পোস্টগুলি

মরমি - (মোঃ রহমত আলী)

ছবি
মরমি - ================ মোঃ রহমত আলী ================ সে বানিয়ে পাগল আমায় না পাগল সাজতে দেয় খাওয়ায়ে বিষ আমায় সে মরিতে নাহি দেয়। সে পরান কেড়ে নিয়ে আবার প্রাণ ফিরিয়ে দেয় সে স্বাধীনতা দিয়ে আমায় বন্দি করে রাখে খাঁচায়। সে সুখ দিয়ে আমায় দুঃখ দেয় অপরিসীম  কাঁদতে চাইলে মন-ভরে সে হাসতে বলে মন-খুলে।   সে একতারাটা ভেঙে আমার বাউলা সুরে গান গাইতে বলে সে খাওয়ায়ে শুরা চোখের মাতাল হতে নিষেধ করে। সে ভালোবাসে আমায়  তবে ভালোবাসতে মানা করে সে জান আমার হায় মরমি মন মানে না তাও মানাই । ২৫.১২.২০২৩

প্রচার - (মোঃ রহমত আলী)

ছবি
প্রচার - ============ মোঃ রহমত আলী ============ সাঁতার জানে তবু,ডুবে মরে মাঝি, জাল চালতে নিষেধাজ্ঞা যে আজি। বড়-বড় মাছের তো পছন্দ হয় না, ছোট মাছের সাফল্যের সাঁতার, তবু ছোট দুর্বলদের হজম করে, আজ বড় মুখে যে তারা মহান। কেউ শোনেনা আমার গান, নিজেই কাটাই নিজের নাক-কান, গাই বেলা-অবেলা হরেক-রকম সুরে, নিজেই-নিজের জয়ের জয়-জয় গান। ভেদ ভেদাভেদ ভাঙতে গিয়ে, বিভক্ত যে হায় সমাজে ভাই-ভাই, শিক্ষিত হয়েও যখন মূর্খতা দেখাই। সাঁতার শিখে ভুলে ওস্তাদ, এখন নিজেই যে মাষ্টার, উপায় নেই বন্দী সমাজের সব, ছাত্র-ছাত্রী সহ অভিভাবকেরা। সবার উপর সফল প্রসারিত চাপ, নেই বাদ ধনী-গরীব ফকির তামাম, তবুও কঠিন আজ বোবা কন্ঠে কোনো দুঃখ কষ্টের টু-শব্দ প্রচার। কান্নাগুলো বাদ,হবে শুধু আনন্দ প্রকাশ, আমার উন্নতি আমি করবো প্রচার, বেশি সত্য বলবে তো মুখ বন্ধ তোমার, যাও সব দিতে মরুভূমিতে সাঁতার ॥ ২৩.১২২.০২৩

অমূল্য স্মৃতির বেদনা (মোঃ রহমত আলী)

ছবি
অমূল্য স্মৃতির বেদনা ============== মোঃ রহমত আলী ============== পচে যাওয়া ফুলের আজও যতন, ভেঙে দিতে ভুল চলে বহু কথন, উদ্ধার হলো না সুখ,দুঃখটা আপন। দায়বদ্ধ ব্যর্থতায় আনন্দের বসত, অগ্রিম জমানো জামানত বেদখল, আগমন আর তার এক আমানত। পোষ মানে-না আমার মন পাখি, অবাধ্য মোহনায় ডুবা সজল আঁখি, সারারাত ফোঁটা যতনের মুকুল, সকালবেলা হায় ঝরে গেল ফুল, আজ বুঝলাম কত যে ছিল ভুল ! তবু সুখী মুখরিত খুশবুতে সে কূল। পচা ফুলটা আজও অমূল্য স্মৃতি, শুকিয়ে যায় আঁখিজল সুখে, বেদনা দুঃখের তাতে গুণ দ্বিগুণ। তাকিয়ে থাকি হা করে,তোমার চলে যাওয়া পথের পদে-পদে, সে ক্ষত হৃদয় গভীরে আজও কাঁদে। মজাদার ছিল বড় কথার আঘাত, এসে হেসে তুমি যা দিলে শখের বশে, আজব নহে এ যে প্রেমের প্রতিদান। মুখে কবুল,মনেপ্রাণে যদি মকবুল, তবে কেন খেলো-খেলা ও পরান-ফুল, তাও তো দেখোনা যে চোখে যমুনা ! ২২.১২.২০২৩

সময় অসময় (মোঃ রহমত আলী)

