পোস্টগুলি

কি এ -কথার কথা !

ছবি
কি এ -কথার কথা ! ==================== মোঃ রহমত আলী ==================== কে ? আসান, কে ? পাষাণ,  কে ? করি পান্তা রুটি পাণ, পণ কারী, ভুলে নাহি পণ ! জেবে তুলি সুদ-ঘুষ সমান ডর ভিরু তনু- ডওর নাহি মনু। শাবক বনীতে সেবক, নিয়া ছিলে শিক্ষণ কেনা, কত কি ধার-কর্জ-দেনা। বনেছি এবার শেষে সাধের সুপারিশে ভিটেমাটি বেচে। রাজ-রাজার-রাজ্যে কর্মা, প্রজারে লুটিব এবার নিরন্তর, ঘুষঘুষে মিষ্ট্যে বাণী বেচে কিনে। কে ? আশি, কে ? বিশ,  কে ! না করি, বুনে জাল নিজে, নিজ ফাঁদে ফান্দা'ই ঘুষ। সরকার দিছে, নাহি – মাসিক মন্দা'র। তবু ছাড় ণাহী, ছাড় ণাহী,   ফকির-মলিক-কৃষক-কুলি ছাড় ণাহী, ছাড় ছাত্র-মজুর-মৌলভী-সাহাব! ছাড় ণাহী কো, দে' ভরে দে' ঝলি সমিত মোর কামিজ। কে ? কম, কে ? বেশি, নাহি পাল্লা' ওজন কাজী মিজান হবে তব দেখি ! কথার কথা নহে ,এ কথা সুদ ভারী না ঘুষ ভারী কোথা তমা আমানতদারি টিকি ধরে, টিকে আছে, ব' 'হু দপ্তর,-দপ্তরী। কে ? খায়, কে ? খাঁয়েনা, সূরাত দেখে বুঝ পায়না। হালাল রুজি রোজ হারায়ে, হারাম- আহ-আরামে ! দেহ ঘর মন ভোজ -লে'। হিসাব নিকাশ হবে যবে একদিন, তো দেখা যাবে, দেখবো ; কি হয় সেদিন !

"সুধ'বুধ"

ছবি
"সুধ'বুধ" ============= মোঃ রহমত আলী ============= যে,যে যার মতো, কে কার-কার মতো, এমনও মত আছে,  কেমন যেন মন নেই। যেথায় খোয়াইলে পাথর, সেথায় মিলবে রতন। করো এখন নিজে নিজে নিজের সুকর্মের যতন। যে,যে, পরেরে দোষাইলে, সে,সে,কি?কে! নিজেলে, নিজের মতো চিনি-লিতে। কে?কে! কিবলা মূখী, আছো দাঁড়ায়ে,কাবিল-তো সবে মুখো কালামের, সত্যের,সত্যি ক'জনই বলি। যে,যে চলছো সব রাতে'র ঐ রত পথে! তিমির হতে তম কেটে, ফিরে এসে চলো, দিন থাকতে দ্বীনের পথে। সময় আজ কম হাতে নয় মিলিবে না মূখ্য মূল্য কাল হতে কাল। যে,যে মশকরা করি হক দ্বীনি ইলম কারীর।  সে,সে,কি?কে! উঠি, রোজ ফজর আদি হতে। ফরিয়াদ করি,ফকিরের দারে, দোয়া করোত,মোর দুধ ভাতে। কাড়িয়া লোকমা এতিম থেকে, বনিছো আবার দান করে, খুবই মহৎ বড় দান কারি। যে,যে থাকিতে চোখ মুন্দী থুতু ছুড়ি-লে পাছে জন-দি। সে,সে,কি? দিতে হাঁচি, মুখ ঢাকিলে হর হামেশায় কি। হুশ রহিতে বেহুশ যে জন, দোষারোপ করি কারে, কানে শুনে-তো বধির সাজে, চোখ থাকিতে না দেখে দৌড়ে চলে মরণ সড়কে। যে,যে, জ্বলছে অপরের ন্যায় উন্নত উল্লাসে। সে,সে,কি? আঁচকর, দিয়া ছিলে না চাইতেই কি? ওয়াদা মোতাবেক ঠিক

"বর্ণ"কথা"কণা"

