাহায্য প্রার্থী ও কজনে ছলোনিকা। অবিশ্বাসে ক্ষতবিক্ষত এখন মানবতা, ব্যর্থ প্রমাণে চিকিৎসা দিতে অপারগতা। আক্রান্ত অনেকেই স্বার্থের ব্যধিতে, নিজ জঘন্য নিচু মানসিকতায়, হাসিল করতে সম্পদ,রক্তের কেটে বন্ধন, পাঠিয়ে দিলে ক্ষমতার কুজ্ঞানে, আহত মস্তিষ্কের মানসিক পাগল বলে, বন্দী করাইলে পাশবিক নির্যাতনের, মানবিক-অমানবিক পাগলাগারদে। মনুষ্যত্ব হচ্ছে আজি বিক্রয় সস্তায়, ডাক্তার কবিরাজ ওঝা,কেউ কি সোজা। ভাগিদার সবাই তো দেখি কড়ি গুনিবার, দায় কোথাও কী আছে -কি নেই কারো, প্রতিবেশীর-প্রতি মানবিক-মানবিকতার। উদার ভাষ্য নেই বলো কার ! তবু দেখি নাতো যা দেখানোর দরকার। মূল্যবোধ হতে বোধগম্য পড়ে আছে, সব গভীর জানোবিক গর্তের গর্ভে। নিকর্মা খুঁজে পেল কর্ম মানবতার জন্য, দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন যেন অবহেলা করলো।

কাক ডাকা কাল

ছবি
কাক ডাকা কাল ============ মোঃ রহমত আলী ============ ছায়া মায়া ছাড়া, সাথি আজ হারা। পথ নেই দাঁড়া, পাখি মারে কারা। কথা পাকা যার, জয় মালা তার। হার জিত শেষ, রাত জাগা বেশ। মন মাঝে বোঝা, মধু বন সাজা। সুখ দুঃখ ব্যথা, ফুল মালা গাথা। কাক ডাকে কাকা, শেষ মেলা ফাঁকা। যায় দিন একা, ভান ধরে বোকা। ভাই যার বেকা, ভাগ সব ধোঁকা। পাতা খায় পাঠা, গাধা হাত মাথা। মন মাখা মাঠা, সোজা কাজ দেখা। মায়া মোর জাদা, রাগ তাই সদা। মায়া ছায়া ছাড়, কে কার জান। কথা আর কাজ, মিল করা চান। রাত শেষে দিন, সুখ খুঁজে নিন। মাঠে ঘাটে হাট, খেলা খেলে ঠগ। নিজ মনে রাজা, কার মানি বাঁধা। দোষ গুণ ভরা, ক্ষমা চাই সদা। ধর নিজু ছায়া, পাপ করা ছাড়া। ঝুট নাহি নামী, সত্য বড় দামী। সুদ ছেড়ে দেন, ঘুষ নাহি নেন। দোয়া চেয়ে পান, রোজ করে দান। ছল বল কল, সব ভুলে চল। আমি তুমি এসে, দিন কম শেষে ॥ ০৭.০৪.২০২৩

রসুন -

ছবি
রসুন - ============= মোঃ রহমত আলী ============= রেশন দেওয়া-নেওয়া রসিকতা, রশি ধরে দৌড় চলে,ঠেলাগাড়ির পিছ-পিছ,উচ্চ মনিব নিচ-নিচ। গোড়া সব একই গীড়ায় মিলায়, গরিব মারার ফন্দি পাত-পাতায়, হিসাব লিখে লুটের খাতায়-সাজায়। চোর-ডাকাতের রোজ কোলাকুলি, যে ধরার,সে হাসছে দূর মজাক-করে। কার দাবড়ে কে যে তবে আহা ! কি? মাইর খেলো শেষে ভুখা পেটে। গীঠায় গীড়ায় শক্ত কঠিন মিল তার, কাঁঠাল-আঠার বেশি রসুন বিপদ কার ? পচালো রসুনে সবজি বাজার, সাধ্য কার কিনে নতুন খাবার, প্রতিবাদ করলেই আছে খবর, সব দাদার জেব ভরা নেক আমল। ঠুয়ার মাল কেজিতে বেচেন, রাজার চালচলনে ফুটপাতে কামান। হিসাব-নিকাশ একটু সবাই-মিলান,  ঠকায়ে-ঠগী তবে কে ? না সমান-সমান। রসুনের কোয়া সব এক মতামত, লুটপাট সমান্তরাল শেষ বরাবর। শকুন-রসুন মিল তালে-তাল, শস্য-লুটে ভাগে,ভাগে,ভাগ করে খান ॥ রসায়ন যত বড়াই শুধায় রসুন-রসুনের, কশুর তামাম সব বোবা জবানের। হালাল মাংস খায় কম শকুনের দল, হারাম ভক্ষণ কেড়ে-কেড়ে সারাক্ষণ। গরুর হাট হতে নদীর ঘাট, রেল স্টেশন -টু- বাস স্ট্যান্ড, হাসপাতাল থেকে গোরস্থান,  পাসপোর্ট ভিসা লাইসেন্স চান, ভাতা কার্ড হয় বা নিবন্ধন করান, সব