ছবি
সময় অসময় ============ মোঃ রহমত আলী ============ সময়ের আগে আর সময় আসে না, সময়ের পরে আর সময় থাকে না, সময় মতো জোয়ার,সময় হলে ভাঁটা, সময়ের সাথে সময়ই বলে ন্যায্য কথা। শান্তির তালাশে অশান্ত ধ্যানে ছুটে চলা, সান্ত্বনা কোথাও তো গেলো না পাওয়া, সময়ের সাথে ধৈর্যের ঠিক তাল-মেলে নাই বুঝি,তাই সময়ের সাথে প্রকৃতির বোঝাপড়া নিয়মিত নিয়মের প্রতিদান। সময়ের এপিঠ,সময়ের ওপিঠ,চিন্তাকরে চলে চিন্তাশীল,তবুও সময় বদলায় ঠিক, সময়ের মতই,সময়ের সঠিক নিয়মেতেই। বৃদ্ধ যেমন হয় না মন,সময় সদা জোয়ান তেমনই সারা জনম,শুধু সময়ে বদলায় সময়ের সব কার্য ধরনের মর্মে কর্মফল। সময়ের রূপ বড় সুন্দর,বড়ো নির্মম, দুঃসময়ে ধৈর্যধারণ মনে আনে পূর্ণ বল, সময়ের সাথে তালমিলিয়ে চললে, পুরো সময় যখন যেখানে যেমন, তখন সেখানে সময় হবে তেমন। সময়ের আগে তো আর যাওয়া যায়না, তাই অপেক্ষা উপযুক্ত সময়ের প্রতীক্ষা ! সময়টা আজ তার,কাল কার,তো আবার ঘুরেফিরে না জানি কখন যে কার-কার ! কখনো সময় অসময়,কখনো খুব দুর্বল, কখনো আবার কঠিন পরীক্ষায় সফল, তাই সময়ের সাথে সময় বদলায় হরদম। দুঃসময়ে পরিচয় ঘটে হায় পরিচিত জন, তখনও সময়ের নিয়মে হয় তারিখ বদল, যদিও সময় বয়

ছায়ার মায়া (মোঃ রহমত আলী)

ছবি
ছায়ার মায়া ============ মোঃ রহমত আলী ============ যেতে-যেতে যদি পিছু ফিরে দেখো, একবার ভালোবেসে বন্ধু আমায়, চোখে-চোখে নতুন করে আবার, শুরু হবে ভালোবাসা দুজনায়। হৃদয় ভাঙার খেলা,খেলো না গো বন্ধু, ভালোবাসা ছাড়া আর আছে কি শুদ্ধ, প্রেমের দুয়ার ভেঙে,যেওনা পেরিয়ে আঙ্গিনা,পাখি ছাড়া মুখর নহে বাগিচা। হারিয়ে তো যায়নি প্রিয় এখনো বসন্তের সুবাস,তোমার হাসিতে হবে নব শুরুয়াত। তোমার জন্য আমি,আমার জন্য তুমি, এই সুখের ঠিকানায়,আরো সুখ দুজনায়। যেতে হয় যদি পিছু-পিছু তোমার, আবারও যাবো তোমায় মানাতে বারবার, আমার তুমি তোমার আমি, তা না হয়, তোমার আমি আমার তুমি, আমরা দুজন হবো আবার একাকার। চলো ফিরে প্রিয়া প্রেম নিবাসে তোমার, ভালোবাসায় ভরা আমাদের গুলবাগ, তবে চলো গো বন্ধু ঘুরে-ফিরে যাই, সাজানো সুখ দুঃখের একান্ত প্রভাতে। সাধের বৈরাগী মনটা যে আমার, বন্দী তোমার অভিমানের মায়ায়, দেখো ফিরে আঁখিপাতে মোর,তব ছায়া ॥ ১৯.১২.২০২৩

ধীরে ধীরে - (মোঃ রহমত আলী)

ছবি
ধীরে ধীরে - ============ মোঃ রহমত আলী ============ ধীরে ধীরে ফুল ফোটে , ধীরে ধীরে ভুল ভাঙ্গে , ধীরে ধীরে কূল মিলে , ধীরে ধীরে পঙ্খী উড়ে , ধীরে ধীরে সূর্য উঠে ডুবে , ধীরে ধীরে শিশু আজ বৃদ্ধ , ধীরে ধীরে সচল হয় অচল , ধীরে ধীরে রংধনুটা নিখোঁজ , ধীরে ধীরে জমাট বাদল , ধীরে ধীরে বয়স বদল , ধীরে ধীরে আঁধার গমন , ধীরে ধীরে আলোর আগমন , ধীরে ধীরে নতুন চাঁদ পুরাতন , ধীরে ধীরে সৎ কর্ম সফল , ধীরে ধীরে মাটির বুকে ফসল , ধীরে ধীরে কামিয়াব সাধন , ধীরে ধীরে হয় কচ্ছপের জিত , ধীরে ধীরে কিছু অর্জন , ধীরে ধীরে মায়ার বাঁধন , ধীরে ধীরে বুনে মাকড়সার-জাল , ধীরে ধীরে দুষ্ট লোকের মিষ্টি-চাল , ধীরে ধীরে বুঝে উঠতে সময়-পার , ধীরে ধীরে সংগ্রাম জয় একবার , ধীরে ধীরে সত্য হবে ইনসাফ , ধীরে ধীরে আজ হয়ে যাবে কাল। ধীরে ধীরে হবে সমস্যার সমাধান ॥ ১৭.১২.২০২৩