ছবি
"বর্ণ"কথা"কণা" ============== মোঃ রহমত আলী ================ ক ! ক-জানি না কবি কালের, কলম তুলি কান কাপেছে ঠোটে, শিক্ষা মাটি মূর্খ বনীল। খ ! খুলিতে-ই কিতাব চিন্তামন, তাই খুদ খোয়াবী,চোখ মুন্দী- কেমন,শুই তো তখন। গ ! গাধা আমি আমার পালের, গুণ বীণে গাফিলতির, গোলকধাঁধার ওজন গুণে। ঘ ! ঘাড় নুইয়ে কু-নাম শুনি, যতক-ততক ঘর ছেড়ে ঘর খুঁজি, ঘাম মুছে নিজ তবনে।       ঙ ! আঙুল নাহি কারো পানে তুলি, নিজ ঘুম ভাংগি, আঙ্গুলে তাসবিহ গুণন চলি। চ ! চামচামি নাহি কারো করি, চোখ-দেখে-চোখ দেই, চা পানিতে জিহ্বা ঝাঁঝায় লই। ছ ! ছাড় নাহি নিজেকে দেই, ছত্রাকার-সমাজের-ছাড়পত্র- পাওয়া ছাত্র গুনী কই। জ ! জবান সামলে- জবাব দিয়েই জামিন, জনাব জ্বলি নিজেই, অন্যান্য না জ্বালাই।        ঝ ! ঝগড়ার ঝংকার- শুনেও না শুনি-রে, ঝুপ করেও চুপ, ঝই ঝামেলা চল এড়িয়ে চলি। ঞ ! অজ্ঞ আমি কৃতজ্ঞতাপূর্ণ, মন রতে মিঞা নাহি চাই হতে, না- কঞ্জুস বনীতে।        ট ! টাকা-টাকা কয় কথা, বন্ধনহীন টক্কর,টাকা'র না দেই, টক কথা না কানে লইরে।   ঠ ! ঠোকর খেয়ে ও ঠিক হলুম না তাই, ঠকার পরে-ই সঠিক হুশ পেলুম সমত ভাই। ড ! ডুব দিয়ে বিষ খায়

লুটেরা"–

ছবি
লুটেরা"– =========== মোঃ রহমত আলী =============== আমা আপনে আপনেরা লুটে নিলে সবে শেষে আমায়। লুফে নিতে পারবে কি! আর এখন মৃত্যু আমায়। শত সম্মান লুটে ও নাহি ক্ষান্ত আজও সে, বানাচ্ছে এখন নীরবে-নীরবে আমা মাপের এক একটা-ই কফিন। কামিয়াবী এখন আর হতে কমতে শুরু করেছে আমার। লুফে নীলে আবার সবে একে একে আমোরে। লন্ঠন লয়ে আবার খুঁজিতেছে কেহ বুঝি আমারে। কমি নাহি করিলু কেহু, লুটিতে তারে, আবার শেষের দিকে জানি কেহ খুঁজিবে বুঝি বৈ-কি তাহারে। যে তোমার একমাত্র কলিজার টুকরা, সেই লুটিবে একদিন তোমায় একতরফা। একান্তই যাকে তুমি ভালোবাসিবে শতভাগ, সেই তোমার লুটে- নিবু সম সম্মান। তাই বুঝি মনে হয় লুটেরা শবে নিজ নিজ স্বার্থ নামের সম্মানের! সইতে পারিলে বলো সব, লুটেরা'র লুটে, কি? আর! হবে লাভ। ===০৬-০৪-২০০৬===

"জগৎ খেলা"

ছবি
"জগৎ খেলা" ============== মোঃ রহমত আলী ================== এ জগৎ জুড়ে টাকার খেলা বসেছে মেলা'র সমাহার। অর্থ লুটালে দেখা যায় অনেক রকম রং নাজারা। টাকাই সব এ জগৎ মেলায় বাকি সব অন্ধ ছায়া, এ জগৎ মায়ায় অর্থ ছুটালে পাওয়া যায় ভালোবাসা বাদে হরেক সামান। লুটেরা সব এ পানে সারা, টুকিয়ে বেড়ায় টোকাই সাজে, অর্থ নামের কাগজ টুকরা। রুপার পাতে মোহর বসিয়ে কিনতে চায় জগৎ সারা। খেলা করে এ জগৎ পানে অর্থ নিয়ে জগৎ সনে, রুপি খুশবু মাহকায়-মাহাকায়। জগতে অর্থ নাহি সবই, তবু ও অর্থই সবই,সবই,সবই, এ জগত মেলায় অর্থ বিনা, নাই মিলে অন্য পণ্য কিছুই আর। টাকার পাহাড় বানিয়েছে কেহ, অর্থ চুরায়ে মানবতা বিবেকে'র। মরনের পর সনে কবরে লবে-না কেহ কিছুই সনে। তবুও মহল নিজে বানায় কেহ, পাপী পয়সার বুনিয়াদে ! রুপির বিপরীত নেই কিছু এ জগৎ মেলায় সঙ্গ দিবে। এ জগৎ মেলা'র সংঙ্গে সংঙ্গে টাকা চলে আগে আগে, ক্ষমতা নেই কারো কোনো, টাকার পরে যাবার আগে, কি? এই সত্য এ জগৎ মাহে ? ===২৪-১১-২০০২=== :৳:(হায়রে পয়সা হায়):৳:

নিথল প্রাঙ্গণ"-

ছবি
নিথল প্রাঙ্গণ"- ============= মোঃ রহমত আলী =============== কবি নিজেও জানে না কি সেই কবিতা, তবুও লিখে যায়, শত সাজের হরফে সাজায়ে এক কবিতা। ভাষার আঙ্গিনায় রঙিন রং এর গোলাপ জলের সিয়াহি তে আঁকা ছবি'টা। কোলাহল হতে একটু দূরে, নীরবতার চেয়েও আর একটু বেশি নিরবে। ঐ নীল আকাশের শীতল নীলিমার মাতন নিথল প্রাঙ্গণে, শিহরে চলে যায় কোনো এক আপনজন। লোকালয়ে লুকাইতো ধ্বনি, মানবতাহীন সেই মানবেতর স্বর মানবের শব্দ, এখন আর করুণার ভিক্ষায় কে দেয় সঠিক দীক্ষা। যবে সমাজেই ছুপানো অনেক অভাব সামাজিক শিক্ষায়। সবুরে সবুরে অবুঝ ও বুঝিলে তবু কর্ণে নাহি লয় জ্ঞানের জ্ঞানী, অন্ধ তবে- কে ! বাইছে নেত্রবারি, এ যুগে আছে কি? কেউ! যুগান্তকারী। ===১২-১২-২০১২===

রঙ বে- রঙের -রং

ছবি
রঙ বে- রঙের -রং ================ মোঃ রহমত আলী ==================== রঙ বে রঙের ভালোবাসা পাওয়ার বড় আশা। মিছেই মায়ার গুন'গুনানি'তে দোতারা' টা,ছিঁড়ে হলে একতারা, একলা ঘরে থাকতে হবে ভাবতে-ভাবতে কলম কালি লাল হলো যা। রঙ বে রঙের করুন কান্না, মাপতে গেলে ওজন হয় না। ইচ্ছা পূরণে অশ্রু ঝরে, হারিয়ে গেলে খুঁজতে থাকে কাঁদতে কাঁদতে। রঙ বে রঙের কানের কথায় কান দিওনা পাগল মনা -মন আমার। রঙ্গের জ্ঞানের সনে রং মিলিয়ে, রঙের রং- বে-রঙ! চিন্তা করে নিও। রঙ বে রঙ্গের চোখের দেখায় চোখ দিওনা হিরা 'মণ' ! কদম সামলে চলে নিও ঈমান আমূল খোয়া না যায় চোখ দেখে চোখ নিও। রঙ বে রঙের সুরাত দেখে সিরাত বোঝা দায়, মাসুম সবে, সবে'-ই বুঝি সুষম কোথায় রায়। চোখ কানা ণা মন কানা আজে কতো'ক জ্ঞানের বিবেক জ্ঞানী কানা। রঙ বে রঙের বইয়ের পাতায়, লেখক লিখে বৈজ্ঞানিক কথায়, ইতিহাস আমা জানা -না-র আছে, বানর আগে না আদম(আঃ)আগে। যেমন আছে প্রবাদ বটে ডিম আগে না' মুরগি আগে। বে রং কে রঙ বানিয়ে চায় কে ! সবের বদন চেপে দিতে ছেপে। রঙ বে রঙের দেমাগ য'তো ঈমান বেঁচে ইলম কেনায়, ছেঁড়া থলে ভর্তে চাহে, আলেয়া-র ক

পথ হারা পথিক !