নামমাত্র !

ছবি
নামমাত্র ! ============ মোঃ রহমত আলী ============ লেখার এখন লিখি নাই। বলার মতোন কন্ঠ নাই। প্রেমের কোন পত্র নাই। কথার কোন কথাই নাই। মতের যেন শেষ নাই। মতামতের উপায় নাই। মদত করার কেউ নাই। মিছে আশ্বাস দরকার নাই। আওয়াজ দেওয়ার ভাষা নাই। শব্দ শুনে বোবার বুলি নাই। দেখার অনেক দেখি নাই। পাবার আশা ছাড়ি নাই। লেখালেখি বন্ধ নাই। বই বিক্রির খবর নাই। ধোঁকাবাজের অভাব নাই। কদরদানের কমতি নাই। কম পয়সায় শিক্ষা নাই। বিনামূল্যে চিকিৎসা নাই। অশান্তি সবার শান্তি নাই। মিথ্যা বলে,সত্যের বিশ্বাস নাই। আবেগ-বিবেক কার নাই। বিচার কাজীর কেন সমান নাই। ঘুষ ছাড়া কোনো কাজ নাই। আখেরাত কারো দূরে নাই। ৩১.০৩.২০২৩

উপায় !

ছবি
উপায় ! ============= মোঃ রহমত আলী ============= কোথায় কবি, কোথায় কবিতা, কোথায় আমার প্রথম প্রেমের ছবিটা। কোথায় সাগর, কোথায় নদীর ঢেউ, কোথায় জীবন যোদ্ধার আনন্দী কেউ। কোথায় রতন, কোথায় পাথর পথ, কোথায় যতনে গোছানো বৈকালী শখ। কোথায় কাজল, কোথায় নয়ন জল, কোথায় সুখের হারানো সারাক্ষণ। কোথায় মানিক, কোথায় খোকন, কোথায় সব বাল্যবন্ধু জন পুরাতন। কোথায় আতর, কোথায় গোলাপ, কোথায় আসল মানুষ দুধের মাখন। কোথায় হালাল, কেমন হারাম জানান, কোথায় ইনসাফ কাজী করেন চালান। কোথায় রসিক নামাজ পড়ে পড়ান, কোথায় আছে ঈমান ইমাম দাঁড়ান। কোথায় হুকুম পালন, করি সব আমি, কোথায় যাবার, কোথায় যাই না-জানি। কোথায় মুসাফির, কোথায় গোলাম, কোথায় মনিব সেই খানদানী। কোথায় বাগ-বাগান, সেই মল্লিকা-র, কোথায় নির্দোষ যে হয়েছিল হয়রান। কোথায় উপকার, কোথায় ক্ষমা চান, কোথায় শিকারির হয় শেষ স্বীকার ॥ ৩০.০৩.২০২৩

আক্ষেপ !

ছবি
আক্ষেপ ! ============= মোঃ রহমত আলী ============= মোরা এই আছি এই নাই নাট্যালয়ে, তবু বেঁচে আছি, কত কি কষ্ট লয়ে। সংগ্রামী কেউ দুনিয়ার, কেউ বা আখেরাতের। আবার উভচর অনেকে, খয়রাতি দো হাতের। মনোবল বড় বীর, হুশ এলে হাল ধর, চালচলন ঠিক কর। দুই পলকে গড়মিল, জবাবে কেমন ফাকফোকর। চেয়েছিলাম তবে যা, পাওয়া হলো না তা। রটে ছিলে যা বটে, সবটা'ই কি তা ঘটে। মানে না তো মন তবু, নিতে হয় মেনে হালত। উপযোগী যা অনুপযোগী, একদিন হয়ে যায় তা। ধুপ ছায়া'র এ মেলায়, ঘুরে-ঘুরে পথ শেষে, শেষ ঠিকানায় ॥ ২৯.০৩.২০২৩