সমান-সমান (মোঃ রহমত আলী)

ছবি
সমান-সমান ============= মোঃ রহমত আলী ============= যারা ছিল,তারা তো এখন আর নেই, যারা আছে,তারাও চলে যাওয়ার পথে, যারা আসবে,তারা ক্ষণিকের মেহমান, যারা চলে গেছে তারাই বেঁচে গেছে ! যারা থাকতে চায়,তারা যেতে হবে বাধ্য ॥ তারা কোথায়,যারা ভেবেছিল যাবেনা, তারাও তো বিলীন,কালক্রমে মাটির গর্ভে, তারা আজও আছে ইতিহাস সাক্ষী, তারা যারা ছিল সব একদম সত্যবাদী ! তারা চলে গেছে তবুও যুগের ইতিহাস ॥ যারা যোগ্য ছিলে,তারা অযোগ্য হলো, যারা সবল ছিলে,তারা আজি দুর্বল,  যারা অত্যাচারী,তারা একদা হবে নির্মূল, যারা ধৈর্যশীল,তারাই মূল সময়ে সার্থক ! যারা সত্য জেনেও,ভান ধরে অজানাই, যারা করে মিথ্যাচার,তারাই পরাজিত ॥ তারা দুষ্ট নির্বোধ,যারা করে হক হরণ, যারা সাক্ষ্য দেয় মিথ্যা,যারা করে বরণ, তারা জবাবদিহিতায় কি বলবে তখন ? যারা নির্যাতিত,তারা জেগে হবে উৎফুল্ল, যারা করে অবিচার,দেখবে তারা সেদিন ন্যায়বিচার,ইনসাফ শেষ সমানে-সমান ॥ ১৬.১২.২০২৩

গুনগুন (মোঃ রহমত আলী)

ছবি
গুনগুন - ============ মোঃ রহমত আলী ============ বাঁশি তো আমি বাজাই না, তবে সুর কেন টানে, দুপুরের রোদ্দুরে,পাখিটার পিপাসায়, নদীর বুকে যে ঢেউ দোলে, তার তালে প্রজাপতি নাচে। বাঁশি তো বাজে না, তবে মাতালো কে করুণ সুর, অবুঝ পাখিটা ফাঁদে ফেঁসে কাঁদে, সুখের সাথী গুলো, আজ দুঃখে সঙ্গ দিলো ছেড়ে। ভাঙা বাঁশি পুরাতন সুরে, রোজ বাজিছে নূতন তালে, সেই সুরে কারো আনন্দ, আবার কারো-কারো, দুঃখের স্মৃতি সুরে যায় মিশে। বাজে বাঁশি মনের সুরে, প্রাণের বেদনা তুলে, কষ্টের সাথে সুখের কথা, গুনগুন শব্দে মাতাল করা সুরে, প্রাণ দিয়ে ফের প্রাণ নেয় কেড়ে। ১৩.১২.২০২৩

অনির্বাণ - (মোঃ রহমত আলী)

ছবি
অনির্বাণ - ============ মোঃ রহমত আলী ============ চোখ খোলো নব যুগের দামাল, দেখাও তোমার সৎ হিম্মতের কামাল। আওয়াজ তোলো ইনসাফের জয় গানে, একাই তুমি সমান হাজার জওয়ান, অন্যায় দেখে হয়োনা পেরেশান, সাহস ধরে হয়ে যাও আগুয়ান। দুয়ার খোলো সময়ের দারোয়ান, সদা সত্য তোমার মগজে বহমান, মিথ্যা তোমার জন্য নয় পরিধান, নব যুগের নব ইতিহাস হবে অনির্বাণ। যুগান্তর কোন এক আওয়াজ, হয়ে রবে যুগে-যুগে সত্যের অভিধান। মুখ খুলে দাও ফুকার ওহে দামাল, ভয় কি সত্যের জন্য চাইতে ইনসাফ, হ্যাঁ আসবে কিছু সাজানো তুফান, ভয় নেই,ভয় নেই,তুমি বলবান, তুমি যুবক,তুমি নব যুগের নওজোয়ান। এগিয়ে যাও পায়ে-পায়ে সামনে, শান্ত এক নিয়তে,অশান্ত হিম্মত ধরে, তোমার যৌবনে জাগাও ঈমানের জোশ। যারা ছিল,তারা তো আজ আর নেই, তবু আছে জিন্দা আজও তাদের সততা, তাই অন্তরে ধারণ,তাদের যত ধরন,   ধৈর্য আর হক-হিকমতে তারাই অনির্বাণ । ১২.১২.২০২৩

মাটি (মোঃ রহমত আলী)