ছবি
পথ হারা পথিক ! =============== মোঃ রহমত আলী =============== পথ হারা পথিক এক ! একাই চলছে দিগ্বিদিক পচা অতীত সঙ্গী করে, খুঁজছে এক নতুন মঞ্জিল। খুঁজিতে খুঁজিতে সীমান্ত, পথ হারা পথিক আজ বড্ড একা ক্লান্ত। বইয়ের পাতা পাল্টে-পাল্টে পথিক সেই পড়ে গেলো গভীর সু-দুঃখের খালটি-তে, খালি-খালি সে দেয় গালি, আঁধারের গলিতে আর দেয় সে শুধুই গড়া-গড়ি, ভীষণ গরিব বেচারা সে পথিক,শূন্য আছে তার কামিজের পকেট ! পয়সা নেই তার কাছে আর হেঁটে-ই চলেছে তাই সে ঠিকানায় তার,তবুও পথের পথিককে ফিরালে-নে-পথ, সাহারা দিচ্ছে সারা - পুরাতন নাজারা-র নাজাকাত। হারিয়ে পথ খুঁজে পথিক, কোথায় আছে তার ঠিকানা সঠিক। সবই তো ঠিক-ঠিক, তবু কেন হারিয়ে ফেলিলে ঠিকানা সে পথিক, হারানো পথের বাঁকে,ছায়া নটে একটু দাঁড়িয়ে থাকে,আর থমকে থাকা নিজ ছায়াকে বলে হেসোনা ভাই তুমি আর ! আমি আর তুমি একই পথের পথ হারা পথিক । ২৬.০৬.২০০৭

"বঞ্চিত'জনতা'কণ্ঠ"

ছবি
"বঞ্চিত'জনতা'কণ্ঠ" =============== মোঃ রহমত আলী =============== আমি ঐ কন্ঠ ! যে কন্ঠ ! বঞ্চিত ভাষার উত্থান। আমি ঐ জনতার আওয়াজ, যে সব জনতা গঞ্চিত ইতিহাস, যাদের আওয়াজ আজও তুলে-নি কোন ইতিহাস, আমি হতে চাই ঐ সব জনতার আওয়াজ যাদের কন্ঠ বঞ্চিত শব্দ। সাক্ষী আজও ইতিহাস বঞ্চিত জনতা কণ্ঠ  গুমরে করে প্রতিবাদ, ভাবন(স্রষ্টা)-তরে দেয় আওয়াজ মানবতার জন্য প্রতীত -তান। সাধারণ জনতার বঞ্চিত কন্ঠ ভব-তরে দেয় পুকার অন্যায়ের বিরুদ্ধে ন্যায় বিচার চায় ভাবন-তার রায়। আকাশ ভারী ! আজ জামিন ভারী ! ভারী বাতাস বহে, বে-মানবতার হিসাব চাহে গুমরে বঞ্চিত স্বরে ! ===২৩-১০-২০০২===

বঞ্চিত অধিকার -

ছবি
বঞ্চিত অধিকার - ===================== মোঃ রহমত আলী ===================== সংসারে সবই আছে মোর, আমি শুধু হতে- পারলুম না কারো আপন। বঞ্চিত আমি পারিবারিক সমাজে কলুষিত অধিকারে, সকলের সনে-সনে তুচ্ছ করিয়াছে আমোরে সামাজিক রীতি, বঞ্চিত অধিকার রয়েছে আমোর পরিবারে বন্দী। এককালে মোর ক্ষুধার্ত দেহ, অসহায় পরিণাতে এ ভবে ঘুরছিল আশাবাদে। কেহ! নাহি দিলো তবে সাহসা মোরে আপামনে। এক শিশু মোর পরিণত শুনে অনুভূতি দিলে মানবতার বন্ধুরে। আর সবে বন্ধু আমা মশকরা করি-লো পরিণাত আমা, তামাশা করে হেয়ালিতায় সাজাই-লো আমা মাজবুরি, এইতো বঞ্চিত অধিকার। ণা-কী ! ===১৮-১২-২০০২===

এক-পাগলা-ফকির !