সজাগ -

ছবি
সজাগ - ============ মোঃ রহমত আলী ============ জাগি পুরাতন পূর্ণিমার নতুন রাতে সুখের খোঁজে দুঃখের আঙ্গিনাতে। কথার শেষে ভাষার অপেক্ষাতে, কোলাহলের মধ্যে আক্ষেপের ছোট্ট এক, শব্দ স্বর শুনিতে। মরা মনের বাগান হতে, একটি তরতাজা ফুল তুলিতে। মৌমাছি পাঁচ করে ভনভন পথ হারিয়ে, পারি যদি তাদের ঘরের পথ চেনাতে। আকাশ কুসুম স্বপ্ন দেখি-দেখে, ভাঙ্গিলো ঘুম কামারপাড়া'র শব্দতে। সবাই ধরিতে চান্দ,পাইতে ব্যাকুল সূর্য, আমি চাই এক মুঠ তুলে ধুলো, কণাগুলো সমুদয় গুনিতে। না পারার কি আছে এতে পারি তো সবে কোশিশ করিতে। আমি আছি আর অল্প সময় ধরণীতে, কিছুখন পরেই মিলেমিশে যাব মাটিতে। যদি এক গুচ্ছ সুখ কিনে, বিলিয়ে দিতে পারি সবার মাঝে, দুখির সাথে সমান ভাগেতে। এক কাঁধে আসমান,এক কাঁধে জমিন, কর্ম গুলো আমার সব মুজরিম, কি মুখে জাগিবো শেষ ঘুম বিচারেতে। ২৩.০৩.২০২৩

চালচিত্র -

ছবি
চালচিত্র - ============ মোঃ রহমত আলী ============ পেয়ে গেলে পূর্ণতা। গর্ব হলেই শূন্যতা। চুপচাপ বুদ্ধিমান। বোকার স্বর্গ সোজা। অতি চালাক ফেঁসে যান। মিষ্টভাষী পার পান। দুষ্টু চাষী হাল হারান। বাচাল হন পেরেশান। হার মানে না শয়তান। লোভী মন সব খোয়ান। জালিম জব্দ জুলুমে। ধৈর্যধারণ এক নেয়ামত। সুচরিত্র খুবই মূল্যবান। সত্যবাদী সদা জিন্দাবাদ। মিথ্যা ক্ষণিক তো মুর্দাবাদ। উপহাস করা নিচু খেয়াল। উপকার সেতো নয় এহসান। ঘুষ-সুদ এর সুখ কতদিন। হালাল পাকা আম মধুমিল। হারাম হজম মুশকিল। জখম শেফা পায় একদিন। অন্তরে আঁকা দাগ চিরদিন। গীবত নহে উপদেশ দিন। আশপাশের খবর নিন ।। ২১.০৩.২০২৩

প্রলাপ -

ছবি
প্রলাপ - ============= মোঃ রহমত আলী ============= কবিদের কি ? পাগল মনে হয় বুঝি, আর কবিতা গুলো পাগলের প্রলাপ। আসলে মনে হয় আমার কাছে সবাই, নিজ নিজ মনের রঙ্গের মনেই পাগল। বুঝেনা কবিতা তো,কবি কে ভাবে পাগল, কিছু বুঝে গেলে বলে ওঠে আবার, লিখেছে এগুলো কোন যুগের ছাগল। মানিনা কোনো অমান্য নিয়মের বারণ, লিখে যাই তবু আমি অবুঝ মনের কারণ। সাদা কাগজে কালি মেখে চুপ জান, খামোশ-বদলা নিতে চায়,নিরব প্রতিকারে সে আর এক মন-পাগলা পাগল-মন। কবিদের কি ? বলদ মনে হয় বন্ধু, মন পাগল বড়ই বোকা,আবেগেই হরহামেশা খেয়ে যাই,নতুন-নতুন ধোকা। মিছে সান্তনায় কি আর প্রান জুড়ায়, অন্তর সমঝোতায় কলম কালি ফুরায়। কালো নীল লাল সুখের গান মিলান, দুঃখের গদ্যে কিছু মনের-প্রান জুড়ান। কানাকানি কান কথায়,কবি কান না দেয়, কাননে বসে কান্নায় কথা হয় কবিতায়। কবির-কবিতার জিন্দা ভাষা না ফুরায়, কারণে-অকারণে মন বুঝা বড় দায়, কে চিনে কোন পাগল কার দরজায়। কবিদের কি ? আহাম্মক মনে হয় ভাই, লড়াই না করে মুখে-মুখে,প্রতিবাদ হবে সদা লিখিত কবির কাগজ-কলমে। বলেছিলে ছাপা হবে কবিতা দশ, ছেপে দিলে অন্তপর কবিতা আট। কবির স্বপ্ন ঘুম,পারে কে দেখি ভাঙ্গাতে