ছবি
মাটি ================ মোঃ রহমত আলী ================ মাটির বুকে ঘুরে-ঘুরে খাঁটি মাটির খোঁজে মাটির মানুষ মাটি চেনেনা হিংসা পুষে অন্তরে ঘুন ধরেছে জ্যান্ত গাছের আগা গোড়া সবখানে মাটির মায়ায় মাটি কেটে ঘর বানায় একটাই যে মাটির জন্য যুদ্ধ করে জিন্দা মাটির সঙ্গে প্রেম-টা কই তিল-তিল করে চেনা এক পলকে অচেনা চোখ মুখের কথা সব মাটি পুতুল এরা চেনেনা আসল মাটি মাটির বুকে ঘুমাতে হবে ভাবনা নেই যে কার মাটির সাথে বেইমানি করে গড়ে মাটির প্রাসাদ মাটির সাথেই মিশে একদিন সব হবে যে সবই মাটি মাটির পানে আঘাত হানে চলে খুব গর্ব ভরা কদম মেলে মাটির মায়ায় মরতেও পারে মারতেও জানে মাটির মানুষ রোজ খোঁজে ঘুরে-ঘুরে রিজিক মাটির ভিতর মাটির ঘর মাটি ১১.১২.২০২৩

কবি ও কবিতা (মোঃ রহমত আলী)

ছবি
কবি ও কবিতা ============ মোঃ রহমত আলী ============ বলবে কথা কবিতা চুপ থাকো হে কবি তুমি শুধু লিখতে জানো খুলবো তো রাজ আমি। তুমি কবি স্বপ্ন দেখো সাদা-কালো রঙিন কবিতা আমি বলে-দেবো জীবনের ছবিটা। বলছে কথা কবিতা শোনো চুপ শ্রোতা অনেক দিনের জমানো আগুন জ্বলছে কবির কলমে। একদিন কবি মৃত জীবিত আমি ক্ষণিকের কবিতা জীবনের কথা ফকিরের ভিক্ষা পাগলের অবুঝ পাগলামি আমি সেই আরো কবিতা। লেখা শেষ কবিতা কে করিবে আবৃত্তি এটা ভুলভাল ছন্দ অন্তমিল মন্দ কবিতার মায়ায় কবি অন্ধ কবিতা বইয়ের পাতায় বন্ধ। ১০.১২.২০২৩

রূপ অপরূপ (মোঃ রহমত আলী)

ছবি
রূপ অপরূপ ============ মোঃ রহমত আলী ============ প্রয়োজনের জন্য কত আয়োজন, মিটে গেলে দরকার,ভুলে উপকার। হাহাকার মেজাজের খামোশি প্রচার, আমার যা কারণ,তোমার তা অকারণ ! ললাটের আচরণ,বহু তার বিবরণ, স্বপ্ন ঘুম ভাঙ্গার বিষাদ একপ্রকার, বুকে-বুক জড়িয়ে বর্ণনা জরুরত, মিটে গেলে চাহিদা নিমিষেই ফারাক। হঠাৎ আঁচড়,বদলে আচরণের ধরণ, অস্বীকার যত মদদ অতীতের চরণ, অঙ্গীকার ভুলে আজ ব্যবহার কেমন, অপরূপের আদলে এখন নব রূপ,যেন বিপদের দিনে হাজির শত নতুন আপদ। আয়োজনের জন্য যা ছিল প্রয়োজনীয়, জরুরত শেষে তা অপ্রয়োজনীয়,তবে ছিঁড়ে তাল তালাশ,আবার সুর উপহার ! দায়বদ্ধ কোথায় আর কতদূর কর্তব্য, ভুলে যায় সেই উপকারের পরে দায়িত্ব, কত আদর মন ভোলানো সর্বনাশা ছলে, প্রয়োজন মিটে গেলে,মুখে নাম না মিলে। অন্ধকার দিনে মদদ,আলোতে চেনেনা, নিঃস্বার্থ মদতগার চিন্তা করেনা পরিনাম, উপকার পেয়ে দূরত্ব রাখে,গুরুত্ব ভুলে, স্বার্থপর হয়ে চলে,বিপদে হাত বাড়ালে, আবার কি আর সেই হাত মেলে ? ০৯.১২.২০২৩

শূন্যদৃষ্টি (মোঃ রহমত আলী)

ছবি
শূন্যদৃষ্টি ============ মোঃ রহমত আলী ============ মুখ চেপে চেপে বলতে হয় কথা , অনেক কিছু দেখেও ভান অদেখা , হাসি মুখে শত্রু বিদায় বুদ্ধিমানের , অতীতের সাথেই কদর বর্তমানের , ভবিষ্যতের সফর নীরব অন্ধকারে , মুখে তো আর নেই কোনো ঢাকনা , বেরিয়ে আসে হরেক রকম কথা । মুখবন্ধ,কান খুলে কত শুনি কথা , বলতে গেলে কিছু,অপরাধ মেলা , নাক চেপে শ্বাস বন্ধ রেখে চলা , ডাস্টবিনের বাইরে ময়লা ফেলা , চোখে ধুলো পড়লে নতুন কিছু শেখা , প্রমাণ খুঁজতে মুর্দা ফের জিন্দা করা , কিছু অন্ধের দৃষ্টিশক্তি ফিরে পাওয়া । মুখ-খুললে যেন পরান যায়-যায় ভাব , জোনাকির কাছে কী মূল্য সূর্যের তাপ , আজ অনেক সত্য মূল্যায়নের অভাব , চারিদিকে বহুত মিথ্যার জয়জয়কার , মুখ থাকতেও বোবা,অভিনয়ে বাধ্য , দ্বায়িত্ববান কেউ কেউ উপহাসে ব্যস্ত , ফিসফিস মুখ বুজে হচ্ছে কথা ন্যায্য ॥ ০৫.১২.২০২৩