ছবি
এক- পাগলা -ফকির ! =============== মোঃ রহমত আলী =============== আসছে চলে পূর্ব হতে, হাঁটি-হাঁটি পায়ে-পায়ে, ছেঁড়া চটের জামা গায়ে। খুশবু সু-দুর্গন্ধের ছড়ায়-ছড়ায় সবে মম দেখছে তাকে অপলক হীন, দৃষ্টিতে দাঁড়ায়-দাঁড়ায়, তাকায়-তাকায়, দুই পায়ের তালু হতে আলতা রঙের ! রক্ত ঝরে, চলছে পথ ছেপে-ছেপে পাগল-পাগল বলছে সবে ঢিল টি ছুড়ে তাহার পিঠে, ঐ দুষ্টু ছেলের দল টি ছুটে তার-ই পাছে। হৈ-হৈ করে জনও সবে সচেতন বলে ! অসহায় কান্ড দেখছে খুব -ই মজা করে, তামাশা ভেবে। চীনা পাগলা নাম তার ! দোয়ার মতোই গাল দেওয়া কাম তার। পয়সা দিলে আর, নেয় না সে, কেড়ে নিবে তাই পকেট হতে। ক্ষুদা পেলে খায় না সে, পিয়াস হলে শুধুই কাঁদে যে ! মাঝে মাঝে ভিক্ষা করে, মন বেশি পাগলা হলে। যাকে তাকে সালাম করে, যেন কেউ না তাকে আর পাগল বলে। মিষ্টি মিষ্টি হাসতে থাকে, নিজের মুখটি নিজের কাছে-ই লুকিয়ে রাখে, হঠাৎ ! একদিন সাহস করে অবুঝ মনে নদী -পথে, চলতে গেলে আঁধার রাতে, উল্টো সাঁতার করবে বলে, তবু কেনই বা কেমন করে, সর্বশেষে ডুব দিলে, তাই এক পাগল হারিয়ে গেলে । ===০২-০৩-২০১০===

বেকার-চরণ" -

ছবি
বেকার-চরণ" - =============== মোঃ রহমত আলী =============== যে কোনও নিঃশ্বাসের নেই তো বন্ধু কোনো বিশ্বাস। এ জীবন পাঠশালায় হয়েছে শিক্ষার অভাব, শরমের দীক্ষায় নাহি মিটে কোন তৃষ্ণা। পিপাসায় যখন সমুদ্র ক্ষান্ত, তখনই মোহনায় জোয়ারের আনন্দ-ন। চরণ সারা জনমের বেকার, তবু উদাহরণ রয়েছে সাজানো হাজার এখন কি এক ! তার -এক আমার, তবেই তো বলা চলে জীবন চরণ বেকার। চশমার আড়ালে এক কালো চোখ, লুকানো রয়েছে যেথায়, হাজারো লক্ষ লোভ। চরণের ছাপ আঁকা আছে যাবার ! পিছনে ফিরিয়া দেখি, কেউ যে আর নেই আমার। যে বন্ধু ছিলে একান্তই আমার তারই চরণ চাদরে ঢাকা পাপের পর্দার। প্রতীক্ষায় ছিলে যবে চরণ যেন না হয় বেকার। তবে বিধাতার নিয়মে-র আগে বা পরে, সবই যে বেকার ! তাই তো আর কি থাকে করার, আশার তরঙ্গে, নিরাশার দীপ জ্বলে, এ কেমন ছলে-ছলে জীবন চলে। এই তো বর্তমান ধরন শত অন্যায়ের পরেও নাহি হয় ন্যায়ের আঙ্গিনায় সত্য সূর্যের উদেয়ন । ===১০-১০-২০১০===

অনলাইন দৈনিক পত্রিকায়

ছবি
"কবি'র'কবিতা" মোঃ রহমত আলী অনলাইন দৈনিক স্বদেশ প্রত্যয়  পত্রিকায় আমার লেখা কবিতা প্রকাশিত স্বদেশ প্রত্যয় পত্রিকার নিউজ👇

"কণ্ঠস্বর" !

ছবি
"কণ্ঠস্বর" ! =============== মোঃ রহমত আলী ==================== তুমি কি ! করে বলো আমি সর্ব মানে পরিপূর্ণ। হয়তো তুমি ধার নিয়েছো কারো পণ্য, নয়তো বুঝি তুমি, চুরি করেছো কারও অন্য। তাহলে তোমরা বড় বড় দানবে, কি করে ! হবে আর ধন্য। কখনো আবার তুমি, এক অসহায় কে ডেকে শুনায়ে দিলে আশা বাণী লম্বা করে, আবার একদা সুযোগ বুঝে হতাশ গ্রস্ত কে করে দেলে কুরবানী। তুমি কি ! ভেবে দেখেছো, কভু অর্থহীন এ সারা তবো এক জীবনের সংগ্রহের সাধন। তবে কেমনে তোমরা, কিছু এক জন-সভে মানবের সনে মানবতার ব্যবহারে করছো বে-ধরন, অভি নামের লাগি তোমরা সবে শুনিলে না শুনেও সেই সব সে, সে, এক-এক বঞ্চিত জনতার হতদরিদ্রোর দরদ। তুমি কি ! শুনেছো কভু  ঐ বোবা কণ্ঠের ক্রন্দন, যাদের স্বর কোন সভ্য করিতে চাহেনা সহজেই শ্রবণ, সমানে-সমান -সমো মানবের কণ্ঠ, তবে কেন ? মানবেতর এক অন্ধকার কাফনে লুকায়িত স্বর অপূর্ণ ! ===২৫-০৫-২০১১===

ঠেকাদার !