নামিদামি -

ছবি
নামিদামি - ============= মোঃ রহমত আলী ============= আমি নিজেই এক জঙ্গল, কেমনে হবে কর্ম পূর্ণ মঙ্গল, ঘাড়ে নেই আর অতীতের লাঙ্গল, পঙ্খী নাহি হাকে আর কাকতাড়ুয়া। এখন নব যুগের আওয়াজ, কিছু উদাহরণ উন্মাদ উচ্ছৃঙ্খল, একে-ওকে ডাক ঘৃণ্য বিশৃঙ্খল। আলোর মাঝেই লুকায়িত অন্ধকার, আবার আঁধার থেকেই বেরিয়ে আসে, নতুন এক রোজ আলোক আলো। দাম আছে যার, মান কত তার, মতের মতামত কে করে যত্নে গ্রহণ। গুরুর আগে শিষ্য দৌড় দেয় যেমন, গর্তে পড়ে বাপ ডাকে বাপু তেমন। আমি এক নিজেই কলঙ্ক মায়ায়, জীবন চলছে ধোঁকায়-ধোঁয়ায়। তুলে কে কার, বোঝার বিন্দু ভার, বোধে-নির্বোধ সেজে দেখে, বসে হেসে-হেসে মজা তামাশায়। কান পেতে রই আমি,শুনতে পাই যদি আওয়াজ কভু মমতায়। সাধের আহ্লাদ আর ধরে না আবদার, অকারণ কে কারণ বানিয়ে, করি কারো কে কার উপকার। আমার এখন সময় নেই, বলে যে জন যাকে,সে আবার কখনো হয় বা তো কারো অপেক্ষায় পথ চেয়ে থাকে। সবাই নামি,তবে ভাবো তো দেখি, কে কত আর মূল দামি ? ১৩.০৩.২০২৩

মুখ-মুখোশ -

ছবি
মুখ-মুখোশ - ============= মোঃ রহমত আলী ============= বন্ধুর ঠিকানায় দুশমন দাঁড়িয়ে, দুর্বলের বদনে শক্তের আঘাত। ব্যভিচারের প্রতিবাদ সুষম ব্যবহার, বর্ণ ছাড়া করি সবে খামোশ প্রতিকার। থাকিবেনাকো সদা আর দুর্দিন চিত্র, আল্লাহ মোদের একমাত্র পরম মিত্র। অন্যায় হবে একদিন পদতলে নিমজ্জিত, ন্যায়পরায়ণ জাগিবে হয়ে উজ্জীবিত। জনাব জালিম আছে যারা খবিশ, সত্য-প্রমাণে তারা জ্বলিবে বিষে-বিষ। খুবই দুর্বল তাইতো সদা মুখে-মুখোশ, হার মানার ভয়ে মিথ্যুক রোজ বেহুশ। বন্ধুত্বের দুশমন শেষমেশ বন্ধু'ই হলে, ন্যায়-অন্যায়ের জবাব দিতে-নিতে, বিনিময়ের আপোষ না হয় অত্যাচারে। দুঃসাধ্য যেমন করে ছিলেম সবে সাধ্য, পরাজিত হয়েও আবার জাগা-জাগ্রত। আগে যেতে দাও ভিখারির থালা, পিছে জমিদারের হাত শক্ত শিকলে, ফকিরের পায়ে-পায়ে মজবুতি বাঁধা। শিক্ষা বিবেকের ছিলে বড় দরকার, কানার দরবারে মাঙ্গে বোবা বিচার, বধির লিখে দেয় রায়ের এক অস্কুট, এখানেই শেষ জোর যার কার ভিখবেশ।               ১০.০৩.২০২৩