আবদ্ধ (মোঃ রহমত আলী)

ছবি
আবদ্ধ ============ মোঃ রহমত আলী ============ সবার সাথে সবার জমে না তো ভাব , মনের মতো মনের আজ বড় অভাব ! সুখী সবাই উপর-উপর , দুঃখী যে ভেতর-ভেতর , হাসিতে যার মুখ ভরাট , কাঁদাতে পারে কে ললাট , স্পষ্ট কষ্ট একা তার চোখের কিনারায় । সবার সাথে সবার মিলেনা যে সব তাল , তবুও চলতে হয় মিলিয়ে তালে-তাল ! প্রশ্নের উত্তর জরুর তবে , উত্তরের উত্তরে বিবাদ হবে , আনন্দ শেষে বিষাদ রবে , মজবুত কথা দুর্বল যেথায় , সালাম দিয়ে জলদি বিদায় হেথায় । সবার সাথে সবার ভালোবাসা কি সমান , তাই নজরবন্দি ফিকির গুলো যার তার ! জীবন থেকে নেওয়া জীবন , হিসাবের ব্যবধান তুলনায় , আবদ্ধ নজরের করুণায় , তফাৎ শুধু বিষয় বিবেচ্য , মনের আঙিনায় কল্পনা এক আলোচ্য ॥ ০১.১২.২০২৩

বিবেক অন্ধ আবেগ (মোঃ রহমত আলী)

ছবি
বিবেক অন্ধ আবেগ ================ মোঃ রহমত আলী ================ কাঁদে আবেগ তো হাসে বিবেক, মরে মানুষ তো জাগে মানবতা, হারায় হীরা তো তালাশে হিয়া, মুসিবতে বিবেক তো আগুয়ান আবেগ, মনোভাব উদার তো বরবাদ মাঝি। আবেগি অসহায় তো বিবেকী মজা নেয়, নির্বোধ তাই তো তখন সেই বুদ্ধিমান। আবেগে আবদার তো বিবেকের হিসাব, সময়ের আগে তো জোয়ার-ভাটা হয় না, নির্লজ্জ বিবেকবান তো লজ্জিত আবেগ, হারিয়ে মান তো গোপনে চলে অনুসন্ধান। বিনয়ী আবেগ তো অহংকারে বিবেক, মান-সম্মান তো সবারই সমান-সমান, বিবেকের বশে জয় তো,আবেগেই হার। তবু তো মানুষ-মানুষের ভালো নাহি চায়, অধৈর্য আবেগ তো ধৈর্য ধরে রয় বিবেক, মমতার নমনীয়তায় তো পূর্ণ যে সাধন, আজাদ আবেগ তো দায়বদ্ধ বিবেক। শান্ত বিবেকের অত্যাচারে তো অশান্ত আবেগ,যবে ঘুষ আর দুর্নীতি করছে বিবেকবান,তো সইতে বাধ্য আবেগি মন। ঘুনে-ধরা বিবেকবান তো প্রায় অনেকেই হাসপাতালের সেবক-সেবিকা গণ, অন্ধ বিবেক তো বোবা আবেগ যার। ভুক্তভোগী আবেগে বোবা কন্ঠে বলে আহ বেরহম হায় আফসোস বেশরম॥ তবুও তো তারই মাঝে আছে কেউ জিন্দা-দিল,আবেগ বিবেক ধারণে মিল । ৩০.১১.২০২৩

মায়াবী জল (মোঃ রহমত আলী)

ছবি
মায়াবী জল ================ মোঃ রহমত আলী ================= জল ছলছল , মেঘ গুমসুম , মনে সুখ-সুখ , চোখে ঘুম-ঘুম , ছিঁড়ে ফুল,হলো ভুল,দিলাম মাশুল। মাটির উপর জল , মাটির তলায় জল , চোখের কোনায় জল , চোখে গভীর ছল , মায়াবী ফুলের মায়ায় জগৎ খুশবু-মুখর। আসমানের জল , জমিনে থলথল , পরিশ্রমী ঘামটা জল , সাপের বিষ জল , ফুলের মধু জল,মায়াবতীর মায়া-জাল। সাগরে নোনা জল , চোখে ও নোনা জল , ক-নদীতে মিঠা জল , মুখের মিঠা বোল , ঝরনাধারা শক্ত তবু কমল জীবন জল। সবার চোখের জল , একই যে রঙ , আঁখি-জলে কল , না জলের সাথে ছল , গাছের বুকে রসালো জল , মাছের সাথে সর্ব প্রাণের জন্য জল , তবু জল পিপাসায় মরে প্রাণ আর বাঁচে জান। জল তো কাটলে হয় না ভাগ , রক্তের-বাঁধন কেন এত ভাগ-ভাগ , জল-জলে মিশে থাকে রঙটা যে তফাৎ । ২৮.১১.২০২৩