ছবি
ঠেকাদার ! ========== মোঃ রহমত আলী =================== বড়ই কঠিন এ যাত্রা আসর জীবন নামক এই নাট্যালয়ে, সহজ সরল চরিত্র এখন সমাপ্তি হবার পালায় প্রায়। সকালবেলা সবার আগে, সত্য বলে শুরু করে,তবু ! বেলা সারা চলে মিথ্যার কাঁধে ভর করে অন্ধকার বর্ণন বলে। বড়ই সহজ ছিলে সে সত্য বেলা, মাতার কোলে নিঃশ্বাস নেওয়া, এখন যে বিষের দীর্ঘশ্বাস ! খুবই কঠিন তার বিশ্বাস, শুরুর আগে শেষ হলে আর এ দুঃখের কাহিনী কে শোনে। বড়ই নাজুক এ জীবন বেলা, যখন তখন হয় শেষ খেলা, তবুও এ মিথ্যের স্বার্থ লোভে একটুও নেই কেহ পিছু হটে। পারেশান সবে নিজ-নিজ, কর্ম তরে ! তারিফ শুধুই,  ওই এক খোদা পাকের লীলা ঘরে'র, আসলে ঠেকাদার, কে ? কার ! বড়ই কঠিন এ জীবন খাতার হিসাব অঙ্ক গুলি খুবই জটিল, তাহলে এ জীবন নামক যাত্রা আসরের চরিত্র, কি করে আর হতে পারে! সত্যের চেয়েও অধিক সঠিক ।   –––১২-১২-২০০৯–––

টোকাই কঙ্কর !

ছবি
টোকাই কঙ্কর ! ‐‐‐‐‐‐‐‐‐‐‐‐‐‐‐‐‐‐‐‐‐‐‐‐‐ মোঃ রহমত আলী ‐‐‐‐‐‐‐‐‐‐‐‐‐‐‐‐‐‐‐‐‐‐‐‐‐‐‐‐‐‐‐‐ বামোন তার নাম, টোকানো টুকিটাকি তার কাম। ছালার একটি ছেঁড়া ব্যাগ, হাতের ভরে ঘাড়ে ঝুলিয়ে চলে, পথে-পথে চলতে-চলতে টোকায় কাগজ আর হাড়ের টুকরা ! এমনই ভাবে এগিয়ে ধীরে ধীরে ব্যস্ত ডাস্টবিনে গিয়ে বসে, টুকাতে থাকে বাছাই করে টাকা একটু বেশি পাবে যাতে। হঠাৎ করে আসলো আবার পৌরসভার ট্রাক, ধমক মেরে তাকে, কেড়ে নিলো জোর করে ব্যাগ সমিত কুড়ানো তার সারা কঙ্কার, ধাক্কা মেরে তাকে আর ডাস্টবিনে ফেলে দিলে পৌর মাতব্বার বললো আবার গাল দিয়ে ডাস্টবিনে'ই তুই পড়ে থাক রে !! বামন আবার ক্ষিপ্ত হয়ে, গায়ের ছেড়া গেঞ্জি খুলে টুকাতে থাকে কেঁদে-কেঁদে ছুটে যাওয়া কংকর, গেঞ্জি আবার ভরে নিলো সে ধীরে ধীরে টুকরো কাঁচের টুকরায়, আচমকা দেখলো সে আঙুল কেটে তার ভীষণ ভাবে রক্ত ঝরছে ! তখন সে জলদি করে ডাস্টবিন কাদা তুলে আঙ্গুলে দিলো চেপে। এবার বামোন চললো আবার, বিক্রি করতে টোকানো তার সম্পৎ । দোকানী এক তাকে ঠগীয়ে  দিল চুরি করা মাল বলে, দামের চেয়েও কম দাম দিলো তাকে, বললো আবার রাগান্বিত স্বরে এ পথে যেন তোকে আর কভু এই পরিণতে না দেখি -রে । তবু