অবান্তর -

ছবি
অবান্তর - ======== মোঃ রহমত আলী ============= সাঁঝের মাঝে এ এক অন্য সাজ, সাধের অপূর্ণ রাজ স্বপনের ভাজ। গোলাপের খুশবু করে যে আঘাত, কাটা বিধিলে ও সে করেনা কর্ণপাত। নেই দুয়ার খোলা আর সাধ্যের, সেই অপরূপ প্রভাতের প্রভাত। চামাড়ের চামচ দিয়ে শিয়ালের জাল রাক্ষসের পিপাসায় দরিদ্রের আঁখিজল। রাতের গভীর অন্ধকারে লুকানো, কত শতক চুপচাপ গোপন রাজ। কে জানে কার কান্না কেন কেমন, প্রজাপতির মুখ হতে,দানা কেড়ে নেয়,চতুর চামচিকা ছলেবলে যেমন। ঘর পোড়া মৌমাছির আর্তনাদ, শুনে এখন আর কোন কানন। সাজ সাজ সজ্জার মাঝে এক সাঁঝ, অগণিত মুকুল ঝরে ঝরা ঝার। ছল,বল,কল,কালো কৌশল, এই তো কি দারুণ সাজে-সজ্জিত, রোজদিন মৃত মনুষ্যত্বের জিন্দাবাজার। প্রশ্ন অবান্তর তবু জানান দেয় উত্তর, কে কার কার অন্তর,কত আর সুন্দর। আছেন জনে -ক চার, এক মোরগ বারংবার করিতে চায় হারাম ; হালাল। ০৭.০৩.২০২৩

এক ধাপ এগিয়ে

ছবি
এক ধাপ এগিয়ে ============= মোঃ রহমত আলী ============= এক ধাপ এগিয়ে তবু আমি যাই কেন পিছিয়ে। দৌড়ে যাই আমি সবার আগে তবু পিছু ফিরে দেখি আমি, আছি একাই সবার পিছে। এক ধাপ এগিয়ে জীবনযাত্রা কমিয়ে,শুধুই বয়স আমার যাই বাড়িয়ে। তবুও পিছু দেখি আমি, আমি একাকী পিছিয়ে। এক ধাপ এগিয়ে মরণে গিয়েছি আমি পচে। তবুও আছি আমি বেঁচে, স্মৃতির ইতিহাসে হামেশা এক ধাপ এগিয়ে। জীবনের ধাপে ধাপে, কমেছে শুধুই বয়স। এক ধাপ এগিয়ে,চলেছে একা,এক এক পাপের বছর। একধাপ এগিয়ে ও আমি হামেশা হেরেছি, নিয়তির দরবারে হামিসা এক ধাপ পিছিয়ে। ২৫.০১.২০০৪

মজলুম সাঁই -

ছবি
মজলুম সাঁই - ============= মোঃ রহমত আলী ============= চলে কলম বনে লিখে তরবারি, সাক্ষী হার জয়ের উজ্জ্বল  টুকরো কাগজ খানি। আঘাতের ক্ষতে ব্যথিত বেত, আঘাতকারী দুশমন আজি, ছিলে যে কভু সে বন্ধু মোর বেশ। বদনামের বদলায় করছে সে হামারি নামের নাম। জীবন যুদ্ধে হেরে আমি গাই তার জয়ের জয় গান। বলে লেখা কাগজের অতীত কথা, কাটাকাটি তে ফুরায় শিহাই সবটা। ভুলে বাঁধন গেল খুলে, কলমের সব দোষ গুনে। দরকারে'র দরবারি,দোয়া করে কে কারি,কাজী ও রাজি। কুনামের মান রটিলো সুনামের ঊর্ধ্বে, জিন্দা দিল জালিম সর্ব ফুলেল স্বর্গে,  মজলুম সাঁই সব জুলুমের গভীর গর্তে। হলে হবে আর এ শেষ কবে কি ? কানুন কিনুন একমুখী শান্ত। ভেঙে খাঁচা উড়ে পাখি স্বাধীন, সুখে যদি সমুদয় সত্য লিখতো। শঙ্খ শখের আজও বন্দি দুঃখের, নিয়মের কবুল করেনি কোকিল। ভণ্ডের ভক্ত বহু ভরপুর, শালিকের ঘরে শকুনের সুখ। মজলুম চিনে জেনে যুগে যুগ, জুলুম চলে রাতদিন চৌদিক, মহা সবুরের শেষে ইনসাফ ঠিক ! ০৩.০৩.২০২৩