ভদ্রলোক (মোঃ রহমত আলী)

ছবি
ভদ্রলোক ============ মোঃ রহমত আলী ============ মানুষের মাঝে ইনসান যে , খুঁজে পাওয়া -তাই বড় দায় , আছে সবই ঠিক-ঠাক , দেখে মনে তো হয় মানুষ। স্বভাবে মনুষ্যত্বের অভাব , ব্যবহারে বিরাজ বৈহিক আদব , অহংকারী অনেকেই চরম বেয়াদব। সুগন্ধি শরীরে মেখে অন্তরে দুর্গন্ধ , পোষ মানিয়ে চলে স্বার্থ , সন্ধির ছলে পয়সার ফন্দি , জিম্মি চুক্তিতে মুক্তি আজ বন্দী। মানুষের মত মানুষ তো সবাই , ব্যবহারের সাথে পরিচিত হই , তা এক কথায় মানসিক মনুষ্যত্ব , মানবতার অনুসন্ধানী তার পরিচয়। যে মানুষকে মূল্যায়ন করেনা , অথচ সে নিজে খুব ভদ্রলোক , উচ্চপদে তাই তো বুঝি দাপট। বিনয়ী মানবিক মানবিকতা গুলি কেমন যেন মরে যাচ্ছে দিন-দিন , মানুষ জনের রহস্যময় কু-লোভে। মানুষ ছিল দেখতে রূপের-রূপে , ধরা খেলো নিজ কর্মের মর্ম গুণে , আমিও মন্দ তাই বলি সবার আগে ॥ ২৮.১১.২০২৩

অবোধ (মোঃ রহমত আলী)

ছবি
অবোধ =============== মোঃ রহমত আলী ================ উড়িয়ে দিলাম মনের পিঞ্জরে বন্দী ছিল যতনের যত ময়না, কেউ বোঝেনি ভাষা,রাখেনি কথা, ব্যথার জলে ভাসিয়ে দিলাম শব্দগুলোর অপূর্ণ বায়না। কাঁচের দেয়াল ভাঙতে চাই একেবারে, প্রেমের কারাগারে বন্দি ভালোবাসা, বিফল আশাবাদী স্বাধীন মনের পাখি। খুঁজে ফেরে ফেরারি পথিক সন্ধানী নয়নে,দুর্বার কোন বাঁশরীর বিরহ কান্না, পথিক আবার হারালো পথ, নতুন জ্যোৎস্নায় আঁখি মেলে। উড়ে এলো হাওয়ায় সুরভিত আনন্দ, খুঁজে নিলাম তারই মাঝে, গর্বে দুঃখের বিন্দু-বিন্দু কণা। যত্নে দেওয়া প্রিয় কথার অনলে হৃদয় পুড়ে ছাই,তবু বিনয়ী অবোধ আমি, সেই বন্ধুর পিছু-পিছু যাই। বলো আমায় নির্বোধ যত, আমি আনন্দিত বন্ধু তত, তুলে-তুলে পাথর শত, চাপিয়ে রাখি হৃদয়ের ক্ষত। অবহেলায় অবুঝ মনের বেদনা, সান্ত্বনা ও তো দিলো-না কেউ  আপন মনে আপন জনা ॥ ২৭.১১.২০২৩

কথন - (মোঃ রহমত আলী)

ছবি
কথন - ============ মোঃ রহমত আলী ============ বেদনার গান শুনে বিরক্ত সুজন, প্রেমের গানে সকলেই প্রিয়জন, সুখের কথায় হঠাৎ আয়োজন, দুঃখের সুরে বন্ধ কানের শ্রবণ, সে কেমন হায় দয়ালু পরিচিত জন, যে রোগা-কে বলে তুমি মরে যাবে এখন। স্বার্থের প্রাচীর ভেঙে আসে বন্ধু, লোভের তাড়নায় দূরে আত্মার রঙ, ভীষণ ব্যথায় পাথর জমাট অশ্রু, শুকতারা সুখেই আছে যতদিন জোয়ান। আজান হয়ে গেছে প্রথম দিন, এখন বাকি শুধু শেষ দিনের সালাত, তখন তো সবার ছিল মিষ্টি মুখ, আজ শেষ বিদায়ের পরে খাওয়ার ধুম। কান পেতে ছিল বেদনায় প্রিয়ের চোখ, হৃদয়ে পাথর চাপা আহ কি শোক ! বাঁধন হারিয়ে মনকে শক্ত করে বাঁধা, রংধনুর সব রং ঢং ফুরিয়ে,আজ শুধু সাদা রঙের কাফনে প্রথম ও শেষ দাফন। এসব ঘুমের মাঝে স্বপ্ন ঘোরে রুহের সাথে রুহের আর দেহের সাথে মনের সত্য কথন ২৬.১১.২০২৩

দোষগুণ - (মোঃ রহমত আলী)

ছবি
দোষগুণ - ============ মোঃ রহমত আলী ============ কলম তো নিজেই চলে, মুখমন্ডল কালো হলে, চোখের জল যে কথা বলে, হাস্যকর রসিকতার ছলে, কথার ফাঁকে কথা শুনে, ঘুরে যায় মাথা মোটা। চোখের ধোঁকা,বুকের ব্যথা, মুখে লুকায়িত সত্য কথা, কাগজ-কলমে মিথ্যা সাক্ষ্য, আলোর খোঁজে আঁধারে ঘুরে, মাটির গভীরে রতন চাপা, রসিক হিরা বলে,সঠিক -কে -রে ! পাতায়-পাতায় গুলবাহার দোলে, খাতায়-খাতায় অক্ষর কথা বলে, অন্তরে পোষা দুঃখ চোখে প্রকাশ, মুখে-মুখে ফোটাতে হয় মধুর সুখ। দোলনা ছিঁড়ে পড়ে গিয়েছে বয়স, এখন শুধুই প্রতীক্ষা তলিয়ে যাবার, অনুপম অতীত হারিয়েছে বর্তমান পেরিয়ে,শেষ পালকির ভরসায়। কলমের দোষ নাকি খাতার দোষ, আসল দোষ-গুণ তো কর্মের মর্মে, গুণাগুণের হিসেবে সব হিসাব ভুল, পাপি আমি সর্ব উর্ধ্বে লেখা আছে, গায়েবি কলম দ্বারা আমলনামায় । ২৪.১১.২০২৩

রসন - (মোঃ রহমত আলী)

ছবি
রসন - ============ মোঃ রহমত আলী ============ ফোঁটা কলি ছিঁড়ে লাভ , ঝরা ফুল তুলে মালা গাঁথ , কাটা ভরা ফুলে প্রেমবাগ , ফলে ভরা গাছ,চেনা যায় জাত। শুকনো পাতায় অগ্নি জ্বালা , বলাকা উড়ে মেলে ডানা , দু-পায়ে চলে চলাচল , চারপায়া চরিত্রে অবিকল। পূজারী দুর্বল সুন্দরে , তবে ভালোবাসবে কে অসুন্দর , ভাবভঙ্গী-তে যেন অঙ্গীকার ফাঁসাতে পারতেই বাস কামিয়াব। ফুলচোর গুলবাগের পাহারাদার , মৌমাছির হক মেরেই , নিজের পেট ভরে বারবার , দাবি করে নিজেকে সরদার। জমানো রসদ গেল পোকার পেটে , তবে পেল না রসন সদর লোকে , ভিখারী নিজের ভিক্ষা করে দান , তাতেই বাড়ে আরো বড়লোকের মান। সমান-সমান পকেট কেটে , সবার গলায় অভাবী ছুরি , লম্বা বোল রোজ-রোজ , চোর ডাকাতের নামের ঢোল । ২৩.১১.২০২৩

সবক (মোঃ রহমত আলী)

ছবি
সবক ============ মোঃ রহমত আলী ============ সুখের দিনে সঙ্গী সবাই আমার ভাই, দুঃখের সময় সাথী কেউ যে আর নাই, বুকের ভেতর জ্বালিয়ে আগুন তামাশা দেখে যায়,চোখের জল মোছাতে পারে দেখি কে কার সঙ্গে চলে সদা সাথে তাই। স্বার্থ লয়ে পিছু চলে বন্ধু কেমন তারা, মিথ্যাবাদী ফাঁসিয়ে দিলো হাসির ছলে, ছিল সাদা সহজ-সরল সোজা বেচারা। কে সত্যি ভালোবাসে,আর কে বাঁশ দেয়, তা ধারণার উর্ধে ঘটে যায় অজান্তেই। আসল বিষয় স্বার্থ হাসিল সমান তালে, বিপদ-আপদে পাই পরিচয় বন্ধু প্রাণের, সাক্ষী ইতিহাস কত কি ঘটন অঘটনের। সবক রোজদিন নূতন প্রাপ্তিতে আমার, পাঠ্যপুস্তকের শিক্ষা সমূহের বিপরীত গতিতে জীবন সংসার চলছে সমাজ। ভাগিদার সবাই ভালো দিনের আলো, আরো যদি বদলায় কারো ভাগ্যে কারো, পয়সা চেনে সে ও নতুন চোখে যে চালু, মাগনা সময় নষ্ট করে অন্ধ ছাড়া আর কে বলো ! তবু শিক্ষা সদা দীক্ষা সবক। দিনে সুরমা রাতে কাজল টাকার পিছে সবাই পাগল,কেউ তো আবার দেখি করছে নিঃস্বার্থ আমল এক বোকা-মন। তাই পাথরকে পাথর দিয়ে চাপা দাও,আর জলকে জলের স্রোতে ভাসিয়ে যাও ॥ ২২.১১.২০২৩