হালচাল -

ছবি
হালচাল - ========= মোঃ রহমত আলী =============== চোর বলে জোর গলায় চুপ, গৃহী শুনে বাধ্য বলদ ছুপ। নতুন নতুন কতক রূপের-রূপ, ঘুষের সাথে সুদের শোধ-বোধ। নিরীহ জনে সব চাপে খামোশ, এ আবার কেমন নব যুগের-যোগ। দামের বাজার কার নাগাল, তর্ক শেষে নেই কেনার মাল। ধন্য-ধনীর খুব বেশি খারাপ হাল, মধ্যবিত্তের যায় দিনের মান। গরিবের হলেও চলে নামের! শুকনো-রুটি আর ভর্তা-ভাত। ডাকুর ব্যবসার এখন ধুম, কৃষক-ফলন বেচে বসে ধুর। ওজন নব্য পাল্লায় কম-করে, শরম নাই অর্থদণ্ড গুণে। সুদ-ঘুষের চালা ঘরের, আরাম এই সুখের ঘুমের, আখেরাতের খবর গুম। পাতায় পাতায় সবই লেখা পরিনাম সবার অপেক্ষায়। রাজা প্রজার এক কাতার ইনসাফ খোদার দূরে কোথায় সবার হবে সমান শেষ বিচার । ০৩.০৩.২০২৩

নীতিকথা -

ছবি
নীতিকথা - ============ মোঃ রহমত আলী ============ নীতি কথা অনেকেই কয় বটে, নীতি কথা কয়জন রাখে খুব মনে। নীতিবান অনেকেই বুঝিয়ে দেয়, সমাজকে বটে,কিন্তু নীতি-করণ, কজনেই বলো করে। নীতিবান একজনই বটে মহানবী (সাঃ) তাহার নাম সকলেই তাহাই জানে। এ সমাজে নীতিবান যারাই আছে,গঞ্জনা-বঞ্চনা লেখা তাদেরই রেখা মাতে। নীতিবান পন্ডিত আছে কিছু এ সমাজে বটে, ব্যনীতিয়া কর্মকাণ্ড তারাই করে সমাজের,অথচ দ্বীনি নীতি কথা বলে তারা সারাবেলা। নীতিকথা এক কথা, ছেপকে থাকে ঠোঁটের সাথে, এই সমাজে সব মোমেনে। বাস্তব রূপ দেয় না কেউ, নীতিবান সেই ব্যক্তিকে। নীতিবান একাই থাকে, এই পাষাণ সামাজিক জীবন থেকে একাকী বঞ্চিত। ২০.১০.২০০৩

দুনিয়াদারি -

ছবি
দুনিয়াদারি - ============ মোঃ রহমত আলী ============ এই দুনিয়াদারি সব ক্ষেতখামারী, মরণে রয়ে যাবে এক কবর নিশানি। কি আর মূল্য আমার বলো, এই দুনিয়ার কোলাহলে। জনজীবনের কথা বলছি এই দুনিয়াদারি-তে যা যা দেখেছি। কেউ নহে কারো,এই দুনিয়াদারি-র লোকালয়ে,সবে আপন অতি খুব নিজ নিজ নিজেদের। ভুল আমার সবই ক্ষেত্রফল এই দুনিয়ার নিরালায়। সুযোগবাদী এ দুনিয়া সারি, ক্ষতি করে চুপিসারে। পিছু লাগি থাকি সবে, একটু আনন্দ যাদের কাছে। এ দুনিয়াদারি-র মম নীতি বুঝলাম না আজো আমি। অনুতপ্ত সামনে সবে পিছু পানে, সুযোগ বুঝে আঘাত হানে নির্বিচনে। এ দুনিয়াদারি-র মম সবে, ভুলে যে আছে একেবারে, মরবে যে সবে একে একে, তাই তো করে বুঝি পাপাচার অবিচার। ০৮.০৫.২০০৪