আদ্যপ্রান্ত (মোঃ রহমত আলী)

ছবি
আদ্যপ্রান্ত ============ মোঃ রহমত আলী ============ এগিয়ে যাওয়া সময়ের উত্থানে, পরাজিত সেই পতনের উচ্ছ্বাস। ভাঙ্গা ভাঙ্গা সাধনা অপ্রিয় তাতে কি ? গমন নির্ধারিত এক অবধারিত সময়ের শেষ অংশে যে ভাঙ্গনের ঢেউ আছড়ে পরে বুকের পিঞ্জরে। বিধান মিটিয়ে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট, তবু ফিরে পাওয়ার ব্যর্থ অঙ্গীকার, ভুলে যেতে বাধ্য সীমানা পেরিয়ে অজান্তেই ছিড়ে ফেলা কোন এক স্মৃতির ছবির মত যন্ত্রণার বালুচর। বরেণ্য কষ্টের অশ্রু রংয়ের নিরীক্ষায় হারমানা গবেষণায় ভালোবাসার জন্ম। অবান্তর সুখ খুঁজে ফেরে পথিক, বিদায় লগ্ন যদি হয় আশীর্বাদে তুষ্ট। নাম না জানা বহু রোগা বেদনার বিচরণ ধমনীর আদ্যপ্রান্ত জুড়ে অবিকল সুখ, প্রসারিত আনন্দে কার যেন এক দুঃখ। পিঞ্জর সর্বদাই খোলা,উড়ে যেতে প্রস্তুত পাখিটা,শুধুমাত্র আসল ক্ষনের অপেক্ষা। এড়িয়ে যাওয়া অসম্ভব দিনক্ষণ যখন, এটাই তো জীবনের আসল জয়,তবে থরথর কাঁপে কেন বুক বিজয়ের শেষ। আসল নকল হবে তখন প্রমাণ সকল, শেষ রাতের পরে নতুন সকাল যখন ! ২১.১১.২০২৩

চাকচিক্য (মোঃ রহমত আলী)

ছবি
চাকচিক্য ============ মোঃ রহমত আলী ============ সকালে পুষ্পের তালাশে, দুপুরে ঝরা পাতার সন্ধান, বিকেলে হাসির অভাব, সন্ধ্যায় দুঃখের আবির্ভাব, সারারাত ঘুমের অভিনয়ে ক্লান্তি হারায় খনিকের স্বপ্নে। ভ্রমণ একা কান্নার কারাগারে, সূর্যের সাথে রোজকার যুদ্ধ শেষে উদ্ধার একমুঠো কালো-মেঘে লুকানো পূর্ণিমা। সমুদ্রের উপরে অমূল্য আকাশের উজালা নক্ষত্র, মরীচিকা এক সুন্দরের চাকচিক্য লোপাট আসল রহস্য ভিড়ে খুঁজে চলা তারই মাঝে মুক্তির নিদ। তরল হয়ে যায় মৃত্তিকা, বন্দী ঘামের পরাজিত সুবাসে, উদয় রোজ নব ঘোর তপস্যায় ফিরে যায় মুখ লুকিয়ে কোনো পরিচিত চোখের অপরিচিত নীর। মূল্যবান কুয়াশা হঠাৎ নিখোঁজ, ক্ষমা চেয়ে শান্ত,বিফল পরিশ্রম, আনন্দ তবু চোখের মণি বৃত্তে,  অবুঝ ক্ষুধা অঙ্গন পিপাসায়, মনোরম অঙ্গার পুষ্পের সান্ত্বনায় ॥ ১৯.১১.২০২৩

অমূল্য সুর (মোঃ রহমত আলী)

ছবি
অমূল্য সুর ============ মোঃ রহমত আলী ============ নন্দিত হতে চেয়ে নিন্দিত হলে, আসল গীতি কথা সুর অবহেলে। যে নতুন অদ্ভুত বেসুরো গাইলে, অচল হবেই এই নব সুর ঝংকার। চিরকাল যুগে-যুগে সচল থাকবে মহান কবির অমর সব কবিতা ও কালজয়ী সুরের গীত-সংগীত। যার বাঁশরী সেই বাজায় ভালো, নয়তো সুর তুলতে হবে একই সুরে-সুর মিলিয়ে সেই তালে-তালে। দামি তুমি হতে পারো ! তবুও ঐ নামের নও, যে নামে অমূল্য কবি-নজরুল॥ অতীতকে পচা ভাবাটাই ভুল, বর্তমান যা তাই তো খনিকের, গাও তবে ঠিকঠাক, কবি সুরে সদা মিলিয়ে সুর । ১৩.১১.২০২৩ কারার ঐ লৌহকপাট - গানটা বৈগুণ্য সুরে উপস্থাপন করায় ! প্রতিবাদ স্বরূপ এই কবিতা লেখা