শিকল -

ছবি
শিকল - ======= মোঃ রহমত আলী ============ কে ভাঙ্গিবে এ শিকল নিরপরাধ বন্দি যখন। অসহায় আছে এ ধারে বহু জীবন,পালাবার নাহি কোন দিক,তাই তো কবি বলে বন্দী জীবন বহু মাজবুর। এই কারাগারে বন্দী কিছু নিরপরাধের দীর্ঘশ্বাস। শুধুই অপরাধীরাই করছে, সবে মিলে এধারে উল্লাস। বিড়ি'র-পরে-বিড়ি ধরছে, ধোঁয়ায় ধোঁয়ায় হাজত ছেয়েছে। তাসের ঘর এখানে বসেছে, কয়েদিরা ও আরামে সময় কাটাচ্ছে। পায়ে বেড়ি-র শিকল পরা, কয়েদ আছে এ ধারে যারা। প্রতীক্ষা করছে সারা বেলা, এই বুঝি কেউ দেখতে এলো। হাজতে যারা হাজতি আছে, অপেক্ষা করছে তারা এতে এই বুঝি জামিন এলো। কবরখানার মতো-ই এখানে বন্দী জীবন শিকলে লিপটালো সবার-ই সুখের স্বপন । ১৩.০৫.২০০৫

ভাঙ্গা ভাঙ্গা মন -

ছবি
ভাঙ্গা ভাঙ্গা মন - ============ মোঃ রহমত আলী ============ আজ মন আমার ভাঙ্গা ভাঙ্গা একা তবু যায় না কেন তোমায় ভুলা। মনে মনে ভাবে মন তাই, কে ভাঙ্গিলো আমার এ অবুঝ মন। একি মন ময়না-ই তো ভাঙ্গিলো আমার মন মন্দির। আগে আর পিছে দুঃখ শত আছেই সাথে লেগে, সুখ গুলি বুঝি সব আজ খুবই সকালে গিয়েছে শুয়ে। স্বপনের দুয়ারে ভাঙ্গা ভাঙ্গা মন আজও আছে দাঁড়ায়ে, মাঝরাতে জেগে একা আজও করছে কেউ পচা প্রেমের পূজা। ভাঙ্গা ভাঙ্গা এ মনে আমার এক ঝুড়ি গঞ্জিত বেদনা। তবে তুমি কি ওগো মোর সাথী এর কোন একটুও ভাগ নিবে না। তবে কেমন অবুঝ এ ভাঙ্গা ভাঙ্গা মন আমার, আজও বুঝতে চায় না, আমার মত আমায় তুমি সত্যি করে একটুও ভালোবাসো না । ১১.০৬.২০০৭

আহাম্মুক !

ছবি
আহাম্মুক ! ============ মোঃ রহমত আলী =============== ফুলকে বললাম এই ফুল তুই অকালে ফুটলি কেন ? কাঁটাকে বললাম তুই শক্তবক্ষে বিঁধলি না কেন ? সুখকে বললাম এই সুখ তুই দুঃখীকে দুঃখ দিলি কেন ? প্রেমকে বললাম তুই অমর ভালোবাসা হইলি কেন ? বিলাসিতাকে বললাম তুই  এখন এতো দরিদ্র কেন ? অন্ধকে বললাম দেখো আয়নায় তুমি এতো খুব সুন্দর কেন ? প্রতারককে বললাম এই যে তুই আজ হলি প্রতারিত কেন ? মিথ্যাবাদীকে বললাম কি রে ! সত্যের কাছে তোর হার কেন ? কৃপণকে বললাম তোর দৌলত আজ কমলো কেন ? শিক্ষককে বললাম স্যার বিক্রি শিক্ষা আজ অশিক্ষিত কেন ? জ্ঞানীদের বললাম সবার গুনো জ্ঞান এতো ভাগ ভাগ কেন ? নিজেকে বললাম হিরামন অমূল্য তবে কথা তোর আহাম্মক কেন ?? ২৬.০২.২০২৩

সম্মানী -

ছবি
সম্মানী - ======= মোঃ রহমত আলী ============== দাঁড়া দাঁড়া একটু দাদা, ছিড়লো এই জুতার তলা। গোলাপ নিনু ঝুড়ি ভরা, তলা যে তার খোলা। সত্য বলে বিপদ এলে, মিথ্যা দূর হাসছে জোরে, নামের উপর ঠিকানা মিলে। অকারণে হাসতে হলে, পাগল বনে কাঁদতে হবে। ছেঁড়া জুতায় মান গেলে, নামির কি আর নাম রলে। দাঁড়া দাঁড়া একটু বাবা, ছিড়লো এই নতুন জামা। সভা মেলায় সম্মানী জমা। চিনবে কে আর দাওয়াতনামা। ভর দুপুরে চল যাই ফিরে, না না বাপু এই একটু দাঁড়া, ঐ চিনেছে এক যে দাদা। চল যাই জলসায় চলে, যে চেনার চিনবে সত্যি জামা ছেঁড়া তাতে কি ? দাঁড়া দাঁড়া একটু দাদা, দাওয়াত কার্ড গেল খোয়া। গুনছে যে দেখ মাথা সবার, এবার জিল্লতি পাওনা আমার। দেখছি না তো চেনা জনা, চুপ করে চল যাইরে চলে। এমনিতে তো জামা ছেঁড়া, জুতার আবার তলা সেলাই, নজর সভার আমার দিকেই। এ কথাই গুরু বলেছিলেন আগেই, পোশাক রূপে আদর সবার তরে, তাইতো চিনতে মানুষ ভুল করে ॥ ২২.০২.২০২৩

আগন্তুক -

ছবি
আগন্তুক - ======== মোঃ রহমত আলী ============= কোথায় বিষের বাঁশি,আর কোথায় সুধার পেয়ালা, কবে ছিলে যেন, রাতের খোঁজে রাত জেগে থাকা। আজও করে সেই সুর গুন-গুন ফুটেছিলে যে কালে মনের বকুল। কোথায় আমার-আমি কোথায় খোয়া-ল বাল্যকাল। এখন হলাম বুড়ো-বার্ধক্য, শুরুর আমার বৃদ্ধকাল। রাত জাগি দিনের দিন, খুঁজে অতীত স্বপ্নকাল। তুলে কবে ছিলাম ফুল, আজ ব্যথায় ডুবা কূল, নয়ন ভেজা রাজ মনের ভুল। কোথায় কবে যাবো কোলাহল হতে দূর নিরালায়,জানা নেই ঠিকানা, যেতে হবে একা তবু একলাই। দুঃখের সাথে সুখের কান্নার মতন, হাসিছে কার পরিণতে কে কখন। অনুধাবনের অনুপাতে ও মিলছে না নিকাশি, জীবন লীলার জামানা। কোথায় কালো চুলের-চমক, আর কবে ছিলে যেন, রোজ কাগজের নৌকায় চমন ভ্রমণ। চুপচাপ আগন্তুক হয়ে এলে ধরায়, সহসা আহাম্মক বনে নিজ কর্ম থলে নিয়ে সাথে হবে হে বিদায় ॥ ২৩.০২.২০২৩

বেলা শেষ -

ছবি
বেলা শেষ  - ============ মোঃ রহমত আলী ============ বেলা শেষে সূর্য ডুবে, আঁধার নামে পাখিরা ফিরে যায় নিজ ঠিকানায়। বেলা শেষে নক্ষত্র ধরা পরে মানব চোখে। চাঁদের আলো উথলে ওঠে নদীর জলে। জোনাকিরা ঝিকিমিকি করে বাঁশবনে বেলা শেষের আনন্দে। বেলা শেষে আঁধার ছেয়ে যায়, ছুটে চলে,সবাই নিজ সীমান্তে। বেলাশেষে কৃষক ছুটে যায়, নিজ ঘরে লাঙ্গল সাথে নিয়ে। কৃষকের ঘামে ভিজে যায় ক্ষেত বেলা শেষের জন্য। বেলা শেষে দিনমজুর পেয়ে যায় পয়সা, তাই মনে মনে কামনা করে হয়ে যা বেলা শেষ। ০৯.০৫.২০০০

সূর্য -

ছবি
সূর্য  - ===== মোঃ রহমত আলী ============= সূর্য আমি উদিত হবো, পৃথিবীকে আলো দেবো, আমার আলোতে কারো মনে আঁধার নামবে, কারো মনে আলো বইবে। সূর্য আমি ধানক্ষেতের জমিকে উর্বর উড়ে যাব, চাষির মনে হাসি দেখার জন্য। সূর্য্যের আলোতে তো, পৃথিবীর আঁধার কেটে যায়। কিন্তু আমার মনের আঁধার কাটবে কি করে। কাদা পথ শুকনো হয় সূর্যের তাপ পেয়ে। নীরবতা পালিয়ে যায় সূর্যের রশ্মি দেখে। ঐ আকাশে সেই সূর্য যে সূর্য আমাকে বানিয়েছে প্রিয় হারা। ০৬.০৫.২০০০